উদ্ভিদ তার নিজের বৃদ্ধির জন্য বায়ু থেকে CO২, মৃত্তিকা থেকে খনিজ লবণ ও জল এবং সূর্য থেকে আগত আলাে ব্যবহার করে সালােকসংশ্লেষের মাধ্যমে খাদ্য প্রস্তুত করে। এদের মধ্যে খনিজ ও জল প্রধানত মূত্তিকা থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। এই খনিজ ও জলকে মৃত্তিকাস্থিত পুষ্টিমৌল বলে।
(১) বাতাস ও জলের পুষ্টি উপাদান
(২) মৃত্তিকার পুষ্টি উপাদান
(১) নাইট্রোজেন
-
উদ্ভিদের রং সবুজ করতে সাহায্য করে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি, শাখাপ্রশাখার গঠনে সাহায্য করে।
(২) ফসফরাস
-
কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও কান্ডকে শক্তিশালী করে।
-
রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(৩) পটাশিয়াম
-
সালােকসংশ্লেষের প্রয়ােজনীয় উপাদান।
-
রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং উদ্ভিদের অভ্যন্তরস্থ লােহার চলাচল বৃদ্ধি করে থাকে।
(৪) ক্যালশিয়াম
-
উদ্ভিদ কোষকে শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা দান করে।
-
উদ্ভিদের অভ্যন্তরে শর্করা ও অন্যান্য খাদ্যমৌল চলাচলকে সুগম করে।
-
রােগ আক্রমণ প্রতিরােধ করে।
(৫) ম্যাগনেশিয়াম
-
সালােকসংশ্লেষে গুরুত্বপূর্ণ।
-
উদ্ভিদদেহে ফসফেট পরিবহণে সহায়তা করে।
-
এর অভাবে উদ্ভিদের পাতার রং বিবর্ণ হয় ও গাছের পাতার পচন দেখা যায়।
(৬) সালফার
-
উদ্ভিদের গুটি, বীজ, মূল ও কাণ্ড গঠনের জন্য সালফারের প্রয়ােজন।
-
উদ্ভিদের নাইট্রোজেন সমীকরণে যােগসূত্র রক্ষা করে।
-
সালফারের অভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও কোষ বিভাজন ব্যাহত হয়।
Leave a comment