উপন্যাসের ইংরেজি প্রতিশব্দ Novel শব্দটি ইংরেজিতে এসেছে ইতালিয় শব্দ novella থেকে, আর এর অর্থ হচ্ছে tale, piece in news।
উপন্যাসের সংজ্ঞার্থ নির্ণয় করে J. A Cuddon তাঁর ‘
ঐতিহাসিক উপন্যাস কাকে বলে :-
ঐতিহাসিক উপন্যাস বলতে সেই উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যার ঘটনাবলী ও চরিত্রগুলো কোনও না কোনওভাবে ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত।
কোনও ঐতিহাসিক ঘটনা বা ব্যক্তিকে নিয়ে লেখকের কল্পনার উড়ালে রচিত উপন্যাসকেই ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা হয়। এখানে ইতিহাস হলো উপন্যাসের প্রেরণা এবং প্রাথমিক উপাদান।
যেমন:
১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গানাথ, কাপালকুণ্ডলা
২. সরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পুঁজিপতি
৩. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৈনিকালীন, আরণ্যক
এসব উপন্যাস ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
সামাজিক উপন্যাস কাকে বলে :-
সামাজিক উপন্যাস বলতে সেই উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যার মূল বিষয়বস্তু হলো কোনও না কোনও সমাজ বা সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা।
সামাজিক উপন্যাসে সামাজিক ব্যাপারগুলো যেমন সামাজিক প্রথা, রীতি-নীতি, মান-মর্যাদা, সংস্কৃতি, ধর্ম ইত্যাদির পাশাপাশি দারিদ্র্য, শোষণ, নারী নির্যাতন এবং বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হয়।
কিছু উদাহরণ:
১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি, স্বামী
২. শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পাত্রলীর প্রতিমূর্তি
৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাচীর
এ ধরনের উপন্যাসগুলো বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে প্রচার করে এবং সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
আঞ্চলিক উপন্যাস কাকে বলে :-
আঞ্চলিক উপন্যাস বলতে সেই সকল উপন্যাসকে বোঝায় যার ঘটনাবলী এবং প্রধান চরিত্রগুলো নির্দিষ্ট কোনো এলাকা বা আঞ্চলিক জীবনযাত্রার সাথে জড়িত।
আঞ্চলিক উপন্যাসে সেই নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা, রীতি-নীতি, ভাষা-ভাবনা এবং সংস্কৃতির স্বতন্ত্র প্রতিফলন ঘটে। এই উপন্যাসগুলোতে সেই আঞ্চলিকতার স্বাদ রয়েছে।
কিছু উদাহরণ:
১. শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী (ম্যাগুড়া আঞ্চলিকতা)
২. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের দাওয়াত (ম্যাগুড়া আঞ্চলিকতা)
৩. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাত্রলীর মেয়ে (বীরভূম আঞ্চলিকতা)
এগুলোতে নির্দিষ্ট এলাকার ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
রাজনৈতিক উপন্যাস কাকে বলে :
রাজনৈতিক উপন্যাস বলতে সেই ধরনের উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যেগুলোর মূল উপাদান হলো রাজনীতি। এই উপন্যাসগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনীতিবিদদের চরিত্র, রাজনীতির প্রভাব ইত্যাদির বিশদ বর্ণনা থাকে।
কিছু উদাহরণ:
১. সরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রামমোহনের দ্বারপাল
২. শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৈনিকালীন
৩. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের মাটি
এসব উপন্যাসে সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলীয় রাজনীতির প্রভাবের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পৌরাণিক উপন্যাস কাকে বলে :
পৌরাণিক উপন্যাস বলতে সেই উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যার বিষয়বস্তু পৌরাণিক বা ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত কোনও ঘটনা, পুরাণে উল্লেখিত কোনও পাত্র বা সেগুলোর উপর আধারিত।
পৌরাণিক উপন্যাসে পুরাণের ঘটনা ও চরিত্রগুলোকে আধুনিক চিত্রায়নের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এখানে একটা সমন্বয়ভাব তৈরি করে নতুন মাত্রা ও গভীরতা যুক্ত করা হয়।
কিছু উদাহরণ:
১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্তিকা
২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবীচন্ডী
৩. ঋতুপর্ণ ঘোষের জয়তি
কাব্যধর্মী উপন্যাস কাকে বলে :
কাব্যধর্মী উপন্যাস বলতে সেই উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যেগুলো গদ্য হলেও কাব্যধর্মী উপাদান বেশি থাকে।
এতে ঘটনার তুলনায় চরিত্র, প্রকৃতি, মনোভাব বর্ণনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাষার ব্যবহারে কাব্যধর্মী সৌন্দর্য রয়েছে। গদ্য উপর কাব্যধর্মী প্রভাব প্রকাশ পায়।
কিছু উদাহরণ:
১. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাচীর
২. বিবেকানন্দ দত্তের ছেলেমেয়েরা
৩. শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষোদ্ধার
এগুলোতে গদ্যের মধ্যে কাব্যধর্মী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস কাকে বলে :
আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস বলতে সেই ধরনের উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যেগুলোতে লেখকের নিজের জীবনের অংশবিশেষ বা সম্পূর্ণ জীবনকাহিনীকেই ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে উপন্যাস।
এখানে লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, স্মৃতি এবং বাস্তব জীবনের ঘটনাপ্রবাহই হয় উপন্যাসের বিষয়বস্তু। তাই এতে বাস্তবতার ছাপ থাকে এবং লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ ঘটে।
কিছু উদাহরণ:
১. বিবেকানন্দ দত্তের আমার সোনার বাংলা
২. জগদীশ গুণের কালপুরুষ
৩. সমরেশ বসুর নীল আকাশের নীচে
নকশা ধর্মী উপন্যাস কাকে বলে:
নকশা ধর্মী উপন্যাস বলতে সেই উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যাতে নাটকের মত প্রবন্ধ, কথোপকথন এবং অভিনয় দিয়ে গল্পটি গড়া হয়েছে।
এর বৈশিষ্ট্যগুলো:
১. অভিনয় সহ কথোপকথনের মাধ্যমে গল্প বলা হয়।
২. পাত্রগুলোর মধ্যে সংলাপ হয়, যা নাটকের মতো।
৩. ঘটনা এবং পরিবেশ বর্ণনার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় চরিত্র চিত্রায়ন ও মনোভাব তুলে ধরা।
৪. প্রায়ই থিয়েটার, অভিনয় ও কথোপকথনের মত প্রকৃতির হয়।
এই ধরনের উপন্যাসকে নাটকধর্মী উপন্যাসও বলা হয়।
রোমান্স ধর্মী উপন্যাস কাকে বলে:
রোমান্স ধর্মী উপন্যাস বলতে সেই উপন্যাসগুলোকে বোঝায় যাতে প্রেম, ভালোবাসা ও যৌন আকর্ষণ প্রধান বিষয়বস্তু।
এর বৈশিষ্ট্যগুলো:
১. রোমান্টিক/প্রেমের কাহিনী।
২. নায়ক-নায়িকার মধ্যে ভালোবাসা।
৩. সহজ, আকর্ষণীয় ভাষার ব্যবহার।
