আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোনাে সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করা সম্ভব নয়। যদিও এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন যা আলােচনা করা হল পামার ও পারকি বলেছেন, বিশ্বের সব মানুষ গোষ্ঠী যাবতীয় সম্পর্ক, মনুষ্য সমাজ ও তাদের কার্যকলাপ এবং চিন্তার প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি, চাপ ও প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আলােচনা করে থাকে।
অপরদিকে হার্টম্যানের মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হল এমন একটি বিষয় যা বিভিন্ন রাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রক্রিয়া নিয়ে আলােচনা করে।
অধ্যাপক হলটির মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলতে দুই বা ততােধিক রাষ্ট্রের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা পর্যালােচনাকে বুঝিয়েছেন।
স্ট্যানলি হফম্যানের সংজ্ঞাটি প্রণিধানযােগ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধিতব্য বিষয় হল সেইসব হেতুমূলক উপাদান (factors) এবং কার্যকলাপ যার দ্বারা বিশ্বের মূল রাজনৈতিক এককগুলির অর্থাৎ রাষ্ট্রের বিদেশনীতি ও ক্ষমতার অবস্থান প্রভাবিত হয় (The discipline of International relations is concerned with the factors and activities which affect the external policies and the power of the basic units into which the world is divided).
অধ্যাপক নিকোলাস স্পাইকম্যান-এর মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিবর্গের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাধারণ বা গ্রহণযােগ্য সংজ্ঞা: উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলির ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি সাধারণ সংজ্ঞা নির্দেশ করা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হল এমন একটি বিষয়, যা বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে অরাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠন, ক্ষমতা, জাতীয় স্বার্থ, রাজনৈতিক মতাদর্শ, যুদ্ধ ও শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ, জাতিসত্তা, কূটনীতি, স্বার্থগােষ্ঠী, জনমত, প্রচার, সন্ত্রাসবাদ, বিশ্ব বাণিজ্য, বিশ্ব পরিবেশ, বিশ্বায়ন প্রভৃতির মতাে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলােচনা করে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশধারা বা ক্রমবিকাশ
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্বতন্ত্র একটি শাস্ত্র হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিকাশলাভ করলেও প্রাচীনকাল থেকেই আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। বিশেষত, ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপকের পদ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঠিত বিষয় হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু এর পূর্বে রাষ্ট্রচিন্তার ক্ষেত্রে বহু প্রতিথযশা পণ্ডিতগণ তাঁদের লেখনীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু মৌলিক ভাবনাচিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। বিশেষত, প্রাচীন গ্রিস, চিন ও ভারতবর্ষের লেখকগণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে কিছু সাধারণ ধারণা দিয়েছিলেন। বিশেষ করে প্রখ্যাত গ্রিক ঐতিহাসিক থুকিডিডিস-এর রচনা History of the Peloponnesian War পুস্তকটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলে ধ্রুপদি সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করেছে। যােড়শ শতাব্দীর বিখ্যাত ইতালীয় দার্শনিক ম্যাকিয়াভেলি রচিত The Prince-এ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন ও রাষ্ট্রপরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলােচনা রয়েছে। প্রাচীন ভারতের সুবিখ্যাত কূটনীতিবিদ কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র-কে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ রচনার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
(1) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: মধ্যযুগের অবসানে নবজাগরণের হাত ধরে যে আধুনিক যুগের সূচনা হয়েছিল, তার ফলে আধুনিক ভূখণ্ডকেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব হয়। এই আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূচনা হয়। ইউরোপের নবজাগরণ ও সংস্কার আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে ত্রিশ বর্ষব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানরা ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির বক্তব্য হল, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলি নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী অন্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অন্যান্য সম্পর্ক প্রস্তুত করতে পারবে। এর ফলে তা থেকেই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশ পরিলক্ষিত হয়। আধুনিক জাতি-রাষ্ট্রের সূচনাপর্বকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূচনাপর্ব বলা যেতে পারে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ঘটে যাওয়া শিল্পবিপ্লব বা Industrial Revolution আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশের ধারাকে আরও ত্বরান্বিত করেছিল। শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী পর্যায়ে ইউরোপের শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলি বিদেশি বাজার দখলের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এই সময় গােপন কূটনীতির সূত্রপাত ঘটে। এই পর্যায়ে জাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ প্রভৃতি ধারণাগুলির উপর আলােকপাত ঘটেছিল। তা সত্ত্বেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলােচনা হয়নি।
(2) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিন্যাস: শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী সময়ে বিশ্বে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য ঘটনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪ খ্রি.) সংঘটিত হওয়া। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ আলােচনা দেখা যায়। বিশেষত এই পর্বেই সােভিয়েত ইউনিয়নের উদ্যোগেই গােপন কূটনীতির মতাে সাম্রাজ্যবাদী লেন্সের একটি কৌশলের অবসান ঘটে। এই সময় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের চোদ্দো দফা প্রস্তাব বিশ্বের দরবারে উপস্থিত হলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন পর্যায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
