‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) ত্রিশোত্তর কালের একজন অন্যতম জীবনবাদী ঔপন্যাসিক। আধুনিক জীবনের বিচিত্র সমস্যা এবং সংকটের গ্রন্থি উন্মোচনের জন্য তিনি তাঁর উপন্যাসের ঘটনাংশ নির্বাচন করেছেন। তাঁর সাহিত্য সাধনার মূলে ছিল মানুষ, মানুষের জীবন ও মন এবং জীবনবোধের গভীরতা। জীবনের রহস্য সন্ধানে বেরিয়ে তিনি বারবার অভ্যস্ত জীবনযাত্রার শৃঙ্খলাকে ছিন্ন করেছেন। তাৎক্ষণিক থেকে চিরায়ত সব বিষয়েই প্রত্যক্ষের আড়ালে জীবনের জটিলতর তাৎপর্য আবিষ্কার করেছেন। সাহিত্য জীবনের শুরু থেকেই তাঁর মধ্যে ভাব বিলাসিতার পরিবর্তে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ শিল্প সাধনার প্রতিশ্রুতি কার্যকর ছিল, কার্যকর ছিল জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং শোষিত ও শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে প্রচলিত ঐতিহ্যবোধ ও মূল্যবোধ যখন প্রচণ্ডভাবে ভাঙনের মুখোমুখি, অর্থনৈতিক বৈষম্যের কুফল যখন সমাজ ও রাষ্ট্রীয়জীবনে নিপতিত তখন পাশ্চাত্য সাহিত্য ও সভ্যতায় লক্ষ করা যায় মার্কসের বৈপ্লবিক সাম্যবাদ ও ফ্রয়েডীয় লিবিডোতত্ত্ব। আর পাশ্চাত্যের এ জীবন ও সভ্যতার প্রভাব এ দেশীয় বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের উপর লক্ষ করা যায়। মানবমনের চেতন, অবচেতন ও অচেতন প্রান্ত আশ্রয়ী জীবন অভীপ্সা, সর্বযৌনবাদে আস্থা স্থাপন, জীবনবাস্তবতার অনুসন্ধান ইত্যাদি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত একজন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁর সাহিত্যসাধনার কালকে স্পষ্টরূপে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা:
ক. প্রথম পর্ব (১৯২৮-১৯৪৩) কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত।
খ. দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৪-১৯৫৬)
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পীসত্তার প্রধান বিন্দু বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ এবং মধ্যবিত্তের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ উন্মোচন। তিনি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সবসময় জিজ্ঞাসু দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছু দেখেছেন। আধুনিকতা ও তীক্ষ্ণ বক্তববোধের সুসমন্বয় লক্ষ করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনবোধের মধ্যে। এর সাথে প্রখর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা, জীবনদৃষ্টির সমগ্রতা, সততা ও নিরাসক্ত চেতনা তাঁর শিল্প চেতনাকে সমৃদ্ধ ও স্বতন্ত্রতা দান করেছে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসগুলো হচ্ছে- জননী (১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পুতুল নাচের ইতিকথা (১৯৩৬), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), জীবনের জটিলতা (১৯৩৬), শহরতলী (১ম পর্ব- ১৯৪০, ২য় পর্ব ১৯৪১) অহিংসা (১৯৪১), প্রতিবিম্ব (১৯৪৩), দর্পণ (১৯৪৫), শহরবাসের ইতিকথা (১৯৪৬), চতুষ্কোণ (১৯৪৮), সোনার চেয়ে দামী (১ম খণ্ড ১৯৫১, ২য় খণ্ড ১৯৫২), ইতিকথার পরের কথা (১৩৫৯ ব.) ইত্যাদি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস ‘জননী’র কাহিনী বিন্যস্ত হয়েছে ফ্রয়েডীয় তত্ত্বের ছায়া অবলম্বনে। এ উপন্যাসে পুত্রবধূর প্রতি শাশুড়ির যে ঈর্ষা, তাও অনেকটা মনোবীক্ষণ তত্ত্বের প্রভাবজাত। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাসে নারীর প্রেয়সী ও জননী এ দু’রূপের অনবদ্য বিশ্লেষণ সার্থকতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।
দিবারাত্রির কাব্য: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রূপকের আবহে হেরম্ব ও সুপ্রিয়া আনন্দের দ্বন্দ্বময় জীবনযাত্রা, আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনাকে আলো ও অন্ধকারের প্রতীকী তাৎপর্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিচ্ছিন্নতা, নিঃসঙ্গতা, অস্তিত্বের সংকট ব্যক্তির মনকে বিষাদময় করে তোলে। ‘দিবারাত্রির কাব্য’ উপন্যাসের নায়ক হেরম্ব অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি। তিনটি পর্বে বিভক্ত (দিনের কবিতা, রাতের কবিতা, দিবারাত্রির কাব্য) এ উপন্যাসে হেরম্ব, সুপ্রিয়া, অশোক, মালতী, অনাথ, আনন্দ প্রতিটি চরিত্র তাদের প্রত্যাশা প্রাপ্তির যন্ত্রণায়, হৃদয়ের অপরিসীম আকাঙ্ক্ষা ও অবদমনের চাপে অসুস্থ, অস্বাভাবিক বিকারগ্রস্ত। বাবা-মায়ের অস্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন দেখে আনন্দ উপলব্ধি করেছে যে, অভ্যস্ত জীবনে প্রেম মরে যায়। হেরম্বের মধ্যে সে প্রথম বন্ধুত্বের সুখ অনুভব করলেও শেষ পর্যন্ত বলে-
“হয়ত আমিও একদিন তোমার দুচোখের বিষ হয়ে দাঁড়াব। প্রথম দিন তুমি আর আমি কত উঁচুতে উঠে গিয়েছিলাম- স্বর্গের কিনারায়। আজ কোথায় নেমে এসেছি।”
এ উপন্যাসে প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেকের পদে পদে ভয়-উৎকণ্ঠা, গভীর জীবন যন্ত্রণা- এক কথায় স্বরোধী অবস্থার মধ্যে ওরা বাস করেছে এবং উত্তরণের পথ না পেয়ে মৃত্যুর মধ্যেই সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছে।
পুতুল নাচের ইতিকথা: বাংলা উপন্যাসের ক্ষেত্রে ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্বের প্রথম সার্থক চিত্রায়ণ। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শশী পেশায় ডাক্তার। আবেগ আর কামনায় নায়িকা কুসুম বারবার নিজেকে শশীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শশী নির্বিকার থেকেছে নৈতিকতা, রুচিশীলতা, অন্যমনস্কতা এবং সামাজিক মর্যাদার কারণে। কুসুম যখন চিরকালের মতো পিতৃগৃহ ত্যাগ করে যাওয়ার জন্য স্থির করলো- তখন শশী তার আত্মনিবেদনের প্রতিদান দিতে ব্যগ্র হয়েছে। কিন্তু কুসুমের উৎসাহে তখন ভাটা পড়েছে। তাই সে বলে-
“লাল টকটকে করে তাতানো লোহা ফেলে রাখলে তাও আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে যায়, যায় না?… কাকে ডাকছেন ছোটবাবু? কে যাবে আপনার সঙ্গে? কুসুম কি বেঁচে আছে? সে মরে গেছে।”
পদ্মানদীর মাঝি: ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে নদীতীরবর্তী ধীবর-পল্লির সামগ্রিক জীবন বৈশিষ্ট্য এবং কুবের চরিত্রের উৎস ও পরিণতির নানাবিধ বৈচিত্রপূর্ণ রূপ ও স্বরূপ। কেতুপুরের ধীবর জনগোষ্ঠীর জীবনে পদ্মা যেমন জীবিকার সহায়, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও উৎস। উপন্যাসের প্রথম তিনটি পরিচ্ছেদে পদ্মাতীরবর্তী কেতুপুর গ্রামের বহির্বাস্তবতা রূপায়িত হয়েছে। মূলত কাহিনি শুরু হয়েছে উপন্যাসের চতুর্থ পরিচ্ছেদে কপিলার আগমনের পর কুবের কপিলার প্রণয়কে কেন্দ্র করে এবং হোসেন মিয়ার ময়নাদ্বীপ নামক স্বপ্ন রাজ্যের আকাঙ্ক্ষাকে চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে।
এ উপন্যাসে দুটি কাহিনিস্রোত একটি প্রবাহে এসে মিশেছে। এক, হোসেন মিয়ার ময়নাদ্বীপ নামক চরের স্বপ্নচারিতা ও দুই. কুবের কপিলা প্রণয় গাঁথা। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র ও ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে পদ্মা ও হোসেন মিয়া। কেতুপুর গ্রামবাসীকে হোসেন মিয়া এক অদৃষ্ট শক্তির বন্ধনে আকৃষ্ট করে রাখত। উপন্যাসের শুরুতে পদ্মার একটা ভূমিকা কেতৃপুর গ্রামবাসীর জীবনে থাকলেও হোসেন মিয়া এ পদ্মাকে অতিক্রম করেছে। পদ্মা যেখানে আত্মসমর্পণ করেছে সেই সমুদ্র থেকে জেগে উঠা চরে হোসেন মিয়া তার স্বপ্নের রাজ্য স্থাপন করেছে। যারা ছিন্নমূল, ছন্নছাড়া তাদেরকে তিনি তার চরে আশ্রয় দিয়েছেন এবং কুবের কপিলার প্রণয়কে তার স্বপ্নরাজ্যে বাস্তবে রূপদান করেছেন। কুবের ও কপিলা একে অপরের প্রতি আদিম আকর্ষণ অনুভব করে। এ সহজ সম্পর্কের সূত্র ধরেই উভয়ের মধ্যে একটা গভীর আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। দেহগত কামনা একদিকে ছিল কিন্তু তা এদেরকে একেবারে গ্রাস করেনি। কিন্তু রাসুর চক্রান্তে যখন কুবেরের উপর চুরির দায়ভার এসে পড়ে তখনই দ্বিধা থাকা সত্ত্বেও কুবের কপিলাকে সাথে নিয়ে ময়নাদ্বীপের দিকে পা বাড়ায়। এভাবেই এক আদি অসংস্কৃতি ও নিষিদ্ধ প্রেম এক সময় সংসার ত্যাগের মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে।
জীবনের জটিলতা: এ উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাতে চেয়েছেন যে, মানুষের সত্তার গভীরে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং দ্বন্দ্বজনিত জটিলতা বিদ্যমান থাকে। বস্তুতান্ত্রিক দৃষ্টিসম্পন্ন বিমল মূলত কবি এবং পর স্ত্রীর প্রতি প্রবলভাবে প্রণয়াসক্ত। সেই পরস্ত্রীর মনও দ্বিধাবিজড়িত। স্বামীর প্রচণ্ড প্রেমে সে হাঁপিয়ে উঠে। সে ছাদে বা জানালায় তার প্রেমিকের উপস্থিতি খোঁজে। কিন্তু বিদ্রোহ করে জীবনকে একটি সরলরেখায় দাঁড় করাতে তার কোনো আগ্রহ নেই। বিমলও জানে শান্তাকে কিছুক্ষণ বুকের মধ্যে রাখলেও সারাজীবনের মতো এ ঘটনাকে চিরস্থায়ী করতে গেলে সেটা নিছক নাটুকেপনা হবে। শান্তা আত্মহত্যা করলেও স্বামীর সঙ্গে আমৃত্যু প্রেমিকার অভিনয় করার চেষ্টা করেছে। একই ধরনের জটিল চরিত্র প্রমীলা যে প্রেমের প্রদাহে প্রজ্বলিত হয়েও ভোগবাদী নগেনের প্রতি তীব্র দুর্বলতা অনুভব করে, তার যুক্তি সংস্কার বা আত্মসম্মান তাকে বাঁচাতে পারে না।
