ইংরেজ শাসিত ভারতে কলকাতায় আসা ইংরেজরা এদেশ সম্পর্কে কৌতূহলী ছিল। ভারতের শিল্পীরা বিভিন্ন ছবির মধ্য দিয়ে ইংরেজদের সেই কৌতূহল চরিতার্থ করেন। শুধুমাত্র পেশাদারি আর শৌখিন ইংরেজ শিল্পীদের দিয়ে এই কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব ছিল না। তাই মুঘল-পরম্পরার শিল্পীরাও ক্রমে কলকাতায় সমবেত হলেন। ইংরেজরা তাদের দিয়েই নিজেদের পছন্দের ছবি আঁকিয়ে নিতে থাকেন। প্রসঙ্গত পাটনা থেকে আসা অন্যতম শিল্পী জৈনুদ্দিন ছাড়াও ভবানী দাস ও রাম দাস ছিলেন এদের মধ্যে অন্যতম। এরা সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি স্যার এলিজা ইমপের পত্নীর শখ মেটাতে তার সংগ্রহশালার পশুপাখির অজস্র ছবি আঁকেন।
শ্ৰীমতী ইম্পে ছাড়া শ্রীমতী এডওয়ার্ড হুইলার, নাথানিয়েল মিডলটন, এমিলি ইডেন, চার্লস ডায়েলি প্রমুখের মধ্যে কেউ কেউ এদেশি শিল্পীদের দিয়ে ছবি আঁকান, কেউ বা কপি করান, আবার কেউ বা শিল্পীদের রেনেসাঁস, ইউরােপীয় রীতিতে ছবি আঁকায় শিক্ষিত করে তােলেন। শিল্পীদের ছবি আঁকার বিষয় হল ভারতবর্ষের মানুষ, পুরাকীর্তি, নিসর্গ, এমনকি কোম্পানির নানা প্রয়ােজনীয় ও ব্যাবহারিক নকশা। এ সময়ের বিখ্যাত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে বােটানিকাল গার্ডেনের লতা-পাতা, বৃক্ষ ও ফুল-ফলের ছবি, ব্যারাকপুরের ‘Institute of Promoting Natural History of India’-র পশুশালা পশুদের ছবি, ভারতের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের ছবি ও নকশা, আচার-আচরণ, বেশভূষা, ধর্মোৎসব, চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রয়ােজনীয় ছবি প্রভৃতি।
বিলাতি সাদা কাগজে ঘন উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে, ব্রিটিশ রীতির স্বচ্ছ জলরঙে কোম্পানি শৈলীর কলকাতাপর্বের ছবির কাজ শুরু হয়। পাশ্চাত্য দেশীয় ছবি থেকে শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি এনগ্রেভিং-এর কাজেও দেশি শিল্পীরা নিযুক্ত হলেন। উনিশ শতকের ছয়ের দশক পর্যন্ত কোম্পানির শিল্পীদের ছবির চাহিদা কলকাতায় ছিল। ফোটোগ্রাফি চর্চার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের ছবির ক্রমশ গুরুত্ব হারিয়ে যেতে থাকে। ই. সি. দাস ছাড়াও কোম্পানি শৈলীর শেষ সার্থক শিল্পী ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হলেন মহম্মদ আমির.
চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে।
বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ধারায় অসিতকুমার হালদারের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলােচনা করাে।
অথবা, বঙ্গদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে ভাস্কর ও চিত্রকর রামকিঙ্কর বেইজের অবদান ও স্বকীয়তা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় বিনােদবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
চিত্রশিল্পী হেমেন মজুমদারের চিত্রকলার পরিচয় দাও।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ইতিহাসে জয়নুল আবেদিনের অবদান আলােচনা করাে।
Leave a comment