উৎপল দত্তের ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকের নামকরণ

উনিশ শতকের ঔপনিবেশিক শাসনাধীন নাট্যকর্মীদের অস্তিত্বসংকট, নাট্যচর্চার জন্য অভূতপূর্ব ত্যাগ এবং বহুমুখী প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সংগ্রামের ঐতিহাসিক বৃত্তান্তকে‌ অবলম্বন করেই রচিত হয়েছে উৎপল দত্তের ‘টিনের তলোয়ার’ নাটক। সাধারণ রঙ্গালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নাটকটি রচিত ও অভিনীত হলেও এ নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে সমাজপ্রভু ও ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে তৎকালীন নাট্যশিল্পীদের প্রতিবাদী ভূমিকার গুরুত্বটি। নাটকে ব্যবহৃত প্রতিবাদ বা বিদ্রোহের সুর কিংবা টিনের তৈরি কৃত্রিম তরবারিও যে আসল বিদ্রোহ বা সংগ্রামের বীজভূমি তৈরি করে দিতে পারে, সেই সত্য ব্যঞ্জিত হয়েছে নাটকের ‘টিনের তলোয়ার’ নামকরণের মধ্যেই।

উনিশ শতকের বাংলা থিয়েটারের সূচনাপর্ব রচিত হয়েছিল কলকাতার ধনী অভিজাত শ্রেণির পৃষ্ঠপোষকতায়। সামন্তযুগীয় কবিগান-পাঁচালি-খেমটা ঝুমুরের পরিবর্তে ইউরোপীয় থিয়েটারের অনুসরণে আধুনিক প্রসেনিয়াম থিয়েটারের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাঁরা তাঁদের আভিজাত্য গর্ব, উন্নত সাংস্কৃতিক রুচি এবং ইংরেজ রাজপুরুষদের আতিথ্য গৌরব প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। মনে রাখতে হবে, কলকাতার এই অভিজাত শ্রেণি ছিলেন ইংরেজ বণিকদের বাণিজ্যসহযোগী, ভূমিস্বত্বভোগী, বিদেশীয়দের ব্যবসায়ের উচ্ছিষ্টভোগী, তাঁদের কৃপাবর্ষণে কৃতার্থ, ইংরেজ প্রদত্ত খেতাব অর্জনে গৌরবান্বিত। ফলে তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলায় যে নাট্যচর্চার সূচনা হয়েছিল, তা ছিল একান্তই আধুনিক শিক্ষিত বাঙালির মনোরঞ্জনের উপকরণ। এবং স্বভাবতই বণিক ইংরেজের শোষণ-শাসনও এইসব দেশীয় অভিজাত জমিদার বেনিয়া মুৎসুদ্দিদের লাম্পট্য ব্যভিচার অবিচার অত্যাচারের বিরুদ্ধ-কণ্ঠস্বর এইসব ধনীগৃহের নাট্যমঞ্চের অভিনীত নাটকে কখনওই প্রশ্রয় পেত না।

কিন্তু ১৮৫৭-র সিপাহি বিদ্রোহ শোষিত বঞ্চিত প্রতারিত দেশবাসীর মনে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহচেতনা ও মুক্তিবাসনাকে সঞ্চারিত করে দিয়েছিল। দেশের বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীসাহিত্যিকদের মধ্যেও ইংরেজের হিংস্র শোষণের স্বরূপ অগোচর ছিল না। দেশীয় সম্পদের ক্রমাগত বহির্গমন, লোভী ইংরেজ কর্মচারীদের উদগ্র মুনাফা সন্ধান, আমদানি-রফতানি নীতির পুনর্গঠন, শুল্কহার বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় কৃষি অর্থনীতি ও কুটিরশিল্পকে চূড়ান্ত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল। সিপাহি বিদ্রোহের পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার হাতে ভারত শাসনের দায়িত্বভার অর্পিত হলেও অপশাসন ও শোষণের কোনো পরিবর্তন ঘটল না। ফলে ব্রিটিশ শাসনের ন্যায়বিচার, মানবতা, সমানাধিকার, যুক্তি-সত্য, সুশাসনের প্রত্যাশা ভূলুণ্ঠিত হল। এই অপশাসনের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল এক তীব্র বিদ্রোহচেতনা। বাংলা নাটকেও সেই বিদ্রোহী মানসিকতার প্রকাশ ঘটছিল ক্রমশ। ১৮৬১-তে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে নীলকরদের অনাচার-অত্যাচার ব্যভিচার এবং বিচার ব্যবস্থার প্রহসন নগ্নভাবে উন্মোচিত হল। ‘নীলদর্পণ’-এর প্রভাবে ‘চাকরদর্পণ’ ও অন্যান্য কিছু বিদ্রোহমূলক নাটকেরও সূত্রপাত হল।

কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই এই বিদ্রোহমূলক নাটকগুলি পৃষ্ঠপোষক ধনিকশ্রেণি তাঁদের শখের নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হতে দেন নি। ১৮৭২-এ সাধারণ রঙ্গালয় হিসাবে ন্যাশনাল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা বাংলা রঙ্গমঞ্চে এই বিদ্রোহচেতনাকে প্রকাশের সুযোগ এনে দিল। ন্যাশনাল থিয়েটারের যাত্রা শুরু হল ‘নীলদর্পণ’ নাটকাভিনয়ের মধ্য দিয়ে।

ন্যাশনাল থিয়েটারের আয়ুষ্কাল বেশিদিন না হলেও গ্রেট ন্যাশনাল ও প্রতিযোগী নাট্যদলগুলি ভারতীয় জনগণের এই বিদ্রোহচেতনা ও মুক্তিবাসনাকে ক্রমাগত রূপ দিতে থাকলেন তাঁদের নাটকে। ‘গজদানন্দ ও যুবরাজ’, ‘সতী কি কলঙ্কিনী’, ‘সুরেন্দ্র বিনোদিনী’, ‘শরৎ-সরোজিনী’, ‘হীরকচূর্ণ’ প্রভৃতি নাটকে প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও বিদ্রোহ ঘোষিত হল।

এই প্ৰগতিপন্থী সাহসী নাট্যকর্মীরা শুধু যে ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধেই বিদ্রোহবাণী উচ্চারণ করেছিলেন তা নয়, দেশীয় ধনী, ব্রাক্ষ্মণ, অভিজাত, ক্ষমতাদশ্তী শ্রেণির ব্যভিচার, লাম্পট্য, ধর্মান্ধতা, অত্যাচারী ভূমিকার বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিল নাট্যকারদের কলম। দীনবন্ধু ও মধুসূদনের প্রহসনগুলি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

অতএব উনিশ শতকের এই প্রগতিপন্থী বিদ্রোহী নাট্যকর্মীদের নাট্যঅস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছিল দুটি শত্রুশ্রেণির বিরুদ্ধে ; একদিকে দেশীয় রক্ষণশীল অভিজাত ব্যভিচারী ধনিক ও উচ্চশ্রেণি, অন্যদিকে ব্রিটিশ রাজশক্তি। ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকে গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের ঐতিহাসিক নাট্যভূমিকাকে পরোক্ষে উপস্থাপিত করা হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে এখানে এসেছে অর্ধকল্পিত গ্রেট বেঙ্গল অপেরার প্রসঙ্গ। গ্রেট বেঙ্গল অপেরার বেণীমাধব ও অন্যান্য নাট্যকর্মীদের নাট্যপ্রচেষ্টার পথে বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়েছে। প্রথমত, ভারতসংস্কারক পত্রিকা, বাচস্পতি ইত্যাদি রক্ষণশীল রুচিবাগীশের দল; দ্বিতীয়ত, বীরকৃষ্ণ দাঁর মতো শিক্ষা ও রুচিহীন ইংরেজের বশংবদ ধনী মুৎসুদ্দি থিয়েটার মুৎসুদ্দি ; তৃতীয়, ব্রিটিশ শাসকশক্তি।

