ভূমিকাঃ নীতিবিদ্যা শুধু মানুষের আচরণের নৈতিক দিক নিয়ে আলােচনা করে বরং মনােবিদ্যায় আলােচিত বিভিন্ন দিক নিয়ে ও আলােচনা করে। যার মধ্যে কামনা অন্যতম। আচরণের স্বরূপ বুঝা জন্য এসব দরকার পড়ে।
কামনাঃ কামনা বলতে আমরা সাধারণত কোনাে কিছু আকাক্ষা করাকে বুঝি। কোনাে কিছুর অভাববােধই আমাদের মাঝে কামনার উদ্ভব ঘটায়। তাই অভাব হলাে কামনার প্রাথমিক উৎস। ব্যক্তি জীবন প্রায়ই কোনাে না কোনাে অভাব এর সম্মুখীন হয় এবং সেই অভাব দূর করে কাম্য বস্তু পাওয়ার যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাকেই মূলত কামনা বলা হয়।
বিভিন্ন নীতিশাস্ত্রবিদদের মতেঃ বিভিন্ন নীতিশাস্ত্রবিদ বিভিন্নভাবে কামনার সংজ্ঞা দিয়েছেন।
মূরহেড বলেন, “আত্মার বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবায়িত না হওয়া ভবিষ্যৎ অবস্থার ধারণার মধ্যকার পার্থক্যকরণের দ্বারা সৃষ্ট উত্তেজনাকর অবস্থাই কামনা।
লিলি বলেন, “একটা বস্তুকে পেতে বা একটা বিশেষ অভাবকে তুষ্ট করতে বা কর্তার বিশেষ প্রবণতা পূরণ করার ক্রিয়াতে নিয়ােজিত থাকতে সচেতন প্রবণতা হিসেবে আমরা কামনার সংজ্ঞা দিতে পারি। যেমন- ভাল ফলাফল করার আকাঙ্ক্ষা মানুষকে ভাল করে পড়াশুনা করতে তাড়িত করে যার ফলে মানুষ সেই ভাল ফলাফল এর অভাববােধ থেকে একটি ভাল প্রস্তুতি নেয়।
ইচ্ছা অভীক্ষা ইত্যাদিকে অনেক দার্শনিক কামনার সমকক্ষ বলে মনে করেন।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় কামনা হলাে তাই যা মানুষকে তার সৃষ্ট অভাব মেটাতে চঞ্চল করে তােলে এবং ব্যক্তির যখন অভাব এর প্রতি সুস্পষ্ট ধারণা থাকে তখন তা মূলত কামনায় পর্যবসিত হয়। নীতিবিদ্যার আলােচনার পরিসর বৃদ্ধিতে এর অবদান অনস্বীকার্য।
Leave a comment