কবি হিসেবে একান্ত নিজস্ব জগৎ সৃষ্টির গৌরব যে দু’জন আধুনিক কবির প্রাপ্যতারা হলেন জীবনানন্দ দাস এবং সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তবে উভয়ের জগতের মধ্যে মেরু ব্যবধান। জীবনানন্দ রচনা করেছেন অনুভূতির জগৎ, আর সুধীন্দ্রনাথের জগৎ প্রধানত মননের বলিষ্ঠ ভিত্তির উপর নির্মিত। এই কারণেই সুধীন্দ্রনাথ সদা সতর্ক, ভাব-প্রকাশে অতি সচেতন।

সুধীন্দ্রনাথের জন্ম বিংশ শতকের সূচনাতেই (১৯০১-৬০)। রাবীন্দ্রিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা সুধীন্দ্রনাথের মানস-প্রকৃতি এমন এক স্বতন্ত্র ধাতুনির্মিত ছিল যে, তরুণ বয়সেই তিনি বিংশ শতাব্দীর মানস-বৈশিষ্ট্যটিকে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমস্ত পৃথিবীর চৈতন্যকে আলােড়িত করে দিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী ভীতি, অবিশ্বাস, সংশয়ের কালাে ছায়া বিস্তৃত। ইউরােপে এলিয়ট, এজরা পাউণ্ড, বােদলেয়ার অসুন্দরের লগ্নটিকে চিনেছেন পােড়াে জমি বা মরুভূমি অথবা ভাঙা জাহাজের প্রতীকে। সুধীন্দ্রনাথ দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডব। ফ্যাসীবাদের ভয়ংকর রূপ দেখে তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়েছিলেন, অথচ সাম্যবাদী চেতনার প্রতিও তার তেমন আস্থা ছিল না। এখানেই সুধীন্দ্রনাথের কবি-আত্মার যন্ত্রণা এবং অস্থিরতা।

১৯২৫ খ্রীস্টাব্দ থেকে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পত্র-পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন, ‘কবিতা’, ‘পরিচয়’ প্রভৃতি পত্রিকায় তার কবিতাগুলি প্রকাশিত হতে থাকে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ তন্বী প্রকাশিত হয় ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘অর্কেস্ট্রার’ প্রকাশকাল ১৯৩৫। এরপর প্রকাশিত হয় ‘ক্রন্দসী’ (১৯৩৭), ‘উত্তর ফাল্গুনী’ (১৯৪০), ‘সংবর্ত’ (১৯৫৩), ‘প্রতিধ্বনি’ (১৯৫৪), ‘দশমী’ (১৯৫৬)।

রবীন্দ্রনাথ যখন বাংলা কাব্যাকাশে মধ্যাহ্ন দ্যুতিতে ভাস্বর, তখনই সুধীন্দ্রনাথের আবির্ভাব। পরিণত কাব্যের জগতে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য এবং অবশ্য রবি-বলয় থেকে মুক্তির প্রয়ােজনে এ সময় কবিযশ-প্রার্থীকে হতে হল পরিশ্রমী, পাশ্চাত্ত্য কাব্য-প্রকরণ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং অনেক বেশি সতর্ক-সচেতন। দেশ ও বিশ্বের বাস্তবকে চিনে, যুগের অপচয়কে প্রত্যক্ষ করে, সময় সচেতন কবি ক্রমে তার মননের গভীরে হয়ে উঠলেন একাকী ও বিচ্ছিন্ন মানসিকতার অধিকারী। প্রকৃতি চেতনা ও প্রেম চেতনাতেও তার এই বিষগ্ন-মানসের ছায়াপাত ঘটেছে অনিবার্যভাবে। তিনিও নিশ্চিতভাবে নাগরিক কবি এবং নাগরিক জীবনের যন্ত্রণাও তাঁর কবিতায় প্রতিফলিত। বস্তুতপক্ষে কাল-চেতনাই তার কবি-আত্মার নাগরিক যন্ত্রণার উৎস। নাগরিক বিলাস-বৈভব, উন্নাসিকতা, বিচিত্র বাসনার সঙ্গে তিনি পরিচিত ছিলেন। সেজন্যই তাঁর কবিতায় কালের তীব্রগতি ও সর্বগ্রাসী মনােভঙ্গি ফুটে উঠেছে।

সুধীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তন্বী’তে দেশী-বিদেশী বহু কবির ছায়া আছে। সুধীন্দ্রনাথের নিজস্বতা তখনও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। রবীন্দ্রনাথের চিত্রকল্প ও ভাবনার ছায়াও এই গ্রন্থে স্পষ্ট। ‘তন্বী’র ভূমিকায় কবি লিখেছেন— ‘সত্য বলতে কি, সমস্ত বইখানা খুঁজে, যদি কোানওখানে কিছুমাত্র উৎকর্ষ মেলে, তবে তা রবীন্দ্রনাথের রচনারই ভগ্নাংশ বলে ধরে নেওয়া প্রায় নিরাপদ।’ কবির এই স্বীকারােক্তি তার সৎসাহসিকতারই পরিচায়ক।

‘অর্কেষ্টা’ কাব্যগ্রন্থ থেকেই সুধীন্দ্রনাথের মৌলিক কবি-বিশিষ্ট্য প্রকাশিত। সেই বিশিষ্টতার স্বাদ প্রেমের অভিজ্ঞতাকে অবলম্বন করে রূপ নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ১৯২৯ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ ইউরােপ-আমেরিকা ভ্রমণকালে কবি-জীবনে প্রেমের এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়। ‘অর্কেষ্ট্রা’ কাব্যে সেই প্রেমানুভবের প্রতিফলন ঘটেছে—

‘সেদিনও এমনই ফসল বিলাসী হাওয়া

মেতেছিল তার চিকুরের পাকা ধানে।’

অথবা

‘অকূল, পিঙ্গল আঁখি; অসংবৃত কপিল অলক, 

চুম্বন বিথারি যায় লঘু স্পর্শে আমার চিবুকে।’

লক্ষ্যণীয়, সুধীন্দ্রনাথ বুদ্ধদেব-জীবনানন্দ-বিষ্ণু-দের মতাে তার নায়িকাকে নামবূপের বন্ধুনে বাঁধেন নি। সুধীন্দ্রনাথ তার এই ব্যক্তিগত ইতিহাসকে গােপন করতে চান নি, কেননা তার মতে বিংশ শতাব্দীর মূলমন্ত্র অবৈকল্য ও তার অকপটতা। আর জন্মসালের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি নিজ সম্পর্কে বলেছেন—“আমি বিংশ শতাব্দীর সমান বয়সী। সুধীন্দ্রনাথের প্রেম-চেতনা প্লেটোনিক প্রেমতত্ত্বের ধার দিয়েও যায় নি। তার প্রেম স্পষ্টভাবেই দেহ নির্ভর। রবীন্দ্রনাথের মতাে আদর্শায়িত প্রেমের জয়গান তাঁর কবিতায় অনুপস্থিত। হৈমন্তী কবিতায় তিনি অকুণ্ঠভাবে ঘােষণা করেন—

‘বক্ষের যুগল স্বর্গে ক্ষণতরে দিলে অধিকার 

আজি আর ফিরিব না শাশ্বতের নিষ্ফল সন্ধানে।’

আধুনিক যুগের সংশয় সুধীন্দ্রনাথের কবি-চেতনাকে যন্ত্রণার্ত করেছে। নিঃস্ব-অবক্ষয়িত যুগ প্রেম-ধর্ম-দর্শন-বিপ্লব ইত্যাদি মানুষের যাবতীয় সান্তনা বা আশ্রয়কেই বিনষ্ট করে দিয়েছে। মানবাত্মার বিচ্যুতি তাই তার কাব্যে ক্রন্দন হয়ে বেজেছে। দীপ্তি ত্রিপাঠী বলেছেন- সুধীন্দ্রনাথের কাব্য যেন ভ্রষ্ট আদমের আর্তনাদ। তিনি স্বর্গচ্যুত কিন্তু মতে অবিশ্বাসী। তার মধ্যে বিজ্ঞতা আছে। কিন্তু শান্তি নেই, যুক্তি আছে কিন্তু মুক্তি নেই। তার কাব্য কোনাে আশ্বাসের আশ্রয়ে আমাদের পৌঁছে দেয় না। সুধীন্দ্রনাথের নঞর্থক ও পরে ক্ষণবাদী জীবনদর্শন আমাদের ধর্মপুষ্ট বাংলা সাহিত্যে এক অভিনব সংযােজন। সুধীন্দ্রনাথ এই নেতিবাদী জীবনদর্শনকে প্রকাশ করেছেন তাঁর কবিতায়—

