প্রশ্নঃ ই-গভর্নেন্স এর পূর্ণরূপ কি?

 

ভূমিকাঃ বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার মানুষের চিন্তা-চেতনা, জীবনযাত্রা, চিকিৎসাশাস্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রে নবদিগন্তের উন্মোচন করে চলেছে। বিজ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করার সাধনা থেকে ঘটে প্রযুক্তির বিকাশ। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন ও মান পাল্টে দিয়েছে। রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসনের ওপরও প্রযুক্তির প্রভাব পড়েছে বহুলভাবে। এ প্রেক্ষাপটে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ‘ই-গভর্নেন্স’ নামক এক নতুন ধারণার উদ্ভব ঘটেছে। সরকারের কাজকর্মে স্বচ্ছতা, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখন ‘ই-গভর্নেন্স’-এর বিকল্প নেই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে ‘ই-গভর্নেন্স’ এখন সময়ের জোরালো দাবিতে পরিণত হয়েছে।

ই-গভর্নেন্স কিঃ ‘ই-গভর্নেন্স’-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয় যে, “ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন তথ্য ও সেবা জনগণের নিকট পৌঁছানকেই ‘ই-গভর্নেন্স’ বলে”। কেউ কেউ বলেন যে, জনগণের নিকট বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অন্য ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তির ব্যবহারকে ই-গভর্নেন্স বলে।’

ই-গভর্নেন্স এর পূর্ণরূপ কিঃ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু B-Governance এর একজন সমর্থক ও সমঝদার রাজনীতিবিদ। তিনি “ই-গভর্ন্যান্সকে’ ‘SMART Government’ বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে SMART শব্দটির পূর্ণরূপ হলো-

S = Simple

M = Moral

A = Accountable

R = Responsive

T = Transparent.

অর্থাৎ যদি কোনো সরকার ব্যবস্থা সহজ সরল (Simple), নৈতিক আদর্শপূর্ণ (Moral), জবাবদিহিমূলক (Accountable), সংবেদনশীল বা দ্রুত সাড়া প্রদানকারী (Responsive) এবং কাজকর্মে স্বচ্ছ হয় তাকেই চন্দ্রবাবু নাইডু ‘SMART Governance’ বলতে চেয়েছেন।

উপসংহারঃ উপরের আলোচনার সূত্র ধরে বলা যায় যে, ‘ই-গভর্নেন্স’ একটি নতুন ধারণা। ‘ই-গভর্নেন্স’ বলতে তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ও কম্পিউটারভিত্তিক যোগাযোগ। এটি হলো শাসনের এমন এক পদ্ধতি যেখানে সরকারি সেবা ও তথ্যসমূহ জনগণ সহজে ঘরে বসেই পেতে পারে।