‘টিনের তলোয়ার’ নাটকের বেঙ্গল অপেরার নট ও নির্দেশক বেণীমাধব চাটুজ্যের মধ্যে এই ত্রিমুখী চাপের মধ্যে নাট্যচর্চার তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব অঙ্কন করা হয়েছে। তার মধ্যে বাচস্পতির নেতৃত্বে ও ভারতসংস্কারকের মতো পত্রিকার প্ররোচনায় যে প্রত্যক্ষ আক্রমণ ঘটেছে মহলাগৃহে, তাকে কিছুটা করুণা ও উপেক্ষাই করেছেন বেণীমাধব। নাটকে ব্যবহৃত নকল ঢাল-তরোয়াল দিয়েই সেই আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। কিন্তু এই আক্রমণের বিরুদ্ধে কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি, কেননা প্রশাসনের তরফে এই নাট্যকর্মীদের কোনো সহায়তার প্রত্যাশা বেণীমাধব করেন নি। ঢাল ও টিনের তলোয়ারগুলি কেবল সাময়িকভাবে এই আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যই ব্যবহৃত হয়েছে দেখতে পাই।

কিন্তু বীরকৃষ্ণ দাঁর মতো স্থূলরুচি ব্যবসায়ী মুৎসুদ্দি স্বত্বাধিকারীর অধীনে বেণীমাধবের নাট্যপ্রতিভা তীব্র আত্মগ্লানি অনুভব করেছে। দীনবন্ধুর ‘সধবার একাদশী’ নাটকাভিনয়ের ব্যাপারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বত্বাধিকারী বীরকৃষ্ণ দাঁ স্বয়ং। কারণ বীরকৃষ্ণের মতে— “আমাদের গাল দেবে আমরাই টাকা ঢালবো, এমন মামাবাড়ির আব্দার চলতে পারে না।” কলকাতার এই হঠাৎ বাবুদের চারিত্রিক সমালোচনামূলক নাটক তাই এই ধনী বাবুদের পরিপোষিত নাট্যমঞ্চে মঞ্চস্থ হওয়ায় বাধা ছিল সে সময়ে। হঠাৎ বাবুরা বুঝতে পেরেছিলেন, বাস্তব প্রতিবাদ না হলেও নাটকে উচ্চারিত এই ব্যঙ্গই তাঁদের লাম্পট্য অনাচারের মুখোশ খুলে দিয়ে প্রবল জনমত তৈরি করতে পারে। ফলে নাটকের কৃত্রিম অনুকরণকেও রীতিমতো ভয় পেয়ে সতর্ক হয়েছিলেন কলকাতার অভিজাত বাবুশ্রেণি।

এই একই ভয় বৃহত্তর ক্ষেত্রে সঞ্চারিত হয়েছিল ব্রিটিশ শাসকের মধ্যেও। ১৮৬১ তে ‘নীলদর্পণ’ ও তার ইংরাজি অনুবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ রাজশক্তি সে নাটক নিষিদ্ধ করে ও মামলায় জেমস্ লঙের জরিমানা হয়। এরপর ‘সুরেন্দ্র বিনোদিনী’, ‘গজদানন্দ ও যুবরাজ’, ‘পুলিশ অফ দ্য পীগ এ্যান্ড শিপ’, ‘সতী কি কলঙ্কিনী’ প্রভৃতি নাটক মঞ্চস্থ করার ব্যাপারে অশ্লীলতা ও রাষ্ট্রদোহে প্ররোচনার অভিযোগে নেমে আসতে থাকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা।

‘টিনের তলোয়ার’ নাটকে বেঙ্গল অপেরার অস্তিত্ব সংকটে ও অর্থকষ্টে বিপন্ন আত্মসমর্পণে উন্মুখ বেণীমাধবের দ্বন্দ্বক্ষুব্ধ মনে এই বিদ্রোহের সঞ্চার ঘটাতে চেয়েছেন প্রিয়নাথ। দেশের সার্বিক শাসন ও লাঞ্ছনার মুহূর্তে নাট্যকর্মীদের গুরুদায়িত্বের কথা প্রিয়নাথ বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সেই বাস্তব ও দায়বদ্ধতাকে অস্বীকার করে বেণীমাধব মনোরঞ্জনের নাটক করেছেন বলে তিরস্কার করেছেন প্রিয়নাথ। কিন্তু বেণীমাধব জানেন তাঁর অস্তিত্ব সংকটের স্বরূপ। একদিকে দেশীয় বেনিয়া মুৎসুদ্দির রুচিস্থূলতা, অন্যদিকে ইংরেজ রাজশক্তির ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে বিদ্রোহপ্রকাশের ফল নাট্যকর্মীদের অস্তিত্বকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। বেণীমাধব জানেন, থিয়েটারের নকল টিনের তৈরি তলোয়ার দিয়ে অমিতশক্তি রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই অসম্ভব–“দেশপ্রেম। ইঃ। টিনের তলোয়ার নিয়ে গোরা সৈন্যের সঙ্গে লড়বেন?”

