যেসব পুষ্টিমৌল বা উপাদান উদ্ভিদ অতি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করে তাকে গৌণ পুষ্টিমৌল বলে। যেমন—

(১) লােহা

  • উদ্ভিদের ক্লোরােফিল গঠনে প্রভাব বিস্তার করে।

  • এর অভাবে উদ্ভিদের গঠন ও ফসলের ফলন ব্যাহত হয়।

(২) ম্যাঙ্গানিজ

  • উদ্ভিদের জারণ, বিজারণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ও ক্লোরােফিল গঠনে সাহায্য করে।

  • এর অভাবে গাছে ফুল ও ফল আসতে দেরি হয়।

(৩) বােরন

  • উদ্ভিদের ফুল, ফল ধারণে ও লিগুসিনাস উদ্ভিদের গুটি গঠনে সাহায্য করে।

  • বােরন ক্যালশিয়ামের কর্মদক্ষতাকে বৃদ্ধি করে।

(৪) তামা

  • উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে।

  • এর অভাবে পাতার সবুজ বর্ণ বিবর্ণ হয়।

(৫) মলিব- ডেনাম

  • মৃত্তিকা থেকে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস শােষণে সাহায্য করে থাকে।

  • এর অভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

(৬) ক্লোরিন

  • উদ্ভিদের অভিস্রাবণীয় চাপের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কার্যকরী।

  • উদ্ভিদের কোষগুলির শর্করা প্রস্তুত ও জল ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

(৭) জিঙ্ক

  • উদ্ভিদ বৃদ্ধির প্রয়ােজনীয় অক্সিন হরমােন তৈরিতে সাহায্য করে।

  • উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

(৮) কোবাল্ট

  • উদ্ভিদের B12 ভিটামিন-এর গঠনে সহায়তা করে।

  • এর অভাবে কিছু কিছু উদ্ভিদের নাইট্রোজেন বন্ধন ক্রিয়া ব্যাহত হয়।

মাটির pH মাটির এক অন্যতম রাসায়নিক ধর্ম। মাটির প্রধান উপাদানগুলাের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মাটি আম্লিক (Acidic) ও ক্ষারকীয় (Basic) হয়। মাটির অম্লতা ও ক্ষারকত্ব নির্ভর করে মাটিতে হাইড্রোজেন (H+) ও হাইড্রক্সিল (OH-) আয়নের উপস্থিতির ওপর যা মাটির pH মানের (pH Value) সাহায্যে জানা যায়। pH বলতে এক লিটার দ্রবণে সক্রিয় বা মুক্ত হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণকে বােঝায়। pH মান 7-এর কম হলে মাটিতে সক্রিয় হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ বেড়ে যায় ও মাটি আম্লিক চরিত্রের হয়। pH-এর মান 7-এর বেশি হলে সক্রিয় হাইড্রোজেনের পরিবর্তে সক্রিয় হাইড্রক্সিল আয়নের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন মাটি ক্ষারকীয় প্রকৃতির হয়। pH মান 7 হলে মাটি প্রশমিত বা নিরপেক্ষ (Neutral ) হয় অর্থাৎ আম্লিক বা ক্ষারকীয় কোনােটাই হয় না।