কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থের জীবন ও কাব্যধারার পরিচয়, ওয়ার্ডওয়ার্থের কাব্যবৈশিষ্ট্য
ওয়ার্ডওয়ার্থের কবিতার কী কী লক্ষণের জন্য তাঁকে রোমান্টিক পরিবর্তনের প্রথম কবি হিসেবে পরিগণিত করা হয়, আলোচনা করো।
ইংরেজি সাহিত্যে সমগ্র অষ্টাদশ শতাব্দী জুড়ে যে কাল বা যুগ, সেই যুগকে বলা হয় ক্ল্যাসিক্যাল বা অগস্টান যুগ। এই যুগের সাহিত্যে স্বাধীন কল্পনা বা ভাবাবেগের অপেক্ষা বহিঃসৌষ্ঠব, ক্ল্যাসিক রীতি অর্থাৎ সনাতন সাহিত্যের নিয়মবন্ধন বা বহিরঙ্গ দিকের প্রতি বেশি অনুরাগ দৃষ্ট হয়। এই কালের রচনা প্রধানত বুদ্ধিপ্রধান, যুক্তিবাদী ও বিচারশীল।
এলিজাবেথীয় যুগের প্রাণোচ্ছলতা এই যুগে বিরলদৃষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু এর ফলে এই যুগের বিরুদ্ধে অর্থাৎ এই যুগের আত্যন্তিক নিয়মানুবর্তিতার বিরুদ্ধে যুগের অন্তপর্বেই প্রতিবাদের সুর শোনা যায়। সেই প্রতিবাদের কবি হিসেবে আঠারো শতাব্দীর শেষ পাদে কবি ব্লেকের নাম স্মরণীয়। কবি ব্লেকের মধ্য দিয়েই প্রধানত আবার বিস্ময় ও রহস্যের পুনর্জন্ম ঘটল। ঘোষিত হল রোমান্টিক যুগের ব্রহ্মমুহূর্ত।
উনিশ শতাব্দীর গোড়ায় দেখা দিল নতুন কবির দল। গদ্যের কথা পদ্য করে বলার পরিবর্তে, তাঁদের রচনায় আবার ফিরে এল পদ্যের দৃষ্টি নিয়ে গদ্য লেখা। ফিরে এলো হারানো মাধুরী। রোমান্সের হল পুনর্জাগরণ বা প্রত্যাবর্তন (Romantic Revival)। এক কথায় এই যুগকে বলা যায় ক্ল্যাসিক্যাল যুগের প্রতিবাদ। নতুন যুগের কবিদের এই প্রতিবাদী মন গঠনে একদিকে ফরাসি বিপ্লবের সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার উদাত্ত বাণী, সেই সঙ্গে রুশোর মানবিকতাবাদ এবং সামাজিক বিপ্লব অনেকখানি সাহায্য করেছিল। এই পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব আমরা সে যুগের রোমান্টিক কবি—ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কোলরিজ, শেলী, কীটস, বায়রন প্রমুখের মধ্যে দেখতে পাই।
এই কবিদের মধ্যে ওয়ার্ডসওয়ার্থ অগ্রজ। ওয়ার্ডস্ওয়ার্থের জীবন অবশ্য খুব ঘটনাবহুল নয়। জন্ম ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে। কাম্বারল্যান্ড অঞ্চলের ডারওয়েন্ট নদীতীরে ককারমাউথ (Cockermouth) গ্রামে কবির জন্ম। মাত্র আট বছর বয়সে মা অ্যান ও তেরো বছর বয়সে আইন ব্যবসায়ী পিতা জন ওয়ার্ডওয়ার্থ মারা যান। গ্রামের মুক্ত প্রকৃতির বুকে এবং সরল গ্রাম্য পল্লীবাসীদের মধ্যেই কেটেছিল তাঁর বাল্য ও কৈশোরের দিনগুলি। বাল্যকালের দেখা এই গ্রাম-জীবনের অনুভূতি তিনি ধরে রেখে দিয়েছিলেন তাঁর অমর কবিতাবলীতে। জীবনের প্রথম সতের বছর কাটে গ্রামের গ্রামার স্কুলে পড়াশুনো করেই। পরে তিন বছর কেমব্রিজের কলেজে অধ্যয়ন। এরই মধ্যে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ঘটে ফরাসি বিপ্লব ও বাস্তিলের পতন। কিছুদিন ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডে ঘুরে বেড়ান। ফরাসি বিপ্লবকে কবি প্রথমে অভিনন্দিত করলেও ফরাসি বিপ্লবের অতিশয়তা কবিকে বিপ্লব-বিতৃয় করে তোলে। কবি-ভগিনী ডরোথির সাহচর্য ও প্রকৃতির আহ্বানের মধ্য দিয়েই আবার তাঁর মনের শান্তির পুনরুদ্ধার হয়। এই সময় কবি কোলরিজের সঙ্গে বন্ধুত্বও কবি-প্রতিভা প্রকাশে সহায়ক হয়ে ওঠে। ওয়ার্ডওয়াথ উত্তরাধিকারসূত্রে এক বন্ধুর সম্পত্তি ও অর্থের অধিকারী হন। এর ফলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে কাব্যচর্চাতেই তিনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োগ করেন। তাঁর স্বপ্নতুষ্ট সরল জীবন অল্প অর্থে প্রয়োজন মিটিয়ে নিয়েছে। ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে কবির বিবাহ হয়, পরে এক কন্যাসন্তানও জন্মলাভ করে। কবি তাঁর পরিবার ও বোন ডরোথিসহ প্রথমে গ্রাসমেয়ারে (Grasmere) এবং পরে হ্রদতীরের নিভৃত আলয় রাইডাল মাউন্টে (Rydal Mount) জীবনের অবশিষ্ট সময় অতিবাহিত করেন। কবির কাব্য-জীবনের প্রথমদিকে কাঙিক্ষত স্বীকৃতি তিনি পাননি। কিন্তু পরে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের কাছে তিনি ক্রমেই বন্দিত হয়ে ওঠেন। কবি রবার্ট সাদের (Robert Southey ১৭৭৪-১৮৪৩ খ্রিঃ) মৃত্যুর পর ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ‘পোয়েট লরিয়েট’ (Poet Laureate) রূপে তিনি সরকারী স্বীকৃতিও পান। ওয়ার্ডওয়ার্থ দীর্ঘজীবী ছিলেন এবং দীর্ঘকাল ধরেই তিনি কাব্যসাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। তবু তাঁর কাব্য-জীবনের সেরা ফসল ফলেছিল ১৭৮৯ থেকে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ এই কয় বছরে।
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দেই ওয়ার্ডওয়ার্থ ও কোলরিজের যুগ্ম রচনা নিয়ে প্রকাশিত হয় একটি গীতিগাথা সংকলন ‘লিরিক্যাল ব্যালাডস্’ (Lyrical Ballads)। এই কাব্যসংগ্রহে কোলরিজ লিখেছিলেন অলৌকিক রহস্যের কবিতা। আর ওয়ার্ডওয়ার্থ তাঁর কবিতায় নিত্যপরিচিত জগৎ ও জীবনকে বিস্ময় বিমুগ্ধ দৃষ্টির নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করে তুলেছিলেন।
পূর্ববর্তী যুগের ভাব, ভাবনা এবং ভাব প্রকাশের বাচনভঙ্গিমার আভিজাত্য ত্যাগ করে তিনি তাঁর কবিতায় সাধারণ জীবনের অনেক কাছাকাছি নেমে আসেন। কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থের কাব্যবৈশিষ্ট্য তাঁর শিল্পগত ও ভাবগত দিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
(১) ভাষার দিক দিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত ভাষাকে তিনি কাব্যের আঙিনায় বরণ করে নিলেন। সহজবোধ্য সাধারণ ভাষার মধ্য দিয়েই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে নেমে এলেন। সেই সঙ্গে কবিতার আঙ্গিকেও আনলেন পরিবর্তন। পদ্যে গদ্যের শব্দ নির্বাচন দ্বারা গদ্য রচনাশৈলীর (Diction) ব্যবহার দেখা গেল তাঁর কবিতায়। মুক্তবন্ধ ছন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ যেমন সহজে গদ্য ছন্দে চলে এসেছেন তেমনি ওয়ার্ডস্ওয়ার্থও কবিতায় সহজ মুক্তছন্দ থেকে চলে এলেন গদ্যছন্দে। ভাষা ও ছন্দের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডসওয়ার্থের এই পদক্ষেপ সেই কালে চরম দুঃসাহসের পরিচায়ক। বলা যেতে পারে তাঁর হাতেই ছন্দোবদ্ধ কাব্যের প্রথম বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটল।
