একটি গ্রাম্য মেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা কর।
গ্রাম্য মেলায় একদিন
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
রাত ১১টা ৩০ মিনিট
গ্রামের বাড়িতে এসে আজ সারাটা দিন বেশ আনন্দে কেটেছে। সারাদিন হইহুল্লোড় করে এখন খুব ক্লান্ত লাগছে। তবুও লিখতে বসেছি । কারণ সারাদিনই এই আনন্দ অনুভূতিকে যেন কিছুটা হলেও ডায়ারির পাতায় ধরে রাখা যায়। আজ সকালবেলায় চাচাতাে ভাই জুয়েল, আকলিমা আপু, ছােটো বােন সুরাইয়া ও আমি মিলে ঠিক করলাম আমরা ‘সিমপাড়া বাজার মেলায় যাব। যেই কথা, সেই কাজ। সকলে মিলে তৈরি হয়ে মেলায় যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। সেখানে গিয়ে আমি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে আমরা মেলায় প্রবেশ করলাম। চারদিকের এত চেঁচামেচি, হট্টগােল, ঠেলাঠেলি, হাসি-কান্না, ছােটো ছােটো ছেলেমেয়ের বিস্ময়-বিমুগ্ধ দৃষ্টি, খুশির উচ্ছ্বাস, রং-বেরঙের পােশাক-আশাক— সবকিছু দেখে মনে হলাে আমি যেন এক অন্য জগতে এসে পড়েছি। আমরা সকলে মিলে মেলা ঘুরে দেখতে লাগলাম । ঘুরতে ঘুরতে কানে ভেসে এলাে নাগরদোলার কাচর ক্যাচর শব্দ। আকলিমা আপু, সুরাইয়া ও আমি নাগরদোলায় উঠে বসলাম। আমার বুকের ভেতরে কেমন যেন দুরুদুরু করছিল । আকলিমা আপু আমাকে অভয় দিয়ে আমার হাত চেপে ধরে রাখলেন। এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে নাগরদোলা থেকে নামলাম। তারপর আবার ঘুরতে শুরু করলাম। মেলায় কোথাও খেলনা, কোথাও তালা-কুলা-চালুনি, কোথাও কাঠের জিনিসপত্র, কোথাও মাটির জিনিসপত্র, কোথাও সাজসজ্জার জিনিসপত্র, কোথাও খাবারের জিনিসের দোকান বসেছে। আমি আমার গৃহসজ্জার জন্য কিছু মাটির জিনিস কিনলাম । আকলিমা আপু ও সুরাইয়া সাজসজ্জার বিভিন্ন জিনিস কিনল। জুয়েল ভাইয়াও তার প্রয়ােজনীয় কিছু জিনিস কিনল। অতঃপর আমরা ক্লান্ত হয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। শরীর ক্লান্ত হলেও সারাদিন খুব আনন্দে কেটেছে। তাই এই দিনটি আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।
Leave a comment