সাহিত্যকে সমাজ জীবনের দর্পণ-রূপে ব্যাখ্যা করবার রীতি সর্বত্র প্রচলিত। কবি বা সাহিত্যিকও তো সমাজেরই সৃষ্টি, যে পরিবেশে তারা মানুষ হয়েছেন সেই পরিবেশের প্রতিচ্ছবি তাদের রচিত সাহিত্যে পড়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষত যাঁদের দৃষ্টি বাস্তবমুখী, তারা কিছুতেই সামাজিক সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। এইজন্যই সাহিত্যে আমরা সমাজ জীবনের একটি সুস্পষ্ট চিত্র দেখতে পাই।
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা ও বাঙালীর ইতিহাস না পেলেও আমরা তৎকালীন সাহিত্য থেকে যে সমাজ জীবনের পরিচয় পেয়ে থাকি তাকে সম্বল ক’ৱেই তো ঐতিহাসিকগণ ঐ যুগের বাংলার ইতিহাস রচনা ক’রে গেছেন। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের দু’টি প্রধান ধারা— একটি পদ-সাহিত্য তথা গীতিকাব্য, অপরটি পাঁচালীসাহিত্য। এই দ্বিতীয়টির মধ্যে পড়েছে আখ্যানমূলক যাবতীয় মঙ্গলকাব্য, রামায়ণ-মহাভারত-আদি অনুবাদ সাহিত্য, জীবনীকাব্য এবং পল্লীগীতিকাগুলি। পদসাহিত্য বা গীতিকাব্যে কবির মর্ম উদ্ঘাটিত হয় বলে বাস্তব জগতের সঙ্গে তার সম্পর্ক তত ঘনিষ্ঠ নয়। পক্ষান্তরে পাঁচালী সাহিত্যে, এমন কি অনুবাদ সাহিত্যগুলিতেও সমসাময়িক সমাজজীবনের ছায়াপাত ঘটেছে, কোথাও সামান্য আকারে কোথাও প্রবলভাবে। সমগ্র প্রাগাধুনিক সাহিত্যে কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী নানা দিক থেকেই একজন প্রধান পুরুষের ভূমিকায় অধিষ্ঠিত। তাঁর রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে কাহিনীর মৌলিকত্ব থাকবার কথা নয়, কারণ তিনি পূর্বানুসৃত কাহিনীকেই রূপায়িত করেছেন, কিন্তু সেই কাহিনীকে তিনি যে পটভূমিতে প্রতিস্থাপিত করেছেন, সেই পটভূমিকাটি তার সমকালীন সমাজ। অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহৃদয়তার বলে মুকুন্দ চক্রবর্তী তৎকালীন সমাজের যে চিত্র অঙ্কন করেছেন, তা যেমন বিশ্বাস্য, তেমনি বাস্তব কবিকঙ্কণের সমাজ-চিত্র অঙ্কন-বিষয়ে অধ্যাপক প্রমথনাথ বিশী মস্তব্য করেছেন, “সাহিত্যে যাহারা সমাজচৈতন্য খোঁজে চণ্ডীকাব্য তাহাদের লুটের মাহাল। এত আবিষ্কৃত সমাজ-চৈতন্য আর কোনো কাব্যে আছে কি না জানি না। বাস্তবিক চণ্ডীকাব্য সামাজিক ইতিহাসের দলিল, না কাব্য, তাহা এখনো ঠিক করিয়া উঠিতে পারি নাই।”
কবিকঙ্কণ যে যুগে বর্তমান ছিলেন, ঐতিহাসিক কারণে ঐ যুগটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সাধারণত অপর সকল কাব্যে সমাজজীবনের একটি বিশেষ রূপ যেখানে অনুদ্ঘাটিত, আমাদের সৌভাগ্যক্রমে কবিকঙ্কণের কাব্যে সমাজসচেতনতায় ঐ দিকটি বিশেষভাবে প্রতিফলিত হ’য়েছে বলেই আমরা তার সঙ্গে পরিচিত হ’বার সুযোগ পেয়েছি—ঐ বিশেষ দিকটি হল তৎকালীন সামস্ততান্ত্রিক পরিবেশের অন্তবর্তী কৃষকজীবন। ঐ জীবনের পরিচয় পাচ্ছি আমরা কাহিনীর তিনটি পর্যায়ে গ্রন্থোৎপত্তির বিবরণ বা কবিত্বলাভ কাহিনীতে পশুদের বিলাপে এবং কালকেতু কর্তৃক গুজরাট নগর পওনে।
