বৈদ্যুতিক শক
বৈদ্যুতিক শক। Image Source pardridge

বৈদ্যুতিক শক খান নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। হোক সেটা কম বা বেশি, ছোট বড় প্রায় সবারই এই অভিজ্ঞতা আছে। যেখানে ছোটখাটো কোন বৈদ্যুতিক শকে আমাদের সামান্য ঝিনঝিন অনুভূতি হয়, সেখানে অধিক মাত্রার বৈদ্যুতিক শক খুব সহজেই কেড়ে নেয় মানুষের জীবন।

কাজেই বোঝা যায় মানুষের শরীর বেশ ভালই তড়িৎ পরিবহন করে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল কি আছে মানব দেহে যে এটি ভাল বিদ্যুৎ পরিবহন করে থাকে? যেখানে এমন কিছু প্রাণী (যেমনঃ পাখি) আছে যাদের আমরা সচারচর শক খেতে দেখি না।

মানব দেহ এত ভাল বিদ্যুৎ পরিবহন করে মূলত শরিলে উপস্থিত কিছু আয়নের কারণে। আমাদের দেহে কিছু ধাতব আয়নের আধিক্যের কারণে এটি ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে ওঠে। এসকল ধাতব আয়নের মধ্যে সোডিয়াম আয়ন, পটাশিয়াম আয়ন, ক্লোরাইড আয়ন অন্যতম। 

আমাদের শরীরের এক তৃতীয়াংশ পানি, সেই সাথে এসব দ্রবীভূত ধাতব আয়ন মানব দেহ কে বেশি তড়িৎ পরিবাহী করে তোলে। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় যদি শরিল ভেজা থাকে তাহলে বৈদ্যুতিক শকে জীবনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। আবার আমরা খালি পায়ে যদি মাটির উপর দাঁড়িয়ে থাকি, তাহলে বৈদ্যুতিক লাইন থেকে বিদ্যুৎ মাটিতে নিস্তরিত হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের শরীর কে মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে থাকে। 

আর এসব কারণেই মূলত আমরা সহজেই বৈদ্যুতিক শক খাই। 

আরও পড়ুন- জ্রপাত কি? বজ্রপাত কেন, কিভাবে ঘটে?

কমেন্ট বক্সে লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানান