প্রশ্নসমূহ :
- আপিল (Appeal) কি ?
- মিস আপীল কি?
- পাল্টা আপীল কি?
- কোন কোন আদালতের রায়/আদেশের বিরুদ্ধে কোন কোন আদালত আপীল করা যায়?
- অসমাপ্ত দন্ডের বিরুদ্ধে আপীল সম্পর্কে লিখুন।
- কে আপিল দায়ের করতে পারেন? দেওয়ানি আপিল কোন কোন বিষয়ে দায়ের করা যায়?
- আপিল আদালতের ক্ষমতা আলোচনা করুন।
- আপিল আদালত কি অতিরিক্ত সাক্ষ্য নিতে পারে ? যদি পারে, কোন কোন অবস্থায়- আলোচনা করুন।
- কোন কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না?
- ‘আপিল মোকদ্দমার ধারাবাহিকতা’ আলোচনা করুন।
আপিল (Appeal)
আপীল শব্দের অর্থ হলো, কোন মামলার রায় যুক্তিযুক্ত হয়েছে কি না তা নির্ণয়ের জন্য নিম্ন আদালত হতে মামলাটি উর্ধ্বতন আদালতে স্থানান্তর করা। আপীল আইনের সৃষ্টি এবং কেবল সেখানেই বিরাজ করে যেখানে সুস্পষ্টভাবে বিধানে তার উল্লেখ আছে। ফৌজদারী কার্যবিধিতে ২৫০, ৪০৫, ৪০৬, ৪২৩-ঘ, ৪৮৬, ৫১৫, ৫২০, ৫২৪ ইত্যাদি ধারাতে আপীলের সুযোগ রয়েছে।
আপীল আইন দ্বারা সৃষ্ট এর কোন অন্তনির্হিত অধিকার নেই। আপীল নিম্ন আদালতের বিচারের একটি অব্যাহত অংশ। ফৌজদারী কার্যক্রম বিষয়ে কতিপয় ক্ষেত্রে সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদ হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সুপ্রীম কোর্টে আপীলের বিধান করা হয়েছে । সেক্ষেত্রে কোন আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল চলে না, সেক্ষেত্রে উপযুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে রিভিশন (Revision) দরখাস্ত করা। আপীল আদালত Respondent এর প্রতি নোটিশ জারির পর হতে ৯০ কর্যদিবসের মধ্যে আপিল নিস্পত্তি করবেন।
অন্যভাবে বললে বলা যায় যে, কোন নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় কিংবা ডিক্রীর সম্পূর্ণ বা আংশিক ভুলের যথার্থতা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে উচ্চ-আদালতের সংশ্লিষ্ট মামলাটি অপসারণ করাই হলো “আপিল”(Appeal)। আপিলের মাধ্যমে একজন ক্ষুদ্ধ পক্ষ নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা ডিক্রীটি সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিকভাবে ভুলের কারণে বারিত করার উদ্দেশ্যে উর্ধ্বতন আদালতে মামলাটি অপসারণ করে আইনের অর্পিত উপশম লাভের অধিকারী হয়। আপিলের ভিত্তিতে প্রদত্ত যে কোন রায় বা ডিক্রী মূল মামলার রায় বা ডিক্রীর ন্যায় কার্যকরী হয়ে থাকে।
Firm Dedhraj-Lachminarayan vs Bhagwan Das And Ors (36 C.W.N 803) মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি নগেন্দ্র বনাম সুরেন্দ্র এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, নিম্ন-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন মামলার রায়ের বিরুদ্ধে যে কোন ক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত মামলার রায় বাতিল, সংশোধন অথবা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ঊর্ধ্বতন আদালতে মেমোরেন্ডামের আকারে যে দরখাস্ত দাখিল করা হয়, তাকেই ‘আপিল’ বলা হয়।
মিস আপীল
গ্রাম আদালতের কোন আদেশ রদ করার জন্য সহকারী জজ আদালতে যে আবেদন পেশ করা হয়, তাই সহকারী জজ আদালতে মিস্ আপীল হিসাবে পরিচিতি।
পাল্টা আপীল
“পাল্টা আপীল” বলতে নিম্ন আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রতিবাদী এবং আপীলকারী কর্তৃক পৃথক পৃথক আপীল পেশ করার মাধ্যমে পাল্টা আপত্তি উত্থাপন করাকে বুঝায়। একটি স্মারকলিপি আকারে উচ্চ আদালতে “পাল্টা আপীল” রুজু করা হয়।
আপিলের উপাদান
[Elements of Appeal]
