‘শিকার’ কবিতায় ভােরবেলার আকাশ ও গাছপালা দেখে কবির কেমন মনে হয়েছিল ?
‘শিকার’ কবিতায় কবির ভােরের আকাশকে ঘাসফড়িঙের দেহের মতাে কোমল নীল এবং গাছপালাকে টিয়ার পালকের মতাে সবুজ মনে হয়েছিল।
“…ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল…” -কে বা কী ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতাে কোমল নীল’?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভােরবেলার আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতাে কোমল নীল।
‘শিকার’ কবিতায় প্রদত্ত দুটি গাছের নাম লেখাে।
‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত গাছগুলির অন্যতম হল পেয়ারা ও নােনার গাছ।
“চারিদিকে পেয়ারা ও নােনার গাছ” -পেয়ারা ও নােনার গাছের রংকে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
পেয়ারা ও নােনার গাছের রংকে কবি টিয়াপাখির পালকের সবুজ রঙের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
শিশিরভেজা সকালে বন ও আকাশের রূপ কেমন?
‘শিকার’ কবিতায় কবির ভােরের আকাশকে ঘাসফড়িঙের দেহের মতাে কোমল নীল এবং গাছপালাকে টিয়ার পালকের মতাে সবুজ মনে হয়েছিল।
‘শিকার’ কবিতায় “..টিয়ার পালকের মতাে সবুজ।” -কী?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভােরবেলায় চারদিকের পেয়ারা ও নােনার গাছকে টিয়ার পালকের মতাে সবুজ লেগেছে।
“একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে..” -কবি কোন তারার কথা বলেছেন?
ভােরের আকাশে একটি তারা বলতে কবি শুকতারার কথা বলতে চেয়েছেন।
“একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে..”— এখনও’ বলতে কোন সময়কে বােঝানাে হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘এখনও’ বলতে রাতশেষের ভােরকে বােঝানাে হয়েছে।
“একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে।”— আকাশের তারাকে কেন্দ্র করে কবির কোন্ ভাবনা এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
ভােরের আকাশে তারাটির উপস্থিতিকে কবি তুলনা করেছেন পাড়াগাঁর বাসরঘরের গােধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে কিংবা হাজার বছর আগের মিশরের মানুষীর বুকের থেকে কবির নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তার সঙ্গে।
গল্প ─ কে বাঁচায়, কে বাঁচে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ রূপনারানের কূলে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
আন্তর্জাতিক কবিতা ─ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভারতীয় গল্প ─ অলৌকিক (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ রূপতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
“একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে”—তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
কবি জীবনানন্দ দাশ ‘শিকার’ কবিতায় রাতজাগা তারাটিকে প্রথমে পাড়াগাঁর বাসরঘরের সবথেকে গােধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে এবং পরে মিশরের মানুষীর বুকের মুক্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
“তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও”—তারাটিকে দেখে কবির কী কী মনে হয়েছে?
তারাটিকে দেখে কবির পাড়াগাঁয়ের বাসরঘরের লজ্জাশীলা মেয়ে এবং মিশরের মানুষীর বুকের থেকে নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তো মনে হয়েছিল।
“..গােধূলিমদির মেয়েটির মতাে…” -কার/কীসের কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় গােধূলিমদির মেয়েটির মতাে ভােরের আকাশে জেগে থাকা তারার কথা বলা হয়েছে।
“..গােধূলিমদির মেয়েটির মতাে;” -মেয়েটিকে কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
গােধূলিমদির মেয়েটিকে পাড়াগাঁর বাসরঘরে দেখতে পাওয়া যায়।
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় কবে মিশরের মানুষীর সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ হয়েছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগের এক রাতে।
“…তার বুকের থেকে যে মুক্তা…”-কার বুকের মুক্তার কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর বুকের মুক্তার কথা এখানে বলা হয়েছে।
“…তার বুকের থেকে যে মুক্তা “-মুক্তাটি কোথায় রেখেছিল ?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষী তার বুকের মুস্তাটি কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।
“মাঠে আগুন জ্বেলেছে”—কেন মাঠে আগুন জ্বেলেছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশােয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে শীতের রাতে শরীরকে গরম রাখার জন্য।
“..আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল…”—কবে, কখন, কী রেখেছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় হাজার হাজার বছর আগের এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের মুক্তা কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।
‘হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে’ কী হয়েছিল?
হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে এক মুক্তা তুলে কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।
“তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।” -কী বােঝাতে তেমনি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে?
‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর বুকের থেকে কবির নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তাকে বােঝাতে তেমনি শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
“তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলেছে এখনও।”—’এখনও’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
ভােরের আলাে ফুটলে অন্য তারাগুলি অস্ত গেলেও আকাশে একটা তারা জ্বলতে থাকে। তাই কবি ‘এখনও’ শব্দের মাধ্যমে বলেছেন যে, ভাের হওয়া সত্ত্বেও একটি তারা আকাশে জ্বলছে।
‘শিকার’ কবিতায় দেশােয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে কেন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশােয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে শীতের রাতে শরীরকে গরম রাখার জন্য।
হিমের রাতে শরীর উম রাখার জন্য কী করা হচ্ছে?
হিমের রাতে শরীর উম্ অর্থাৎ গরম রাখার জন্য সারারাত ধরে মাঠে দেশােয়ালিরা আগুন জ্বেলেছে।
“…সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে”—সেই আগুন দেখতে কেমন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বলেছিল তা দেখতে ছিল মােরগফুলের মতাে লাল।
“..সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে”—সেই আগুনে ভােরে কী পুড়ছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বালা হয় তাতে ভােরবেলায় শুকনাে অশ্বথপাতা পুড়ছিল।
“মােরগফুলের মতাে…” -মােরণফুলের সঙ্গে কীসের তুলনা করা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মারগফুলের সঙ্গে সারারাত জ্বলতে থাকা লাল আগুনের তুলনা করা হয়েছে।
সূর্যের আলােয় দেশােয়ালিদের জ্বালা আগুনের রং কেমন ছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশােয়ালিদের জ্বালানাে আগুনের রং সূর্যের আলােয় রােগা শালিকের ইচ্ছার মতাে বিবর্ণ ছিল।
“মােরগফুলের মতাে লাল আগুন” -কখন, কেন এই আগুন দেশােয়ালিরা জ্বালিয়েছিল?
‘শিকার’ কবিতায় দেশােয়ালি মানুষেরা হিমের রাতে নিজেদের শরীর গরম রাখার জন্য মােরগফুলের মতাে লাল আগুন জ্বালিয়েছিল।
‘মােরগফুলের মতাে লাল আগুন’—এখানে কোন্ আগুনের কথা বলা হয়েছে?
এখানে হিমের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য দেশােয়ালিদের জ্বালানাে লাল আগুনের কথা বলা হয়েছে।
“এখনও আগুন জ্বলেছে তাদের”—কেন এখনও’ আগুন জ্বলছে?
দেশােয়ালিরা শরীরকে গরম রাখার জন্য রাতে যে আগুন জ্বালিয়েছিল, দোমড়ানাে, শুকননা অশ্বথপাতা সেই আগুনকে ভাের অবধি জ্বালিয়ে রেখেছিল।
“সূর্যের আলােয় তার রং..” -কীসের কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘তার রং’ বলতে দেশােয়ালিদের জ্বালানাে আগুনের রঙের কথা বলা হয়েছে।
“সূর্যের আলােয় তার রং…”—তার রং এখন কেমন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশােয়ালিদের জ্বালানাে আগুনের রং সূর্যের আলােয় রােগা শালিকের ইচ্ছার মতাে বিবর্ণ ছিল।
“সূর্যের আলােয় তার রং…”—তার রং আগে কেমন ছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সূর্যের আলােয় বিবর্ণ আগুনের রং আগে ছিল কুকুমের মতাে এবং মােরগফুলের মতাে লাল।
‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত কুঙ্কুম কী?
কুঙ্কুম হল মেয়েদের কপালে টিপ পরার এক প্রসাধনসামগ্রী।
“..কুঙ্কুমমের মতো নেই আর;” -কেন/কী কারণে কুঙ্কুমের মতাে নেই আর ?
জীবনানন্দ দাশের “শিকার কবিতায় সারারাত জ্বলতে থাকা আগুনের রং সূর্যের আলাের কারণে আর কুকুমের মতাে নেই।
“কুঙ্কুমমের মতাে নেই আর;” -কীসের মতাে হয়ে গেছে?