৪. প্রায়ই শৃংগার, উত্তেজনামূলক।
৫. উপন্যাসের শেষাংশে সুখী শেষ বা happy ending।
রোমান্স ধর্মী উপন্যাসের কিছু উদাহরণ:
১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাপালকুণ্ডলা
২. শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষের কবিতা
৩. সত্যজিৎ রায়ের প্রতিমার বউ
৪. উপেন্দ্রনাথ অশ্বের নীলধনুষ
৫. আশাপুরন দেবীর প্রতিমায়ের স্বপ্ন
এসব উপন্যাসে প্রেম-কাহিনী এবং রোমান্স প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
হাস্যরস উপন্যাস :-
হাস্যরস প্রধান উপন্যাসে একটি অসাধারণ দৃষ্টিকেন্দ্র থেকে জীবনের পর্যবেক্ষণ এবং তার প্রচলিত গতির মধ্যে বক্ররেখা ও সূক্ষ্ম অসংগতির কৌতুককর আবিষ্কার করা হয়।
ডিটেকটিভ বা রহস্য উপন্যাস :-
এই রহস্য মূলক উপন্যাসে অপরাধমূলক ঘটনা স্থান পায় এবং পুলিশী তৎপরতার মাধ্যমে কূটবুদ্ধির প্রখরতা প্রকাশ পায়।
উপন্যাসের প্রধান উপাদান কি কি :-
উপন্যাসের প্রধান উপাদান কি? একটি উপন্যাস তৈরীর ক্ষেত্রে প্রধান ৫টি উপাদানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১ – ঘটনা
২ – চরিত্র
৩ – সংলাপ
৪ – ভাষা এবং
৫ – ঔপন্যাসিকের জীবন দর্শন।
উপন্যাসের উপাদান – ঘটনা
উপন্যাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ঘটনা। উপন্যাসে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বলা যায়:
১. উপন্যাসের ঘটনা বলতে বুঝায় সময়ের সাথে সাথে পাত্রদের মাঝে যা ঘটে তাকে। এই ঘটনার মাধ্যমেই গল্পটি এগিয়ে যায়।
২. ঘটনা সাধারণত একাধিক। একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনা ঘটে। এগুলোর মাঝে একটি সম্পর্ক বা সম্পর্কবিচ্ছিন্নতা থাকে।
৩. প্রধান ঘটনা থেকে অন্যান্য সহায়ক ঘটনা জন্ম নেয় এবং গল্পটি এগিয়ে যায়।
৪. গল্পের শুরুতেই এক বা একাধিক ঘটনা থেকে শুরু হয় যা আসল গল্পের প্রবেশ ঘটায়।
৫. ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমেই পাঠকের আগ্রহ ও উৎসাহ বজায় রাখা হয় এবং গল্পের উপর নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তাই ঘটনা উপন্যাস লেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
উপন্যাসের উপাদান – চরিত্র
উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো চরিত্র। চরিত্র সম্পর্কে বলা যেতে পারে:
১. উপন্যাসের চরিত্র বলতে বোঝায় উপন্যাসে যে ব্যক্তিগত পাত্রগুলো কাজ করে তাদের।
২. চরিত্র দুই ধরনের – প্রধান চরিত্র এবং দ্বিতীয়কথার চরিত্র।
৩. চরিত্রের মাধ্যমেই ঘটনাবলী তৈরি ও পরিচালিত হয়।
৪. চরিত্রগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক-বিরোধ থেকেই ঘটনা সৃষ্টি হয়।
৫. চরিত্রের মাধ্যমেই লেখক তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সুতরাং, চরিত্র উপন্যাস গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপন্যাসের উপাদান – সংলাপ
উপন্যাসে সংলাপও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্কে কিছু বিষয়:
১. সংলাপ বলতে চরিত্রগুলোর মধ্যে যে কথোপকথন হয় তাকে বোঝায়।
২. সংলাপের মাধ্যমেই পাত্রগুলোর মাঝে সম্পর্ক-বিরোধ তৈরি হয় এবং গল্পটি এগিয়ে যায়।
৩. সংলাপ দিয়ে লেখক তার বক্তব্য ও মতামত প্রকাশ করে থাকেন।
৪. পাত্রের চরিত্র ও মনোভাব তুলে ধরতে সংলাপই সর্বোত্তম মাধ্যম।
