বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে বাক্যকে ভাষার বৃহত্তম একক ধরা হয়। এরপর তাকে ধাপে ধাপে ক্রমশ বৃহত্তর থেকে ক্ষুদ্রতর উপাদানে বিশ্লেষণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে বাক্য বিশ্লেষণ করতে হলে যেসব মূল ধারণা থাকা জরুরি তার মধ্যে অন্যতম হল ‘গঠন’।
খণ্ডিত বা পূর্ণ অর্থসমন্বিত যে-কোনাে পদসমষ্টিকে বলা হয় গঠন (Construction)। যেমন “আমরা যখন ফুটবল খেলছিলাম তখন বাইচুং দর্শকাসনে বসেছিলেন।” এই বাক্যটির মধ্যে একটি সম্পর্কের বন্ধন আছে এবং এরও একটি পূর্ণাঙ্গ অর্থ আছে। তাই এটি একটি বাক্য। আর এই সমগ্র বাক্যটি হল একটি গঠন।
আবার, “আমরা যখন ফুটবল খেলছিলাম”— এই পদসমষ্টির অর্থ পূর্ণাঙ্গ নয়। কিন্তু এরও একটা অর্থ আছে যদিও তা খণ্ডিত এবং এর পদগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আছে। এই পদসমষ্টি একটি উপবাক্য (Clause)। এরকমের খণ্ডিত অর্থযুক্ত পদসমষ্টিও বাক্যের একটি গঠন।
উপবাক্যের চেয়ে ছােটো পদসমষ্টি হল “ফুটবল খেলছিলাম” —এরও কিছু অর্থ আছে, যদিও তা আরও খণ্ডিত। এই রকমের পদসমষ্টিকে বলা হয় পদগুচ্ছ (Phrase)। এটাও বাক্যের একধরনের গঠন।
সুতরাং ভাষাবিজ্ঞানের আলােচনায় বাক্যের গঠন কথাটি ব্যাপক অর্থ বহন করে। একাধিক শব্দ বা রূপ নিয়ে যখনই কোনাে খণ্ডিত বা পূর্ণ অর্থযুক্ত একক গড়ে ওঠে, তখনই তাকে গঠন বলে।
আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্টাল উপরে আলােচিত বাক্যের তিনটি গঠন ওর ছাড়াও আরও দুটি স্তরের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন “ফুটবল খেলছিলাম” পদসমষ্টিকে ভাঙলে পাওয়া যাবে দুটি শব্দ ফুটবল ও খেলছিলাম। আবার ‘ফুটবল’ শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যাবে দুটি রূপিম বা রূপমূল, যেমন -ফুট +বল = ফুটবল। ক্রিস্টালের মতে, বাক্যের গঠনের শেষ সীমায় আছে রূপমূল।
তবে ‘শব্দ’ ও ‘রূপমূল’ কখনই বাক্যের গঠন নয়, এরা বাক্যের এক-একটি উপাদানমাত্র।
বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে।
বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে।
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও।
বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে।
অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে।
বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে।
গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।
শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ?
অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? এই ক্ষেত্রে ফার্দিনান্দ (ফের্দিনা) দ্য সােস্যুর (Ferdinand De Saussure)-এর অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকারের? যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণ বলতে কী বােঝ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী বাক্যগঠন—এই দুই প্রকার গঠনগত প্রকৃতি পর্যালােচনা করাে।
Leave a comment