কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর।
রিয়াজ : তুমি কেমন আছ?
শাকিল : ভালাে। তুমি কেমন আছ?
রিয়াজ : ভালাে। তুমি কী করছ?
শাকিল : আমি কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ পড়ছি।
রিয়াজ : কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব পড়ছ? তুমি যে বইটা পড়ছ সেটা ছাপিয়েছে কম্পিউটার । আগে যে বই ছাপতে ছাপাখানায় এক বছর লাগত, সেটা কম্পিউটার করে দিচ্ছে ১০/১২ দিনে।
শাকিল : চমৎকার একটি পয়েন্ট বলেছ । তুমি আরও কিছু বলতে পারবে?
রিয়াজ : কেন নয়? কম্পিউটার সাক্ষর, নিরক্ষর যেকোনাে লােক শিখতে পারে। চালনা করতে পারে। ইন্টারনেট চালনা শিখলে বিশ্বের তথ্যভান্ডার থেকে যেকোনাে তথ্য সংগ্রহ করতে পারা যায়। শুধু তােমাকে খুঁজে বের করতে হবে, তুমি কী চাও? তুমি যা চাইবে, কম্পিউটার তাই তােমাকে দেবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।
শাকিল : অর্থাৎ আমি যদি কম্পিউটার শিক্ষা লাভ করি, তবে আমি বিশ্বায়নের একজন সক্রিয় আধুনিক সদস্য হতে পারব। বিশ্বের সর্বশেষ তথ্যটি এক মুহূর্তে জানতে পারব।
রিয়াজ : কম্পিউটারে ই-মেইল সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা এনেছে। ই-মেইল ব্যবসা-বাণিজ্যে বহুমুখিতা আনয়ন করছে।
শাকিল : আজকাল ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালতের হিসাব-নিকাশ, রােগ নির্ণয়, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যসেবা, কৃষিশিক্ষা, কৃষিসেবা সবই প্রদান করা হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে।
রিয়াজ : কম্পিউটারের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে, লেখাপড়া করছে। ডিগ্রি অর্জন করছে চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা দিচ্ছে। ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।
শাকিল : অর্থাৎ আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা লাভের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা অপরিহার্য।
রিয়াজ : ঠিক বলেছ বন্ধু। তােমাকে ধন্যবাদ।
শাকিল : তােমাকেও ধন্যবাদ।
Leave a comment