ভূমিকা: বাংলা সাহিত্যে যখন ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাব পরিদৃষ্ট হতে লাগল আর তখনই বাংলা সাহিত্য আধুনিক সাহিত্য নামক অভিধা ধারণ করল। কী ছোটোগল্প, কী নাটক, কী উপন্যাস প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পাশ্চাত্য প্রভাব গভীরভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছিল। আর বাংলা কবিতায় এ প্রভাব ছিল সবচেয়ে আধুনিক কবিতা নামক অভিধা গ্রহণ করে মধ্যযুগের কাব্য সাহিত্য থেকে আলাদা হয়ে গেল। আধুনিক যুগের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে বাংলা কবিতা এক বিশাল অবয়বে দাঁড়িয়ে আছে। তবে আধুনিক বাংলা কবিতায় এ বর্তমান অবয়ব একদিনে তৈরি হয়নি। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নানা মনীষীর হাত ধরেই আধুনিক বাংলা কবিতায় তা পরিদৃষ্ট হচ্ছে।
বাংলা গীতিকবিতার বৈশিষ্ট্য: রঙ্গলাল থেকে কাহিনি-আশ্রিত আখ্যায়িকা কাব্য রচনার যে ধারা প্রবর্তিত হয়েছিল উনিশ শতকের সকল প্রধান কবি তজ্জাতীয় আখ্যায়িকা কাব্য এবং মহাকাব্য রচনায় উৎসাহ বোধ করেছেন। কিন্তু এই কাহিনি আশ্রিত কাব্যধারার পাশে খণ্ড গীতিকবিতা রচনার প্রয়াসেরও একটা ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায়। ঈশ্বর গুপ্ত থেকে রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত খণ্ড গীতিকবিতা রচনার পরিমাণ কম নয়। কিন্তু খণ্ড কবিতামাত্রই গীতিকবিতা কি না- এ বিষয়ে প্রথমেই একটা স্পষ্ট ধারণা করে নেওয়া প্রয়োজন। কাকে বলে লিরিক কবিতা বা গীতিকবিতা? আকারে ছোটো হওয়াটাই গীতিকবিতার একমাত্র বৈশিষ্ট্য নয়।
গীতিকবিতায় কবির ব্যক্তিত্বের প্রকাশই প্রধান হয়ে উঠতে দেখা যায়। বিশ্বচরাচর-সম্পর্কে একজন অনুভূতিশীল, কল্পনা-প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তির অন্তর্জগতে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, যে আবেগ আন্দোলিত হয়ে উঠে- তারই নির্যাসিত রূপ বাণীমূর্তি লাভ করে সার্থক গীতিকবিতার নিটোল অবয়বে। রচনার বিষয় যাই হোক, গীতিকবি আপন ব্যক্তিস্বরূপকেই প্রকাশ করেন তাঁর রচনায়। আবেগের একমুখিতা ভাবসংহতি এবং উপলব্ধির গভীরতা ভিন্ন গীতিকবিতা রসোত্তীর্ণ হতে পারে না।
ঈশ্বর গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯): সংবাদপত্রের সম্পাদক ঈশ্বর গুপ্ত বাস্তব জীবনসম্পর্কে অতিমাত্রায় আগ্রহী ছিলেন। বস্তুনিষ্ঠতা এবং ব্যঙ্গপরায়ণতা তাঁর মননভঙ্গির প্রধান জীবনবাদের দোটানায় সংশয়ে দোলায়িত হয়ে ঈশ্বর গুপ্ত বাঙ্গ কবিতা লিখেছেন, তাঁর কৌতুকাবহ ভঙ্গিতে খাদ্য বর্ণনার কবিতা লিখেছেন, কবিতায় নীতি উপদেশ বিতরণ করেছেন। ঈশ্বর গুপ্তের এই বিচিত্র কাব্যসৃষ্টিতে অন্তর্মুখী ভাবপ্রেরণার পরিচয় না থাকায় আকারে সংক্ষিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও এগুলোকে যথার্থ গীতিকবিতার নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করা চলে না। তবে ব্যক্তিগত জীবনে অসুখী ঈশ্বর গুপ্ত একান্ত নৈরাশ্যের মধ্যেও অকৃত্রিমভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে অকস্মাৎ এমন দু-চারটি চরণ লিখেছেন যার মধ্যে কবির গভীর উপলব্ধি উচ্ছসিত হয়ে উঠেছে। অত্যন্ত বিরল এরকম কয়েকটি কবিতায় ঈশ্বর গুপ্ত কিছু পরিমাণে গীতিকবিতার স্বাদ সঞ্চার করতে পেরেছেন।