- একটি সিদ্ধান্ত(decision)[যা সাধারণত আদালতের রায় বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের রায়]
- একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি (aggrieved person)
- একটি পর্যালোচনা সংস্থা আপিল entertain উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত।
কোন আদালতের রায়/আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়
১। ম্যাজিস্ট্রেট যে ব্যক্তিকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৮ ধারা অনুসারে শান্তি রক্ষার/সদাচরণের জন্য মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ প্রদান করেছেন যে ব্যক্তি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে আপীল করতে পারবেন। তবে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আপীল শুনানীঅন্তে দায়রা আদালতের পরিবর্তে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১০৭ ধারা মতে ২য় বা ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দন্ডিত ব্যক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপীল করতে পারবে। এক্ষেত্রে একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আপীল শ্রবণ করার ক্ষমতা রাখেন।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১০৮ ধারা মতে সহকারী দায়রা জজ, মহানগরী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দন্ডিত ব্যক্তি দায়রা আদালতে আপীল করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ আপীল শ্রবণ করার ক্ষমতা রাখেন ।
৪। সহকারী দায়রা জজ যখন ৫ বছরের অধিক কারাদন্ড বা দীপান্তরের আদেশ দেন, তখন হাইকোর্টে আপীল করতে হয়। একইভাবে যখন কোন ম্যাজিস্ট্রেট ১২৪(ক) ধারায় অপরাধে দন্ডিত করেন, তখন হাইকোর্টে আপীল করতে হয়।
৫। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ৪১০ ধারা মতে দায়রা জজ/অতিরিক্ত দায়রা জজ কর্তৃক দন্ডিত ব্যক্তিকে হাইকোর্টে আপীল করতে হবে ।
কে আপিল করতে পারে
যে সকল ব্যক্তিগণ নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন আদালতে আপিল করতে পারেন তারা হলেন—
১. ডিক্রী জারীর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এরূপ মামলার যে কোন পক্ষ অথবা তার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত আইনগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
২. এরূপ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট পক্ষের যে কোন হস্তান্তর-গ্রহীতা, যদি তার নাম মামলার নথিতে অন্তর্ভূক্ত হয়।
৩. প্রতারণার অজুহাতে নীলাম রদের ডিক্রী জারীর আদেশের বিরুদ্ধে কোন সম্পত্তির একজন নীলাম-খরিদ্দার। এরূপ ক্ষেত্রে, অন্য কোন ব্যক্তি আপিল করার অধিকারী নয়।
৪। দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১ নম্বর আদেশের বিধি-৪তে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন মামলায় যদি একাধিক বাদী কিংবা একাধিক বিবাদী থাকে, এবং যে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে,এ সম্পর্কে সকল দাবীর বা সকল বিবাদীর আপত্তির একটি সাধারণ কারণ বিদ্যমান থাকে, তবে বাদীগণের অথবা বিবাদীগণের মধ্যে যে কোন একজন সমগ্র ডিক্রীটির বিরুদ্ধেই আপিল করতে পারবে।
এইভাবে, উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ দেওয়ানি কার্যবিধির বিধান সাপেক্ষে, অধঃস্তন
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন আদালতে আপিল দায়ের করতে পারেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপীল করা যাবে না?
