স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় কোনাে এক ডােরা কাটা হাঙর বাঘা টোপ লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে। প্রথম দুবার কাছে এসে চলে গেলেও শেষপর্যন্ত বাঘা টোপ গেলে। কিন্তু তাকে টেনে তােলার সময় জল থেকে একটু উঠেই চিৎ হয়ে সে বড়শি-বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে যায়। হাঙরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিল একঝক আড়কাটী মাছ, যারা পাইলট ফিশ নামে পরিচিত। লেখক বলেছেন যে, বড়শিবিদ্ধ হবার পরে বাঘা হাঙরটির চারপাশে থাকা সেইসব আড়কাটী মাছেরা হাঙরটিকে ভুল পথে নিয়ে যাবার জন্য উচিত শিক্ষা পেয়েছে কি না, সেই খবর তিনি আর পাননি।

বিবেকানন্দ বাংলায় যাকে ‘আড়কাটী মাছ বলে উল্লেখ করেছেন, তাদেরই ইংরেজি নাম ‘পাইলট ফিশ। হাঙরের আগে আগে চলা আড়কাটী মাছদের প্রধান কাজ হল, হাঙরকে পথ চিনিয়ে চলা, তাকে শিকারের কাছাকাছি পৌছে দেওয়া। লেখকের অনুমান, বিনিময়ে হাঙরের ভুক্তাবশেষ হয়তাে এই আড়কাটী মাছেরা প্রসাদ হিসেবে লাভ করে। তবে হাঙরের মুখ ব্যাদান থাকলে এরা কী প্রসাদ পায় তা নিয়ে লেখক যথেষ্ট সন্দিহান। এই ছােটো ছােটো সামুদ্রিক মাছ ঘন নীল এবং রুপোলি কালাের মাঝামাঝি রঙের হয় এবং এর গায়ে গাঢ় রঙের ডােরাকাটা দাগ থাকে। এর মাংসও অতি সুস্বাদু।

স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনাটিতে দেখা যায়, লেখকের জাহাজ ইউরােপ যাওয়ার পথে লােহিত সাগর পার করে ১৪ জুলাই মিশরের সুয়েজ বন্দরে থামে মাল নামাবার জন্য। স্বর্গরূপী ইউরােপে যাতে প্লেগ রােগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই ইউরােপের প্রবেশদ্বার সুয়েজ বন্দরে সতর্কতামূলক নজরদারি ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত কড়া। কারণ, সেই সময় সমগ্র মিশর রীতিমতাে প্লেগ রােগে আক্রান্ত ছিল। আর জাহাজের যাত্রীরাও সম্ভবত প্লেগ রােগের বাহক—এই আশঙ্কার ফলে দু-তরফেই রয়েছে পরস্পরের ছোঁয়াছুঁয়ি বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা। মিশরের লােকেদের তাই লেখকের জাহাজ স্পর্শ করা ছিল একেবারে নিষিদ্ধ। মাল নামানাের পর রাত্রিতে জাহাজ অনায়াসেই সুয়েজ বন্দর পার হতে গেলে প্রয়ােজন ছিল জাহাজের সামনে বিজলি আলাে লাগানাে। অথচ প্লেগ রােগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য মিশরের লােকেদের সাহায্য নেওয়ার উপায় ছিল না। ফলে, কিছুতেই জাহাজের সামনে আলাে লাগানাে সম্ভব হয় না। এই কারণেই জাহাজের যাত্রীদের চব্বিশ ঘণ্টা সুয়েজ বন্দরে পড়ে থাকতে হয়েছিল। ভােরে সূর্যের আলােতেই তাদের ইউরােপের পথে যাত্রা শুরু করা ছাড়া উপায় ছিল না।