মাইকেল মধুসুদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩): মাইকেল মধুসূদনও প্রথম থেকে মহাকাব্য রচনায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। মহাকাব্যের কবি হিসেবেই তাঁকে স্বীকার করা হয়। কিন্তু মধুসূদনের কাব্যগ্রন্থাবলির সতর্ক বিশ্লেষণে মনে হয় তাঁর কাব্যপ্রেরণা গীতিকাব্যের অনুকূল ছিল।
মহাকাব্য রচনার জন্য যে বস্তুনিষ্ঠ কল্পনাভঙ্গি প্রয়োজন, রোমান্টিক মধুসূদনের তা আংশিক ছিল। জগৎ ও জীবনকে নির্লিপ্তভাবে দেখা তাঁর মতো ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী কবির পক্ষে কঠিন ছিল। তাই মহাকাব্যের আকারে তিনি ঘটনা ও চরিত্রের বিন্যাসে যা রচনা করেছেন তার মধ্যেও কবির নিজস্ব ব্যক্তিরূপের দ্বিধাদ্বন্দু, আশা আকাঙ্ক্ষা, নৈরাশ্য ও ব্যর্থতা অনিবার্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ‘মেঘনাদবধ’কেও তাই কোনো সমালোচক মহাকাব্যের আকারে বাল জীবনের গীতিকাব্যই বলেতে চেয়েছেন। মধুসূদনের লিরিকপ্রবণতা মেঘনাদবধ কাব্য রচনার সময়ে অন্যভাবে উচ্ছসিত হয়ে উঠেছিল ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্যে’।
বৈষ্ণব কাব্যের মধুর রসপর্যায়ে রাধার তীব্র বিরহবেদনার যে কাব্যরূপ সৃষ্ট হয়েছে মধুসূদন সেই প্রসঙ্গ অবলম্বন করে ব্রজাঙ্গনার ছন্দসৌন্দর্যমণ্ডিত কবিতাগুলোতে রোমান্টিক হৃদয়াবেগ অবারিত করে দিয়েছেন। একটি কাহিনির আদল এখানেও আছে-কিন্তু তাতে কবিতাগুলোর লিরিক গুণ নষ্ট হয়নি। তবে কবির উৎকৃষ্ট লিরিক রচনা ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’তে। চতুর্দশপদী বা সনেট রচনায় একটা নির্দিষ্ট নিয়মের বন্ধন মেনে চলতে হয়, ফলে কবিহৃদয়ের ভাব যথেচ্ছভাবে প্রকাশিত হতে পারে না ঠিকই। তবুও সনেট গীতিকবিতারই প্রকারভেদ।
কবির ব্যক্তিত্বই লিরিকের প্রধান বিষয়, মধুসূদনের সনেটের বিষয়ও তাঁরই ব্যক্তিত্বের বিশ্ব। জীবনে কবি যা-কিছু সঞ্চয় করেছেন, যাতে আনন্দ পেয়েছেন, তাঁর প্রীতি ও ভালোবাসা যে-সব ব্যক্তি বা বস্তুর সংস্পর্শে উদ্দীপিত হয়েছে সেই একান্ত আপন জিনিসগুলোই প্রীতি ও সৌন্দর্যরসে আবিষ্ট করে সনেটগুলোতে প্রকাশ করেছেন। কবি মধুসূদনের বিশিষ্ট ধ্যান-ধারণা, আবেগ-অনুভূতির বিচিত্রতার স্বাদ গ্রহণ ভিন্ন সনেটগুলোর আর কোনো আকর্ষণ নেই।
লিরিক কবিতায় প্রার্থিত কবি ব্যক্তিত্বের আসঙ্গ রস বাংলা কাব্যে মধুসূদনেই প্রথম পাওয়া যায়। এর সঙ্গে তাঁর ‘আত্মবিলাপ’ এবং অনুরূগ আরো দুটি একটি উৎকৃষ্ট লিয়িত্ব কবিতার কথা উল্লেখ করা যায়। ‘আত্মবিলাপ’ কবিতায় কবির সমগ্র জীবনের নিহিত বেদনা নির্বাসিত হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। উৎকৃষ্ট লিরিক কবিতার ধর্মই এই কবিতায় সুস্পষ্ট:
“আশার ছলনে ভুলি কি ফল লভিনু হায়
তাই ভাবি মনে!
