ওয়েবসাইট ডিজেবল কি – ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই ধারণা রাখি না বা জানি না।তাই আমি ওয়েবসাইট ডিজেবল কি – ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা ওয়েবসাইট ডিজেবল কি – ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান আমার পোস্ট তাদের জন্য।

গুগল এডসেন্স থেকে শুরু করে গুগল এডসেন্স পাওয়ার পর ওয়েবসাইট ডিজেবল হওয়া পর্যন্ত আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নিচে ওয়েবসাইট ডিজেবল কি –  ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচিপত্রঃ ওয়েবসাইট ডিজেবল কি –  ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় 

ওয়েবসাইট ডিজেবল কি

ওয়েবসাইট ডিজেবল হলো ওয়েবসাইট এড দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া। সেটা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে আবার একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর এই বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলা হয় ওয়েবসাইট ডিজেবল।

ওয়েবসাইট ডিজেবল হওয়ার কারণ

আপনি যদি গুগলের নিয়ম না মানেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট ডিজেবল হতে পারে তাই আপনাকে গুগলে কাজ করতে হলে গুগলের নিয়ম মেনে তারপর কাজ করতে হবে। google তার নিয়ম লঙ্ঘন পেলে প্রথমে আপনাকে সতর্ক করবে এবং কিছুদিনের জন্য আপনার একাউন্ট ডিজেবল করে দেবে। আর যদি আপনি পুনরায় নিয়ম লঙ্ঘন করেন তাহলে একেবারে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিবে। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট করার ১৫ টি নিয়ম সম্পর্কে জানুন

তাই আপনি অবশ্যই নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করবেন। আর যদি গুগল আপনার অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করে দেয় তাহলে আর কিছুই করার থাকবে না। আপনি শত চেষ্টা করেও আপনার সাধের  ওয়েবসাইট নিয়ে আর কাজ করতে পারবেন না তাই সময় থাকলে সাবধান হবেন।

ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয়

আমরা যারা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছি তাদের ধারণা নেই ওয়েবসাইট ডিজেবল কি এবং তাদের কোন ধারণা থাকার কথা নয়। কিন্তু আমরা যখন অন্তর্ভুক্ত হই ওয়েবসাইট ডিজেবল এর তখন জানতে বা বুঝতে পারি। ওয়েবসাইট ডিজেবল হতে হলে আগে আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল এডসেন্স পেতে হবে। তো আসুন আমরা জানি গুগল এডসেন্স আসলে কি।

Google এর একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হলো গুগল এডসেন্স। যারা আর্টিকেল লিখে গুগল থেকে ইনকামের কথা ভাবেন তাদের প্রয়োজন এই গুগল এডসেন্স এর। আপনি যদি গুগলে” অনলাইনে ইনকাম” লিখে সার্চ করেন তাহলে আপনি অবশ্যই গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানতে পারবেন।এরপরেও আমি আপনাদের সুবিধার জন্য বলছি।

গুগল এডসেন্স কি

গুগল এডসেন্স হলো গুগল দ্বারা পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। এই প্লাটফর্মটি ২০০৩ সালের ১৮ই জুন প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখন পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। এই গুগলে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দাতারা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন আর এই বিজ্ঞাপন গুলো গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে। আর এই ওয়েবসাইট বা মোবাইল  এপ্লিকেশনের কর্তৃপক্ষ ইনকাম করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ সফটওয়্যার কি – সফটওয়্যার এর কাজ জেনে নিন

এই বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে সারা বিশ্বের এড নেটওয়ার্কের মধ্যে google সেরা। এবং একমাত্র google-ই সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ দিয়ে থাকে। আর এই গুগল এডসেন্স থেকে একজন পাবলিশার প্রতি মাসে হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে থাকে।

গুগল এডসেন্স এর প্রকারভেদ

গুগল এডসেন্স সাধারণত তিন প্রকার। যথা-

নন-হোস্টেড একাউন্ট

হোস্টেড অ্যাকাউন্ট

Admob account

নন-হোস্টেড একাউন্ট

ওয়েবসাইটে সাধারণত ব্লগ পোস্ট তৈরি করা হয় এবং ব্লগ পোস্ট ডটকম ডোমেন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় এবং তৈরিকৃত ওয়েবসাইটে এডসেন্সের জন্য গুগলে আবেদন করা হয়। যখন গুগল আবেদন গ্রহণ করে তখন গুগল এডসেন্স দিয়ে থাকে আর একে গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট বলা হয়।