আগুনের রং রােগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছার মতাে হয়ে গেছে।
“..শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মত।”—কীসের কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত জ্বলতে থাকা আগুনের রং সূর্যের আলােয় ম্লান হয়ে যে বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে, তার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
“সকালের আলােয় টলমল শিশিরে…ঝিলমিল করছে।” -কী, কীভাবে ঝিলমিল করছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘সকালের আলােয় টলমল শিশিরে’ চারদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের সবুজ-নীল ডানার মতাে ঝিলমিল করছে।
‘শিকার’ কবিতায় সকালের আলােয় বন ও আকাশকে দেখে কবির কী মনে হয়েছিল?
‘শিকার’ কবিতায় সকালের আলােয় টলমল করা শিশিরে, বন ও আকাশকে দেখে কবির মনে হয়েছিল তা ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতাে ঝিলমিল করছে।
‘শিকার’ কবিতায় ময়ূরের ডানার রং কী ছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ময়ূরের ডানার রং ছিল সবুজ-নীল।
“সবুজ নীল ডানার মতাে..”—তুলনাটি উল্লেখ করাে।
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সকালের আলােয় টলমল করা শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশকে ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতাে ঝিলমিল করতে দেখেছেন কবি।
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত হরিণটি কীসের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত হরিণটি চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল।
সুন্দর বাদামি হরিণ চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচতে কোন্ কোন্ বনে ঘুরেছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচতে সুন্দর বাদামি হরিণটি সারারাত সুন্দরী বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল।
“…চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে…” -চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে কে, কীসের জন্য অপেক্ষা করছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সুন্দর বাদামি হরিণটি ভােরের জন্য অপেক্ষা করেছিল।
“… চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে…”— চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানাের পর সে কেন নদীর জলে নামল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিণটি নদীর জলে নেমেছিল তার ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরে স্রোতের আবেশ দেওয়ার জন্য।
“..চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়..”- চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচলেও হরিণটি কি বেঁচে থাকতে পেরেছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় হরিণটি চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচলেও শিকারির গুলি শেষপর্যন্ত তাকে বাঁচতে দেয়নি।
“…মেহগনির মতাে অন্ধকারে…” -মেহগনির মতাে অন্ধকারে বলতে কী বােঝ?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘মেহগনির মতাে অন্ধকারে’ বলতে গভীর অন্ধকারকে বােঝানাে হয়েছে।
“..মেহগনির মতাে অন্ধকারে…”—মেহগনির মতাে অন্ধকারে কী ঘটেছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মেহগনির মতাে অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে ঘুরে সুন্দর বাদামি হরিণটি ভােরের জন্য অপেক্ষা করেছিল।
“..অর্জুনের বনে ঘুরে ঘুরে!”—কে, কেন ঘুরেছিল?
সুন্দর বাদামি হরিণটি সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানাের জন্য।
“এসেছে সে ভােরের আলােয় নেমে….”কার, কেন নেমে আসার কথা বলা হয়েছে?
এখানে কচি বাতাবিলেবুর মতাে সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিড়ে খাওয়ার জন্য সুন্দর বাদামি হরিণের নেমে আসার কথা বলা হয়েছে।
“কচি বাতাবিলেবুর মতাে…” -কীসের কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘কচি বাতাবিলেবুর মতাে’ সবুজ সুগন্ধি ঘাসের কথা বলা হয়েছে।
‘কচি বাতাবিলেবুর মতো…” -কাকে বাতাবিলেবুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এবং কেন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় কচি বাতাবিলেবুর সঙ্গে ঘাসের তুলনা করা হয়েছে তার সবুজ রং ও সুগন্ধের জন্য।
হরিণটি ‘কচি বাতাবিলেবুর মতাে সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিড়ে ছিড়ে’ খাচ্ছিল কেন?
চিতাবাঘিনির হাত থেকে রক্ষা পেতে সারারাত ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ায় হরিণটি ভােরে সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল।
‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি কী খাচ্ছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর মতাে সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল।
‘শিকার’ কবিতায় হরিণটি তার ক্লান্তি কাটানাের জন্য কী করেছিল?
