আম একটি রসালো গ্রীষ্মকালীন মিষ্টি ফল। রাজশাহী তথা চাপাইনবাবগঞ্জের কৃষকদের প্রধান অর্থকারী ফসল হলো আম। এই আম চাষে চাষের জন্য আমের মুকুল ঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আমিআমের মুকুল ঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই সঠিকভাবে আম চাষ করার জন্য আমের মুকুল ঝরে পড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন।

যদিও আম থোকায় থোকায় ধরে তবুও অনেক চাষী অভিযোগ করেন যে, আম গাছে অনেক মুকুল এসেছে কিন্তু আম ভালো হয়নি। আর এর মূল কারণ হলো আমের মুকুল ঝরে পড়া। যদিও কৃষিবিদরা মনে করেন, একটি ডালে যদি একটি আম থাকে তাহলে একে বাম্পার ফলন ধরা হয়। নিচে আমের মুকুল  ঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

 আমের মুকুল  ঝরে পড়ার কারণ 

আম একটি সুস্বাদু মিষ্টি ও রসালো ফল। এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি আম পছন্দ করেন না। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে বা মার্চ মাসের শুরুর দিকে এবং বাংলা ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে আমের গাছে  হাজার হাজার মুকুল দেখা যায়। আম বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফসল। বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অন্যতম প্রধান অর্থকারী  ফসল হল আম। আমের মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়ার জন্য গাছের পরিচর্যা অতি গুরুত্বপূর্ণ।আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। সাধারণত মে মাসের মধ্যে বাজারে পাকা রসালো আম পাওয়া যায়। আমের মুকুল থোকায় থোকায় হয়ে থাকে। এক থোকা মুকুলে প্রচুর পরিমাণে ফুল থাকে আর এই ফুল থেকে আমের গুটি তৈরি হয়। ফুল থেকে আমের গুটি তৈরি হলেও সব গুটি থেকে আমরা আম পায় না। যদিও আম থোকায় থোকায় ধরে তবুও অনেক চাষী অভিযোগ করেন যে, 

আম গাছে অনেক মুকুল এসেছে কিন্তু আম ভালো হয়নি। আর এর মূল কারণ হলো আমের মুকুল ঝরে পড়া। যদিও কৃষিবিদরা মনে করেন, একটি ডালে যদি একটি আম থাকে তাহলে একে বাম্পার ফলন ধরা হয়। অনেক সময় আমের এই বাম্পার ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না আর এর প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় আমের মুকুল ঝরে পড়া। আমের মুকুল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের উচিত আমের মুকুল যেন ঝরে না যায় সেদিকে নজর দেওয়া।

আমের গাছে যখন মুকুল আসে তখন আনন্দে মনটা ভরে যায়। চারিদিকে আমের মুকুলের ম ম গন্ধে যেন পুরো প্রকৃতিটা বদলে যায়। কিন্তু অনেক কারণে এই মুকুল আবার ঝরে যায়। কৃষি গবেষকদের মতে আমের মুকুল ঝরে পড়ার কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে সেগুলো হল –

প্রাকৃতিক কারণ

আমের মুকুল ঝরে পড়ার পেছনে প্রকৃতি অনেকটাই দায়ী। সাধারণত আম গাছে থোকায় থোকায় মুকুল আসে আর এই এক থোকা মুকুলে থাকে কয়েক হাজার ফুল। প্রতিটি থোকায় আবার কয়েকটি করে আমের গুটি দেখা যায়। তবে গুটি  আসার ২০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে আবার একটি থোকায় মাত্র একটি আম দেখা যায় বাকি মুকুল বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে ঝরে পড়ে।  যেমন অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা, অধিক বৃষ্টিপাত বা শিলা বৃষ্টির কারণে আমের মুকুল ঝরে যায়। 

তবে আমের থোকায় যত বেশি আম থাকে আমের আকৃতি আবার ততই ছোট হয়। তাই কৃষিবিদরা একটি ডালে একটি আমকেই বাম্পার ফলন বলে থাকেন। এরপরেও আমের মুকুল  aঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

মাটিতে রসের অভাব হলে

মাটিতে রসের অভাব বা উর্বরতার অভাব  ও আমের গুটি ঝরে পড়ার একটি অন্যতম কারণ। সাধারণত মার্চ মাসে আমের মুকুল আসে এবং এই সময় বৃষ্টিপাত কম হয় বা হয় না বললেই চলে। আবার অনেক সময় পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থাও করা যায় না যার ফলশ্রুতিতে মাটিতে রসের অভাব দেখা দেয়। আর মাটিতে রসের অভাব হলে আমের  মুকুলের বোটায়  নির্মোচন স্তর গঠিত হয়। যার ফলে আমের মুকুল ঝরে যায়। কারণ মাটি উর্বর না থাকলে মাটিতে পর্যাপ্ত রসের

সঞ্চালন থাকে না যার ফলশ্রুতিতে আমের মুকুল ঝরে পড়ে। আমের মুকুল  আসার আগে থেকেই গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচের ব্যবস্থা রাখা উচিত। আমের ভালো ফলন পেতে আমের মুকুল  ঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

পোকার আক্রমণ

আমের গাছে মুকুল আসার পরে হপার পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। আর এই হপার নামক পোকাটি এত বেশি ক্ষতিকর যে এর আক্রমণে কখনো কখনো আমের ১০০ ভাগ উৎপাদনই কমে যেতে পারে। আম গাছে মুকুল আসার পর প্রতিটি মুকুলে অসংখ্য হপার লিম্ফ দেখা দেয়।  একটি হপার পোকা ১৫০ টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে এবং এই ডিম গুলো পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ফুটে নিম্ফ তৈরি হয় এবং এই নিম্ফ গুলো পরে আম গাছের পাতা, ফুল ও ফলের রস চুষে খায়।

এই  হপার পোকার  বয়স্ক মথ বা ক্রীড়া আমের মুকুলের রস খেয়ে ফেলে। যার ফলে মুকলের রস শুকিয়ে যায় এবং সর্বোপরি এই মুকুল ঝরে পড়ে। আবার এই হবার পোকা যখন আমের মুকুলের রস চুষে খেতে শুরু করে তখন এর মলদ্বার  দিয়ে একপ্রকার আঠালো রস নির্গত হয় এবং এই  আঠালো রসকে বলা হয় হানি ডিউ। আর এই আঠালো রস মুকুলের  ও পাতার সাথে আটকে যায়। যার ফলে পাতায় গুটি মন্ড নামক একপ্রকার ছত্রাক জন্ম নেয়। 

যার কারণে  আমের পাতা কালো আবরণে ঢেকে যায়।  পাতার রং সবুজ না থাকার কারণে পাতা সঠিকভাবে সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে না। আর সালোকসংশ্লেষণ না হলে গাছ খাদ্য উৎপাদন করতে পারেনা ফলে গাছ আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আম আমের মুকুল ঝরে পড়ে। তাই বলা হয় মুকুল ধরে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো হপার  পোকার আক্রমণ ।

বিভিন্ন রোগের কারণে

অ্যান্থ্রাকনোজ নামক এক প্রকার রোগ আমের মুকুলে হয়ে থাকে এই এন্থাক নোজ আবার কলিট্রোটিকাম গোলেস পড়িও ডিস নামক একপ্রকার ছত্রাক ধরা হয়ে থাকে আর এই রোগ ও আমের মুকুল ঝরে পর আর এই রোগেও আমের মুকুল ধরে পড়ার জন্য দায়ী সাধারণত ফাল্গুন  মাসে শেষে বা  আমের গাছে সাধারণত ফাল্গুন মাসে শেষে বা চৈত্র মাসে শুরু থেকে আমের গুটি দেখা যায় আর এ সময় ছত্রাক জনিত নানা রোগের কারণে আমের উৎপাদন ব্যাহত হয় আর ছত্রাক

জনিত রোগের মধ্যে পাউডারী মিল অন্যতম কারণ এই ছত্রাক দ্বারা আমের গাছ আক্রান্ত হলে আক্রান্ত স্থানে সাদা পাউডারের মতো একপ্রকার পদার্থ দেখা যায় আর এই সাদা পদার্থের যখন আমের মুকুল ঢেকে যায় তখন মুকুল ধরে পড়ে এন্ড থাকলস রোগে আক্রান্ত হলে আমের মুকুল কালো বর্ণ ধারণ করে এবং তা ঝরে পড়ে আমের গুটি ছোট থাকা অবস্থায় এ রোগে আক্রান্ত হলে আমের গায়ে কালো বা ধূসর বাদামী দাগ পরে এবং পরে তা ঝরে পড়ে। তাই আমের মুকুল  ঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

আমের মুকুল আসার পর করনীয়

আমের মুকুল আসার পরে তা যেন ঝরে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে এক্ষেত্রে আপনাকে যা
করতে হবে তা হল –

  • আম বাগানে যেন আমের গাছ ছাড়া অন্য কাঠ জাতীয় কোন গাছ না থাকে আপনাকে সেদিকে নজর দিতে হবে কারণ এতে আম গাছে আলো বাতাস বিঘ্নিত হতে পারে।
  • সবার প্রথমে আপনাকে আম গাছ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আগাছা মুক্ত ও খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে। কারন হপার পোকা অন্ধকার ও ছায়াযুক্ত স্থান পছন্দ করে।
  • রোগাক্রান্ত বা মরা ডাল কেটে ফেলতে হবে
  • গাছের নিচ থেকে ঝরে পড়া পাতা কুড়িয়ে সরে ফেলতে হবে
  • যখন আমের মুকুল আসে তখন গাছে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয় তাই গাছের  গোড়াতে প্রচুর পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করতে হবে
  • আমের গাছে মুকুল আসার আগে সম্ভব হলে একবার স্প্রে করতে হবে
  • হপার পোকার  আক্রমণ রোধ করতে আমের মুকুল যখন মটর দানার সমান হবে তখন সাইপরমেথ্রিন ১০ ইসি, রিপকর্ড,রেলোথ্রিন,সিনসাইপার,ফেনম,বাসাড্রিন বা ল্যামডা সাই হ্যালোথ্রিন ২’৫ ইসি বা  ফেন ভেলারেট ২০ ইসি গ্রুপের যেকোনো একটি কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি লিটার হারে গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
  • হপার পোকার  আক্রমণ রোধ করতে আপনি যা করতে পারেন তা হল –  ডায়াজিনন  ৬০ ইসি বা লেবাসিড ৫০ ই সি বা চা চাম্চের ৪ চামচ  ৮.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫  দিন পর পর দুইবার স্প্রে করতে হবে। অথবা ম্যালাথিয়ন বা এম এস টি ৫৭ ইসি উপরোক্ত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। এছাড়া সাইপারমেথ্রি। ১0 ই সি (সিমবাস বা রিপকর্ড)  ২ মিলি অথবা এক ১ লিটার স্প্রে করা যেতে পারে।
  • অ্যান্থ্রাকনোজ রোগের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি প্রোপিকা জল টিল্ট বা ১ গ্রাম কার্বেন্ডা  জিম (অটোস্ট্রিন,করজিম,ফরাস্টিন)  বা দুই গ্রাম ডাই্থেন এম ৪৫ মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালোভাবে ভিজে স্প্রে করতে হবে।
  • আম যখন গুটি আকার ধারণ করবে তখন ১০ থেকে ২০ দিন পর পর বোরিক অ্যাসিড ৬ গ্রাম ১০
    লিটার পানিতে স্প্রে করলে আমের গুটির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
  • আম মার্বেলের মতো হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ মিলিগ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
  • পাউডারী মিলডিও রোগের জন্য মুকুল আসার আগে একবার এবং মুকুল ধরার পর একবার সালফার জাতীয় ছত্রাক  নাশক যেমন কুমুলাস, ম্যাকসালফার,থিউভিট, রানভিট ২ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
  • আবার পাউডারী মিলডিও রোগের জন্য থিয়োভিট ০.৩ শতাংশ হারে ফুল ফোটার পূর্বে একবার ও পরে দুইবার স্প্রে করতে হবে. 0. ২ শতাংশ হারে ফুল ফোটার পর একবার ও গুটি আসার পরে  ১৫ দিন পর পর দুই ২ বার স্প্রে করতে হবে।
  • প্রাকৃতিক পড়ায় পরাগায়নের জন্য বাগানে ফুলের চাষ করতে হবে এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে মৌমাছি র চাষ করা যেতে পারে। ভালো ফলন পেতে আমের মুকুল  ঝরে পড়ার কারণ – আমের মুকুল আসার পর করনীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

তবে আপনাকে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আর তা হলো ফুল ফোটার পরে কোন স্প্রে করা ঠিক নয় এমনকি কোন কীটনাশকই ব্যবহার করা ঠিক নয়। এর কারণ হলো এই সময়  পরাগায়নের জন্য প্রচুর উপকারী পোকামাকড় ফুলে আসে। আপনি যদি কীটনাশক ব্যবহার করেন তাহলে এইসব উপকারী পোকামাকড় মারা যাবে ফলে আপনার বাগানে পরাগায়নে ব্যাঘাত ঘটবে। আপনি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন না। 

আমের মুকুল আসে কোন মাসে

আম গ্রীষ্মকালীন ফসল। আমের মুকুল আসে সাধারণত ইংরেজি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে অথবা মার্চ মাসের শুরুর দিকে এবং বাংলা ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে এবং চৈত্র মাসের প্রথমের দিকে আমের গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। আম গাছে সাধারণত থোকায় থোকয় মুকুল ধরে। এই মুকুলের রং হলুদ।

আমের মুকুল নিয়ে কবিতা

আমের মুকুল, আম নিয়ে আপনাদের জন্য কয়েক লাইন লিখার করার চেষ্টা করলাম-

👉 আম বাগানে যখন যাই 

    মুকুল দেখে প্রাণ জুড়াই

    মুকুলের গন্ধে রে ভাই

    মৌমাছি গান গাই

👉মুকুলের হলুদ রং

     দেখে চাষী করে ঢং

   আম গাছ পাহারা দিতে 

   তাইতো বাগানে

  পাতে টং (মাচা বা বসার স্থান)

👉  হপার পোকার রাজত্ব পায়

মুকুল তাই ঝরে যায়

পোকার ডিমে বাগান ভরে 

মাথায় হাত কৃষকের পরে পড়ে

👉 অ্যানথ্রাকনোজ  রোগ হলে

 কীটনাশক চাই
কীটনাশক এর দাম শুনে

চাষা মাথায় হাত দেয়

👉 কালবৈশাখী ঝড়ে

যখন আম পড়ে

কৃষক তখন ভাবে বসেই

যাবোই বুঝি মরে

👉 এর পরেও জোষ্ঠ্য মাসে

 আম যখন পাকে

মধুমাসে আমের রসে

মুখে হাসি ফোটে

আমের মুকুল আসার আগে যত্ন

আমের গাছের গোড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে জমি চাষ করে জমিতে আলো বাতাস প্রবেশ করার ব্যবস্থা করতে হবে। মুকুল আশার পূর্বে গাছে যেন রসালো ভাব থাকে এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। গাছের অপ্রয়োজনীয় মরার ডাল কেটে দিতে হবে। সম্ভব হলে বাগানে প্রাকৃতিক পরাগায়নের জন্য ফুলের চাষ করা যেতে পারে। বাগানে যেন অন্য কোন কাঠের গাছ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

কারণ কাঠের গাছ থাকলে বাগান অন্ধকার থাকবে পর্যাপ্ত আলো বাতাস যেতে পারবেনা। আর হপার পোকা ছায়া যুক্ত অন্ধকার স্থানে থাকতে বেশি পছন্দ করে। তাই মুকুল আসার পূর্বেই বাগানের পরিচর্যা করতে হবে।পাউডারী মিলডিও রোগের জন্য থিয়োভিট ০.৩ শতাংশ হারে আমের মুকুল আসার আগে একবার স্প্রে করতে হবে। এছাড়াও আমের মুকুল আসার আগে একবার সালফার জাতীয় ছত্রাক  নাশক যেমন, কুমুলাস, ম্যাকসালফার,থিউভিট, রানভিট ২ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

আমের মুকুলের ঔষধ

সাইপরমেথ্রিন,রিপকর্ড,রেলোথ্রিন,সিনসাইপার,ফেনম,বাসাড্রিন বা ল্যামডা সাই হ্যালোথ্রিন,ডায়াজিনন ,লেবাসিড,ম্যালাথিয়ন বা এম এস টি ৫৭ ইসি,কার্বেন্ডা  জিম (অটোস্ট্রিন,করজিম,ফরাস্টিন),বোরিক অ্যাসিড,সালফার জাতীয় ছত্রাক  নাশক যেমন কুমুলাস, ম্যাকসালফার,থিউভিট, রানভিট।

শেষ কথা

আমের গাছে যখন মুকুল আসে তখন আনন্দে মনটা ভরে যায়। চারিদিকে আমের মুকুলের ম ম গন্ধে যেন পুরো প্রকৃতিটা বদলে যায়। কিন্তু অনেক কারণে এই মুকুল আবার ঝরে যায়। আমি আমের মুকুল ঝরে পড়ার কারণ আমের মুকুল আসার পর করণীয় আমের মুকুলের ঔষধ আমের মুকুল নিয়ে কবিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আমি আশা করি আমার এই লিখা আপনাদের ভালো লাগবে। আর যদি কখনো মনে হয় কোথাও আমার
ভুল হয়েছে তাহলে দয়া করে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।