গ্রন্থোৎপত্তির বিবরণ বা কবিত্বলাভের ইতিহাসের সঙ্গে গ্রন্থোক্ত মূল কাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই – এই অংশটি একান্তভাবেই ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণী। এর দুটি অংশ—একটি অংশে রয়েছে সমসাময়িক সমাজের একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন, অপর অংশে কবির নিজস্ব কাহিনী—অবশ্য এর মধ্যেও ইতিহাসের ছায়াপাত ঘটেছে। সমকালীন ইতিহাসের চিত্রটিতেই আমরা পাই একটি সামস্ততান্ত্রিক পরিবেশ এবং তার অন্তবর্তী কৃষকজীবনের পরিচয়।
রাজা মানসিংহ তখন বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার সুবেদার, কবির ভাষায়—’গৌড়বঙ্গ-উৎকল অধিপতি’। ভারত-সিংহাসনে তখন আসীন বাদশা আকবর। ইতিহাস অনুসরণে দেখা যায়, ১৫৮৯ খ্রীঃ দিল্লী বাদশার প্রধান উজীর স্থানীয় তোডরমলের মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রধান উজীর কুলিজ খাঁ সুবাগুলিকে চার ভাগে ভাগ করেন। তখন বিহারের সুবেদার ছিলেন রাজা মানসিংহ। ১৫৯৪ খ্ৰী: মানসিংহ উড়িষ্যা ও বাংলারও সুবেদার পদে অভিষিক্ত হন। দিল্লীর বাদশার অধীনে রাজা মানসিংহ হলেন সামস্তরাজ। তাঁর উজীর ছিলেন কিসুদাস কবিকঙ্কণের কাব্যে ঐ কালেরই বিবরণ লিপিবন্ধ হয়েছে। সামস্ততান্ত্রিক প্রথায় সর্বোচ্চস্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে প্রজাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না। কর্তার প্রতিনিধি এবং তার অধস্তন কর্মচারীরাই প্রত্যক্ষভাবে প্রজাদের শাসন-শোষণের ব্যবস্থা ক’রে থাকে। রাজা মানসিংহের সুবেদারি কালে সমগ্র দেশ কতকগুলি পরগণা এবং প্রতিটি পরগণাই কতকগুলি ডিহিতে বিভক্ত ছিল। প্রতি ডিহিতেই একজন ক’রে ডিহিদার নিযুক্ত হতেন এবং এই ডিহিদারদের মাধ্যমেই সমগ্র দেশের শাসনযন্ত্র নিয়ন্ত্রিত হত। অতএব কার্যত এই সর্বনিম্নপদস্থ কর্মচারী ডিহিদাররাই ছিলেন সামস্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নিয়ামক প্রতিনিধি।
কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী যে অঞ্চলে বাস করতেন, তার পরিচয় দিয়েছেন এভাবে—
‘সহর সিলিমাবাজ তাহাতে সজ্জনরাজ
নিবসে নিয়োগী গোপীনাথ।
তাঁহার তালুকে বসি দামুন্যায় চাষ চষি
নিবাস পুরুষ ছয় সাত ।।’
সিলিমাবাজ শহরের অধিবাসী তালুকদার গোপীনাথ নিয়োগীর অধীনস্থ প্রজা ছিলেন কবি, ছয় সাত পুরুষ যাবৎ তারা দামুন্যা গ্রামে বাস করতেন এবং সম্ভবত তাঁরা প্রত্যক্ষভাবে কৃষিজীবীই ছিলেন। অতএব এখানে ডিহিদার যেমন সামস্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতীক, কবিকেও তেমনি কৃষক প্রজার প্রতীক বলেই গ্রহণ করা যায়। কবির নিজস্ব কাহিনীকে কৃষিপ্রজার কাহিনী বলেই গণ্য করা প্রয়োজন। কবি অবশ্য এখানে শুধু নিজের কাহিনীই বর্ণনা করেন নি, ডিহিদারের শাসনব্যবস্থা সমগ্র কৃষকপ্রজার জীবনকেই কীভাবে বিপর্যস্ত করেছিল, তারই একটি বিশ্বাসযোগ্য বস্তুনিষ্ঠ চিত্র এখানে তুলে ধরেছেন।
কবি মুকুন্দ এখানে যে অপশাসনের একটি নগ্ন চিত্র তুলে ধরেছেন, তাতে কিন্তু সামন্তরাজ সুবেদার মানসিংহের বিরুদ্ধে কোনো কটাক্ষপাত নেই কারণ সামস্ততন্ত্রকে তখনো বিধাতার অভিপ্রায় এবং শাসনকার্যের অপরিহার্য অঙ্গ বলে বিবেচনা করা হতো। তাই মানসিংহ-বিষয়ে কবির প্রশস্তিবাক্যে “বিষ্ণুপদাম্বুড়ঙ্গ’ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কবি বলেন—’প্রজার পাপের ফলে, ডিহিদার মামুদ সরীফ। ঐ ডিহিদারই সামস্তরাজের অত্যাচারী প্রতিনিধি—তার মারফতই শাসনকার্য নির্বাহিত হয়, কাজেই প্রজারা কার্যনির্বাহক বলে ডিহিদারকেই দায়ী মনে করে। ডিহিদার মামুদ সরীফের মন্ত্রণাদাড়া বা উজীর ছিলেন কোনো এক রায় বংশের সস্তান (রায়জাদা) —সম্ভবত, রায় পত্রদাসের পুত্র (?) রায় কিসুদাসই ছিলেন উঙ্গীর কবির মতে ডিহিদার মামুদ সরীফ রায়জাদার পরামর্শে প্রজাদের ওপর জুলুমবাজি শুরু করেন। এতকাল পর্যন্ত সমাজে ব্রাহ্মণ-বৈষ্ণব একটি বিশেষ মর্যাদা ছিল, কিন্তু এখন তাদেরও শত্রু কাঁরে তোলা হল। সম্ভবত করবৃদ্ধি দ্বারা অথবা অপর কোনো আইনে ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচার শুরু হ’ল তারাও তাড়া খেলো। জমির মাপ শুরু হ’ল কোণাকুণি হিসেবে এক কুড়া (বিঘা) জমিতে পনেরো কাঠা নির্দিষ্ট হ’ল–এই নোতুন মাপে কৃষক প্রজার জমির পরিমাণ কমে গেল। স্বভাবতই এ বিষয়ে প্রজাদের নালিশ ছিল কিন্তু ডিহিদার এই নালিশে কোনো কর্ণপাত করেন নি। যে সকল জমি ছিল খিল অর্থাৎ অনুর্বর, সে সকল জমিকে লাল অর্থাৎ ফসলী জমি বলে চিহ্নিত করা হল— এর ফলে জমির কর বৃদ্ধি পেলো, কারণ বন্ধ্যা জমি অপেক্ষা ঊর্বর জমির কর স্বভাবতই বেশি। রাজকর্মচারীরা রীতিমত ঘুষ (ধুতি) খেতো, কিন্তু কোনো উপকার করতো না। ঐ সময় মুদ্রাসংস্কার হওয়াতে প্রাচীন মুদ্রার পরিবর্তে নোতুন মুদ্রা দিতে গিয়ে পোদ্দারকে টাকায় আড়াই আনা বাটা দিতে হত এতেও প্রজাদের হত প্রচুর লোকসান। পুরাতন মুদ্র বদলে নেবার সময় সীমা পার হয়ে গেলেই পোদ্দার প্রতিদিন টাকায় এক পাই ক’রে সুদ নিতো। ডিহিদার ছিলেন নির্বোধ, প্রজার দুঃখেও তার কোনো মমতা ছিল না—এমন কি টাকা পেলেও তিনি খুশি হ’তেন না। কাজেই কৃষকপ্রজার পক্ষে পরিবেশ ক্রমশ দুঃসহ হয়ে ওঠে সম্ভবত তাদের মনে ভয় জেগেছিল যে এখানে আর বাস করা সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। তাই ধান-গোরু কেনা-বেচাও বন্ধ হয়ে গেল—কে কখন কোন সুযোগে পালাবে, এই ভয়ে কে আর কী সঞ্চয় করবে।
এর মধ্যে কবির স্থায়ী জমি-জমার অধিকারী গোপীনাথ নন্দীও সরকারী রোষে পড়ে বন্দী হলেন, তার পরিত্রাণের কোনো উপায় দেখা না যাওয়াতে প্রজারাও নিজেদের নিরাপত্তা বিষয়ে সংশয়াপন্ন হ’য়ে ওঠে। সম্ভবত এই সময় কেউ কেউ রাত্রির অন্ধকারে গৃহত্যাগ করে। কিন্তু যাতে আর কেউ এভাবে পালিয়ে গিয়ে সরকারের দেয় খাজনা এড়াতে না পারে, এজন্য দরজায় পেয়াদা বসানো হ’ল।
তৎসত্ত্বেও প্রজারা সবদিক থেকে তৈরি হতে লাগলো যাতে সুযোগ এলেই তার সদ্ব্যবহার করতে পারে। তাই যার যা কিছু বিত্তসামর্থ্য ছিল, সবই অতি স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করে দিতে লাগলো—
‘প্ৰজা হৈল ব্যাকুলি বেচে ঘরের কুড়ালি
টাকা দ্রব্য বেচে দশ আনা।’