‘…বীরনই, তবু জন্মাবধি যুদ্ধে যুদ্ধে, বিপ্লবে বিপ্লবে 

বিনষ্টির চক্রবৃদ্ধি দেখে, মনুষ্য-ধর্মের স্তবে 

নিরুত্তর, অভিব্যক্তিবাদে অবিশ্বাসী, প্রগতিতে 

যত না পশ্চাৎপদ, ততােধিক বিমুখ অতীতে।’

‘সংবর্ত’ কাব্যেও এই নৈরাশ্যের ছায়া পড়েছে। ঈশ্বরের প্রতি আস্থাহীন, জন্মান্তরে অবিশ্বাসী কবির কাছে জগই একমাত্র সত্য, কিন্তু সেখানেও দেখেন নরকের প্রতিচ্ছবি—

‘কালপেঁচা, বাদুড়, শৃগাল

জাগে শুধু সে তিমিরে, প্রাগ্রসর রক্তিম মশাল 

আমাকে আবিল করে; একচক্ষু ছাড়া, 

দীপ্ত-নখ, স্ফীত নাসা, নিরিন্দ্রিয় বৈদ্যুতিক কায়া। 

চতুর্দিকে চক্রব্যুহে বাঁধে।’

১৯২৯-এ ফসলহীনতার সংকট ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে লেখা কবিতা উটপাখি।’ যুগযন্ত্রণার অভিঘাতে জর্জরিত চেতনা-সম্পন্ন মানুষের অসহায়তার প্রতীক উটপাখি। বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের দুর্বার হাওয়াকে নিয়ন্ত্রণের বা প্রতিরােধের কোনাে শক্তি এই সাধারণ মানুষের নেই। সে শুধু উটপাখির মতাে বালুকাসমুদ্রে মুখ গুঁজে পরিবর্তনের ঝােড়াে হাওয়াকে উপেক্ষা করতে চায়, কিন্তু তার সেই চেষ্টা মুগ্ধতার নামান্তর, ‘ক্রন্দসী’ কাব্যগ্রন্থের ‘উটপাখি’ কবিতায় মানব-জীবনের সেই ব্যর্থতার কথা উচ্চারিত—

‘কোথায় লুকোবে? ধূ-ধূ করে মরুভূমি;

ক্ষয়ে ক্ষয়ে ছায়া মরে গেছে পদতলে।

আজ দিগন্ত মরীচিকাও যে নেই, 

নির্বাক, নীল, নির্মম মহাকাশ।’

সুধীন্দ্রনাথের নৈরাশ্যবাদী উচ্চারণ—‘ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কী ফল পাবে?’ অথবা ‘অঙ্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?’

পুরাণ-প্রসঙ্গের নবতর প্রয়ােগ আধুনিক কবিদের এক অন্যতম লক্ষণ। বিশেষত সুধীন্দ্রনাথের জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য প্রাচ্য-পাশ্চাত্ত্য পুরাণ কাহিনীকে গভীর আয়াসে আত্মস্থ করেছিল। তাছাড়াও ক্ল্যাসিক কাব্যাদর্শ সুধীন্দ্রনাথকে পুরাণ-প্রেসঙ্গের সংযােজনে অনুপ্রাণিত করেছিল। তার কাব্যে পুরাণের উপস্থাপনা ঘটেছে দু’ভাবে; এক ঐতিহ্যানুসারী পুরাণ-প্রসঙ্গ, দুই, পুরাণের নবরূপে ব্যবহার।

