‘কালান্তর’

বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো প্রবন্ধ সাহিত্যেও রবীন্দ্রনাথের অবদান অপরিসীম। রবীন্দ্রনাথের একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ সংকলন কালান্তর গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথের কালান্তরের মূল উদ্দেশ্য হলো উপমহাদেশের হিন্দু- মুসলমানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ, ইংরেজ বনাম ভারতবর্ষ এবং সমকালীন দেশীয় সমস্যাসমূহের মূল উদঘাটন ও এর সমাধানের সুস্পষ্ট পথনির্দেশ।

সমাজ ও কাল সচেতনতায় অপূর্ব নিদর্শন রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ। তার প্রবন্ধ পরিধি এবং জীবনাভিজ্ঞতালব্ধ মৌলিক বিষয় সমৃদ্ধ। ক্রমবিবর্তিত অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রহণবর্জনের মাধ্যমে সমস্যার প্রকৃত স্বরূপ চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি বিদগ্ধ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা সমাজবিজ্ঞানীর নয়, একজন সংবেদনশীল উদার মানবতাবাদীর।

বিষয়বস্তুর প্রেক্ষাপটে প্রবন্ধসমূহের শ্রেণিবিন্যাস: সর্বমোট ৩২টি প্রবন্ধ কালান্তর গ্রন্থে রয়েছে। রচনাকাল ১৯১৪ থেকে ১৯৪১। সমকালীন ঘটনা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রবীন্দ্রনাথ এসব প্রবন্ধ রচনা করেন। এসব প্রবন্ধের রবীন্দ্র সমালোচক হুমায়ুন আজাদ বলেন, “তার চিন্তার শ্রেণিকরণ দুঃসাধ্য ও জটিল ব্যাপার।”

সাধারণভাবে প্রবন্ধগুলোকে ৬ ভাগে ভাগে করা যায়:

১. হিন্দু-মুসলমান সমস্যা,

২. ইউরোপীয় সভ্যতা;

৩. ভারতবাসী ও ইংরেজ,

৪. শিক্ষা;

৫. ভারতীয় রাজনীতি ও সমাজ,

৬. বিবিধ পর্যায়ের।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।