বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ১৯৯১ সাল থেকে ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করতে হলে সে সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তাই আমি আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আপনারা যারা আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করতে চান আমার পোস্ট তাদের জন্য।
বাংলাদেশ সরকার ২০২২ – ২৩ অর্থবছরে মোট ৫৭ লাখ ১ হাজার জন প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রবীণ ব্যতিদের জন্য বয়স্ক ভাতার প্রচলন করা হয়। আর সরকারের এ গৃহীত পদক্ষেপ প্রবীনদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। নিচে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস
এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩৩ তম প্রবীন দিবস পালন করা হবে। প্রতিবছর পয়লা ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯0 সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিকভাবে “আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস” প্রতিবছর পহেলা ১ অক্টোবর পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপরের বছর অর্থাৎ ১৯৯১ সাল থেকে এই দিবসটি পালন করা শুরু হয়। এই দিবসটি পালনের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়টি ও জনসচেতন করা হয়ে থাকে।প্রবীন দিবস পালনের সময় আমাদের তরুণ এবং যুবক সমাজ কে ও ভাবতে হবে আমরা একদিন প্রবীণ হব।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন
বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু ৭২.৪ বছরে উন্নীত হয়েছে।তাই বর্তমানে যদি তারা প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে যথাযথ সম্মান দেখাতে পারে তাহলে ভবিষ্যতেও তারা যখন প্রবীণ হবে তখন উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা পাবে তারা এটা আশা করতে পারে। যারা প্রবীণ তারাই এখনকার যুবক সমাজের বাবা-মা। তারা আমাদের পিতা-মাতা। আমাদের প্রতি তাদের হক রয়েছে। পবিত্র কোরআনে সূরা কাহক্কাফ এর ১৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহতালা পিতা-মাতার হক সম্পর্কে বলেন –
” আমি মানুষকে তার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্ট সহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্ট সহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ৩০ মাস”। অথচ যুবকেরা ভুলে যায় তার পিতা মাতার হক সম্পর্কে। যার কারণে এই বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব স্থানে তৈরি হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম বা প্রবীণ নিবাস। আর এখন যুবকেরা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করে প্রবীণ দিবস।
প্রবীণ কারা/প্রবীণ কাকে বলে
যেমন বলা হয়ে থাকে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ,তেমনি আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের যুবক আগামী দিনের প্রবীণ। মানুষের জীবনে বার্ধক্য আসা একটি স্বাভাবিক এবং অবধারিত বাস্তবতা। এই বাস্তবতার একদিন সবাইকে মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের দেশ সহ পুরো বিশ্বে প্রবীণদের প্রতি একটি বৈষম্য মুলক আচরণ করা হয়।
এদের মধ্যে কেউ কেউ দারিদ্র, আত্মকেন্দ্রিকতা, উগ্র ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতা বাদী, উচ্চবিলাসী হওয়ার কারণে প্রবীণদের প্রতি যথাযথ আচরণ না করে এবং তাদের দায় দায়িত্ব পালন না করে তাদেরকে সমাজের বোঝা বলে মনে করা হয়। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কম বেশি প্রবীনদের প্রতি বৈষম্যমূলক চিন্তাভাবনা এবং আচার-আচরণ লক্ষ্য করা যায়।
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের ইতিহাস
প্রতিবছর পহেলা ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালন করা হয়।১৯৯0 সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিকভাবে “আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস” ঘোষণা করেন। আর এই ঘোষণার পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯১ সাল থেকে পহেলা ১ অক্টোবর এই দিবসটি যথাযজ্ঞ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৩৮ সালে সর্বপ্রথম প্রবীনদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ১৯৬৫ এবং ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের কিছু কিছু আলোচনায় বার্ধক্য এবং প্রবীণ জনগোষ্ঠীদের কথা তুলে ধরা হয়। এরপরে ১৯৮২ সালে প্রবীণদের নিয়ে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীর ভিয়েনাতে এবং এই সম্মেলনে প্রবীনদের নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা গৃহীত হয়। এবং এই নির্দেশনায় ১৪ টি মূলনীতির আলোকে প্রবীনদের কল্যাণের জন্য ৬২ টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ রচনা – বিশ্ব পরিবেশ দিবস -বিস্তারিত জানুন (৬-১২)
