প্রশ্নঃ শাস্তি দানের উদ্দেশ্য কি? একজন অপরাধীকে কি একই অপরাধের জন্য একাধিক শাস্তি দেয়া যায়? উদাহরণ দাও। দণ্ডবিধির যথাযথ ধারার উল্লেখপূর্বক বর্ণনা কর।
Is there any provision for multifarious punishment for one offense? Cite example: Explain with the appropriate section of the penal code.
শাস্তিঃ সাধারণ অর্থে কোন ব্যক্তির উপর কষ্টদায়ক কিছু ব্যবস্থা আরোপ করাকে শাস্তি বলে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে আইন ভঙ্গের জন্য কিংবা কৃত কোন অপরাধের জন্য বিচারে দোষী ব্যক্তির উপর রাষ্ট্রীয় আদালত কর্তৃক আরোপিত কষ্টদায়ক ব্যবস্থাকে শাস্তি বলা হয়। আদালত ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বিধিবদ্ধ নিয়মের অধীনে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যে সকল বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন সেগুলিকেও শাস্তি বলা হয়৷
একজন অপরাধীকে একই অপরাধের জন্য একাধিক শাস্তি দেয়া যায় কিনা?
একটি অপরাধের জন্য যদি কোন ব্যক্তির একবার বিচার হয়ে থাকে তবে আর সেই অপরাধের জন্য বিচার করা যাবে না। বিচারে সে ব্যক্তি শাস্তি পেয়ে থাকুক বা খালাস হয়ে থাকুক তাকে আবার বিচারের জন্য ডেকে উত্যক্ত করা যাবে না। এই নীতিবাক্যটির প্রতিফলন ঘটেছে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০৩ ধারায়।
এই ধারাটির (১) উপধারায় বলা হয়েছে যে, কোন একটি অপরাধের জন্য উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন একটি আদালত একবার কোন ব্যক্তিকে বিচার করে ঐ অপরাধের জন্য দণ্ডাদেশ কিংবা খালাস দানের পর যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ দণ্ডাদেশ বা খালাসের আদেশ বহাল থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত একই অপরাধের জন্য ঐ ব্যক্তির পুনরায় বিচার করা যাবে না, কিংবা একই ঘটনাবলীর উপর অপর কোন অপরাধের ক্ষেত্রে যার জন্য তার বিরুদ্ধে আনীত চার্জ হতে ভিন্ন একটা চার্জ ২৩৬ ধারা মতে আনা অথবা যার জন্য ২৩৭ ধারা মতে দণ্ডাদেশ দেয়া যেতো, তেমন অবস্থায় পুনরায় ঐ ব্যক্তির বিচার করা যাবে না।
(২) উপধারায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কোন অপরাধের অভিযোগ হতে খালাস প্রাপ্ত হয়েছে বা দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়েছে সে ব্যক্তির বিচার পরবর্তীতে এমন একটি সুষ্পষ্টরূপে পৃথক অপরাধের জন্য করা যেতে পারে যার জন্য ২৩৫ (১) ধারায় পূর্বের বিচারই তার বিরুদ্ধে একটি পৃথক চার্জ গঠন করা যেতো।
(৩) উপ ধারার ভাষ্যে বলা হয়েছে যে, যখন কোন ব্যক্তি এমন একটি অপরাধের দরুন দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত হয়েছে যে অপরাধটি আবার এমনই একটি পরিণতি সৃষ্টিকারী কাজ দ্বারা গঠিত যা ঐ কাজের সহিত একত্রে মিলিত হয়ে যে অপরাধের জন্য পূর্বে সে দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত হয়েছে তা হতে সম্পূর্ন ভিন্ন একটি অপরাধ সৃষ্টি করেছে, তাহলে সর্বশেষ উল্লেখিত অপরাধের জন্যে পরে তার আবার বিচার হতে পারে; যদি দেখা যায় যে, যখন সে দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত হয়েছে তখন কথিত পরিণতির উদ্ভব হয়নি অথবা উদ্ভব হয়েছে তেমন তথ্য আদালতের জানা ছিল না।
এই ধারার (৪) উপধারায় বলা হয়েছে যে, এমন কোন কাজ দ্বারা সৃষ্ট কোন অপরাধ হতে খালাস প্রাপ্ত হয়েছে বা দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত হয়েছে এমন কোন ব্যক্তি ঐ জাতীয় খালাসপ্রাপ্ত কিংবা দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও এমন একই কার্য দ্বারা সৃষ্ট অপর যে কোন অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হতে পারে এবং এজন্য তার বিচারও করা যেতে পারে এবং এজন্য তার বিচারও করা যেতে পারে যদি প্রথমে যে আদালতটি তার বিচার করেছিল তা ঐ অপরাধটির বিচার করার এখতিয়ার সম্পন্ন না হয়ে থাকে যে অপরাধটির জন্য এখন তার বিচার হচ্ছে।
Leave a comment