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা পরিব্রাজক গ্রন্থের অন্তর্গত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখক দেখেছিলেন, মিশর জুড়ে ছিল প্লেগ রােগের প্রকোপ। এ ছাড়া, এশিয়া থেকে আগত জাহাজটিও হয়তাে বা প্লেগ রােগ বহন করে আসছে—এই আশঙ্কায় তাই দু-তরফেই ছিল ছোঁয়াছুঁয়ির ভয়। জাহাজটির পরবর্তী গন্তব্যস্থল যেহেতু ইউরােপ, তাই স্বর্গরূপী ইউরােপকে প্লেগ জীবাণুর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব বর্তেছিল জাহাজ কর্তৃপক্ষের ওপর। এ কারণে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথমত, সুয়েজের কুলিদের দ্বারা জাহাজের মাল নামানাে নিষিদ্ধ ঘােষণা করা হয়। দ্বিতীয়ত, জাহাজের খালাসিরাও যাতে আলগােছে মালপত্র নীচে দাঁড়িয়ে থাকা সুয়েজি নৌকোয় ফেলে, সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয়ত, কোম্পানির এজেন্ট ও জাহাজের ক্যাপটেনের মধ্যে কথাবার্তার সময়, কেউই অন্যের যানে উঠে যাননি। এজেন্ট ছিলেন তার লঞেআর জাহাজের ক্যাপটেন জাহাজেই অবস্থান করছিলেন। চতুর্থত, মিশরীয়দের দিয়ে জাহাজের গায়ে বিজলি আলাে লাগাতে দেওয়া হয়নি। পঞ্চমত, জাহাজের নীচে একটি জলপুলিশের নৌকো পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়েছিল, যাতে জাহাজে-ডাঙায় বিন্দুমাত্র সংস্পর্শ ঘটতে না পারে। এরকম একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ প্লেগ রােগের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য গ্রহণ করা হয়েছিল সুয়েজ বন্দরে।

স্বামী বিবেকানন্দের ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার আরব মিএঞা’ হলেন জল-পুলিশের সেই নৌকার এক চৌকিদার যে নৌকো লেখকদের জাহাজের নীচে থেকে পাহারা দিচ্ছিল, যাতে সুয়েজের লােকেদের সঙ্গে জাহাজের যাত্রীদের কোনাে ছোঁয়াছুঁয়ি না হয়।

জাহাজের দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী এক ফৌজি হাঙর শিকারের জন্য বড়শিতে সেরখানেক মাংস গেঁথে একটি মস্ত কাঠের ফাতনাসহ তা জলে নিক্ষেপ করে। প্রয়ােজন ছিল সেই কড়িকাঠের সেই হাঙর ধরার ফাতনাটিকে ধরে টোপ সমেত কিছুটা দূরে সরিয়ে দেওয়া। আর জাহাজের দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের সেই অনুরােধই সমস্বরে এসে পৌঁছেচ্ছিল নৌকোয় থাকা পাহারাদারদের কাছে। লােকজনের অত হাঁকাহাঁকি শুনে কোনাে একটা হাঙ্গামা উপস্থিত হয়েছে অনুমান করে তিনি তখন চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ান।

এরপর সেই আরব মিয়া অর্থাৎ বন্দর পুলিশের চৌকিদার নিঃশ্বাস ছেড়ে, আকর্ণ-বিস্তার হাসি হেসে এবং জাহাজের যাত্রীরা কোনাে ব্যাপারে হাঙ্গামা করছে না জেনে আশ্বস্ত হয়ে জাহাজের যাত্রীদের মিলিত অনুরােধে একটি লতা-ডালের আগা দিয়ে টোপ- ফাতনাসহ বড়শিটিকে দূরে সরিয়ে দেন।

‘ডাকাতের মা’ ছােটোগল্পের মাদীন পেশকার কীভাবে চুরি যাওয়া লােটার সন্ধান পেল?

“দারােগা-পুলিশ দেখে বুড়ির বুক কেঁপে ওঠে।” -কেন কেঁপে উঠেছিল বুড়ির বুক?

“এইবার সৌখীর মা ভেঙে পড়ল” -কখন এবং কেন সে ভেঙে পড়ল?

