প্রশ্নঃ “ইহাদের জীবনদেবতা আকাশের আদমসুরতের মতাে দুই দিকে আঙ্গুল বাড়াইয়া রাখিয়াছে।”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ আলােচ্য উক্তিটি অদ্বৈত মল্লবর্মণ রচিত তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাস থেকে সংকলিত হয়েছে।

নদীমাতা বিরূপ হলেও তিতাস পাড়ের জেলেদের জীবনধারণের তাগিদে বিকল্প সংস্থানের ব্যবস্থা তা ইঙ্গিত করতেই ঔপন্যাসিক এ কথা বলেছেন। তিতাস তীরে বসবাসকারী কিশাের ও যুবক তিতাসের জলে মাছের সংকট হওয়ার ফলে মাছ ধরার জন্য শুকদেবপুর গ্রামে যায়। সেখানকার উজানি নগরের খলার মালিক বাশিরাম মােড়ল কিশােরদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানাের পর গ্রাম ঘুরে দেখার সুযােগ প্রদান করে। কিশাের অবাক দৃষ্টিতে লক্ষ করে উক্ত গ্রামের জেলেদের মৎস্য শিকারের উপকরণের পাশাপাশি কৃষি কার্যকর উপকরণ যেমন- লাঙল, জোয়াল প্রভৃতি রয়েছে। এ গ্রামবাসীদের ধারণা যদি কোনদিন এ নদী শুকিয়ে যায় তবে জীবনধারণের তাগিদে এ কৃষি উপকরণ হবে তাদের জীবিকানির্বাহের মৌলিক হাতিয়ার। 

রাতের আকাশে আদম সহন যেমন তার আঙুল দুদিকে প্রসারিত করে আছে ঠিক তেমনি শুকদেবপুরের মালােদের জীবিকা নদী ও ফসলের খেত তথা জল ও লাঙল জোয়ালের দ্বৈতভাব ধারণ করে আছে।