“তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে।” -এ কথা কখন বলা হয়েছিল?

“তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে”—এ কথা বলা হয়েছিল বুড়াে কর্তার মরণকালে।

ভূতের মাথা না থাকার কী ফল হয়েছিল?

ভূতের মাথা না থাকায় কারুর জন্য ভূতের মাথাব্যথা ছিল না।

ভূতের জেলখানার বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

রবীন্দ্রনাথের কর্তার ভূত রচনায় ভূতের জেলখানার বৈশিষ্ট্য ছিল সেই জেলখানার দেয়াল চোখে দেখা যেত না।

এদেশের লােকেরা ভূতের বাড়াবাড়ি হলে ওঝাদের খোঁজ করে না কেন?

এদেশের লােকেরা ভূতের বাড়াবাড়ি হলে ওঝাদের খোঁজ করে না কারণ এখানে ওঝাকেই ভূতে পেয়ে আছে।

পৃথিবীর অন্য সব দেশে ঘানি থেকে যে তেল বেরােয় তা দিয়ে কী করা হয়?

পৃথিবীর অন্য সব দেশে ঘানি থেকে যে তেল বেরােয় তা দিয়ে সেই দেশের ভবিষ্যতের রথচক্রকে সচল রাখা হয়।

“খােকা ঘুমােলাে, পাড়া জুড়ােলাের পরে বর্গি এল দেশে” —এর উল্লেখের কারণ কী?

“খােকা ঘুমােলাে পাড়া জুড়ােলাে”র পরে “বর্গি এল দেশে” -এর উল্লেখের কারণ এখানে ছন্দ মেলানাে এবং ইতিহাসকে অবিকৃত রাখা।

গেরস্তরা হুঁশিয়ারদের কাছে ঘেঁষতে চায় না কেন?

প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে বলে গেরস্তরা হুঁশিয়ারদের কাছে ঘেঁষতে চায় না।

বাংলা- একাদশ শ্রেণি

তেলেনাপােতা আবিষ্কার MCQ (একাদশ শ্রেণি)

 ডাকাতের মা MCQ (একাদশ শ্রেণি)

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার  MCQ (একাদশ শ্রেণি)

গালিলিও MCQ (একাদশ শ্রেণি)

নীলধ্বজের প্রতি জনা MCQ (একাদশ শ্রেণি)

বাড়ির কাছে আরশীনগর MCQ (একাদশ শ্রেণি)

দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ (একাদশ শ্রেণি)

নুন MCQ (একাদশ শ্রেণি)

বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে MCQ (একাদশ শ্রেণি)

‘শিক্ষার সার্কাস’ MCQ (একাদশ শ্রেণি)

ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি ভূততন্ত্রের প্রতি অনাস্থার কথা শুনে কী ভেবে চিন্তিত হয়েছিল?

সনাতন ঘুমের কী হবে, তা ভেবে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি চিন্তিত হয়েছিল।

ভূততন্ত্রের জেলখানার কয়েদিরা ঠান্ডা হয়ে যায় কেন?

এখানকার ঘানি ঘােরালে কয়েদিদের তেজ বের হয়ে যায়। ফলে ভূততন্ত্রের জেলখানার কয়েদিরা ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে যায়।

“কারও হুঁশ ছিল না।”—কোন্ ব্যাপারে?

বুলবুলির কাকের ধান খাওয়ার ব্যাপারে কারও হুঁশ ছিল না।

কর্তার ভূত গল্পটি রবীন্দ্রনাথের কোন্ গ্রন্থের অন্তর্গত?

কর্তার ভূত গল্পটি রবীন্দ্রনাথের গল্পিকা ধরনের রচনা লিপিকা গ্রন্থের অন্তর্গত।

কর্তা মরে গিয়ে দেশের মানুষকে ঠান্ডা রাখবে কীভাবে?

কর্তা মরে গিয়ে ভূত হয়ে তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবেন। তাতেই দেশের মানুষ ঠান্ডা থাকবেন।

কারা ভূতের কানমলা খায়?