শহরতলী: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এ উপন্যাসে মার্কসবাদকে অবলম্বন করে যৌনবাদের ক্ষুদ্রতা, নীচতা, অসম্মান, বিকৃতি অস্পষ্টতা থেকে মানুষকে মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করেছেন। যশোদা ও সত্যপ্রিয় চরিত্রের মাধ্যমে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাতে চেয়েছেন যৌন ভিত্তির চেয়েও মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী।
‘অহিংসা’ উপন্যাসের আশ্রয় গুরু সাধু সদানন্দের অনাচার ও ভণ্ডামো ও তার শিষ্য সম্প্রদায়ের বিকারগ্রস্ত জীবনের কাহিনি উপস্থাপিত হয়েছে। এ উপন্যাসে তিনি দেখিয়েছেন যৌন আকাঙ্ক্ষার অবদমন কল্যাণকর নয়, এতে মানুষ বিকৃতি ও উন্মাদনাদশা প্রাপ্ত হয়। ‘প্রতিবিম্ব’ উপন্যাসে একটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত জাতীয়তাবাদী যুবকের জীবনকাহিনি অত্যন্ত হালকা প্রলেপে অঙ্কিত হয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী উপন্যাস ‘দর্পণ’। এ দর্পণ অত্যাচারী হেরম্বদের বিরুদ্ধে অত্যাচারিত ঝুমুরিয়া গ্রামবাসীর বিক্ষোভের দর্পণ।
‘আদায়ের ইতিহাস’ উপন্যাসে ত্রিষ্টুপ নামক এক বিকারগ্রস্ত যুবকের জীবনকাহিনি বর্ণিত হয়েছে। ছাব্বিশ বছর বয়সে ত্রিস্টুপ উপলব্ধি করে তার জীবনের শূন্যতা। এ শূন্যতা পূরণের জন্য সে আদর্শনিষ্ঠ কুন্তলাকে তার জীবনে অর্জন করতে চায়। কিন্তু কুন্তলা নিজেকে উৎসর্গ করেছে দেশের জন্য। ত্রিস্টুপকে গ্রহণ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অবশেষে স্বাধীনতা আন্দোলনে উজ্জীবিত হয়ে ত্রিস্টুপ অর্জন করেছে কুন্তলাকে। ‘চতুষ্কোণ’ উপন্যাস রাজকুমার নামক এক যুবকের সাথে গিরিমালতী, রিনি, সরসীর অদ্ভুত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসে রাজকুমার অবশেষে জীবনের অর্থ আবিষ্কার করেছে এবং এনস্যানিটি আক্রান্ত রিনিকে জীবনে গ্রহণ করে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে, জীবন খেলার জিনিস নয়। ১৯৪৭ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে ‘স্বাধীনতার স্বাদ’ উপন্যাস। একটি সংগঠন একজন নিষ্ক্রিয় মানুষের জীবনযাপন কীভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে তার প্রমাণ এ উপন্যাস।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পীসত্তা গঠনের পেছনে প্রবহমান সময় এবং সমাজের অবদান অনেক বেশি। চলমান সময়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গড়ে উঠেছে তার শিল্পীমানস। তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আদর্শগত মূল্যবোধের কোনো প্রকাশ তাঁর উপন্যাসে লক্ষ করা যায় না। প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষের ইতিহাসের এক উত্তাল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজ ও মানুষের সাক্ষী হয়ে আছে তাঁর উপন্যাসসমূহের বিষয়-উপাদান।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment