প্রশ্নঃ
 কি কি উপায়ে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের মূল্যকে হ্রাস করা যায়, উল্লেখ কর।

সাক্ষীর সাক্ষ্যের মূল্য হ্রাস করাঃ একজন সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা যায় মূলত দু’ভাবে। প্রথমত ১৩৭ ও ১৩৮ ধারার বিধান মোতাবেক তাকে জেরা করে দেখানো যায় যে, তিনি যা বলছেন তা সত্য বা স্বাভাবিক নয় এবং যথার্থ ঘটনার সাথে তার বক্তব্য মিলছে না। জেরার মাধ্যমে এটাও দেখানো যায় যে, চরিত্র ও সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে তিনি অনেক নিম্ন স্তরের ব্যক্তি। দ্বিতীয়ত জেরার উপর নির্ভর না করে স্বাধীনভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ এনে ১৫৫ ধারার বিধান মতে বিরুদ্ধ পক্ষের সাক্ষীর বিশ্বস্ততাকে নষ্ট বা খর্ব করা যায়।

১৫৫ ধারা মতে নিম্নোক্ত উপায়ে সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা যায়ঃ

১. অন্যান্য সাক্ষীদের মতে ঐ সাক্ষী বিশ্বাসের অযোগ্য বলে মনে বলে তাদের দ্বারা সে মর্মে সাক্ষ্য দেয়ায়।

২. সাক্ষীকে ঘুষ দেয়া হয়েছে বা সাক্ষী ঘুষের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে অথবা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য কোনরূপ অবৈধ প্রলোভনের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে তা প্রমাণ করে।

৩. তার প্রদত্ত-সাক্ষ্যে যা প্রতিবাদসাপেক্ষ তা তার পূর্ববর্তী বিবৃতির সাথে সঙ্গতিবিহীন তা প্রমাণ করে।

৪. কোন ব্যক্তি যখন বলাৎকার অথবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ফৌজদারীতে সোপর্দ হন তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা বা ভ্ৰষ্টা।

এ ধারার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, একজন সাক্ষী যদি অপর একজন সাক্ষীকে বিশ্বাসের অযোগ্য বলে উক্তি করে, তবে জবানবন্দীর সময় এর কারণ ব্যাখ্যা নাও করতে পারেন। তবে জেরা করার সময় এরূপ বিশ্বাসের কারণ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হতে পারে।