এই পর্যায়ের একটি উল্লেখযােগ্য ঘটনা হল, ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত বলশেভিক বিপ্লব-যা বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিদেশনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একটি শাস্ত্র হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পাঠ শুরু হয়। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে শিল্পপতি ডেভিড ডেভিস (David Devis)-এর অর্থসাহায্যে ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পঠনপাঠন শুরু হয়। ক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পৃথক বিষয় হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পাঠ শুরু হয়।
(3) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিন্যাস: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫ খ্রি.) বিধ্বংসী ভয়াবহতা মানুষকে পরিপূর্ণ শান্তিকামী করে তােলে। বিশ্বরাজনীতির আমূল পরিবর্তন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিন্যাসে নতুন মাত্রা এনে দেয়। একটি স্বতন্ত্র পড়াশোনার বিষয় হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মর্যাদা লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে বিশ্বের শান্তিকামী রাষ্ট্র নেতৃবৃন্দ গড়ে তোলেন সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ United Nations Organisation ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪ অক্টোবর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে নতুন শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্থান ঘটে। এরপর শুরু হয় জোটবদ্ধ রাজনীতি ও মতাদর্শের লড়াই। সমগ্র বিশ্বে শুরু হয় স্নায়ুযুদ্ধ বা ছায়াযুদ্ধ। একে বিশেষজ্ঞরা Cold War ঠান্ডা লড়াই হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘NATO’ জোটের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে সােভিয়েত ব্লকের ‘WARSAW’ জোট। এর পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহ নিয়ে গড়ে ওঠে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের মতাে মানব সভ্যতা ধ্বংসকারী দুটি জঘন্য মতবাদের অবসানের মধ্য দিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের আদর্শবাদ পরিত্যক্ত হয়। আবার আদর্শবাদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বাস্তববাদ। এই নতুন ধারার প্রধান চিন্তক ছিলেন, ই এইচ কার (Twenty Years Crisis’) এবং হ্যান্স জে মরগেনথাউ (‘Politics Among Nations’)। এ ছাড়া কেনেথ টমসন, নাইবা- এর তাত্ত্বিক চিন্তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশধারাকে বিকশিত করেছে।
(4) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে আন্তর্জাতিক রাজনীতি যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, সেটি হল ঠান্ডা লড়াই। সাতের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে তীব্র অস্থিরতা ও উত্তেজনা স্তিমিত হতে শুরু করে। এইরকম পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নতুন ধারায় প্রবাহিত হতে শুরু করে। এই সময়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলো দ্বিমেরুকরণের রাজনীতি, আণবিক অস্ত্র ভান্ডার গড়ে তােলা, সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক বাজার প্রতিষ্ঠা এবং আমেরিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির উপর প্রাধান্য বিস্তারের প্রচেষ্টা ইত্যাদি।
(5) একমেরু বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিন্যাস : ঠান্ডা লড়াই-এর অবসান এবং ১৯৯০-১৯৯১ সময়কালের মধ্যে সােভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটে। যার দরুন বিশ্ব রাজনীতিতে দ্বিমেরুতার অবসান ঘটার ফলে শক্তি ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে। সারা বিশ্বে একক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্থান ঘটে। ফলস্বরূপ সারা বিশ্বে মার্কিন আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষমতা বিন্যাসের এই পরিবর্তনকে একমেরু বিশ্ব বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। বিগত শতাব্দীর নব্বই-এর দশকে রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সহযােগিতা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এইসব প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ছিল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও তার বিশেষ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানগুলি। যেমন—আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রভৃতি, যেগুলির আলােচনা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে বিকশিত করেছে।
(6) একুশ শতক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিন্যাস: একুশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল সারা বিশ্বে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ঘটে যাওয়া। ফলে গােটা বিশ্ব আজ সাধারণের নাগালের মধ্যে। এমনকি জাতিসমূহও আজ বিচ্ছিন্নতা বােধ করে না। প্রযুক্তির এই অভাবনীয় উন্নতির হাত ধরে এসেছে বিশ্বায়ন, যা বিভিন্ন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অর্থনীতি ও রাজনীতি সংক্রান্ত পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে। বিশ্বায়ন ও তার প্রধান পৃষ্ঠপােষক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা WTO-এর মতাে প্রতিষ্ঠানকে এই আলােচনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশ যারা ব্রিটিশ ও মার্কিন পুঁজির বিরােধিতায় সরব ছিল, বিশ্বায়নের প্রবল ঝড় সেই বিরােধিতাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন আবহাওয়ার সূত্রপাত হয়, যার ফলস্বরূপ বিশ্বরাজনীতির অর্ধশতকের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে। এই সময় নারীবাদী তত্ত্ব, উত্তর-আধুনিকতাবাদী তত্ত্ব, উত্তর-ঔপনিবেশিকতাবাদ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশে একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে এবং করেই চলেছে।
মূল্যায়ন: এইসব ঘটনার ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বলাবাহুল্য, এই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আঙিনা থেকে বেরিয়ে পঠনপাঠনের শাস্ত্র হিসেবে বিকাশলাভ করেছে— যা সমাজবিজ্ঞানের নবীন শাস্ত্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলতে কী বােঝাে? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য কী?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্বতন্ত্র পাঠ্য বিষয় হিসেবে গণ্য | স্বতন্ত্র পাঠ্য বিষয় হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশ
দুটি বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশ | আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশে মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের উদ্যোগ এবং অবদান
Leave a comment