জেল থেকে ফিরে আসার দিন রাত্রে ছেলে সৌখীর সঙ্গে তার মায়ের যে কথােপকথন হয়েছিল, তা ডাকাতের মা ছােটোগল্পে অবলম্বনে লেখাে।

‘ডাকাতের মা’ ছােটোগল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।

“কিন্তু আজ যে ব্যাপার অন্য।”—কোন্ দিনটার কথা বলা হয়েছে? সেদিনের অন্য ব্যাপারটির পরিচয় দাও।

“..ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে।” -কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে? কলঙ্ক শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?

ডাকাতের মা ছােটোগল্পটির শিল্পসার্থকতা আলােচনা করাে।

সুয়েজখালে: হাঙ্গর শিকার প্রবন্ধটিতে বিবেকানন্দের রচনা-বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় বিবেকানন্দের ভাষাশৈলীর পরিচয় দাও।

হাস্যরসাত্মক রচনা হিসেবে ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গার শিকার কতখানি সার্থক?

স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে বাঘা নামের প্রথম হাঙরটির বর্ণনা দিয়ে জানাও যে কীভাবে তাকে শিকারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল?

থ্যাবড়া নামের হাঙরটিকে কীভাবে শিকার করা হয়েছিল তার বিস্তৃত বিবরণ দাও।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখক যে বনিটো মাছের কথা উল্লেখ করেছেন, রচনা অনুসরণে তার বিস্তৃত বিবরণ দাও।

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের পাশে থাকা ছােটো মাছ ও হাঙর-চোষক মাছের বিস্তৃত বিবরণ দাও।

“আমাদের কিন্তু দশদিন হয়ে গেছে—ফাঁড়া কেটে গেছে।” -মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।

“সেকেন্ড কেলাসের লােকগুলির বড়ােই উৎসাহ।” হাঙর শিকার প্রবন্ধটি অবলম্বনে এই উৎসাহের পরিচয় দিয়ে এদের চরিত্রের যে যে দিকগুলি রচনাটিতে প্রকাশ পেয়েছে তার বিবরণ দাও।

“রক্ত-মাখা গায়-কাপড়ে ফৌজি যাত্রী কড়িকাঠ উঠিয়ে দুম দুম দিতে লাগলাে হাঙ্গরের মাথায়” -উদ্ধৃত অংশটির মধ্য দিয়ে ফৌজি চরিত্রের কোন দিক প্রতিফলিত হয়েছে? এর পরবর্তী অংশের বর্ণনা ও প্রতিক্রিয়া আলােচ্য পাঠ্যাংশে যেভাবে ফুটে উঠেছে তা লেখাে।

“কিন্তু যখন ওসব কিছুই হল না” -এখানে কী না হওয়ার কথা বলা হয়েছে তা সপ্রসঙ্গ আলােচনা করাে।

“কী ধপাৎ করেই জাহাজের উপর পড়ল।” -এরপর কী হল?

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনাটিতে হাঙরটিকে জাহাজের উপরে তােলার দৃশ্যটি বর্ণনা করাে।

“আগে যান ভগীরথ শঙ্খ বাজাইয়ে, পাছু পাছু যান গঙ্গা…” -মন্তব্যটির পৌরাণিক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কাহিনিতে এর উল্লেখের প্রাসঙ্গিকতা বিচার করাে।

“জাহাজে খালাসী বেচারাদের আপদ আর কি!” প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাহাজের খালাসীদের বেচারা বলার কারণ লেখাে।

“স্বর্গে ইঁদুর বাহন প্লেগ পাছে ওঠে, তাই এত আয়ােজন।” -উদ্ধৃত অংশটির মধ্য দিয়ে লেখক কী বলতে চেয়েছেন?

“গতস্য শােচনা নাস্তি” -কথাটির আক্ষরিক অর্থ উল্লেখ করে সপ্রসঙ্গ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করাে।

“যাক, ওটা কেটে দাও, জলে পড়ুক, বােঝা কমুক;…।” ঘটনাটি সংক্ষেপে লিখে হাঙর শিকারের ক্ষেত্রে নৃশংসতার প্রসঙ্গটি বিবৃত করাে।

স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে :হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে জাহাজযাত্রীদের হাঙর শিকারের প্রস্তুতির বিবরণ দাও।