কবি মুকুন্দ নিজেও এই অপব্যবস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে প্রতিবেশী হিতৈষী শ্রীমস্ত খাঁ এবং মুনিব খাঁর (গম্ভীর খাঁ) সঙ্গে পরামর্শ করে এক রাত্রে আত্মপরিজনসহ সাতপুরুষের ভিটে ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলেন এবং বহু কষ্ট ও শ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম ক’রে আরড়ার ভূস্বামী বাঁকুড়া রায়ের আশ্রয় গ্রহণ করলেন।
তৎকালীন সামস্ততান্ত্রিক পরিবেশে কৃষক-জীবনের যে বস্তুনিষ্ঠ পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে এটি কবিকঙ্কণের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জাত। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে আরো দু’টি ক্ষেত্রে আমরা এর একটি পরোক্ষ রূপও দেখতে পাই। কিন্তু তার আগে সদ্য উপস্থাপিত বিবরণের একটি ভিন্ন ব্যাখ্যার কথা বলা যাক। ডঃ ক্ষুদিরাম দাস মনে করেন যে আকবর বাদশা তাঁর উত্তীর তোডরমল্লের সুপারিশ ক্রমে যে নতুন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার পত্তন করেছিলেন, কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী এবং তার সমকালীন প্রতিবেশীরা এর যথার্থ তাৎপর্য বুঝতে পারেন নি বলেই এটিকে অত্যাচার বলে মনে করেছেন। উঃ দাস বলেন, “জমির পুরাতন মাপের জায়গায় স্বল্প-কম দৈর্ঘ্যের নতুন মাপের প্রবর্তন, উর্বর অনুর্বর ভেদে জমি-জমার বিভাগ ও রাজস্ব নির্ধারণ, অপেক্ষাকৃত স্বল্পমান পুরানো মুদ্রার জন্য দেয় বাট্টা, সর্বভারতীয় নতুন ওজনের পত্তন—এ সব বিষয় দ্রুতগতিতে এবং কঠোর নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে চালু করার জন্য সকল শ্রেণীর মানুষকেই বিব্রত হ’তে হয়েছিল।…এই ব্যবস্থা সমকালে বাংলাদেশেই প্রচলিত হয়েছিল, কিন্তু উড়িষ্যায় পূর্বতন ব্যবস্থা বজায় থাকাতেই কবি তৎকালীন উড়িষ্যার আরড়ায় গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন।”
কালকেতুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বনের পশুকুল যে ভাষায় দেবী চণ্ডীর নিকট তাদের দুর্দশার কাহিনী বর্ণনা করেছে, তার মধ্য দিয়েই ঊিহিদারের অত্যাচারে জর্জরিত কৃষক প্রজার কান্নাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এখানে কালকেতুকে অত্যাচারী সামস্ততন্ত্রের প্রতীক এবং পশুকুলকে অত্যাচারিত প্রজাদের প্রতীক বলে গ্রহণ করা যায়।
কবি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় প্রজাদের দুর্দশার স্বরূপ উপলব্ধি ক’রেছেন বলেই নিজে একটি আদর্শ সমাজব্যবস্থার কথাও নিশ্চয়ই মনে মনে চিন্তা করেছিলেন এবং সেই চিন্তাধারার প্রতিফলন দেখতে পাই কালকেতু কর্তৃক প্রজা পস্তনের ব্যাপারে। এখানেও সামস্ততন্ত্র, কিন্তু স্বৈরাচারী নয়, বরং একে বলতে পারি হিতকারী ব্যবস্থা। নতুন নগর পত্তন ক’রে কালকেতু তার প্রজাদের কি কি সুযোগ-সুবিধা দান করবে, তার একটি মনোজ্ঞ বিবরণী তুলে ধরলেন বুলান মণ্ডলের সামনে।
বলা বাহুল্য, আদর্শ সামস্ততন্ত্রের পরিবেশে এ-ও এক উজ্জ্বল কৃষক জীবনের চিত্র। তবে এই চিত্রটি কবি-কল্পিত বলেই মনে হয়, সম্ভবত এরূপ আদর্শসমাজ বাস্তবে সেকালে বর্তমান ছিল না।
Leave a comment