জীবন-প্রবাহ বহি কাল সিন্ধু পানে ধায়
ফিরাব কেমনে?”
হেমচন্দ্র (১৮৩৮-১৯০৩), নবীনচন্দ্র (১৮৪৭-১৯০৯) মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরবর্তীকালের দুজন প্রধান কবি হেমচন্দ্র ও নবীনচন্দ্র প্রচুর খণ্ড গীতিকবিতা রচনা করেছিলেন। হেমচন্দ্রের ‘কবিতাবলী’ গ্রন্থের দু খণ্ড ‘বিবিধ কবিতা’ ও ‘চিত্তবিকাশ’ নামক দুটি সংকলন এবং নবীনচন্দ্রের ‘অবকাশ-রঞ্জিনী’ দুখণ্ড উনিশ শতকের গীতিকবিতায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। হেমচন্দ্রের রচনাবলীর মধ্যে ‘ভারত সঙ্গীত’, ‘পদ্মের মৃণাল’, ‘প্রভু কি দশা হবে আমার’ প্রভৃতি কবিতায় উচ্ছ্বসিত দেশাত্মবোধক ও ব্যক্তিজীবনের তীব্র দুঃখবোধ গীতিকাব্য রচনারই যোগ্য বিষয়। কিন্তু হেমচন্দ্র আবেগ- সংহতির অভাবে কবিতার রসসিদ্ধি আয়ত্ত করতে পারেননি। তাঁর খণ্ডকবিতাগুলো গীতিকবিতারই নিদর্শন, কিন্তু শিথিলবদ্ধ
রচনাভঙ্গি ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবোচ্ছাসের জন্য রচনাগুলো কবিতা হিসেবে রসোত্তীর্ণ হয়নি।
নবীনচন্দ্র সেন সম্পর্কেও এই কথাই বলা যেতে পারে। আকৈশোর তিনি উদ্দীপ্ত ভাবাবেগ নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন, কিন্তু রসস্রষ্টা হিসেবে তাঁর কৃতিত্বও প্রশ্নাতীত নয়। তাঁর ভাবাতিরেক খণ্ডকাব্যগুলোকে গীতিকবিতার নিটোল রসরূপে উন্মীলিত হয়ে উঠতে দেয়নি। অন্তর্বর্তী ভাবপ্রেরণার চেয়ে বহির্ঘটনা-আশ্রিত উদ্দীপনাই তার কবিতায় বেশি। অতএব দেখা যাচ্ছে উন্নততর শিল্পবোধ এবং সংযমের অভাবে এই দুই কবির গীতিকাব্য রচনার প্রয়াস অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে।
বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪): সমসাময়িক পাঠক সমাজের দ্বারা স্বীকৃত এবং জনপ্রিয় কবিরূপে
মধুসূদনের পরেই হেমচন্দ্র ও নবীনচন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হলেও বাংলা কাব্যে নতুন সুর যোজনার দিক থেকে তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য সৃষ্টির মর্যাদার অধিকারী বিহারীলাল চক্রবর্তী। তখনকার ইংরেজিনবিশ কবিদের স্বদেশানুরাগ এবং বীররসাত্মক মহাকাব্য রচনার উচ্চকণ্ঠ কোলাহলের মধ্যে বিহারীলালের আত্মমনস্ক কাব্যচর্চা তেমন সমাদর লাভ করেনি। এই আত্মনিমগ্ন কবি আপন ভাবলোকে এমনই সমাহিত যে পাঠক-সমাজ সম্পর্কে যেন অবহিতই ছিলেন না। শ্রোতা-নিরপেক্ষভাবেই তিনি আপন আনন্দবেদনার গান গেয়েছেন। কিন্তু তাঁর রচনাবলি সমসাময়িক কাব্যিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থেকে পাঠ করলে সহজেই বুঝা যায় তিনি বাংলা কাব্যে সম্পূর্ণ এক নতুন সুরের স্রষ্টা। মোহিতলাল মজুমদারের উক্তি এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য-
“বিহারীলালের কাব্য যেন আদি লিরিক জাতীয়, তাহার প্রেরণা একেবারে গীতাত্মক। বাহিরের বস্তুকে গীতিকবি নিজস্ব ভাব-কল্পনায় মণ্ডিত করিয়া যে একটি বিশেষ রূপ ও রসের সৃষ্টি করেন, ইহা তাহা হইতেও ভিন্ন, কবি নিজের আনন্দে ধ্যানকল্পনার আবেশে, সর্বত্র নিছক ভাবের সাধনা করিয়াছেন; তাঁহার কাব্যের প্রধান লক্ষণ ভাববিভোরতা। তাঁহার কল্পনা অতিমাত্রায় Subjective; তিনি যখন গান করেন, তখন সম্মুখে শ্রোতা আছে এমন কথাও ভাবেন না। ভাবকে স্পষ্টরূপ দিবার আকাঙ্ক্ষাই তাঁহার নাই। কিন্তু এই আত্মনিমগ্ন কবির স্বতঃউৎসারিত গীতধারায় এমন সকল বাণী নিঃসৃত হয়, যাহাতে সন্দেহ থাকে না যে, তাঁহার মনোভূঙ্গ সরস্বতীর আসন-কমলের মর্মমধু পান করিয়াছে, সেই পদ্মের পরাগধূলি সর্বাঙ্গে মাখিয়া কবিজীবন সার্থক করিয়াছে।”
বস্তুবিশ্বের অভিজ্ঞতা ভিন্ন কাব্য সৃষ্টি সম্ভব নয়, কিন্তু বহির্জাগতিক অভিজ্ঞতা বিহারীলালে সহজেই গীতাত্মক অনুভূতিতে রূপান্তরিত হয়। একান্তভাবে অন্তর্মুখী ভাবকল্পনানির্ভর কবি বিহারীলালের কাব্যেই যথার্থভাবে আধুনিক গীতিকবিতার সূচনা হয়েছে। বিহারীলালের কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ‘সারদামঙ্গল’ (১৮৭৯)। এই কাব্যে কবি প্রেম, প্রীতি এবং সৌন্দর্যচেতনার বিগ্রহরূপে সারদার মূর্তি কল্পনা করেছেন। সারদা দেবীর সঙ্গে কবির বিচিত্র সম্পর্কের লীলা এই কাব্যের বিষয়। এমন কাব্যবিষয় ইতোপূর্বে আর কোনো কবির কাব্যে দেখা যায় না। প্রেম, প্রীতি, সৌন্দর্যবোধ প্রভৃতি যে সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো কবিমানসে এক অখণ্ড কল্পনার বৃত্তে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে-সেই অনুভূতির পূর্ণায়ত রূপটিকেই তিনি সারদা মূর্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে দেখিয়েছেন। কবির কল্পনার জগৎটিকেই একমাত্র কাব্যবিষয়রূপে গ্রহণ করার এই দৃষ্টান্ত বাংলা কাব্যে এক নব দিগন্ত উন্মোচিত করে দেয়।
সৌন্দর্য প্রতিমার ধ্যান বাংলা কাব্যে সম্পূর্ণ নতুন। সৌন্দর্যটুকু, প্রেমের পাত্র থেকে পৃথকভাবে প্রেমানুভূতি-একটা বিমূর্তভাবে কল্পনায় ধারণ করা এবং তারই বাণীমূর্তি নির্মাণের যে দৃষ্টান্ত বিহারীলালের কাব্যে দেখা যায়, তা একটা নতুন প্রেরণারূপে উত্তরকালের সকল কবিকেই প্রভাবিত করেছে।
উপসংহার: উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে আধুনিক বাংলা গীতি কবিতার আবিষ্কার অন্যতম। কারণ গীতিকবিতার সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলা কাব্যে বিভিন্ন গুণীব্যক্তিদের আবির্ভাব ঘটে। এই গুণীব্যক্তিরা তাদের প্রতিভা দিয়ে গীতিকবিতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাছাড়া আরও বিভিন্ন কাব্য রচনার ক্ষেত্রেও তাঁরা তাদের নিজস্ব মতও তুলে ধরেছেন। তাই বলা যায়, বাংলা গীতিকবিতা আবিষ্কার সব দিক দিয়েই গ্রহণযোগ্য।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
মেঘনাদবধ’কেও তাই কোনো সমালোচক মহাকাব্যের আকারে বাল জীবনের গীতিকাব্যই বলেতে চেয়েছেন। মধুসূদনের লিরিকপ্রবণতা মেঘনাদবধ কাব্য রচনার সময়ে অন্যভাবে উচ্ছসিত হয়ে উঠেছিল ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্যে’। ( এখানে বাল শব্দটি যুক্ত হয়েছে।