আধুনিক সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার Computer পদ্ধতিকে কার্যকরী রূপ দিতে কম্পিউটার সহযােগী নির্দেশনা (CAI/Computer Assisted Instruction) আরম্ভ হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখনের জন্য বা শিখনের পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতা দীর্ঘস্থায়ী করতে এবং অনুশীলনের সুযােগ দিতে যে ভূমিকা গ্রহণ করে, তাকে বলে কম্পিউটার সহযােগী নির্দেশনা বা CAL।
(১) দ্রুত ফিডব্যাক: কম্পিউটার সহযােগী নির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দ্রুত ফিডব্যাক লাভ করতে পারে।
(২) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ: দুর্বল শিক্ষার্থীরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং নিজস্ব অগ্রগতি অনুযায়ী এগােতে পারে।
(৩) অবিরাম প্রতিক্রিয়া: নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষার্থী অবিরাম প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
(৪) শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু খন্ডীকরণ: প্রােগ্রাম শিখন অনুযায়ী শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে ছােটো ছােটো অংশে ভেঙে পাঠ দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা হয়।
(৫) নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়া: কম্পিউটার সহযােগী নির্দেশনার মাধ্যমে পাঠ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থী নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারে।
কম্পিউটার সহযোগী নির্দেশনার অসুবিধা
(১) সরাসরি শিক্ষকের স্নেহ থেকে বঞ্চিত: কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দেশনা ফলে সরাসরি শিক্ষকের স্নেহ-ভালােবাসা বা প্রশংসা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়। কম্পিউটার শিক্ষার্থীর অনুভূতি বা আবেগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না।
(২) ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ: উপযুক্ত ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করাতে ব্যর্থ।
(৩) একঘেয়েমি এবং বিরক্তি বােধ: অনেক শিক্ষার্থী এই ধরনের নির্দেশনামূলক শিখনে একঘেয়েমি এবং বিরক্তি বােধ করে।
(৪) বিশ্লেষণে অসুবিধা: এই পদ্ধতিতে শিখনে লেখার বিশ্লেষণে অসুবিধা হয়।
(৫) বক্তিতা বা লেখা: কম্পিউটার সহযােগী নির্দেশনার দ্বারা বক্তিতা বা লেখার দ্বারা বিশ্লেষণ করা খুবই দুরুহ ব্যাপার।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, কম্পিউটার সহযােগী নির্দেশনার কিছু অসুবিধা থাকলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ শিক্ষার্থীরা শিখনের সঙ্গে ফিডব্যাক পেয়ে তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারে। এই পদ্ধতির ফল সন্তোষজনক হলেও ভারতে সেভাবে এই পদ্ধতি চালু হয়নি।
ওভারহেড প্রজেক্টর সম্পর্কে অধ্যাপক কে এল কুমারের প্রস্তাব ও নির্দেশনামা আলােচনা করাে।
Leave a comment