‘শিকার’ কবিতায় হরিণটি তার ক্লান্তি কাটানাের জন্য নদীর কনকনে ঠান্ডা জলে গা ডুবিয়েছিল।
“নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”—‘সে’ নদীতে কেন নামল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে’ হরিণটি নেমেছিল তার সারারাত জেগে থাকার ক্লান্তি দূর করে শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য।
“নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে.”—তীক্ষ্ণ শীতলতা কীসের ইঙ্গিত দেয়।
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় তীক্ষ্ণ শীতলতা ঠান্ডার তীব্রতাকে নির্দেশ করে।
“ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে…”—কার ঘুমহীন শরীরের কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের ঘুমহীন শরীরের কথা বলা হয়েছে।
“সােনার বর্শার মতাে জেগে উঠে” হরিণটি কী করতে চেয়েছিল?
‘নীল আকাশের নীচে সূর্যের সােনার বর্শার মতাে জেগে উঠে’ হরিণটি সাহসে, ইচ্ছাশক্তিতে এবং সৌন্দর্যে অন্য হরিণীদের চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।
“ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে…”—কেন তার শরীর ঘুমহীন ও ক্লান্ত?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত জেগে চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানাের কারণে সুন্দর বাদামি হরিণের শরীর ঘুমহীন এবং ক্লান্ত।
“ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে…”—ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর নিয়ে হরিণটি কী করল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর নিয়ে হরিণটি নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমে গিয়েছিল।
“..স্রোতের মতাে একটা আবেশ দেওয়ার জন্য…” -কার কথা বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের ক্লান্ত, ঘুমহীন শরীরে স্রোতের মতাে আবেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
“…স্রোতের মতাে একটা আবেশ দেওয়ার জন্য…”—স্রোতের মতাে আবেশ বলতে কী বােঝ?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় স্রোতের মতাে আবেশ বলতে স্বাভাবিক গতিশীলতাকে বােঝানাে হয়েছে।
“অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিড়ে..” -কী বা কে কুঞ্চিত জরায়ু ছিড়ে বেরিয়ে আসে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিড়ে ভােরের রােদ বেরিয়ে আসে।
“একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য;”—বিস্তীর্ণ উল্লাস পাওয়ার জন্য হরিণটি কী করেছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় বিস্তীর্ণ উল্লাস পাওয়ার জন্য সুন্দর বাদামি হরিণ নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে তার ক্লান্ত, বিহ্বল শরীরকে ভাসিয়ে দিয়েছিল।
“..সূর্যের সােনার বর্শার মতাে জেগে উঠে”—কে, কেন জেগে উঠতে চায়?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি সাহসে, সাধে ও সৌন্দর্যে অন্য হরিণীদের চমক লাগানাের জন্য জেগে উঠতে চায়।
“হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।”-কীভাবে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল?
‘নীল আকাশের নীচে সূর্যের সােনার বর্শার মতাে জেগে উঠে’ হরিণটি সাহসে, ইচ্ছাশক্তিতে এবং সৌন্দর্যে অন্য হরিণীদের চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।
“…চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।” -কে, কাকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি অন্য হরিণীদের চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।
“..চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।” -কীভাবে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণ ‘নীল আকাশের নীচে সূর্যের সােনার বর্শার মতাে জেগে উঠে’ চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।
“একটা অদ্ভুত শব্দ।” -শব্দটা কীসের?
‘একটা অদ্ভুত শব্দ’ বলতে শিকারির বন্দুকের গুলির শব্দের কথা বলা হয়েছে।
“একটা অদ্ভুত শব্দ।” -শব্দটা অদ্ভুত কেন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় যে শব্দ হয় তা ‘অদ্ভুত’, কারণ নির্মল প্রকৃতির বুকে তেমন আওয়াজ সচরাচর হয় না।
“একটা অদ্ভুত শব্দ।” -কখন এই অদ্ভুত শব্দ হয় ?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় অদ্ভুত শব্দটি হয় ভােরবেলায়।
“একটা অদ্ভুত শব্দ।” -শব্দ হওয়ার পর কী দেখা গেল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় শব্দ-টি হওয়ার পরে দেখা গেল, নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল হয়ে উঠেছে।
“একটা অদ্ভুত শব্দ।” -শব্দের পর কী হয়েছিল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় শব্দ-টি হওয়ার পরে দেখা গেল, নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল হয়ে উঠেছে।
“একটা অদ্ভুত শব্দ।” -এর কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় শব্দ-টি হওয়ার পরে দেখা গেল, নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল হয়ে উঠেছে।
“নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল।”—এইরকম রঙের কারণ কী?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভােরবেলা শিকারির গুলিতে বিদ্ধ হরিণের রক্তে নদীর জল ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল’ হয়ে উঠেছিল।
“নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল।” -কেন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভােরবেলা শিকারির গুলিতে বিদ্ধ হরিণের রক্তে নদীর জল ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল’ হয়ে উঠেছিল।
‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত নদীর জলের রং কেমন?
