আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা
গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক এর বক্তব্য
তারিখ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সময় : বিকাল ৩.০০ ঘটিকা, স্থান : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সেগুনবাগিচা, ঢাকা ।
মাননীয় সভাপতি, শ্রদ্ধেয় প্রধান অতিথি, মঞ্চে উপবিষ্ট অন্য অতিথিবৃন্দ, সমবেত সুধীমণ্ডলী-সবাইকে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা। শুরুতেই, আজকের এই মহান দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই বায়ান্নর ভাষা শহিদদের প্রতি। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, ভাষা আন্দোলনেও যাঁর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি নানা মাত্রিকতায় গৌরবোজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করেছে বাঙালি জাতিকে। একুশে আমাদের সাহসের প্রতীক। ফি বছর বাঙালির জীবনে একুশে ফিরে আসে স্বদেশী চেতনা ও উজ্জীবনের বার্তা নিয়ে। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার জন্য ছাত্র- জনতার রক্তে রচিত হয়েছে বাঙালির যে ইতিহাস, সেটিই আমাদের মাথানত না করার চিরকালীন প্রেরণা হয়ে আছে। মাতৃভাষা বাংলার জন্য রচিত একুশের এই সোপান আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এবং ইউনেস্কোর সহযোগিতায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সকল ভাষা গোষ্ঠীর মাতৃভাষার মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠেছে। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এ কথাটি ভাবতেই আমাদের বুক গর্বে ভরে ওঠে। নানা দেশের মানুষ এখন বাংলা ভাষায় কথা বলেন। ভাষা শহিদদের সম্মানে আজকের এই মহান দিবসটি উদ্যাপন করেন।
ভাষা জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। একই ভাষায় কথা বলার অর্থ হচ্ছে একে অন্যের ভাবনার শরিক হওয়া। অনুভব ভাগ করে নেয়া। মানুষ অন্য গোষ্ঠী বা জাতির সাংস্কৃতিক চেতনা ও আচরণের সন্ধান পায় এই ভাষার মাধ্যমেই। ভাষা জাতীয়তাবাদী চেতনারও বড় বাহন। জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, জাতি গঠন কিংবা জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারণা বিকাশে সাধারণ একটি ভাষার গুরুত্ব অসাধারণ। মাতৃভাষাকে আঁকড়ে ধরেই জাতির বেড়ে ওঠা, পথচলা। তাই ভাষা মানুষের অস্তিত্বেরও অংশ। ভাষা অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকারও মাধ্যম। উৎপাদনের সঙ্গে ভাষার রয়েছে নিবিড় সংযোগ। মানুষকে সেই যোগাযোগের মাধ্যম থেকে বঞ্চিত করা মানেই উৎপাদনের প্রক্রিয়া থেকেও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া। এরূপ পরিস্থিতিতে মানুষ মনে করে তার বেঁচে থাকার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। আর সে কারণেই মানুষ সংগ্রাম করে সেই নিরাপত্তাকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য। বিষয়টি মনস্তাত্বিকও বটে।
মায়ের ভাষাকে কোনোভাবেই অবরুদ্ধ কিংবা ধ্বংস করা যায় না। মাতৃভাষার ওপর আঘাত এলে তাই আত্ম অভিমানে লাগে। মানুষ তখন স্বভাবসুলভ বিদ্রোহ করে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাঙালি জাতি। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আসীন করতে আমরা প্রাণ দিয়েছি। সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
১৯৪৮ সালে করাচিতে নবগঠিত পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম সভায় উর্দু ও ইংরেজিকে গণপরিষদের সরকারি ভাষা ঘোষণা করা হয়। সেই সভায় পূর্ববাংলার গণপরিষদ সদস্য একাত্তরের বীর শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ‘বাংলাকেও গণপরিষদের ভাষা হিসেবে গ্রহণ’ করার প্রস্তাবের পাশাপাশি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ছাত্রছাত্রী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে প্রতিবাদ করতে থাকে। ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। এই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলা ভাষার দাবিতে ১১ মার্চ সমগ্র পূর্ববাংলায় ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট চলাকালে সচিবালয়ে প্রথম গেটে পিকেটিং করার সময় অন্যান্যের মধ্যে শামসুল হক, অলি আহাদ এবং শেখ মুজিব গ্রেফতার হন। এটিই ছিল ভাষা আন্দোলনে প্রথম কারাবরণ। ১৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পরপরই শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীনের সঙ্গে সম্পাদিত আট দফা চুক্তি পড়ে ক্রুব্ধ হন। তিনি বলেন, ‘মিয়ারা করছো কি? রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি কোথায়? এই চুক্তি আমি মানি না।’ তাঁর মতে আট দফা চুক্তি ছিল অন্ত:সারশূন্য। চুক্তিতে রাষ্ট্রভাষার দাবিকে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আপোস করেছেন কিছু আপোসকামী ছাত্রনেতা।
পরের দিনই শেখ মুজিবের প্রস্তাব অনুযায়ী আট দফা চুক্তির কয়েকটি স্থান সংশোধন করা হয়। ছাত্রসমাজ আট দফা চুক্তিকে প্রত্যাখান করে সশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এভাবেই আট দফা চুক্তির ফলে মিইয়ে যাওয়া ভাষা-আন্দোলনকে সেদিন শেখ মুজিবের দূরদর্শী নেতৃত্বে ফের চাঙ্গা করা হয়। ১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দুর্ভিক্ষাবস্থায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে ঢাকায় ভূখা মিছিল করার দায়ে গ্রেফতার হন শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক। সেই থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত তিনি জেলে ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন যখন উত্তাল, তখন জেলে থেকেও এই পর্বে একাত্মতা প্রকাশ ও নানা পরামর্শ দিয়ে ভাষা আন্দোলনকে নিয়মিতভাবে প্রভাবান্বিত করেন শেখ মুজিব। শারীরিকভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও তিনি আন্দোলনকে বেগবান করতে নানা কায়দায় নেতৃত্বদানকারীদের সাথে গোপন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। ‘ভাষা আন্দোলনের আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত’ বিষয়ে গবেষণার সময় প্রয়াত গাজিউল হকসহ অনেকেই এ তথ্য আমাদের দিয়েছেন।
১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক ভাষণে বলেন, ‘অনেকেই ইতিহাস ভুল করে থাকেন। ১৯৫২ সালের আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস আপনাদের জানা দরকার। আমি তখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেখানেই আমরা স্থির করি, রাষ্ট্রভাষার ওপর ও আমার দেশের ওপর যে আঘাত হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি তার মোকাবেলা করতে হবে। সেখানেই গোপন বৈঠকে সব স্থির হয়। … কথা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি আমি জেলের মধ্যে অনশন ধর্মঘট করবো, আর ২১ তারিখে আন্দোলন শুরু হবে।’ এ কথাগুলো প্রথমে তিনি একাত্তরের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে উচ্চারণ করেছিলেন।
মূলত ছাত্র-জনতার নিবিড় অংশগ্রহণে ভাষা আন্দোলন থেকেই গড়ে ওঠে স্বায়ত্তশাসনের জন্য আন্দোলন। পূর্ববাংলার অর্থনৈতিক বঞ্চনা এর শিকড়ে ছিল। স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন থেকেই দানা বাঁধে মুক্তিযুদ্ধ। এই ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্ব সদা দৃশ্যমান। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট বাঙালির অধিকার সচেতনতার প্রতিফলন দেখা যায় চুয়ান্নর নির্বাচনে। ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়েই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ঐতিহাসিক ছয় দফা, ছাত্রসমাজের এগারো দফার সংগ্রাম, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাবিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনে জনতার নিরঙ্কুশ রায়, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন গড়ে ওঠে। এভাবেই ধাপে ধাপে বাঙালি এগিয়ে যায় একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামের দিকে। এসব আন্দোলনের প্রতিটি সোপানে এ দেশের সাধারণ মানুষ, তাদের শিক্ষার্থী সন্তানদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যাও ছিল বিশাল। এদের অনন্য ভূমিকার কথা না বললেই নয়। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ ছিল অনন্য, অবিস্মরণীয়। আর সেজন্যই মুক্তিসংগ্রাম শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদে সগৌরবে উৎকীর্ণ হলো ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।’ ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ-সংগ্রামের এই পরম্পরায় সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ছিল গভীরভাবে প্রোথিত। সেই বহুমাত্রিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষা আজো আমাদের অনুপ্রাণিত করছে অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষম উন্নয়নের সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরণের জন্য।
মাতৃভাষা বাংলার জন্য আমাদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। ১৯৯৮ সালে কানাডা প্রবাসী রফিক ও সালাম তাদের প্রতিষ্ঠিত ‘দ্যা মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ সংগঠনের মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের আবেদন জানান জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের কাছে। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এ এস এইচ কে সাদেককে বিষয়টি অবহিত করেন। শিক্ষামন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করলে তিনি এ বিষয়ে খুবই উৎসাহিত হন এবং জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তাবটি ইউনেস্কোর অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই তার সদর দপ্তরে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর এই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কারণেই প্রস্তাবটি যথাসময়ে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে পাঠানো সম্ভব হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ত্বরিৎ সিদ্ধান্তের জন্য বাঙালি জাতি চিরদিন তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।
সেই থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের নয়, গোটা বিশ্বের মাতৃভাষা দিবস। এ স্বীকৃতি ভাষা শহিদদেরই গৌরবগাঁথা। এ বিজয় তাঁদেরই। তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাই বিশ্বব্যাপী ভাষা সংগ্রামীদের এই দিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তাঁদের স্মরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে ও সমর্থনে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ আমরা সমবেত হয়েছি ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে।
মাতৃভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন, এর সুরক্ষা, বিকাশ ও অবাধ চর্চার মাধ্যমে আমাদের গৌরবময় অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের দেশে বাংলা ছাড়াও অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষা রয়েছে। তাদের মাতৃভাষার বিকাশেও আমাদের সদা সচেতন থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তাদের প্রাণপ্রিয় এসব ভাষা যেন অনাদরে হারিয়ে না যায়। তাদের কোনো কোনো ভাষার লিখিত রূপ নেই। তাদের গুণমানের শিক্ষার জন্য এসব ভাষার লিখিত রূপ দিতে সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলা ও নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার উন্নয়ন ও প্রসারে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য একটি বিশেষ ভাষা উন্নয়ন গবেষণা তহবিল গড়ে তোলা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারও কি করে উৎসাহিত করা যায় তাও ভাবতে হবে। সরকার তার উন্নয়ন বাজেটের ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ তহবিল থেকে এজন্য একটি ‘এনডাউমেন্ট ফান্ড’ গড়তে নিশ্চয় উদ্যোগী হতে পারেন। ব্যাংকিং ও অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও এ ধরনের তহবিলে অবদান রাখতে পারে। আসুন, সবাই মিলেই মাতৃভাষার উন্নয়নে ব্রতী হই। উদ্যোগী হই। বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ এক উদাহরণ সৃষ্টি করি।
সবশেষে, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, বাংলা ভাষার চর্চা-বিকাশ ও এর সমৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ যাঁরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন ও এখনো করে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এখানেই শেষ করছি।
শহিদ স্মৃতি অমর হোক।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Leave a comment