প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিল একই অফিসের কর্মী। প্রতি মাসে নিখিল তিন জায়গায় কিছু কিছু টাকা পাঠাতে হয়। টাকা পাঠানাের জন্য মানি-অর্ডার ফর্ম লিখতে গিয়ে নিখিল ভাবল যে, এবার তিনটে সাহায্যই পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে কিনা। এমন সময় মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের ঘরে এসে একতাড়া নোট বের করে। টাকাটা দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের জন্য কোনাে রিলিফ ফান্ডে দিয়ে আসার অনুরােধ জানায়। নিখিল ধীরে ধীরে গুনে দেখে মৃত্যুঞ্জয় সমস্ত মাসমাইনেই দান করেছে। বন্ধু হিসেবে নিখিল তাকে বােঝায় যে তার ওপর সংসারে ন- জন লােকের দায়িত্ব রয়েছে। মাইনের টাকায় মাস চলে না। প্রতি মাসেই তাকে ধার করতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে সারা মাসের বেতন রিলিফ ফান্ডে দেওয়া মােটেই সমীচীন নয়। মৃত্যুঞ্জয় জানায় যে সে কিছু একটা করতে চায়। তার রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে বসলে খেতে পারছে না। তারা স্বামী-স্ত্রী একবেলা খায়, আর-এক বেলার খাবার ক্ষুধার্তদের বিলিয়ে দেয়। এ কথা শুনে নিখিল বলে মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী টুনুর মায়ের যা স্বাস্থ্য তাতে একবেলা না খেয়ে পনেরাে কুড়ি দিনই কাটাতে পারবে।

নিখিল ভাবছিল সে মৃত্যুঞ্জয়কে বােঝাবে যে এভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না। রিলিফ বা ত্রাণকার্য প্রকৃতপক্ষে একজনের খাবার আর-এক জনকে খাওয়ানাে। এতে চোখের সামনে যারা আছে তারাই বাঁচবে, দূরের মানুষ খাবার না পেয়ে মরবে। কিন্তু এসব কোনাে কথাই তার মুখ থেকে বেরােল না। নিখিল জানায় যে ভূরিভােজ করে খাওয়া অন্যায়। তা বলে না খেয়ে মরাও উচিত নয়। নীতি ধর্মের দিক থেকে নয়, সমাজ ধর্মের দিক থেকে বিচার করলে দশজনকে খুন করার পাপের চেয়ে না খেয়ে নিজেকে মেরে ফেলা বড়াে পাপ। নিখিলের এই মনোভাব ও বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়ে মৃত্যুঞ্জয় জানায় যে, এরূপ আচরণ পাশবিক স্বার্থপতার পরিচয়।

দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? 

ভুরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।— বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? 

তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হযে গেছে।—কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী? 

মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।- মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? 

কারো বুকে নালিশ নেই কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে। ভাবনাসূত্রটি বিশ্লেষণ করাে। 

কারো বুকে নালিশ নেই, কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।— কারাে বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কার, কীভাবে এ কথা মনে হয়েছে? এই নালিশ ও প্রতিবাদ না থাকার কারণ কী? 

দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী? 

ফুটপাথে অনাহারে-মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে সম্পূর্ণ পালটে গেল, তা কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ধীরে যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।—মন্তব্যটির আলােকে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে। 

কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্পের নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করাে। 

কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটগল্পের টুনুর মা চরিত্র পর্যালোচনা করাে। 

ধিক। শত ধিক আমাকে।- বক্তা কে? বক্তার চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।