(২) প্রকৃতি বর্ণনাতেও কবির নতুন দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় পাওয়া যায়। প্রকৃতি বর্ণনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হল। পূর্ববর্তী কবিগণও প্রকৃতি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সেই বর্ণনা ছিল প্রধানত পরিবেশ বর্ণনা। প্রকৃতি এসেছে মানুষের সহায়করূপে এবং প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে। কিন্তু ওয়ার্ডওয়ার্থের ক্ষেত্রে প্রকৃতি জীবন্ত। শুধু জীবন্তই নয়, প্রকৃতিই মানুষের শেষ আশ্রয়, এই জীবন্ত প্রকৃতিই তিনি আমাদের দেখতে শিখিয়েছেন। কবির মতে, প্রকৃতিই হচ্ছে মানুষের friend, philosopher and guide। সমাজ জীবনে ক্ষতবিক্ষত মানুষের কাছে প্রকৃতিই হচ্ছে ক্ষত নিরাময়ক ও শান্তি প্রলেপক, healer and soother।
(৩) প্রকৃতিকে ভালোবেসে তিনি ভালোবেসেছেন মানুষকে। ওয়ার্ডস্ওয়ার্থের কবিতায় সে মানুষ মাটির কাছাকাছি সাধারণ মানুষ। একটি অতি সাধারণ, অতি ছোট পাহাড়ী মেয়েকে নিয়ে লেখা সাধারণ কবিতা তার ‘লুঙ্গি’ (Lucy)। সাধারণ এক বৃদ্ধ ভিখারীকে নিয়ে লেখা আর একটি অনবদ্য কবিতা ‘দ্য ওল্ড কাম্বারল্যান্ড বেগার’ (The Old Cumberland Beggar)।
এইভাবে সাধারণ ভাষা, সাধারণ মিষ্টিক, কবির চারপাশের সাধারণ প্রকৃতি এবং সাধারণ মানুষজনকে নিয়েও যে অসাধারণ কাব্য ও কাব্যব্যঞ্জনা সৃষ্টি করা যায় ওয়ার্ডওয়ার্থের কাব্যই তারই প্রমাণ। সাধারণ ধাতুপিণ্ডকে স্বর্ণপিণ্ডে রূপান্তর, সাধারণকে অসাধারণে রূপান্তরের এই বৈশিষ্ট্যই ছিল ওয়ার্ডওয়ার্থ তথা রোমান্টিক কবিগণের বৈশিষ্ট্য।
ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতাগুলি সাধারণত প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে লেখা ছোট ছোট কবিতা। এর মধ্যে একটি দীর্ঘ আখ্যানমূলক কাব্য হচ্ছে ‘রিকুজ’ (Reclues)। আপন জীবনের কথা ও অনুভব নিয়ে লেখা আত্মকাহিনীমূলক রচনা। একটা বড় কাব্য লেখার পরিকল্পনা নিয়ে লেখা আরম্ভ হলেও কাব্যটি অসমাপ্ত। কাব্যটির ভূমিকাখণ্ডের নাম ‘প্রিলিউড’ (Prelude = ভূমিকা); প্রথম খণ্ডের নাম ‘দ্য হোম অ্যাট গ্লাসমিয়ার’ (The Home at Grasmere) : দ্বিতীয় খণ্ডের নাম ‘দ্য এক্সকার্শন’ (The Excursion); তৃতীয় খণ্ড অসম্পূর্ণ। খন্ড তিনটি আগাগোড়া এক মাপের নয়। অনেক দুর্বল পঙ্কি রয়েছে, তবু অনেক স্থানেই রয়েছে বিস্ময়কর প্রতিভার দীপ্তি। কবির জীবন ও আদর্শ এই আত্মস্মৃতিমূলক কাব্যের মধ্য দিয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছে।
কবির কাব্য রচনা ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে শুরু হলেও ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে কোলরিজের রচনার সঙ্গে একত্রে প্রকাশিত ‘লিরিক্যাল ব্যালাডস্ই কবিকে সাধারণের কাছে প্রকাশ করে। এই সংকলন গ্রন্থেই প্রকাশিত হয়। কবির বিখ্যাত কবিতা ‘লাইনস রিটন অ্যাবাভ টিণ্টার্ন অ্যাবি’ (Lines Written Above Tintern Abbey)। কবিতাটিতে তাঁর আধ্যাত্মিক ভাবপরিস্ফুট। এই সময়েরই শেষদিকে রচিত হয় বুথ (Ruth), লুসি গ্রে (Lucy Grey), লুসি পোয়েম (Lucy Poem) প্রভৃতি কবিতাসমূহ। এই কবিতাবলীতে সাধারণ গ্রামের মেয়ের মধ্যে কবি অসাধারণকে দেখতে পেয়েছিলেন। সীমার মধ্যে এই যে অসীমের ব্যঞ্জনা এই-ই তো রোমান্টিক ব্যঞ্জনা। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে কবি তাঁর ভগিনী ডরোথিসহ গ্রাসমেয়ারে বসবাস শুরু করলেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হল তাঁর ‘মাইকেল’ (Michael) কবিতা। এই মাইকেল এক সাধারণ মানুষ। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে রচিত হয় কবির ‘প্রিলিউড’ কাব্যখণ্ডটি। অবশ্য কবির মৃত্যুর আগে এই কাব্য প্রকাশিত হয়নি। এই সময়েই কবির আধ্যাত্মিক ভাবনা-বিধৃত আর একটি আত্মকাহিনীমূলক বিখ্যাত কবিতা ‘ওড অন দ্য ইন্টিমেশন্স অব ইম্মর্টালিটি ফ্রম রিকালেকশনস্ অব আর্লি চাইল্ডহুড’ (Ode on the Intimations of Immortality from Recollections of Early Childhood) রচিত হয়।
এ ছাড়া এই সময়ে তিনি অনেক সনেট রচনা করেন। কবির এই সনেটগুলির মধ্যে ‘দ্য ওয়ার্লড ইজ টু মাচ উইথ্ আস্’ (The World is Too Much with Us) এবং ‘লণ্ডন ১৮০২’ (London, 1802) কবিতা দুটিতে যান্ত্রিক সভ্যতার প্রতি কবির বৈরাগ্য এবং লন্ডনের আদর্শচ্যুতিতে কবির দুঃখ প্রকাশিত হয়েছে। এই কবিতাটিতে তিনি মিল্টনের আত্মাকে আহ্বান করেছেন এই আদর্শহীন দেশে মহৎ আদর্শকে জাগিয়ে তুলতে। কবির ‘এক্সকারসন’ কাব্যখণ্ডটি প্রকাশিত হয় ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে। এই সময়েই প্রকাশিত হয় আর একটি আখ্যানমূলক কবিতা ‘লাওডামিয়া’ (Landamia)। এই কবিতাটি গ্রীক কাহিনী অবলম্বনে রচিত।
১৮২২ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাত্মভাবনামূলক কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়। এইগুলি মুখ্যত সনেট। এই ছোট কবিতাগুলি আকারে ছোট হলেও উৎকর্ষে ছোট নয়। এর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল কবির দু’টি উল্লেখ্য কবিতা ইয়ারো আন্ভিজিটেড’ (Yarrow Unvisited), ইয়ারো ভিজিটেড’ (Yarrow Visited)। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি লেখেন ‘ইয়ারো রিভিজিটেড’ (Yarrow Revisited)। কবির প্রথম জীবন ও শেষ জীবনের কিছু কবিতা নিয়ে কবির শেষ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে। সাধারণের কাছে কবি-প্রতিভার স্বীকৃতি আগেই জুটেছিল। ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ‘পোয়েট লরিয়েট’ উপাধিযুক্ত হয়ে পেলেন সরকারী স্বীকৃতি। কবির ‘টু দ্য কুক্কু’ (To the Cuckoo), ‘দ্য সলিটরি রীপার’ (The Solitary Reaper), টু এ হাইল্যাণ্ড গার্ল’ (To a Highland Girl) প্রভৃতি অতি পরিচিত কবিতা।
এই সাধারণ জগৎ ও সাধারণ জীবনের প্রতি কবির যে সর্বাত্মক সহানুভূতি, কবিমনের দরদী মনোভাব তাই জগৎ জীবনের গভীরে কবিকে টেনে নিয়ে গেছে, মানবপ্রেম কবিকে বিশ্বপ্রেমে ও বিশ্বাত্মাবোধে উন্নীত করেছে। এরই ফলে চেনা জগতের মধ্যেও এসেছে অচেনার বিস্ময় ও অজানার রহস্য। চলিত জীবন সম্পর্কে এই দৃষ্টিভঙ্গীই রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ এই রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রথম সার্থক কবি।
Leave a comment