‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ করাে।

শান্তিনিকেতনের উদয়নে অবস্থানকালে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে এবং ১৪ মে এই দু-দিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি রচনা করেন।

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় সত্য কঠিন বলতে বুঝিয়েছেন যে, সত্য সব সময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে।

“জেগে উঠিলাম”— কে, কোথায় জেগে উঠলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং রূপনারানের তীরে জেগে উঠলেন।

“জেগে উঠিলাম”— জেগে উঠে কবি কী উপলব্ধি করেছিলেন?

বক্তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠে উপলদ্ধি করলেন যে, ‘এ জগৎ স্বপ্ন নয়’।

“জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়।”— কখন কবি এ কথা জেনেছিলেন?

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন সায়াহ্নে যখন রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন, তখনই জেনেছিলেন যে এ জগৎ স্বপ্ন নয়।

রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানলেন?

রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি জানলেন যে, এ জগৎ স্বপ্ন নয়।

“জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়।”—কবির চোখে এ জগৎ কেমন?

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ জেগে উঠে জেনেছিলেন, যে জগতে তিনি ছিলেন তা স্বপ্ন নয়, তা আঘাত-সংঘাতে ভরা কঠিন বাস্তব।

গল্প কে বাঁচায়, কে বাঁচে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

গল্প ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর) 

 

গল্প ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা শিকার (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

কবিতা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর) 

 

নাটক বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

নাটক নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

আন্তর্জাতিক কবিতা পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভারতীয় গল্প অলৌকিক (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা রূপতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

 

ভাষা বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

ভাষা শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)

“দেখিলাম আপনার রূপ,” -কবি কীভাবে এই রূপ দেখলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রক্তের অক্ষরে নিজের এই রূপ দেখলেন।

“রক্তের অক্ষরে দেখিলাম” বলতে কীভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় রক্তের অক্ষরে দেখিলাম’ বলতে কবি যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মৃত্যুর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।

“চিনিলাম আপনারে”—কে আপনারে চিনেছিলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং আপনারে অর্থাৎ নিজেকে চিনেছিলেন।

“চিনিলাম আপনারে”—এই চেনার স্বরূপ কী?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজেকে চেনার অর্থ আসলে সত্যের কঠিন অথচ যথাযথ স্বরূপকে চিনতে বা বুঝতে পারা।

“চিনিলাম আপনারে” -কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন ?

দ্বন্দ্ব সংঘাতমুখর এই বাস্তব পৃথিবীতে কবি আঘাতে-আঘাতে, বেদনায়- বেদনায় নিজেকে চিনলেন।

“সত্য যে কঠিন” -কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় সত্য কঠিন বলতে বুঝিয়েছেন যে, সত্য সব সময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে।

“কঠিনেরে ভালােবাসিলাম”—কঠিনকে ভালােবাসার কারণ কী?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি ‘কঠিন’-কে ভালােবেসেছিলেন কারণ কঠিনই হল সত্যের স্বরূপ এবং সে কখনও কাউকে বঞ্চনা করে না।

“সত্য যে কঠিন”—এ কথা বলেও সত্য সম্পর্কে কবির প্রতিক্রিয়া কী?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোেবসেছেন।

“সত্য যে কঠিন”—তবু কবি সত্যকে ভালােবাসেন কেন?

সত্য কঠিন জেনেও কবি সত্যকে ভালােবাসেন, কারণ সত্য কখনও বঞ্চনা করে না।

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি সত্যকে কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেন?

‘রুপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি সত্যকে কঠিন’ বিশেষণে ভূষিত করেছেন।

“সত্য যে কঠিন” -বক্তা সত্যের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন?

বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালােবেসেছেন।

কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন?

জীবনধারণ করতে গিয়ে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিনিয়ত ব্যথা-বেদনা আঘাত-দুঃখ-দুর্দশাকে বরণ করতে হয় বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন।

“কঠিনেরে ভালােবাসিলাম” -কবি কেন ‘কঠিন’-কে ভালােবাসলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি ‘কঠিন’-কে ভালােবেসেছিলেন কারণ কঠিনই হল সত্যের স্বরূপ এবং সে কখনও কাউকে বঞ্চনা করে না।

“সে কখনাে করে না বঞ্চনা।” -বক্তা কে?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় উল্লিখিত পঙক্তিটির বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং।

“সে কখনাে করে না বঞ্চনা।”—এরূপ বলার কারণ কী?

সত্য যেহেতু মায়া বা স্বপ্ন নয়, তা কঠোর ও কঠিন বাস্তব, তাই তা কাউকে মােহাবিষ্ট বা স্বপ্নাবিষ্ট করে প্রবণ্ণনা করে না।

“মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে।” -‘মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শােধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়েই ‘মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করা সম্ভব হবে বলে কবি মনে করেছেন।

“সে কখনাে করে না বঞ্চনা।”—কে কখনও করে না বঞ্চনা?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন যে, কঠিন সত্য কখনও কবি তথা মানুষকে বঞ্চনা করে না।

“আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন”—কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা মনে করেছে কেন?

জীবনধারণ করতে গিয়ে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিনিয়ত ব্যথা-বেদনা আঘাত-দুঃখ-দুর্দশাকে বরণ করতে হয় বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন।

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় ‘মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শােধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়েই ‘মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করা সম্ভব হবে বলে কবি মনে করেছেন।

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি কীসের মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন।

“…সকল দেনা শােধ করে দিতে।” -সকল দেনা বলতে কী বােঝ ?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় ‘সকল দেনা’ বলতে কোনাে মানুষ তার সারা জীবনে যা যা অর্জন করে, সেসবের কথা বলেছেন।

“সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে”—সত্যের দারুণ মূল্য বলতে কী বােঝ?

‘সত্যের দারুণ মূল্য’ বলতে কবি অপ্রিয় ও কঠিন সত্যকে স্বীকার করার জন্য যে মনােবল ও নিরাসক্ত মনােভাবের প্রয়ােজন, তার কথা বলেছেন।

‘সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে’ কী ঘটেছে কবিজীবনে?

সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবার জন্য সারাজীবন ধরে দুঃখের তপস্যা করতে হয়েছে কবিকে।

‘সত্যের দারুণ মূল্য’ লাভ করার জন্য কী করতে হয়?

‘সত্যের দারুণ মূল্য’ অর্থাৎ প্রকৃত মূল্য লাভ করার জন্য আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা করতে হয়।

কবি ‘মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে’ চান কেন?

নিশ্চিন্তে মৃত্যুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চান বলেই কবি প্রকৃতি ও মানবসমাজের সকল দেনা শােধ করে দিতে চান।