৫. উপন্যাসকে আরও স্বাভাবিক ও জীবন্ত করে তোলার জন্যও সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং সংলাপ অবশ্যই উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
উপন্যাসের উপাদান – ভাষা
উপন্যাসে ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বলা যায়:
১. উপন্যাস লেখার জন্য সহজ ও আকর্ষণীয় ভাষাই সবচেয়ে উপযুক্ত।
২. চরিত্র এবং অবস্থার উপযুক্ত হওয়ার জন্য ভাষা নির্বাচন করতে হয়।
৩. শিল্পীর মতামত, বক্তব্য প্রকাশে ও বৈশিষ্ট্য তৈরিতে ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. সহজ ও প্রবাহময় ভাষাই পাঠককে আকৃষ্ট করে।
৫. ভাষায় রস, তাত্পর্য, সংগতি লাভ করতে হবে যাতে গল্পটি স্বাভাবিক হয়।
অতএব, উপন্যাসে ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
উপন্যাসের উপাদান – ঔপন্যাসিকের জীবন দর্শন
উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে লেখক অথবা উপন্যাসিকের জীবনদর্শন। এ বিষয়ে কিছু মূল বিষয়:
১. লেখকের জীবনদর্শন এবং চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটে উপন্যাসে।
২. উপন্যাসিকের মতামত ও বক্তব্য তুলে ধরা হয় উপন্যাসের বিভিন্ন উপাদান যেমন চরিত্র, ঘটনা, সংলাপ এর মাধ্যমে।
৩. উপন্যাসে লেখকের সমাজ, নারী, ধর্ম, রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে দর্শনও প্রকাশ পায়।
৪. একই লেখকের বিভিন্ন উপন্যাসে দর্শনের এক ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়।
৫. লেখকের সাহিত্যকর্মের মূলে থাকে তাঁর জীবনদর্শন।
তাই উপন্যাসে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
উপন্যাস গঠনের কৌশল :-
বিখ্যাত কিছু ঔপন্যাসিক ও তাঁর উপন্যাস রচনা :-
ভূদেব মুখোপাধ্যায় :-
বাংলা ইতিহাস নির্ভর উপন্যাসের ক্ষেত্রে ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের একটি মূল্যবান স্থান আছে। ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের ‘সফল স্বপ্ন‘ ও ‘অঙ্গুরীয় বিনিময়’ দুটি ঐতিহাসিক উপন্যাস।
‘সফল স্বপ্ন’ এর উৎস কন্টারের ‘The Traveler’s Dream‘ এবং ‘অঙ্গুরীয় বিনিময়‘ এর উৎস ‘The Marhatta Chief‘ এই উপন্যাসে শিবাজীর কাহিনি ভারতীয়দের মনে জাতীয় চেতনা সঞ্চারে সহায়ক হয়েছে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় :-
বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে উপন্যাসের শিল্প সমৃদ্ধ পূর্ণ প্রতিষ্ঠা। মৌলিক কল্পনা ও রচনাগুণের দ্বারা তিনি চোদ্দটি বিচিত্র উপন্যাস লিখেছিলেন।
স্বর্ণকুমারী দেবী :-
রবীন্দ্রনাথের অগ্রজা স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘দীপনির্বাণ‘ উপন্যাসে পৃথ্বীরাজ ও মহম্মদ ঘোরীর সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এবং ‘কাহাকে‘ এটি একটি গার্হস্থ্য উপন্যাস। এ উপন্যাসে নায়িকার সূক্ষ্ম মনোবিশ্লেষণ বাংলা উপন্যাসের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতম অবদান।
শিবনাথ শাস্ত্রী :-
শিবনাথ শাস্ত্রীর উপন্যাসগুলির মধ্যে ‘মেজবৌ‘, ‘যুগান্তর‘, ‘নয়নতারা‘ প্রভৃতির নাম করা যেতে পারে। এদের মধ্যে ‘যুগান্তর’ সামাজিক উপন্যাস ও বাকি দুটি পারিবারিক উপন্যাস হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে।
‘কালিন্দী’ তে দেখা যায় জমিদার সন্তান ‘অহীন্দ্র’ মার্কসীয় ভাবধারায় অনুপ্রাণিত।
Leave a comment