প্রশ্নঃ কাঠামাে কার্যগত তত্ত্ব অধ্যায়নের প্রয়ােজনীয়তা সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, কাঠামাে কার্যগত তত্ত্ব অধ্যায়নের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলােচনা কর।
ভূমিকাঃ সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বিশ্লেষণে সুষ্ঠু বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি হিসেবে সমাজবিজ্ঞান, মনােবিজ্ঞান, নৃ-বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয় থেকে তুলনামূলক রাজনীতিতে যে তত্ত্ব প্রবাহ ঘটেছে তাদের মধ্যে কাঠামােগত পদ্ধতি অন্যতম, যা বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে।
কাঠামাে কার্যগত তত্ত্বের গুরুত্বঃ নানা সমালােচনা থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়নের ক্ষেত্রে এ তত্ত্বের গুরুত্ব তুলনাহীন। এ পদ্ধতির তাৎপর্য হলাে সমাজব্যবস্থার জটিলতা এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক ভূমিকা বিশ্লেষণে এ তত্ত্ব সাহায্য করে। এ তত্ত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কাজের ব্যাখ্যা ও কাঠামাের বিন্যাসের ফলে প্রত্যেক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট কোনাে একটি কাজের কতটুকু সম্পন্ন করে তা সহজেই দেখানাে যায়। কাজেই কাঠামাে উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির মাধ্যমেই কেবল রাষ্ট্রের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না, কাঠামােগুলাে কোন অনুপাতে কোন ভূমিকা পালন করে তা যাচাই করেও বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য এতে লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের বিশ্লেষণ পদ্ধতি অত্যন্ত দুরূহ হলেও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সাধারণ মতবাদ স্থাপনে এটি খুবই জরুরি। এভাবে রাষ্ট্রের তুলনামূলক আলােচনা করতে পারলে সরকারের কাঠামাের বিভিন্ন নির্ণায়কগুলাে মূল্যায়ন সম্ভবপর হবে। ফলে অসংকীর্ণ মনােভাবের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারের চরিত্র বিশ্লেষণ করা সম্ভবপর হবে।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায়,কার্যকাঠামাে তত্ত্বের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা দান ক্ষমতা বিভিন্ন দিক থেকে সীমিত। এ তত্ত্ব সাম্প্রতিককালের পরিবর্তন ও উন্নয়নজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কোনাে নীতি নির্দেশ করে না। সর্বোপরি এ পদ্ধতি প্রয়ােগ করে রাজনীতির তাত্ত্বিক কাঠামাের উন্নতি বিধান সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বের জন্য এ তত্ত্বটি অধিক প্রয়ােজন।
Leave a comment