কোন কোন ক্ষেত্রে আপীল করা যাবে না তা নিচে দেওয়া হলো—
১। কোন আসামীর ক্ষেত্রে স্বীকারোক্তির বিত্তিতে দায়রা জজ বা কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট তাকে দন্ডিত করলে দন্ডের পরিমাণ বা আইনগত যোক্তিকতা ব্যতীত উক্ত দন্ডর বিরুদ্ধে কোন আপীল চলবে না।[ ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ এর ধারা ৪১২]
২। দায়রা আদালত অনধিক ০১ মাস করাদন্ড প্রদান করলে অথবা দায়রা আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ৫০ টাকার জরিমানা করলে দণ্ডিত ব্যক্তি কোন আপীল করতে পারবে না।[ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ এর ধারা ৪১৩]
৩। যখন কোন আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি স্বরুপ কারাদন্ড না দিয়ে অনাদায়ে কারাদন্ডের আদেশ দিলে এরূপ কারাদন্ডের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না।
[ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৬ এর ধারা ৪১৬]
৪। যখন কোন ম্যাজিস্ট্রেট সংক্ষিপ্ত ভাবে বিচারকৃত কোন মোকদ্দমার কোন ব্যক্তিকে অনধিক ২০০/- টাকা জরিমানা করেন তখন দন্ডিত ব্যক্তি আপিল করতে পারবে না। [ফৌজদারী কার্যবিধি-১৮৯৮ এর ধারা ৪১৪]
৫। কোন মামলা একাধিক অপরাধীর জন্য দন্ডাদেশ দেয়া হতে পারে।দন্ডাদেশসমূহ যদি জরিমানা দন্ড হয় এবং জরিমানার অর্থের যোগফল ৫০/- টাকার বেশী হয় তবে আপিল করা যাবে অন্যথায় না।
আপীল করার সময়সীমা
১। দায়রা আদালত কর্তৃক অথবা মূল ফৌজদারী এখতিয়ার প্রয়োগ কালে হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে দন্ডাদেশের তারিখ হতে ০৭ দিনের মধ্যে আপীল করতে হবে। [তামাদি আইন-১৯০৮, ১ম তফসিলের অনুচ্ছেদ-১৫০ ]
২। ১৯৯৮ এর ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে, হাইকোর্ট ভিন্ন অন্য যে কোন আদালতে দন্ডাদেশ বা আদেশের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে আপীল করতে হবে। [তামাদি আইন-১৯০৮, ১ম তফসিলের অনুচ্ছেদ-১৫৪ ]
৩। মৃত্যুদণ্ডাদেশ ব্যতীত অন্যান্য দন্ডাদেশ বা আদেশের বিরুদ্ধে দন্ডাদেশ বা আদেশের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপীল করা যাবে।[তামাদি আইন-১৯০৮, ১ম তফসিলের অনুচ্ছেদ-১৫৫ ]
৪। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪১৭ (৩) ধারা মতে, খালাসের আদেশ হওয়ার তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে ফরিয়াদী কর্তৃক ক্ষেত্রমতে হাইকোর্ট বা দায়রা আদালতে আপীল দায়ের করতে হবে।
৫। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪১৭(ক) (২) ধারা মতে, অপর্যাপ্ত দন্ডাদেশের ক্ষেত্রে কোন ফরিয়াদী দন্ডাদেশের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে আপীল আদালতে আপীল করতে পারবেন।
আপীল নিস্পত্তির সময়সীমা
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৪২ (ক) (১), (২), (৩) ধারা অনুসারে আপীল আদালত রেসপনডেন্ট এর প্রতি নোটিশ জারির পর হতে ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করবেন।
অসমাপ্ত দন্ডের বিরুদ্ধে আপীল
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪১৭ (ক) ধারায় অপর্যাপ্ত দন্ডের বিরুদ্ধে আপীলে কথা বলা হয়েছে।
১। কোন আদালত বিচারে প্রদত্ত দন্ডাদেশের ক্ষেত্রে দন্ডাদেশের অপর্যাপ্ততার কারণে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করার জন্য সরকার Public Prosecutor (P.P) কে নির্দেশ দিতে পারেন।
২। কোন আদালত বিচারে প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে ফরিয়াদী দন্ডের অপর্যাপ্ততার কারণে দন্ডাদেশের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যেআপীল দায়ের করতে পারবেন।
৩। দন্ডের অপর্যাপ্ততার কারণে কোন আপীল দায়ের করা হইলে আপীল আদালত দন্ড বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কারণে দর্শানোর জন্য আসামীকে যুক্তিসংগত সুযোগ না দিয়া দত্ত বৃদ্ধি করিবেন না এবং কারণ দর্শানোর সময় আসামী তার খালাস প্রাপ্তি অথবা দন্ড হ্রাসের জন্য প্রার্থনা করতে পারবেন ।
