বাংলা গদ্যের বিকাশ সাধনে কল্লোল পত্রিকার ভূমিকা বিশ্লেষণ কর
উত্তর: বাংলা গদ্যের প্রচলন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে সাময়িকপত্র প্রকাশ পেতে শুরু করে। সাময়িকপত্রগুলো বাংলা সাহিত্যে ও বাংলাদেশের সমাজ, ধর্ম, বিজ্ঞান, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করায় গণসচেতনতা বৃদ্ধির অবকাশ সৃষ্টি হয়। তবে উল্লিখিত বিষয়ে সকল সাময়িকপত্র সমান নয়। বিশ শতকের প্রথমার্ধে কল্লোল নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশ হয়েছিল- যা বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।
কল্লোল পত্রিকাটি কলকাতা থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। দীনেশরঞ্জন দাশের সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হতো। তখনকার সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অশেষ প্রভাববিস্তারকারী সাহিত্যিক। অনেক সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের লেখার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তখন রবীন্দ্র প্রভাব বলয় থেকে আলাদা ধরনের কিছু লেখার জন্য বেশ কিছু নবীন সাহিত্যিক কল্লোলকে ঘিরে একত্রিত হন।
তারা হলেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদার প্রমুখ। পত্রিকাটি সম্পর্কে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, “কল্লোল পত্রিকায় একদল নব্য তরুণ সাহিত্যিক ও কবি নতুন সাহিত্য সৃষ্টির তাগিদ অনুভব করলেন যুদ্ধোত্তর ইউরোপের বিশেষত রুশ ও ফরাসি সাহিত্য থেকে। এ গোষ্ঠীর সাহিত্যিকগণ ভাবে ও ভাষায় আধুনিক পৃথিবীর সাথে বাংলা সাহিত্যের একটি যোগসূত্র নির্মাণ করেছেন।”
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment