কম্পিউটার বিজ্ঞানের এক অবিস্মরণীয় আবিষ্কার। এ এমন এক ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র যা তথ্য সংগ্রহ করে, সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং প্রক্রিয়াকরণের পর ফল প্রকাশ করে। কম্পিউটার একটি তথ্যসমৃদ্ধ বিশাল স্মৃতি ভান্ডার।

(১) শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় করে তোলা: কম্পিউটারের সাহায্যে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় করে তােলা যায়।

(২) গতিশীলতা ও নির্ভুলতা : কম্পিউটার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। তা ছাড়া নির্ভুলভাবে কাজ করে। সেকেন্ডে প্রায় ১০ লক্ষের বেশি নির্দেশ পালন করতে পারে।

(৩) শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করে : কম্পিউটারের সাহায্যে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করে তােলা যায়।

(৪) সংযােগসাধন : অনেকগুলি কম্পিউটারকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের (LAN) মাধ্যমে যুক্ত করে একই তথ্যের ভিত্তিতে নানা ধরনের গণনা বিভিন্ন কম্পিউটারে করা যায়।

(৫) তথ্য সঞ্চয় : কম্পিউটারে নিজের হার্ডডিস্ক বিপুল তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। এ ছাড়া প্রয়ােজনমতাে অতি দ্রুত তা সরবরাহ করতে পারে।

(৬) System দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ : কম্পিউটার শিক্ষায় সিস্টেম দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়ােগ করা হয়। সিস্টেমের বিভিন্ন উপাদান গুলি শিক্ষা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে।

(৭) বিভিন্ন রকম তথ্য পরিবেশন : কম্পিউটারের সাহায্যে দেশ-বিদেশের নানান বৈচিত্র্যময় তথ্য পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের চাহিদা পূরণ করা যায়।

(৮) কার্যক্ষমতা : যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকলে কম্পিউটার অবিরাম নিখুঁতভাবে কাজ করে যেতে পারে।

(৯) পুনরুত্থান : কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য বা গ্রাফ ইত্যাদি মেমােরিতে সঞ্চয় করা যায় এবং ইচ্ছানুযায়ী ওই তথ্যকে পুনরুত্থান করে ক্রমবিন্যাসও করা যায়।

(১০) মিথস্ক্রিয়া : কম্পিউটারের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে কম্পিউটার তার সফটওয়্যারের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া করে, ফলে ব্যবহারকারী সেগুলিকে প্রয়োগ করার উৎসাহ পায়। 

সুতরাং কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা কেবল শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, ব্যাবসাবাণিজ্যে, তথ্য সংরক্ষণে ও চিত্তবিনােদনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।