যারা স্বভাবদোষে নিজে ভাবতে যায়, তারাই ভূতের কানমলা খায়।

ভূতের কানমলা কেমন হয়?

ভূতের কানমলা ছাড়ানাে যায় না, তা থেকে পালানাে যায় না। তার বিরুদ্ধে নালিশ চলে না, এমনকি তার সম্বন্ধে বিচারও হয় না।

অদৃষ্টের চালে চলা কাকে বলে?

সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা অদৃষ্টের চালে চলত।

“আজও এই চলার আভাস প্রচলিত।”—কীসের মধ্যে?

আজও এর আভাস ঘাসের মধ্যে, গাছের মধ্যে প্রচলিত।

ভুতুড়ে জেলখানার দারােগা কে?

ভুতুড়ে জেলখানার দারােগা হলেন ভূতের নায়েব।

ভূতের জেলখানা থেকে বেরােনাে যায় না কেন?

ভূতের জেলখানার দেওয়াল চোখে দেখা যায় না বলেই এর থেকে বেরােনাে যায় না।

ঘানি ঘােরানাে হয় কেন?

মূলত তেল বের করার জন্য ঘানি ঘােরানাে হয়।

ভূতের ঘানি ঘুরিয়ে কী বের হয়?

রবীন্দ্রনাথ ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ভূতের ঘানি থেকে মানুষের তেজ বের হয়।

ভূতের রাজ্যে কী থাকে?

আর কিছু না থাক, ভূতের রাজ্যে শান্তি থাকে।

ভূত শাসিত রাজ্যে শাস্তি থাকার দৃষ্টান্ত কী?

ভূত শাসিত রাজ্যে এত বেশি শান্তি থাকে যে ভূতের বাড়াবাড়ি হলেও ভূত শাসিত রাজ্যের মানুষ ওঝার খোঁজ করে না।

এদেশের ওঝার দশা কেমন?

এদেশের ওঝাকে আগেভাগেই ভূতে পেয়ে বসে আছে। তাই তারা নিজেরাই ভূতগ্রস্ত।

এদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কেমন?

এদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ পােষা ভেড়ার মতাে ভূতের খোঁটায় বাঁধা। শুধু অন্ধ অনুসরণই তাদের ভবিতব্য।

কোন বিষয়ে কারও মনে কোনাে দ্বিধা জাগত না?

ভূত শাসনতন্ত্র নিয়ে কারও মনে কোনাে দ্বিধা জাগত না।

‘কর্তার ভূত’ রচনায় কোন কারণে মুশকিল বেঁধেছিল?

মুশকিল বেঁধেছিল কারণ, এদেশকে ভূতে পেলেও পৃথিবীর অন্য সব দেশকে ভূতে পায়নি।

অন্যদেশে ঘানির তেল দিয়ে কী হয়?

অন্যদেশে ঘানির তেল দিয়ে সে দেশের ভবিষ্যতের রথচক্রকে সচল রাখা হয়।

অন্যদেশের মানুষের অবস্থা কেমন?

জীবনে চলার গতিতে অন্যদেশ ভয়ংকর সজাগ হয়ে আছে। তারা আমাদের মতাে ভূতগ্রস্ত নয়।

খােকা ঘুমালে কার কার লাভ হয়?

রবীন্দ্রনাথের মতে খােকার আরাম হয়, খােকার অভি ভাবকেরও আরাম হয় এবং পাড়াপড়শিও শান্তিতে থাকে।

বর্গি কারা?

ইতিহাস থেকে জানা যায় বর্গিরা হল মারাঠা দস্যু যারা ১৯৪০-৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে বারবার বাংলাদেশের গ্রামের পর গ্রাম লুণ্ঠন করত।

“এমন হল কেন।”-এ কথা কাদের জিজ্ঞাসা করা হল?

দেশের শিরােমণিচূড়ামণিদের এ কথা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।

“এমন হল কেন” প্রশ্নের কী উত্তর শিরােমণি-চূড়ামণিরা দিয়েছিল?

