প্রশ্নঃ “একটি স্বীকৃতি কেবলমাত্র চলতি তামাদিকেই প্রতিষ্ঠা করে না বরং নতুন কোনো দাবীর অধিকারকেও সৃষ্টি করেন”-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ১৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন সম্পত্তি বা অধিকার বিষয়ে মামলা অথবা দরখাস্ত দাখিল করার নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে যার নিকট হতে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার দাবী করা হচ্ছে, সে ব্যক্তি স্বয়ং অথবা তার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি যদি লিখিত ও স্বাক্ষরিত ভাবে উক্ত সম্পত্তি অথবা অধিকার বিষয়ে দায় স্বীকার করে। তবে এরূপ স্বীকৃতি স্বাক্ষরিত হবার তারিখ হতে নতুনভাবে তামাদিকাল গণনা করতে হবে। এতে কোন তারিখ না থাকলে মৌখিক সাক্ষ্য দিয়ে স্বাক্ষরের সময় নির্ণয় করা যাবে কিন্তু ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের বিধান সাপেক্ষে এর বিষয় বস্তু সম্পর্কে কোন মৌখিক সাক্ষ্য দেয়া যাবে না।
ঋণ পরিশোধ সম্পর্কে স্বীকৃতির ফলাফল বর্ণিত হয়েছে ২০ ধারায়। এ ধারা অনুযায়ী কোন দেনা বা দায়ের সুদ মেয়াদ শেষ হবার আগেই দায়ী ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি সে বাবত কোন অর্থ প্রদান করলে সেদিন থেকে নতুন করে তামাদি গণনা শুরু হবে। বন্ধককৃত জমি বন্ধকগ্রহীতার দখলে থাকলে খাজনা বা ফসলপ্রাপ্তির রসিদকেও অর্থ পরিশোধ বলে ধরা হবে।
২১ ধারার সারমর্ম হচ্ছে এই যে, দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঋণ গ্রহণ করলে একজনের স্বীকৃতি অপর ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাধ্যকর হবে না যদি না স্বীকৃতি দানকারী ব্যক্তি অপর ব্যক্তির পক্ষে আইনত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। নাবালক, পাগল বা জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে তার আইনত অভিভাবকের স্বীকৃতি আইনত গ্রাহ্য হবে।
অতএব দেখা যায় যে, স্বীকৃতির ফলে তামাদির সময় গণনা আপাতত স্থগিত রাখে কিন্তু নতুন কোনো অধিকার যা স্বত্ব সৃষ্টি করে না।
Leave a comment