হোস্টেড অ্যাকাউন্ট

যে সকল ওয়েবসাইটে নিজস্ব ডোমেন ও নিজস্ব হোস্টিং থেকে পরিচালিত হয় তাকে হোস্টিং হোস্টেড অ্যাকাউন্ট বলে।

Admob account

যে প্রোগ্রাম শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড এবং আই ও এস এস এর জন্য ব্যবহৃত হয় তাকে অ্যাড মুভ নেটওয়ার্ক বলে।

গুগল এডসেন্স কেন ব্যবহার করা হয়

গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার মূল কারণ হলো গুগল থেকে অর্থ ইনকাম করা। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে একজন মানুষ ঘরে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। গুগল এডসেন্স থেকে আপনি যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু গুগলের নিয়ম নীতি মেনে তারপর ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

আর আপনি যদি google এর নিয়ম না মেনে ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনি google এডসেন্স ব্যবহারের অনুমতি পাবেন না। এই গুগল এডসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই গুগলের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করা যায়

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পোডাক্টের নাম ও মান সম্পর্কে জানাতে google কে টাকা দিয়ে থাকে যাতে করে গুগল এইসব প্রোডাক্ট মানুষের সামনে তুলে ধরে। আর গুগল বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন গুলো তুলে ধরে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। বিভিন্ন সাইটে যখন ভিজিটর আসে এবং বিজ্ঞাপন দেখে তখন গুগল কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে তার কাছ থেকে কেটে নেয়।

এবং যার সাইটে অর্থাৎ ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব চ্যানেলে বা মোবাইল অ্যাপে প্রকাশ করে থাকে তাকে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে। আর যে পাবলিশার অর্থাৎ যার ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে সে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করছে তার সাইটে প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন ক্লিকের জন্য টাকা দিয়ে থাকে। আর এভাবে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয়।

আরো পড়ুনঃ  ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা জানুন নিজের ক্যারিয়ার গড়ুন 

আমি আপনাকে আরো সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলছি। মনে করুন আপনি কোন একটি কোম্পানির মালিক আপনি আপনার প্রোডাক্ট দেখানোর জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেখাতে চান যে বিজ্ঞাপন দেখে মানুষ আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে। আর এজন্য আপনি গুগলকে কিছু ডলার দিলেন আর google আমার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের এড দেখালো। 

আর এই অ্যাড দেখানোর বিনিময়ে গুগল আপনার দেওয়া ডলার থেকে গুগল কিছু পরিমাণ রাখল আর আমাকে কিছু পরিমাণ ডলার দিল। আর এখান থেকে ইনকাম হল। তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে ইনকাম হয়। মনে রাখবেন যার ওয়েবসাইটে যত ক্লিক পড়বে তার তত ইনকাম হবে।

গুগল এডসেন্সের চাহিদা

যারা অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করতে চায় তাদের কাছে google এডসেন্স আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মত। ঘষা দিলে স্বপ্ন পূরণ। আপনাকে আলাদিনের এই জাদুর প্রদীপ পেতে হলে যা করতে হবে তা হল –

আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে গুগলের নিয়ম নীতি মেনে।

  • আপনাকে অবশ্যই এপ্লিকেশন করতে হবে আপনি যদি গুগল এডসেন্স পেতে চান।
  • নতুন অবস্থায় গুগলের এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়া একটু কঠিন হলেও আপনাকে চেষ্টা
    চালিয়ে যেতে হবে। যেমন একবার না পারিলে দেখো শতবার, তেমনি আপনার বার বার
    এপ্লিকেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
  • গুগলের পাবলিশার পলিসি সঠিকভাবে মানতে হবে।
  • আপনার ওয়েবসাইটে কোন কপিরাইট কনটেন্ট থাকা যাবে না।
  • এমনকি গুগল থেকে আপনি সকল ছবিও ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • Google এর নিয়ম নীতি না মানার কারণে অনেক ওয়েবসাইট ডিজেবল হয়ে যায়।

তবে গুগলের পেমেন্ট একদম সলিড। আর এই কারণে গুগলের চাহিদা অপরিসীম।  বর্তমান বিশ্বে যতগুলো অনলাইন ইনকাম নেটওয়ার্ক রয়েছে তার মধ্যে গুগল এডসেন্স হল সেরা।

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে কি কি প্রয়োজন

গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার যা প্রয়োজন হবে তা হলো –

