উত্তর: লালনের গানে এই মানবদেহ কখনো ‘ঘর’ কখনো ‘খাঁচা’ আবার কখনো বা ‘আরশিনগর’ নামে অভিহিত হয়েছে। আলোচ্য অংশে কবি ‘পড়শি’ অর্থে পরমাত্মার কথা বলেছেন। ব্যায়ামে লালন বলেছেন দেহ ঘর অর্থাৎ ‘আরশিনগরে এক ‘পড়শি’র অবস্থান। এই ‘পড়শি’ মানব শরীরেই বিরাজ করে। নিজের সাধনার দ্বারা তাকে চিনতে হবে। বাউল সাধনার এক প্রধান দিক সেই পরশির অনুসন্ধান। তাঁকে না চিনলে সাধনাসিদ্ধি হয় না। তাই কবি সেই পড়শিকে দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। এখানে ‘আমার বাড়ির কাছে’ বলতে মানবদেহের গড়নকে বুঝানো হয়েছে। মানবদেহের ভিতরের সেই আরশিনগরে যে পড়শি বসত করে, তাঁকে চোখে দেখা যায় না। বাউলদের সাধনা সেই পড়শির সাথে যোগাযোগ স্থাপন। রূপকের মধ্য দিয়ে বাউলরা পরমাত্মার সন্ধান করছে।