আর এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৯০ সালের ১৪ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সভায় প্রতিবছর পহেলা ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রবীনদের সমস্যা সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই ১৯৯০ সালে এই দিবসটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯১ সাল থেকে পহেলা ১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রবীনদের সংখ্যা
বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে আর এর সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রবীণের সংখ্যা। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৪।বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুর জনশুমারি ও গৃহ গণনার প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা যায় বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। অথচ ২০২১ সালের আদমশুমারি হিসেবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন।
কিন্তু ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহ গণনার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা এক ১ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার।যা মোট জনসংখ্যার ৯.২৮ শতাংশ। অথচ ২০১১ সালের জনশুমারিতে এর হার ছিল ৭.৪৭ শতাংশ। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এর ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ আগামী দুই থেকে আড়াই দশকের মধ্যে প্রবীণ প্রধান দেশে পরিণত হবে।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় শিক্ষক দিবস – শিক্ষক দিবস – রচনা জেনে নিন
আর ২০২৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রবীণ প্রবন সমাজে পদার্পণ করবে। আর ২০৪৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে প্রবীণ প্রধান সমাজে পরিণত হবে। বাংলাদেশ বিশ্বে এমন দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশে এর পরিবর্তন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটতে চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় যে, বর্তমান বিশ্বে প্রতি ছয় ৬ জনের মধ্যে এক ১ জন প্রবীণ নির্যাতনের শিকার। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সে তারা অবসর গ্রহণ করছে। আর যখন তারা অবসর গ্রহণ করছে তখন তাদের প্রতি সমাজ একটা বৈষম্যমূলক আচরণ করে।
প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য
২০১৯ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল – বয়সের সমতার পথে যাত্রা।
২০২০ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল – বৈশ্বিক মহামারীর বার্তা, প্রবীনদের সেবায় নতুন মাত্রা।
২০২১ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল – সব বয়সীর জন্য ডিজিটাল সমতা।
২০২২ সালের প্রবীনদের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল – পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা।
২০২৩ সালে প্রবীনদের জন্য আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিব ২0২৩ উপলক্ষে এর প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়।
২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীনদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা।
প্রবীন নিবাস স্থাপন
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রবীনদের কল্যাণে অনেক প্রবীণ নিবাসী স্থাপন করা প্রয়োজন। উন্নতমানের বৃদ্ধ নিবাস এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। বর্তমানে সরকার বয়স্কদের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ ভাতা সহ কর্মসূচি চালু করেছেন যা প্রবীনদের জন্য কল্যাণকর হয়েছে। এরপরে ও প্রবীনদের জন্য রাষ্ট্রীয়, সামাজিক সুরক্ষা, যাতায়াত ও চিকিৎসা সুবিধা, নিবাস ইত্যাদি এখনো তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। অথচ একজন মানুষের বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তাদের দৈহিক শক্তি হ্রাস পায়। আর এই অবস্থার কথা চিন্তা করে সরকারকে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আরো ভাবতে হবে।
প্রবীনদের কেন সম্মান করা উচিত
প্রবীণ ব্যক্তিদের আমাদের সম্মান করা উচিত কারণ প্রবীণ ব্যাক্তিদের কথা অনেক মূল্যবান।আমাদের জীবনের পথ পরিক্রমায় প্রবীণ এবং নবীন বয়স দুটি কথায় পার্থক্য মাত্র। সব মানুষকেই এই সময় অতিক্রম করতে হবে। কোরআন মসজিদে প্রবীণ এবং নবীন সম্পর্কে সূরা রুম আয়াত ৫৪ বলা হয়েছে-” আল্লাহ ! যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন দুর্বল অবস্থায়, দুর্বলতার পর তিনি দেন শক্তি, শক্তির পর আবার দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান”।
