গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের কতকগুলি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। আমলাতন্ত্রের প্রকৃতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখযোগ্য।
(১) স্থায়িত্ব: আমলাতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পদের স্থায়িত্ব (permanence)। সরকারী কর্মচারীরা স্থায়ী পদের অধিকারী। একটি নির্দিষ্ট বয়ঃসীমা অবধি তাঁরা নিজেদের পদে আসীন থাকেন। সরকারের পরিবর্তন বা মন্ত্রিসভার উত্থান-পতন সরকারী কর্মচারীদের চাকরির স্থায়িত্বকে কোনক্রমেই প্রভাবিত করতে পারে না। সাধারণত প্রমাণিত দুর্নীতি, অযোগ্যতা বা চাকরির শর্তাদি লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্যতিরেকে নির্দিষ্ট কার্যকাল অতিক্রান্ত হওয়ার আগে তাঁদের পদচ্যুত করা যায় না। যাইহোক, সামগ্রিক বিচারে আমলারা হলেন স্থায়ী প্রশাসক। তাঁদের কার্যকাল ও স্থায়িত্ব রাজনীতিক ঘটনাবলীর দ্বারা প্রভাবিত হয় না। অ্যালান বল তাঁর Modern Politics and Government গ্রন্থে বলেছেন: “Professional administrators usually have a degree of permanence denied to the politicians in most political system.”
(২) নিরপেক্ষতা: নিরপেক্ষতা (neutrality) হল আমলাতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সরকারী কর্মচারীদের পদ দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। যে রাজনীতিক দলই শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করুক না কেন, আমলাদের সেই দলীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীনে দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করতে হয়। সরকারী নীতি ও কার্যাবলী সরকারী কর্মচারীদের দ্বারা বহুলাংশে প্রভাবিত হয় এ কথা ঠিক। তবুও তাঁদের দল ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তাঁদের কোন রকম সম্পর্ক থাকে না। তাই ল্যাস্কি বলেছেন: “The ethos of the civil service is detachment and neutrality.” আমলারা হলেন অ-রাজনীতিক ও পেশাদার শাসক। মন্ত্রীদের মত তাঁরা রাজনীতিক ও সৌখিন (Amateur) শাসক নন। দেশের শাসন ক্ষমতায় যে-কোন রাজনীতিক দল ক্ষমতাসীন হতে পারে। সরকারী কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণাধীনে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তবে বাস্তব অবস্থা একেবারে এরকম নয়। কোন সমাজব্যবস্থাতেই সরকারী কর্মচারীরা পুরোপুরি অঙ্গীকারহীন (uncommitted) বা রাজনীতি নিরপেক্ষ নন।
(৩) পরিবর্তনশীলতা: পরিবর্তনশীল বা নমনীয়তা (flexibility) আমলাদের আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। সরকারী কর্মচারীদের নমনীয় মানসিকতার অধিকারী হতে হয়। কোন বিশেষ নীতি বা তত্ত্বের প্রতি বিশেষ আনুগত্য আমলাদের ক্ষেত্রে অনভিপ্রেত। কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনীতিক দল ক্ষমতাসীন হয়। বিভিন্ন দলের কার্যক্রম বিভিন্ন রকম। এই সমস্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারী কর্মচারীদের যুক্ত হতে হয়। রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে ক্ষমতাসীন দলের আদর্শ ও লক্ষ্য অনুসারে দলীয় কার্যক্রমকে বাস্তবে রূপায়িত করার ব্যাপারে তাঁদের সর্বতোভাবে চেষ্টা করতে হয়। একদিকে তাঁদের দল-নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হয়, আবার বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতাসীন দলের নানারকম কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে হয়। কোন বিশেষ নীতি বা তত্ত্বের প্রতি আনুগত্য পোষণ তাঁদের দিক থেকে কাম্য নয়। সেইজন্য তাঁদের পরিবর্তনশীল মানসিকতার অধিকারী হতে হয়।
(৪) নিরবচ্ছিন্নতা: সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারী কর্মচারিগণই প্রশাসনিক কার্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখেন। সরকারের উত্থান-পতন ঘটতে পারে। প্রতিনিধিমূলক দলীয় শাসনে প্রায়শই সরকারের পরিবর্তন ঘটে। সরকারের এই রূপ পরিবর্তনের মধ্যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্নতা রক্ষার দায়িত্ব আমলারা পালন করেন।
(৫) নিয়মানুবর্তিতা: কঠোর নিয়মানুবর্তিতা এবং জনকল্যাণ সাধনের আদর্শও আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত হয়। নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতি গভীর আনুগত্যের ভিত্তিতে বিবিধ প্রশাসনিক কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধনের কার্যে আমলাগণ আত্মনিয়োগ করেন। বিপুল পরিমাণ প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পাদন এবং বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য এই নিয়মানুবর্তিতা অপরিহার্য।
(৬) অজ্ঞাতনামা থাকা: অজ্ঞাতনামা (Anonymity) থাকা সরকারী কর্মচারীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁরা অজ্ঞাতনামা থেকে সরকারী কাজকর্ম সম্পাদন করেন। তাঁরা সরকারী কাজকর্মের সুনাম-দুর্নামের অংশীদার হন না। সরকারের সাফল্য ও অসাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুনাম বা দুর্নাম কোন কিছুই তাদের স্পর্শ করে না। প্রশাসনিক সাফল্যের সুখ্যাতি ভোগ করেন মন্ত্রিগণ; আবার অসাফল্যের অখ্যাতি বা দায়িত্বও বহন করতে হয় মন্ত্রীদের। সরকারী কর্মচারিগণ সকল সময় অজ্ঞাতনামা থাকেন এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে কার্যসম্পাদন করেন।
(৭) দায়িত্বশীলতা: আমলাগণ অজ্ঞাতনামা থাকেন বলে জনগণ বা আইনসভার কাছে তাঁদের কোন দায় দায়িত্ব থাকে না। সরকারী সকল কাজের জন্য জনগণ বা আইনসভার কাছে যাবতীয় দায়িত্ব মন্ত্রীদের। তাই বলে আমলাগণ সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন নন। তাঁরা তাঁদের কার্যাদির জন্য বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে দায়িত্বশীল থাকেন।
(৮) শৃঙ্খলাবোধ: আমলাতন্ত্রে শৃঙ্খলাবোধের উপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে সরকারী আমলাগণকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গৃহীত হয়।
(৯) স্তরভেদ: আমলাদের মধ্যে স্তরভেদের অস্তিত্বহেতু আমলাতান্ত্রিক কাঠামো অনেকটা পিরামিডের মত হয়। এইরূপ কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য বর্তমান আমলাতন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত হয়। কোন্ শ্রেণীর আমলারা কি কি কাজ সম্পাদন করবেন তা সুনির্দিষ্ট থাকে। নির্দিষ্ট গণ্ডীর মধ্যে থেকেই আমলাদের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে হয়।
(১০) নিয়োগ, পদোন্নতি ও কার্যকাল: উদারনীতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে আমলাদের সরকারী পদে নিযুক্ত করা হয়। আমলাদের বেতন, ভাতা ও চাকরির অন্যান্য শর্তাদি চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট হয়। আমলাদের পদোন্নতি দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়োজ্যেষ্ঠতার পরিপ্রেক্ষিতে স্থিরীকৃত হয়। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে বিশেষ প্রশিক্ষণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা প্রভৃতির উপর জোর দেওয়া হয়।
আমলাতন্ত্র সম্পর্কে মার্কসবাদীদের অভিমত:
মার্কসবাদীরা ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁদের মতে আমলাদের নিরপেক্ষতা একটা মুখোস বই কিছু নয়। তাঁরা রাজনীতি নিরপেক্ষ (uncommitted) হতে পারেন না। যে-কোন শোষণমূলক সমাজব্যবস্থায় আমলারা কায়েমী স্বার্থের রক্ষক হিসাবে প্রতিশ্রুত (committed) ভূমিকা পালন করে। কেবল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিক ব্যবস্থায় সামগ্রিকভাবে জনসাধারণের প্রতি প্রশাসন-ব্যবস্থা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।
আমলাতন্ত্র সম্পর্কে মার্কসীয় ধারণা:
আমলাতন্ত্র সম্পর্কে কার্ল মার্কসও তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে Towards a Critique of Hegel’s Philosophy of Right (1843) গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য।
-
(১) কর্তৃত্ব হল আমলা তন্ত্রের একটি প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য। আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার মধ্যে কর্তৃত্বের প্রকাশ পরিলক্ষিত হয়। কর্তৃত্বই হল আমলাতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার মূল ভিত্তি।
-
(২) স্থূল বৈষয়িকতা, সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি, ঐতিহ্য-কেন্দ্রিক মনোভাব, প্রতিবাদহীন আনুগত্য, আনুষ্ঠানিক আচরণ ও তার স্থায়িত্ব প্রভৃতি আমলাতন্ত্রের মধ্যে বর্তমান থাকে।
-
(৩) গোপনীয়তা ও রহস্য হল আমলাতন্ত্রের সাধারণ প্রকৃতি। আমলাতন্ত্র হল আভ্যন্তরীণভাবে স্তর বিন্যাসযুক্ত এবং বাইরে থেকে হল অবরুদ্ধ সংস্থা।
-
(৪) কার্ল মার্কস-এর অভিমত অনুসারে আমলাতন্ত্রের মালিকানাধীনে থাকে রাষ্ট্রের সারবস্তু এবং সমাজের আত্মিক সত্তা। এসব আমলাতন্ত্রের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবেই বিবেচিত হয়ে থাকে।
-
(৫) এ প্রসঙ্গে লেনিনের অভিমতও প্রণিধানযোগ্য। আমলারা মূলত বুর্জোয়া শ্রেণী থেকেই নিযুক্ত হন। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে বুর্জোয়া শ্রেণীর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সমাজের প্রাধান্যকারী শ্রেণী হল বুর্জোয়া শ্ৰেণী। এই শ্রেণীর সঙ্গে আমলাতন্ত্রের সম্পর্ক অন্তরঙ্গ ও প্রত্যক্ষ। এই কারণে আমলাতন্ত্র হল ক্ষমতা ও কর্তৃত্বসম্পন্ন একটি সংস্থা।
আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা প্রসঙ্গে জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার এবং লা-পেয়ার (La-piere)-এর বক্তব্যও প্রণিধানযোগ্য। এঁদের আলোচনা অনুসারে আরও কতকগুলি বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করা যায়।
(ক) ক্রমোচ্চ শ্রেণীবিভাগ: ঊর্ধ্বাধঃ শ্রেণীবিন্যাস আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক কাঠামোর একটি বড় বৈশিষ্ট্য। পদ ও মর্যাদা অনুসারে এই শ্রেণীবিন্যাস করা হয়ে থাকে। ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও পদমর্যাদার পরিপ্রেক্ষিতে এই শ্রেণীবিভাগ বিন্যস্ত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ সর্বদা বর্তমান থাকে। তাই কেউ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বা খেয়াল-খুশীমত কাজ করতে পারে না।
(খ) অনমনীয় কাঠামো: আবার অনমনীয়তা আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক কাঠামোর আর একটি বৈশিষ্ট্য। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও উপ-বিভাগের মধ্যে শ্রমবিভাগের নীতি প্রযুক্ত হয়। তাই আমলাতন্ত্রের সাংগঠনিক কাঠামো অনমনীয় হয়ে থাকে। সরকারের সকল কাজকর্ম শ্রমবিভাগের নিয়ম-নীতি অনুসারে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি বিভাগের নির্দিষ্ট কাজের খণ্ডিত অংশের জন্য পৃথক একদল কর্মচারী থাকেন। একটি বিভাগের কোন অংশের কর্মচারীর পক্ষে অন্য কোন বিভাগ বা অংশের কাজে হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না।
(গ) নিয়োগ ও পদোন্নতি: সাধারণত নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারী কর্মচারীদের নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের বেতন, ভাতা এবং চাকরির অন্যান্য শর্তাদি নির্দিষ্ট চুক্তির দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। পদের গুরুত্ব অনুসারে পদাধিকারীর বেতন-ভাতা এবং অবসরকালীন পেন্সন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা স্থির করা হয়। আবার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কার্যকাল বা বয়োঃজ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আমলাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হয়।
(ঘ) দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট: আমলাতন্ত্রের ঊর্ধ্বতন-অধস্তন নির্বিশেষে সকল পদাধিকারীর দায়-দায়িত্ব তথা ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের পরিধি সুনির্দিষ্ট। কোন কর্মচারীর কর্তব্য ও কর্তৃত্বের মধ্যে কোন রকম সংশয় সন্দেহ থাকে না। তাই আমলাদের মধ্যে দায়িত্বহীনতা প্রশ্রয় পায় না।
(ঙ) শৃঙ্খলাপরায়ণতা: আমলাতন্ত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলা মান্য করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। তাই আমলাতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল শৃঙ্খলাপরায়ণতা বা নিয়মানুবর্তিতা। সরকারী নীতিকে বাস্তবে কার্যকর করার জন্য এই শৃঙ্খলাবোধ অপরিহার্য। অন্যথায় সরকারী কাজকর্মে গাফিলতি দেখা দেবে এবং বিভিন্ন বিভাগের কাজকর্মের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা যাবে না।
(চ) রুটিনমাফিক কাজকর্ম: সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধানের দ্বারা আমলাতন্ত্র পরিচালিত হয়। তাই শাসনকার্য পরিচালনার ব্যাপারে কোন রকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা অস্পষ্টতা থাকে না। নির্দিষ্ট রুটিনমাফিক আমলাতন্ত্রের কাজকর্ম পরিচালিত হয়। দীর্ঘকালের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগের কার্য পরিচালনা সম্পর্কিত নিয়ম-নীতি নির্ধারিত হয়।
(ছ) আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক কাঠামোতে যাবতীয় আদেশ-নির্দেশ, নিয়ম-কানুন সবই যথাসম্ভব লিখিতভাবে থাকে। ওয়েবার তাঁর Essays on Sociology গ্রন্থে বলেছেন: “Administrative acts, decisions and rules are formulated and recorded in writing.” ওয়েবার আরও বলেছেন: “Bureaucratic administration is superior to any other form in precision, instability, in the stringency of its discipline and its reliability.” ওয়েবার আরও বলেছেন: “(Bureaucracy) embodied knowledge. Technical knowledge is required for the discharge of administrative tasks due to the modern technology and economy of production and it is irrelevant whether production is organised in a capitalist or socialist fashion.”
Leave a comment