দেওয়ানি আপিল কোন কোন ক্ষেত্র/বিষয়ে দায়ের করা যায়
দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা ৯৬ মোতবেক নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আপিল করা যায়।
১। এই আইনের গর্ভে বা সময়কালীন বলবৎ অন্য কোন আইন দ্বারা অন্যভাবে ব্যক্তভাবে বিধান ব্যতিরেকে, মূল এখতিয়ার প্রয়োগকারী আদালত প্রদত্ত প্রত্যেক ডিক্রি হতে উক্ত আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল শ্রবণের জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালতে আপিল দায়ের করা যাবে।
২। একতরফা প্রদত্ত মূল ডিক্রি হতেও আপিল দায়ের করা চলবে।
৩। পক্ষগণের সম্মতিতে আদালত দ্বারা প্রদত্ত ডিক্রি হতে কোন আপিল দায়ের করা চলবে না।
তবে ‘দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ এর ৯৭ ধারা মোতাবেক, যখন কোন পক্ষ এই আইন বলবৎ হবার পর প্রদত্ত কোন প্রাথমিক ডিক্রির ফলে সংক্ষুব্ধ হয়েও উক্ত ডিক্রি হতে আপিল দায়ের না করে, তখন চূড়ান্ত ডিক্রি হতে দায়ের হতে পারে এরূপ কোন আপীলে এর সঠিকতা সম্পর্কে বিবাদ হতে সে নিবৃত্ত থাকবে।
এছাড়াও আদেশ ৪৩ এর ১ বিধিতে বর্ণিত আদেশসমূহের বিরুদ্ধে ১০৪ ধারার আওতায় আপিল করা যায়। তবে এ সকল আপিলকে ‘বিবিধ আপিল’ বলা হয়।
যে সকল আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ‘বিবিধ আপিল দায়ের করা যায়
সাধারণত: নিম্ন আদালতের রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হয়। যে সকল আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানি কার্যবিধির বিধান মতে আপিলের অনুমতি রয়েছে, সে সম্পর্কে এ আইনের ৪৩ আদেশের ১ বিধিতে বর্ণিত হয়েছে। এই সকল আদেশের বিরুদ্ধে ১০৪ ধারার আওতায় ‘বিবিধ আপিল’ করতে হয় তা নিম্নরূপ:
(১) নিম্নলিখিত আদেশগুলো হতে আপিল করা যায় এবং এই আইনের ভিতর বা
বর্তমানে বলবৎ কোন আইন দ্বারা অন্যভাবে স্পষ্ট উল্লেখ ব্যতিরেকে অন্য আদেশ গুলো হতে আপিল করা যাবে না—
(ক) হতে (চ) বিলুপ্ত
(চচ) ৩৫ক ধারার আওতায় প্রদত্ত আদেশ;
(ছ) ৯৫ ধারার আওতায় প্রদত্ত আদেশ;
(জ) ডিক্রি জারিতে গ্রেফতার বা দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ ছাড়া এই আইনের যে কোন বিধানের আওতায় জরিমানা আরোপ বা কোন লোককে গ্রেফতার বা
দেওয়ানি কারাগারে আটক করার নির্দেশমূলক আদেশ।
(ঝ) নিয়মাবলীর দ্বারা আপিল ব্যক্তভাবে মঞ্জুর হয় এরূপ নিয়মাবলীর আওতায় প্রদত্ত আদেশ :
[তবে শর্ত এই যে, অল্প পরিমাণ অংকের অর্থ প্রদানের আদেশ দেয়া উচিত ছিল না বা ছিল এই অজুহাত ছাড়া (চচ) দফায় উল্লেখিত যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলবে।
(২) এই ধারানুযায়ী আনীত আপীলে প্রদত্ত কোন আদেশ হতে আপিল চলবে না।
আপীল আদালতের ক্ষমতা
১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১০৭ ধারায় এবং একই আইনের ৪১ নম্বর আদেশের ২৩ নং বিধি হতে ২৯নং বিধিগুলিতে আপিল আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
“আপিল আদালতের ক্ষমতা” সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ১০৭ ধারায় বিশেষভাবে উল্লেখ যে, আইন দ্বারা আরোপিত শর্ত এবং সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, প্রত্যেক আপিল আদালত এই ধারার
(১) নং উপধারা মতে, নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাগুলি প্রয়োগ করার অধিকার থাকবে; যেমনঃ-
(ক) কোন মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে যথেষ্ঠ পরিমাণে রেকর্ডকৃত সাক্ষ্য প্রমাণ প্রতীয়মান হবে, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত চূড়ান্তভাবে মামলাটি নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
(খ) কোন মামলা পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণ করা। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে একটি মামলা প্রাথমিক পয়েন্টের উপর নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং আপিলে মাধ্যমে ডিক্রী পাল্টানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত মামলাটি ফিরতি বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে পাঠাতে পারেন।
(গ) বিচার্য-বিষয় প্রণয়ন এবং সেগুলি বিচারের জন্য প্রেরণ। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কোন মামলার সঠিক নিষ্পত্তির জন্য বিচার্য বিষয় গঠন না করলে কিংবা তথ্যের কোন প্রশ্নে সঠিকভাবে বিচার সম্পন্ন না করলে, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত সঠিকভাবে বিচার্য বিষয় স্থিরকরতঃ নিম্ন আদালতের প্রতি মামলাটি বিচারের জন্য প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারেন।
(ঘ) অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা অথবা প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্দেশ দান
করা। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত এমন সব প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে যা গ্রহণ করা উচিৎ ছিল; সেক্ষেত্রে আপিল আদালত এরূপ কোন সাক্ষীকে পরীক্ষা করার প্রয়োজন মনে করলে অথবা অন্য কোন উল্লেখযোগ্য কারণে নিম্ন আদালতের প্রতি অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দান করতে পারেন।
এই আইনের ১০৭ নং ধারায় (২) নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, অত্র আইন বলে কো মৌলিক এখতিয়াসম্পন্ন আদালতে উপর তথাকার মামলার ব্যাপারে যেরূপ ক্ষমতা এবং কর্তব্য আরোপিত হয়ে থাকে, উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে আপিল আদালতের উপরও এরূপ ক্ষমতা এবং প্রায় একইরূপ কর্তব্য বর্তাইবে।
আপিল আদালতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাবলী সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১ নং আদেশের ২৩ নং বিধি হতে ২৯ নং বিধির বিধান সমুহে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১ নং আদেশের ২৩ নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কোন প্রাথমিক বিষয়ের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করে ডিক্রী প্রদান করেছেন এবং সে আদালতের ডিক্রি বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, উক্ত ডিক্রীটি যদি আপিলে রদ হয়ে যায়, তবে সেক্ষেত্রে আপীর আদালত সঙ্গত মনে করলে মামলাটি পুনর্বিচারের জন্য বিচারকারী আদালতে প্রেরণ করতে পারবেন, এবং পুনর্বিচারকালে কি কি বিচার্য বিষয় বিবেচনা করতে হবে তৎসম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারবেন। যে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ প্রথম বিচারকালে গ্রহণ করা হয়েছিল, সে সব সাক্ষ্য প্রমাণগুলি। প্রয়োজনীয় ব্যতিক্রম সাপেক্ষে পুনর্বিচারকালেও প্রমাণস্বরূপে গ্রাহ্য হবে;
একই কার্যবিধির ৪১নং আদেশের ২৪ বিধিতে বলা হয়েছে যে, নথিপত্র প্রাপ্ত প্রমাণাদি দৃষ্টে আপিল আদালত যদি মনে করেন যে, রায় প্রদানের জন্য নথিপ্রত্র প্রাপ্ত উক্ত প্রমাণগুলি যথেষ্ঠ, তবে সেক্ষেত্রে করতে পারবেন। এইরূপ ক্ষেত্রে, যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়েছে, সে আদালত যে সকল কারণের ভিত্তিতে মামলা নিস্পত্তি করেছিলেন আপিল আদালত সেগুলি ব্যতীত অন্য কারণের ভিত্তিতেও মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
৪১ নং আদেশের ২৫নং বিধির বিধান মতে, যে আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়েছে, সে আদালত যদি বিচার্য বিষয় প্রণয়ন বা বিবেচনা না করে থাকেন অথবা তথ্য সংক্রান্ত এমন কোন প্রশ্ন নিষ্পত্তি না করে থাকেন, যা আপিল আদালত প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করে বিচারকারী আদালতে উহা বিচারের জন্য প্রেরণ করতে পারবেন। এরূপ ক্ষেত্রে, আপিল আদালত উক্ত নিম্ন আদালতকে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত প্রমাণ গ্রহণের নির্দেশ দান করবেন।