“এমন হল কেন” প্রশ্নের উত্তরে তারা বলল এটা ভূতের দোষ নয়, বর্গিদের দোষ।

‘খিড়কি’ কী?

বাড়ির পেছনের দরজাকে খিড়কি বলে।

খিড়কির আনাচেকানাচে কারা ঘুরে বেড়ায়?

ভূতের পেয়াদারা খিড়কির আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায়।

অভূতের পেয়াদারা কোথায় ঘুরে বেড়ায়?

বাড়ির সদর রাস্তায়-ঘাটে অভূতের পেয়াদারা ঘুরে বেড়ায়।

গৃহস্থদের দু-দিকেই পথ বন্ধ কেন?

বাড়িতে থাকলে ভূতের পেয়াদারা আর বাইরে গেলে অভূতের পেয়াদারা খাজনা চায়, তাই তাদের দু দিকেই পথ বন্ধ।

তাদের খাজনা দেওয়ার সমস্যাটা কোথায়?

নানা জাতের বুলবুলি এসে ধান খেয়ে যাওয়ায় কী দিয়ে খাজনা দেবে তা ভেবে না পাওয়ায় খাজনা দেওয়ার সমস্যা হয়।

জগতের হুঁশিয়ারদের কাছে এদেশের লােক ঘেঁষতে চায় না কেন?

জগতের হুঁশিয়ারদের কাছে ঘেষলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে বলে এদেশের লােক তাদের কাছে ঘেঁষতে চায় না।

শিরােমণির দল কাদের পবিত্র বলে মানে?

দেশের যারা বেহুঁশ, শিরােমণির দল তাদেরকে পবিত্র বলে মানে।

‘প্রবুদ্ধমিব সুপ্তঃ’ কথাটির প্রকৃত অর্থ কী?

‘প্রবুদ্ধমিব সুপ্তঃ’ কথাটির অর্থ হল সকল জ্ঞানী ব্যক্তিই সুপ্ত অর্থাৎ ঘুমিয়ে থাকে।

ঝােড়াে হাওয়া কী দিয়ে খাজনা দিতে বলে?

ঝড়ো হাওয়া আবরু, ইজ্জত, ইমান ও বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা দিতে বলে।

‘কর্তার ভূত’ রচনায় প্রথম প্রশ্নের পর দ্বিতীয় কোন্ প্রশ্নটি উঠে আসে?

‘কর্তার ভূত’ রচনায় প্রথম প্রশ্নের পর দ্বিতীয় প্রশ্নটি হল, ‘ভূতের শাসনটাই কি অনন্তকাল চলবে?

কর্তার ভূত রচনায় দ্বিতীয় প্রশ্ন শুনে কারা কানে হাত দেয়?

দ্বিতীয় প্রশ্ন শুনে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি ও মাসতুতাে পিসতুতাের দল কানে হাত দেয়।

“কর্তা বলেন সেইখানেই তাে ভূত”- কোনখানে ভূত থাকার কথা বলা হয়েছে?

কর্তার মতে যেখানে মানুষের ভয়, সেখানেই ভূতের অবস্থান।

“শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝােড়াে হাওয়ায় হা হা করে উত্তর আসে।”—কোন্ প্রশ্নের উত্তর আসে?

‘খাজনা দেব কিসে’–এই প্রশ্নের উত্তর আসে শ্মশান থেকে মশান থেকে।

মরণকালে বুড়াে কর্তার দুঃখ হল কেন?

বুড়াে কর্তার মরণকালে দেশশুদ্ধ সবাই তাকে জানিয়েছিল যে, তিনি মারা গেলে তাদের দশা খুব খারাপ হবে। তাই তার দুঃখ হয়েছিল।

“দেশের লােক ভারি নিশ্চিন্ত হল।” -নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ কী?

বুড়াে কর্তার ভূত চিরকাল দেশবাসীর ঘাড়ে চেপে থাকবেন জানতে পেরে দেশবাসী নিশ্চিন্ত হল।

“একেই বলে অদৃষ্টের চালে চলা।”-অদৃষ্টের চালে চলা কী?

চোখ বুজে চলাই হল ‘অদৃষ্টের চালে চলা’, আদিম যুগের দৃষ্টিহীন জীবাণুরা এইভাবে চলত।

“এইজন্য ভেবে পাওয়া যায় না,” -কী ভেবে পাওয়া যায় না?

ভুতুড়ে জেলখানার দেয়াল চোখে দেখা যায় না বলে সেটা ফুটো ক’রে কীভাবে সেখান থেকে বেরােনাে যায়তা – ভেবে পাওয়া যায় না।

“এই জেলখানায় যে ঘানি নিরন্তর ঘােরাতে হয়”—তার থেকে তেলের বদলে কী বেরােয় ?

জেলখানার ঘানি থেকে হাটে বিকোনাের মতাে এক ছটাক তেলও বেরােয় না, কেবল বেরােয় মানুষের তেজ।

“এখানে সে চিন্তাই নেই।”—কোন্ চিন্তার কথা এখানে বলা হয়েছে?

বিদেশে ভূতের বাড়াবাড়ি হলে অস্থির ও চিন্তিত হয়ে মানুষের ওঝার খোঁজ করার চিন্তার কথাই বলা হয়েছে।

“এখানে সে চিন্তাই নেই।”- কোথায়, কোন্ চিন্তা নেই?

ভূতগ্রস্ত আমাদের দেশে ওঝাকেও যেহেতু ভূতে পেয়েছে, তাই এদেশের লােকেদের ভূত তাড়াতে ওঝা খোঁজার চিন্তা করতে হয় না।

“চিরকালই গর্ব করতে পারত যে”—কোন্ গর্বের কথা বলা হয়েছে?

এদেশবাসীর যে-ভবিষ্যৎ পােষা ভেড়ার মতাে ভূতের খোঁটায় বাঁধা থেকে নিঃশব্দে মাটিতে পড়ে থাকে, সেই ভবিষ্যতের গর্বের কথা বলা হয়েছে।

“কেবল অতি সামান্য একটা কারণে একটু মুশকিল বাধল।”—মুশকিলটা কী?

মুশকিলটা হল এই যে, পৃথিবীর অন্য দেশগুলাের মানুষজনকে ভূতে পায়নি।

“কাজেই মানুষ সেখানে একেবারে জুড়িয়ে যায় নি।” -কেন?

বিদেশে ভবিষ্যতের রথচক্র সচল রাখার তেল বের হয় ঘানি থেকে, মানুষের বুকের রক্ত নয়। তাই বিদেশীরা একেবারে জুড়িয়ে যায়নি।

“নইলে ছন্দ মেলে না।” -ছন্দ মেলানাের জন্য ছড়াকার কোন্ পদটি ব্যবহার করেছেন?

ছন্দ মেলানাের জন্য ছড়াকার ব্যবহার করেছেন বর্গি এল দেশে পদটি।

“কিন্তু, বর্গি এল দেশে”। কী কারণে এই পদটি ছড়াকার ব্যবহার করেছেন?

কবিতার ছন্দ মেলাতে এবং ঐতিহাসিক সত্যকে বিকৃত না করতেই প্রশ্নোপ্ত পদটি ছড়াকার ব্যবহার করেছেন।

“তারা এক বাক্যে শিখা নেড়ে বললে,”—কী বললে?

শিরােমণিচূড়ামণি বললে যে, বর্গির আগমন ভূতের দোষ নয়, ভুতুড়ে দেশের দোষ নয়, বর্গিরই দোষ। বর্গিদের আসাটাই অনুচিত।

ঘরে গেরস্তর টেকা দায় কেন?

গৃহস্থের বাড়ির খিড়কি-দুয়ারের আনাচে-কানাচে ভূতের পেয়াদা ঘুরে বেড়িয়ে খাজনার জন্য হাঁক ছাড়ে। তাই তার ভয়ে গৃহস্থের ঘরে টেকা দায়।

গৃহস্থের “ঘর থেকে বেরােবারও পথ নেই”- কেন?

গৃহস্থের বাড়ির সদরের রাস্তা ঘাটে অভূতের পেয়াদা ঘুরে বেড়ায়। তাই গৃহস্থের ঘর থেকে বেরােবার পথ নেই।

“কারও হুঁশ ছিল না।”—কোন্ ব্যাপারে কারও হুঁশ ছিল না?

এতদিন যাবৎ চারদিক থেকে নানা জাতের বুলবুলি ঝাঁকে ঝকে এসে সমস্ত ধান যে খেয়ে গেল, সে ব্যাপারে কারও হুঁশ ছিল না।

“জগতে যারা হুঁশিয়ার এরা তাদের কাছে ঘেঁষতে চায় না।” -কেন?

সাধারণ দেশবাসী প্রায়শ্চিত্ত করার ভয়ে হুঁশিয়ারদের কাছে। ঘেঁষতে চায় না।

“শিরােমণি-চূড়ামণির দল পুথি খুলে বলেন,”—কী বলেন?

শিরােমণি-চূড়ামণির দল বলেন, বেহুঁশরা পবিত্র এবং হুঁশিয়াররা অশুচি। তাই হুঁশিয়ারদের প্রতি উদাসীন থাকা দরকার। কারণ, প্রবুদ্ধমিব সুপ্ত।

“তৎসত্ত্বেও এ প্রশ্নকে ঠেকানাে যায় না।”-প্রশ্নটি কী?

প্রশ্নটি হল—“খাজনা দেব কিসে।”

“প্রশ্নমাত্রেরই দোষ এই যে,”—প্রশ্নমাত্রেরই দোষ কী?

প্রশ্নমাত্রেরই দোষ হল, যখন সে আসে তখন একা আসে না, অন্য প্রশ্ন সঙ্গে নিয়ে আসে।

“মােদ্দা কথাটা হচ্ছে।”—মােদ্দা কথাটা কী?

মােদ্দা কথাটা হল, বুড়াে কর্তানাবাঁচা না-মরা অবস্থায় ভূত হয়ে রয়েছে। দেশটাকে সে নাড়েও না, অথচ ছাড়েও না।

“এখানে সে চিন্তাই নেই।”-কোথায় চিন্তা নেই কেন?

অন্য দেশে ভূতের বাড়াবাড়ি হলে মানুষ অস্থির হয়ে ওঝার খোঁজ করলেও এদেশে ওঝাকে আগেভাগেই ভূতে পেয়ে যাওয়ায় ওঝা খোঁজার চিন্তা নেই।

“ভূতের তাে মৃত্যু নেই।”—এ কথা শুনে দেশের লােকের কী অবস্থা হয়?

“ভূতের তার মৃত্যু নেই”—দেবতার মুখে এ কথা শুনে দেশের লােক অত্যন্ত নিশ্চিন্ত হয়।

ভূতের রাজ্যের শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটে কীসে?

ভূতের রাজ্যে বর্গিদের আগমনে শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটে।

“বর্গি এল দেশে” না হলে কীসের পদ খোঁড়া হয়ে থাকে?

বর্গি এল দেশে না হলে ইতিহাসের পদটা খোঁড়া হয়ে থাকে।

“তারা ভয়ংকর সজাগ থাকে।”- তারা কারা?

অন্য সব ভূতে না-পাওয়া দেশে যেখানে ঘানি থেকে তেল বেরােয় ভবিষ্যতের রথচক্রকে সচল রাখতে, সেখানে মানুষ ভয়ংকর সজাগ থাকে।

“দেশসুদ্ধ লােক ভূতগ্রস্ত হয়ে চোখ বুজে চলে”-ভূতগ্রস্ত চলা’ কী?

ভূতগ্রস্ত চলা কথাটির অর্থ নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা বিসর্জন দিয়ে যাবতীয় ভাবনা ভূতের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া।

“আজও এই চলার আভাস প্রচলিত।”-এই চলার আভাস কাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে?

এই চলার আভাস ঘাসের ও গাছের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ‘কর্তার ভূত’ গল্পে ‘সনাতন ঘুম’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

রবীন্দ্রনাথ কর্তার ভূত গল্পে সনাতন ঘুম বলতে চিরকালের চোখ বুজে চলাকে অর্থাৎ নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ত্যাগ করে নিশ্চিন্তে থাকাকে বােঝাতে চেয়েছেন।

“তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে।”—কারা কাকে এ কথা বলেছে?

দেশের মানুষেরা বুড়াে কর্তার মৃত্যুকালে তাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছে।

‘কর্তার ভূত’ গল্পে ‘ভূত’ বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে?

কর্তার ভূত গল্পে ‘ভূত’ বলতে সংস্কারগ্রস্ত মানসিকতাকে বােঝানাে হয়েছে।

গভীর রাত্রে কারা কেন হাতজোড় করে?

দিনের বেলা নায়েবের ভয়ে চুপ থাকা দেশের দু-একটা মানুষ গভীর রাত্রে বুড়াে কর্তার কাছে হাতজোড় করে ছেড়ে যাওয়ার জন্য।

বুড়াে কর্তার মরণকালে কারা কী বলেছিল?

বুড়াে কর্তার মরণকালে দেশের মানুষেরা বলে উঠেছিল যে তিনি মারা গেলে তাদের কী দশা হবে।

বুড়ো কর্তা বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে?

বুড়ো কর্তা হল সংস্কারগ্রস্ত মানসিকতার ধারক এবং প্রাচীনপন্থার প্রতীক।

“দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা বলেন,”- কী বলেন?

দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা বলেন যে, চোখ বুজে চলাই হচ্ছে জগতের সব থেকে আদিম চলা, যা আসলে অদৃষ্টের চালে চলা।

“সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা এই চলা চলত…”- ভূতগ্রস্ত দেশ এ কথা শুনে কী অনুভব করে?

“সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা এই চলা চলত…”-এই কথা শুনে ‘ভূতগ্রস্ত দেশ’ আদিম আভিজাত্য অনুভব করে।

“..বেরােবার মধ্যে বেরিয়ে যায় মানুষের তেজ।”- কীভাবে এই তেজ বেরিয়ে যায়?

ভুতুড়ে জেলখানায় যে ঘানি ঘােরাতে হয় মানুষকে তাতে তাদের তেজ বেরিয়ে যায়।

“চিরকালই গর্ব করতে পারত..”- কী নিয়ে এই গর্ব করতে পারত?

ভূতের শাসনতন্ত্রে মানুষের ভবিষ্যতটা ভূতের খোঁটায় বাধা এবং একেবারে নিশ্চুপ হয়ে থাকে-এ কথা ভেবেই দেশের মানুষ গর্ব করতে পারত।

“পৃথিবীর অন্য দেশগুলােকে ভূতে পায় নি।”—ভূতে না পাওয়ায় সেখানে কী হয়?

ভূতে না-পাওয়ায় সেসব দেশের ঘানি-নিঃসৃত তেল ভবিষ্যতের রথচক্র সচল রাখে। তাই দেশের মানুষ না জুড়িয়ে ভয়ংকর সজাগ রয়েছে।

“এদিকে দিব্যি ঠান্ডায়..”-এই ঠান্ডা’ আসলে কী?

এই ঠান্ডা আসলে হল দেশের মানুষের প্রতিবাদ প্রতিরােধহীন, নিজস্ব ভাবনাচিন্তাহীন এক নিশ্চিন্ত অবস্থা।

“একমাত্র বর্গিরই দোষ।”—কোন্ বিষয়কে বর্গির দোষ বলা হয়েছে?

ভূতের শাসনব্যবস্থায় বর্গিদের আসাটাকেই তাদের দোষ বলেছে শিরােমণি চূড়ামণিরা।

“এমন প্রশ্ন তাে বাপের জন্মে শুনিনি।”—কোন্ প্রশ্নের কথা বলা হয়েছে?

“ভূতের শাসনটাই কি অনন্তকাল চলবে”—এই প্রশ্নের কথা বলা হয়েছে।