আরো পড়ুনঃ নারীর ভূমিকা – সমাজে নারীর ভূমিকা – অনুচ্ছেদ জেনে নিন
বয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে যদি দেখা হয় তাহলে অবশ্যই তাদের সালাম দিবেন কারণ তারা সালাম দিলে তারা সালামের উত্তর দেন এবং মন থেকে প্রার্থনা করেন। আর দেখবেন তাদের যদি সালাম দেন তাহলে মনে প্রশান্তি লাগবে এবং নিজেকে যদি সম্মানিত করতে চান তাহলে তাদেরকেও সম্মানিত করুন।কেয়ামতের দিন সম্মান ও মর্যাদা রক্ষাকারী ব্যক্তি ভয় ভীতি ও বিপদ থেকে নিরাপদে থাকবে। রাসূল সাঃ বলেছেন -” আমি কি তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তির সংবাদ দেবো না,
তারা বলল হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল সাঃ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে দীর্ঘায়ু লাভ করে এবং সুন্দর আমল করে”। মুসনাদে আহমদ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -” প্রবীণদের সঙ্গে তোমাদের কল্যাণ বরকত আছে”। ইবনে হিব্বান মুস্তাদরাকে হাকেম। আর এসব থেকে আমরা বুঝতে পারি প্রবীন যেই হোক না কেন সবাইকে আমাদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে।
বাংলাদেশের প্রবীণদের সমস্যা
বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা এক ১ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার।যা মোট জনসংখ্যার ৯.২৮ শতাংশ। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে প্রবীণ এর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে আর সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের সমস্যা। অথচ আমরা তাদের দিকে কোন নজর দেই না। কিন্তু আমরা ভুলে যাই আমরা যে সমাজে বসবাস করছি সেই সমাজ রয়েছে তাদের অবদান। আমাদের দেশের প্রবীনদের যে সমস্যা গুলো রয়েছে তা হলো –
কর্মসংস্থানের অভাব
কর্মসংস্থানের অভাব বাংলাদেশের প্রবীনদের প্রধান সমস্যা। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর এই কৃষি প্রধান দেশে প্রবীনদের কোন কাজ দেয়া হয় না আর তাই তারা পারিবারিকভাবে ও অবহেলার শিকার হন। আবার যারা চাকরি করেন তারা ৬০ বছর হয়ে গেলে অবসরে চলে যান এবং তারা যে পেনশনের টাকা পান তা পরিমাণে খুব কম। যার কারণে বাংলাদেশে এমন অনেক প্রবীণ আছেন যারা ঠিকমতো খেতে পর্যন্ত পারেন না। যার কারণে পরবর্তীতে অনেককে ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করতে হয়।
নিঃসঙ্গতা
আমাদের দেশ তথা সমাজের প্রধান সমস্যা হল প্রবীনরা নিঃসঙ্গ। অথচ প্রবীণেরা এই সময় সঙ্গ লাভ করতে চান। প্রবীণ ব্যক্তিরা তাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতে চান। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তারা একেবারে নিঃসঙ্গ।
স্বাস্থ্যহীনতা
প্রবীনদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো স্বাস্থ্যহীনতা।একজন মানুষের বয়স যখন ৪০ বছর অতিক্রম করে তখন সে নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে থাকে। আর ৫৫ থেকে ৬০ বছর পার হলে তাদেরকে প্রবীণ হিসাবে গণনা করা হয়। এই সময় তারা নানারকম সমস্যা যেমন – ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, চোখের সমস্যা সহ নানা রকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। আবার অর্থের অভাবে তারা ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারেন না।
পুষ্টিহীনতা
আমাদের দেশের প্রবীণ সমাজের জন্য একটি বড় সমস্যা। প্রবীণ বয়সে অনেকেই স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন না আবার অনেকেই খেতে পান না। তাই তাদের পুষ্টির অভাব থেকেই যায়।
অবহেলা
আমাদের দেশের প্রবীনেরা সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার হয়ে থাকেন। এই সময় তাদের মতামতের কোন গুরুত্ব দেয়া হয় না এবং সামাজিকভাবে ও তাদেরকে ছোট করে দেখা হয়। তাই তারা মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন।
বিনোদনের অভাব
আমাদের দেশের প্রবীনদের জন্য বিনোদনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। প্রবীনদের জন্য বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। যারা শহর এলাকায় বাস করেন তাদের জন্য দুই একটি পার্ক থাকলেও সেখানে যাওয়ার অনুপযোগী। আবার যারা গ্রামে বসবাস করেন তাদের জন্য রেডিও, টেলিভিশনে এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচার হয় না যা দেখে তারা অবসর সময় কাটাতে পারেন।
শেষ কথা
বর্তমানে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন সুস্থ-সবল প্রবীণের মেধা এবং অভিজ্ঞতা কে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক কাজে লাগানো যেতে পারে। তরুণদের কর্ম ক্ষমতা এবং উচ্ছ্বাসের সাথে যদি প্রবীনদের মেধা মন এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যায় তাহলে দেশের উন্নয়নের গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রবীণ কে অবহেলা নয় তাদেরকে সম্মান করুন।
Leave a comment