‘শিকার’ কবিতায় নদীর জলের রং মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল।
“আগুন জ্বলল আবার…” -কারা ‘আবার’ আগুন জ্বালাল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় আবার আগুন জ্বালিয়েছিল শিকারি মানুষের দল।
“আগুন জ্বলল আবার…” -আবার আগুন জ্বলার কথা বলা হয়েছে কেন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় প্রথমবার আগুন জ্বালিয়েছিল দেশােয়ালিরা, তাই আবার শব্দটির সাহায্যে শিকারিদের আগুন জ্বালানােকে বােঝানাে হয়েছে।
“..নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।” -ঘুমকে কেন ‘নিস্পন্দ’ বলা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ঘুমকে ‘নিস্পন্দ’ বলা হয়েছে, কারণ তা হরিণের চিরনিদ্রা অর্থাৎ মৃত্যুকে নির্দেশ করে।
“নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়…”—কোন্ সময়ের কথা বলা হচ্ছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সকালবেলায় হরিণের মৃত্যুর পরে। যখন তার মাংস রান্না করা হচ্ছিল, সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে।
“নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়…”—কী হয়?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ সিগারেটের ধোঁয়ায় অনেক পুরােনাে শিশিরভেজা গল্প হয়।
“নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়…” -সেখানে কারা বসে রয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসেছিল টেরিকাটা শিকারি মানুষের দল।
“নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়… ধোঁয়া;”—কীসের ধোঁয়ার কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে থাকা শিকারিরা সিগারেট খাচ্ছিল। তারই ধোঁয়ার কথা এখানে উল্লিখিত হয়েছে।
‘শিকার’ কবিতায় শিকারি মানুষদের উপস্থিতির কী কী চিহ্ন পাওয়া যায়?
সিগারেটের ধোঁয়া, টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা এবং কয়েকটা বন্দুকই ছিল শিকারি মানুষদের উপস্থিতির চিহ্ন।
“..নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।” -কীসের বা কার কথা বলা হয়েছে?
আলােচ্য অংশে জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
“আগুন জ্বলল আবার…” -আগুন জ্বলার পর কী হল?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় আবার অর্থাৎ দ্বিতীয়বার আগুন জ্বালিয়ে মৃত হরিণের মাংস রান্না করা হল।
“… নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।” -ঘুমকে ‘নিরপরাধ’ বলা হয়েছে কেন?
জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ঘুমকে ‘নিরপরাধ’ বলা হয়েছে, কারণ হরিণের মৃত্যু তার নিজের অপরাধের কারণে ঘটেনি, ঘটেছে মানুষের লালসার কারণে।
‘শিকার’ কবিতায় ‘টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা’ পক্তিটি কেন ব্যবহৃত হয়েছে?
‘শিকার’ কবিতায় প্রকৃতিকে ধ্বংসকারী ও উদ্ধত নাগরিক সংস্কৃতির প্রতিনিধি হৃদয়হীন, শিকারি মানুষগুলির বেশভূষা ও স্বভাব-চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি আলােচ্য পঙক্তিটি ব্যবহার করেছেন।
‘শিকার’ কবিতা কবি ‘এলােমেলাে কয়েকটা বন্দুক’ কথাটা বলেছেন কেন?
‘শিকার’ কবিতায় বন্দুকের মতাে ভয়ংকর মারণাস্ত্রের সঙ্গে মানুষের মনুষ্যত্বহীন সংযােগকে এবং একইসঙ্গে শিকারি মানুষগুলির অমানবিক মানসিকতাকে প্রকাশ করতে কবি আলােচ্য কথাটি ব্যবহার করেছেন।
Leave a comment