উচ্ছবের পরিচয়: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছব নাইয়া, মাতলার বন্যায় সর্বস্বান্ত হওয়ার পরে যে শহরে কাজ করতে চলে আসে একটু ভাতের আশায়।
খোঁজ না করার কারণ : শহরের বড়ােবাড়িতে কাজের বিনিময়ে খেতে পাবে বলে উচ্ছব কাজ করতে আসে। কিন্তু লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত বড়ােকর্তাকে বাঁচানাের জন্য যে হােমযজ্ঞের আয়ােজন হয়, তার তান্ত্রিকের নির্দেশে খাবারের সময় বারেবারে পালটে যেতে থাকে। ক্ষুধার্ত উচ্ছবের সামনে অভাবিত সুযােগ চলে আসে বডােকর্তার মৃত্যুর পরে। বড়াে পিসিমা আদেশ দেন সমস্ত রান্না পথে ফেলে দিতে। উচ্ছব ফেলে দেওয়ার জন্য সবথেকে ভারি ডেকচিটা বাসিনীর কাছ থেকে চেয়ে নেয়। নিয়ে দ্রুত চলতে শুরু করে। বাসিনীর নিষেধ তাকে ফেরাতে পারে না। স্টেশনে পৌঁছে ভাতে হাত দিয়ে সে স্বর্গসুখ পায়। কিন্তু সেই ভাত খেয়ে সে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন পিতলের ডেকচি চুরির অপরাধে উচ্ছবকে সেখান থেকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। উচ্ছব এতদিন ভাবত যে, বাদার ভাত খেলে আসল বাদা অর্থাৎ যেখানে ফসল ফলে তার সন্ধান সে পেয়ে যাবে। কিন্তু ভাত খাওয়া হলেও শেষপর্যন্ত বাদাটার খোঁজ করা তার পক্ষে আর সম্ভব হয় না।
ঝড়জল-বন্যার রাতের আকস্মিক আঘাত উচ্ছবের মনােজগতে কী কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল, তা ভাত ছােটোগল্প অবলম্বনে লেখাে।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে যে হােমযজ্ঞ হয়েছিল, তার বর্ণনা দাও।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে বুড়ােকর্তার মৃত্যুর পর বড়াে বাড়িতে কী কী ঘটনা ঘটেছিল?
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্প অবলম্বনে বুড়ােকর্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্প অবলম্বন করে বড়ােপিসিমার চরিত্র আলােচনা করাে।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে উচ্ছবের গ্রামের মানুষদের পরিচয় দাও।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে ভাত-এর প্রসঙ্গ কীভাবে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে, তা আলােচনা করাে।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছছাটোগল্পের বড়াে বাড়ির বড়াে পিসিমাকে আমরা কীভাবে কর্তৃত্ব করতে দেখি?
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে উচ্ছবের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।
ভাত ছােটোগল্পটির বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় লেখাে।
মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ভাত গল্পটির নামকরণের সার্থকতা আলােচনা করাে।
দাঁতগুলাে বের করে সে কামটের মতােই হিংস্র ভঙ্গি করে।- কে, কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করাে।
Leave a comment