উদ্দিষ্ট মন্তব্যের প্রেক্ষাপট: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর বয়সের ভারে হতাশার শিকার হয়েছেন। আর সে কারণেই স্মৃতির পথ ধরে তিনি ফিরে যেতে চেয়েছেন অতীতে তার অভিনয়ের স্বর্ণযুগে। কখনও ‘সাজাহান নাটকে ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে, কখনও ‘রিজিয়ার বক্তিয়ার চরিত্রে নিজের অভিনয়ের কথা মনে পড়েছে তার। আর বৃদ্ধ বয়সে দর্শকশূন্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে মরে উপরে দাঁড়িয়ে সেইসব চরিত্রের সংলাপ উচ্চারণ করেছেন তিনি। এরকমভাবেই তার মনে পড়েছে ‘সাজাহান’ নাটকের সেই দৃশ্যের কথা যেখানে সবাইকে হত্যা করে ঔরঙ্গজেব সিংহাসন পেয়েছেন। মধ্যরাতে একা প্রবল আত্মদ্বন্দ্ব আর যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত ঔরঙ্গজেবের সংলাপ উঠে আসে রজনীকান্তের মুখে। আর সেই সংলাপ উচ্চারণ করেই তার মনে হয়েছে। বয়সকে হার মানিয়ে তার অভিনয়ের প্রতিভা এখনও স্বমহিমায় আছে। প্রকৃত শিল্পসত্তা কখনােই চাপা পড়ে থাকে না বা বয়সের কাছে হার মানে না— অভিনেতা রজনীকান্তের এই বক্তব্য যথার্থতা পেয়েছে। অতীতে প্রতিভার চরম বিকাশে তিনি নাট্যমঞ্চে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। রক্তে মিশে থাকা অভিনয় প্রতিভার জন্যই পুলিশের চাকরি রজনীকান্তের ভালাে লাগেনি। নিজের শিল্পীসত্তার টানেই তিনি থিয়েটারে যােগ দেন। আর তার এই প্রতিভা বৃদ্ধ বয়সেও একইরকম আছে বলেই মনে করেন রজনীকান্তবাবু।