  • গুগলের নিয়ম নীতি মেনে তৈরি করা একটি ওয়েবসাইট অথবা একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপস
    অথবা ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন হবে।
  • আপনার অবশ্যই একটি  ল্যাপটপ, বা স্মার্টফোন থাকতে হবে।
  • সক্রিয় একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে।
  • সর্বোপরি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলবেন

গুগল একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে গুগল সার্চ কঞ্চলে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। অতঃপর আপনার সামনে একটি ফর্মযুক্ত পেজ ওপেন হবে। এই পেজের ফর্ম গুলো পূরণ করলেই আপনার অ্যাপ্লিকেশন করা হয়ে যাবে। ফরমটিতে আপনার ওয়েবসাইট নেম ও ইমেইল এড্রেস দিলে দেখবেন গ্রেডিং রেডি লেখা প্রদর্শিত হবে। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি – ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি

গুগল এডসেন্স আপনাকে তাদের সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই ফলাফল প্রদর্শন করবে। যখন আপনি এডসেন্স পেয়ে যাবেন তখন শুধু রেডি লেখা প্রদর্শিত হবে।  আপনাকে গুগল ইমেইলের মাধ্যমে কংগ্রাচুলেশন জানাবে তাহলে আপনি হাতে পেয়ে যাবেন আপনার সোনার প্রদীপ।

সহজে গুগল এডসেন্স পাওয়ার নিয়ম

একটি অতি মূল্যবান অ্যাকাউন্ট হলো গুগল এডসেন্স। যারা অনলাইনে কাজ করেন তাদের সবার আশা গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা। যারা খুব সহজে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান তাদেরকে যে বিষয়গুলো জানতে হবে তা হল-

  • আপনার ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টি আর্টিকেল আছে কিনা দেখে নিন।
  • প্রত্যেকটি আর্টিকেল মানসম্মতভাবে লিখুন।
  • প্রত্যেকটি আর্টিকেলে এক হাজার থেকে দুই হাজার শব্দ রাখুন। আপনি এর বেশিও রাখতে
    পারেন।
  • আর্টিকেল কপিরাইট করবেন না।
  • নিজের মতো করে লিখুন।
  • ওয়েবসাইট যাতে দ্রুত লোড হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • আপনার ওয়েবসাইটের সাই ট ম্যাপ সাবমিট করুন।
  • গুগল সার্চ কঞ্চলে আপনার ওয়েবসাইট ভেরিফাই করুন।
  • আর্টিকেল লিখুন ইউজারদের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়।
  • ওয়েবসাইটে কিছু ভিজিটর যাতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • ওয়েবসাইটে গুগলের নীতিমালার বাইরে কোন কনটেন্ট পাবলিশ করবেন না।

সব কিছু ঠিক থাকলে এরপর এপ্লাই করুন। আপনি যদি সকল নিয়ম মেনে তারপর এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করেন দেখবেন আপনি অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন। সর্বোপরি আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে।

এডসেন্স পাওয়ার পর করণীয়

গুগলে এডসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে যা করতে হবে তা হল-

  • প্রতি হাজার ওয়ার্ডে তিনটি করে বিজ্ঞাপন দিন।
  • অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করবেন না।
  • রেস্পেন্সিভ অ্যাড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  • পেজ সিটি আর ১০% এর নিচে রাখার চেষ্টা করুন।
  • বেশি ইনকামের জন্য হেডারের নিচে একটি বিজ্ঞাপন দিন।
  • কোন ভিজিটর কে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার জন্য উৎসাহিত করা যাবে না।
  • এখানে ক্লিক করুন এমন কোন বিজ্ঞাপন দিবেন না।
  • সরাসরি ইমেজের নিচে কোন বিজ্ঞাপন দিবেন না।

আপনি যদি আজীবন ইনকাম করে যেতে চান তাহলে উপরের বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন। তাহলে আপনার এডসেন্স এর কোন ক্ষতি হবে না।

গুগল এডসেন্স সিপিসি CPC  কি

ক্লিক প্রতি কত টাকা মূল্য হয় তাকে বলা হয় সিপিসি।  CPC  এর পূর্ণরূপ হল কস্ট পার ক্লিক অর্থাৎ প্রতি ক্লিকে কত টাকা খরচ হয় তা বোঝানো হয়ে থাকে। মনে করুন আপনার ওয়েবসাইটে আজ ৫০টি ক্লিক পড়েছে আপনার একাউন্টে ৫০ ডলার জমা হয়েছে তাহলে আপনার সিপিসি হল পঞ্চাশ ৫0 অর্থাৎ ৫০ ডলার গুগল এডসেন্সের সিপিসি বিজ্ঞাপন দাতা নির্ধারণ করে দেয়। কোন কোন বিজ্ঞাপনের বেশি থাকে আবার কোন কোন সিপিসি  CPC  কম থাকে।