একথা সত্যই নাটকে ব্যবহৃত নকল টিনের তলোয়ার নিয়ে ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বপ্ন অবাস্তব। কিন্তু দেশের জড়তাগ্রস্ত মনকে, বিদ্রোহের সুপ্ত আগুনকে তীব্র মুক্তির বাসনাকে সঞ্জীবিত করে জনমতকে সংঘবদ্ধতার শক্তি দিতে পারে নাটক। প্রিয়নাথ সেই উদ্দেশ্যেই নাট্যকর্মীদের দায়বদ্ধতার মন্ত্রে উদ্বোধিত করতে চেয়েছিলেন। গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের বিদ্রোহাত্মক নাটকগুলিও ছিল ঔপনিবেশিক ইংরেজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন জ্বালার ও ভারতবর্ষকে মুক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত করার অস্ত্র। যদিও প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সংগ্রামের পরিবর্তে এই বিদ্রোহ ছিল নাট্যমঞে বিদ্রোহের অভিনয় মাত্র, তবু সেই বিদ্রোহাত্মক নাট্যঅস্ত্র ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল ইংরেজ শাসনের। আর এই কারণেই বিদ্রোহাত্মক নাটক যতই অভিনয় হোক, তার শক্তিতে ভীত হয়ে ১৮৭২-এ শেষ পর্যন্ত নাট্যনিয়ন্ত্রণ আইন বলবৎ করেছিল। ইংরেজ সরকার। পুলিশবাহিনী নিয়ে নাট্যমঞ্চে আক্রমণ চালিয়ে, নট-পরিচালক-মঞ্চাধিকারীকে গ্রেফতার করেও শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ আইনের রক্তচক্ষু দিয়ে তারা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল নাট্যমঞ্চে টিনের তরবারি নিয়ে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিনয়।

বেণীমাধব আত্মঅস্তিত্বের স্বার্থে মুৎসুদ্দি বীরকৃষ্ণ ও ব্রিটিশ ল্যামবার্টের মন্পসন্দ নিরীহ মনোরঞ্জনমূলক নাটকে ব্যাপৃত থাকলেও ভিতরে ভিতরে প্রিয়নাথের দ্বারাই প্রভাবিত হচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত তাঁকে বুঝতে হয়েছিল, ব্রিটিশের মুৎসুদ্দি বীরকৃষ্ণের কাছে মুক্তি পেলেও, ব্রিটিশের শৃঙ্খল থেকে দেশের মুক্তি না ঘটলে স্বাধীন জীবনাচরণ তো দূরের কথা, স্বাধীনভাবে নাটক করাও অসম্ভব। ফলে আত্মদ্বন্দ্বে দোলায়িত বেণীমাধব নাটকের শেষদৃশ্যে নাট্যমঞ্চে তার অভিনয়ের (টিনের তলোয়ার) মধ্য দিয়েই একদিকে বীরকৃষ্ণ অন্যদিকে ইংরেজ রাজপুরুষদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা যুদ্ধ ঘোষণা করে ‘তিতুমীর’ নাটকের সংলাপ উচ্চারণ করে। টিনের তলোয়ার’ নামকরণটি তাই এ নাটকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ব্যঞ্জনাবাহী হয়ে ওঠে। এই নাট্য আখ্যানের মধ্য দিয়ে এবং নামকরণের ব্যঞ্জনায় আসলে ঘোষিত হয় সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতিও জীবনধারা পরিবর্তনের এক শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে ওঠার শক্তি রাখে।