একই আদেশের ২৮নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে আপিল আদালত অতিরিক্ত প্রমাণ দাখিলের অনুমতি দান করবেন, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত স্বয়ং উক্ত প্রমাণ গ্রহণ করতে পারবেন, অথবা যে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হয়েছে, সে আদলতকে কিংবা অপর কোন অধঃস্তন আদালতকে উক্ত প্রমাণ গ্রহন করে তা আপিল আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিতে পারবেন।
আপিল আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে পরিশেষে এই আদেশের ২৯নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে আপিল আদালত অতিরিক্ত প্রমাণ গ্রহণের অনুমতি বা নির্দেশ দান করবেন, সেক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে উক্ত প্রমাণ গ্রহণ করা হবে, তা আপিল আদালত নির্দিষ্ট করে দিবেন এবং মামলার কার্যবিবরণীতে উক্ত বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। এইভাবে, উপরে উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে, আপিল আদালত তার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলী প্রয়োগ করে থাকেন।
আপীল আদালত কি অতিরিক্ত সাক্ষ্য নিতে পারে
১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধর ৪১নং আদেশের ২৭নং বিধির বিধান সাপেক্ষে আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য নিতে পারে।
যে সকল অবস্থায় আপীল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করার অধিকারী সেই সম্পর্কে এই আদেশের ২৭নং বিধির (১) নং উপবিধিতে বলা কিংবা দলিলের মাধ্যমে কোনরূপ অতিরিক্ত সাক্ষ্য প্রামণ দাখিল করতে পারবে না।’
তবে, নিম্নলিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আপীর আদালত এইরূপ অতিরিক্ত সাক্ষ্য
গ্রহণের জন্য অনুমতি দান করতে পারেন; যেমন—
ক) যে আদালতে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা হয়েছে, সেই আদালত এমন
কোন প্রমাণ অগ্রাহ্য করে থাকেন, যা গ্রহণ করা উচিত ছিল; অথবা
খ) রায় প্রদানের সুবিধার্থে কিংবা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণে আপীল আদালত কোন দলিল উপস্থাপন করা অথবা সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করেন, তবে আদালত উক্ত দলিল বা প্রমাণ উপস্থাপন করার বা সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করার অনুমতি দিতে পারবেন।
পরিশেষে, দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১নম্বর আদেশের ২৭ নম্বর বিধির (২) নং উপবিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপীল আদালত যেক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রমাণ দাখিলের অনুমতি দান করবে, সেইক্ষেত্রে আদালত উহার কারণ লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
আপিলযোগ্য আদেশসমূহ
দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা-১০৪ বর্ণিত যে যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়—
(ক) ৯৫ ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ;
(খ) ডিক্রি জারিতে গ্রেপ্তার কিংবা দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ ব্যতীত এই আইনের যে কোন বিধানের অধীনে জরিমানা আরোপ কিংবা কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার কিংবা দেওয়ানি কারাগারে আটক করার নির্দেশমূলক আদেশ;
(গ) নিয়মাবলীর মাধ্যমে আপিল ব্যক্তভাবে মঞ্জুর হয় এরূপ নিয়মাবলীর অধীনে প্রদত্ত আদেশ।
অর্থাৎ উপরোক্ত আদেশসমূহ ব্যতীত অন্য কোন আদেশের আপিল চলবে না।
কোন কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না?
দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ১০৪ ধারায় বর্ণিত আদেশ ব্যতীত অন্যান্য যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না।
তাছাড়া—
১. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারায় আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত ডিক্রি হলেও তার বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা যাবেনা। কারণ এই আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই ধারার অধীন প্রদত্ত কোন ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল বা রিভিউ দায়ের করা যাবেনা।
২. দেওয়ানী কার্যবিধির ৯৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, আদালত পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে আপস বা সোলে ডিক্রি [Compromise Decree] দিলে তার বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না। আদেশ ২৩ এর বিধি ৩ অনুযায়ী আদালত আপস ডিক্রি বা সম্মতিসূচক ডিক্রি দিয়ে থাকে এবং এমন ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না।
৩. ক্ষুদ্র এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের প্রদত্ত কোন ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল করা যাবেনা [২৫ ধারা, ক্ষুদ্র এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত আইন; ১৮৮৭]।
৪. আপীল শুনানী শেষে আপীল আদালত কোন ডিক্রি দিলে, উক্ত ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল করা যাবেনা।
উপরের উল্লেখিত ক্ষেত্রে যেহেতু আপীল করা যায় না, তাই এই সকল ডিক্রির বিরুদ্ধে রিভিশন করা যাবে। অন্যদিকে ৮৯ক ধারা অনুযায়ী মধ্যস্থতার মাধ্যমে আদালত কোন আদেশ বা ডিক্রির দিলে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ আপীল বা রিভিশন করা যাবেনা।
‘আপিল মোকদ্দমার ধারাবাহিকতা’
মোকদ্দমা হচ্চে কোন বিচার্য বিষয় নিয়ে বাদী-বিবাদীর মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার জন্য আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দান কার্যক্রম। প্রথম আদালতে রুজুকৃত মামলার বিষয়বস্তুর উপর সে আদালত যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, তা সে আদালতের জন্য চূড়ান্ত। কিন্তু মোকদ্দমাভুক্ত কোন পক্ষ যদি ঐ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয়, তবে কেন সন্তুষ্ট নয় তার কারণ দর্শিয়ে উচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। অতঃপর আপিলে যে সিদ্ধান্ত প্রদত্ত হয় তাই মোকদ্দমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত নিম্নাদালতে সিদ্ধান্তের অনুকূলে কিংবা প্রতিকূলেও হতে পারে। তবে আপিল আদালতের সিদ্ধান্তই কার্যকরী হয়ে থাকে। বস্তুত, এ জন্যেই বলা হয় যে, “আপিল মোকদ্দমার ধারাবাহিকতা।” এ প্রসঙ্গে আপিলের সংজ্ঞাটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। কেননা এর দ্বারা আলোচ্য বিষয়টি পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়ে যায়। আপিলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কলিকাতা হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি বলেন যে, “নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন মোকদ্দমার রায়ের বিরুদ্ধে যে কোন ক্ষুব্ধপক্ষ ঐ মোকদ্দমার রায় বাতিল, সংশোধন বা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য উচ্চ আদালতে মেমোরেণ্ডামের আকারে যে দরখাস্ত দাখিল করে তাকেই বলা হয় ‘আপিল’। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তই কোন মোকদ্দমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা সমাপ্তি নয়। যদি এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়, এ ক্ষেত্রে আপিল আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। সুতরাং আপিল মোকদ্দমারই ধারাবাহিকতা।
রাফ(কাটা ছেড়া করব,সময় পাচ্ছি না। তথ্য বহুল করতে হবে)
Leave a comment