আরো পড়ুনঃ ক্রিপ্টো কারেন্সি কি – ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার জেনে নিন

সারাদিনে আপনার যত ক্লিক পড়ল এবং কত ডলার ইনকাম হল সেটা আপনি এভারেজ  সিপিসি দেওয়া হয়ে থাকে আপনি  এভারেজে সব দেখতে পাবেন।

গুগল এডসেন্স সিটি আর CTR কি

সিটিআর হল টোটাল পেজ ভিউ বা ক্লিক সিটিআর হল ক্লিক অর্থাৎ দিনে কতটি বিজ্ঞাপন ক্লিক করা হলো এটা বোঝায়। অর্থাৎ দিনে যদি আপনার পঞ্চাশ ভিউ হয় এবং ২০ জন ক্লিক করে বিজ্ঞাপনে তাহলে আপনার সিটিআর হবে শতকরা ৫%।

গুগল এডসেন্স আরপিএম RPM কি

প্রতি ১০০০ ভিউয়ে আপনার কত ইনকাম হয়েছে তা বোঝানোর জন্য পেজ আরপিএম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পেজ আরপিএম সূত্র হলো আর্নিং বাই পিএস ভিউ গুন এক হাজার পেজ আরপিএম অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে পেইজ ভিউ হয়েছে ৯৯৫ এবং আপনার আয় হয়েছে ৬.২৩ ডলার তাহলে আপনার আরপিএম হবে ৬.২৩/৯৯৫*১০০০ সমান সমান পেজ আরপিএম ৬.২৬।

গুগল এডসেন্স ইম্প্রেশন কি

আপনার ওয়েবসাইটে কি পরিমান বিজ্ঞাপন শো হচ্ছে এটাই হলো ইম্প্রেশন। আপনার ওয়েবসাইটে ঠিকমতো বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে কিনা আপনি তা অতি সহজেই ইমপ্রেশন দেখে বুঝতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জরুরি কিছু বিষয়

কত টাকা জমা হলে প্রেমেন্ট পাওয়া যায়

গুগল এডসেন্স থেকে আপনি যদি পেমেন্ট পেতে চান তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ১০০ ডলার বা তার চেয়ে বেশি থাকতে হবে। আর আপনার একাউন্টে যদি ১০০ ডলারের কম থাকে তাহলে আপনার এই ডলার পরবর্তী মাসের ইনকামের সাথে যুক্ত হবে এবং যে মাসে আপনার ১০০ ডলার পূরণ হবে তারপরের মাস থেকে আপনি ডিপোজিট করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স কত তারিখে পেমেন্ট করে

গুগল প্রতি মাসে ২১ তারিখে টাকা ডিপোজিট করে আর আমাদের দেশ থেকে পেতে তিন থেকে পাঁচ কর্ম দিব সময় লাগে অর্থাৎ আপনার ব্যালেন্স গুগল সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেয় আর এই প্রেমেন্ট পেতে আপনাকে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা কিভাবে উঠানো যায়

গুগল এডসেন্স খুব সহজেই ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আপনার পেমেন্ট আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবে। আপনার প্রতি মাসের পেমেন্ট আপনি প্রতি মাসে আপনার একাউন্টে পেয়ে যাবেন। গুগলের পেমেন্ট খুব সস্তা এবং আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

গুগল এডসেন্স এ কোন রিক্স আছে কিনা

আপনি যদি গুগল এডসেন্সের নিয়ম নীতি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে আপনার জন্য গুগল এডসেন্স এ কোন রিক্স নেই। আর আপনি যদি নিয়ম নীতির মধ্যে কাজ না করেন তাহলে আপনার এডসেন্স বন্ধ হয়ে যাবে। গুগলে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স।

শেষ কথা

আমি ওয়েবসাইট ডিজেবল কি –  ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি সেই সাথে গুগল এডসেন্স কিভাবে পেতে হয় গুগল এডসেন্স সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আপনারা যারা অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করেন তাদের অবশ্যই google এডসেন্স এর ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন আমি আশা করি আমার এই আলোচনা আপনাদের সচেতন হতে সাহায্য করবে।