বিংশ শতকের ইংরাজি সাহিত্যের প্রতিনিধিস্থানীয় কবি এবং আধুনিক বাংলা কবিগণের গুরুস্বরূপ T. S. Eliot T-“Tradition is a matter of much wider significance.’ সুধীন্দ্রনাথও পুরাণকে ব্যবহার করেছেন ঐতিহ্যানুসারী পথেই। অন্য কোনাে বিষয়ের দ্যোতনাকে স্পষ্ট করতে তাঁর কাব্যে সহসা এসে যায় পুরাণের ছবি বা রূপক। যেমন নিজ সৃষ্টিশীলতার অবসানকে বােঝাতে এবং কবিতার যুগান্তরকে দ্যোতিত করতে সুধীন্দ্রনাথ গাণ্ডীবধারী অর্জুনের প্রসঙ্গ আনেন। কেননা এই অমিত শক্তিধর পুরুষও যখন কালপ্রভাবে নিষ্ক্রিয়, তখন তারই সামনে অপ্রতিরােধে অপহৃত হয়েছে যদু রমণীরা; আত্মকলহে ধ্বংস হয়েছে যদুবংশ ও কৌরবেরাও। কবির করুণ আর্তনাদ—

‘আমি একা, আজ আমি একা।

আমার বাসব জয়ী ভয়াল কার্মুকে

খণ্ডিত তারণ গুণ উচ্ছঙ্খলা স্বৈরিণীর দ্রোহে।

আন্তর ক’লহে

দিয়েছে কুটুম্ব, বন্ধু প্রাণ বলিদান। 

শুদ্রের অলক্ষ্যভেদে নিহত আমার ভগবান।’

‘প্রার্থনা’ কবিতায় মহাযুদ্ধ ও বিশ্বের সর্বনাশের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে মহাভারতের প্রসঙ্গ যেখানে বলা হয়েছে ‘শকুনির ক্ষুধা নিবারণের’ জন্যই কুরুক্ষেত্রের মহাসমরের আয়ােজন।

পুরাণ প্রসঙ্গকে ভিন্নতর তাৎপর্যে উদ্ভাসিত করে তােলার উল্লেখযােগ্য দৃষ্টান্ত যযাতি কবিতা। মহাভারতের যযাতি তাঁর দুই পত্নীর কলহের ফলে অকালে শুক্ৰশাপে জরাগ্রস্ত হন। পুত্র পুরুর যৌবনের বিনিময়ে তিনি যৌবন ফিরে পান। পৌরাণিক যযাতিকে তিনি বর্তমান মানব সভ্যতার প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করলেন। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পাশাখেলায় পৃথিবী আজ অকালে জরাগ্রস্ত। কবি বলেছেন যে, তিনি শুক্রশাপে অভিশপ্ত হন নি। অলৌকিক শক্তিবলে যৌবন পুনরুদ্ধারের সাধ বা সাধ্যও তাঁর নেই। তবু এই অকালবার্ধক্যই এ যুগের অনিবার্য নিয়তি।

সুধীন্দ্রনাথের কবিতা সাধারণ পাঠকের কাছে কখনাে সুগম হয়ে ওঠে নি। তার কারণ পাঠকের বােধ বা মননের সীমা তার কাছে গ্রাহ্য নয়। ফলে আভিধানিক শব্দ প্রয়ােগে তিনি যখন অত্যধিক আগ্রহী হন, তখন তার কবিতা সাধারণ পাঠকের কাছে ক্রমশ দুর্বোধ্য হয়ে উঠতে থাকে। এরই সঙ্গে যুক্ত হয় পুরাণ-প্রসঙ্গের চকিত উদ্ভাসন। ফলে মনন-ঋদ্ধ পাঠক ছাড়া সুধীন্দ্রনাথের কবিতার রসরূপ, সাধারণের কাছে অধরাই থেকে যায়। নিজেকে মালার্মে-পন্থী বলে চিহ্নিত করলেও স্বভাবের ধ্রুপদী প্রবণতার জন্য সুধীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণ মালার্মে-পন্থী হতে পারেন নি। তিনি জানতেন ‘কবিতার মুখ্য উপাদান শব্দ।’ শব্দের সচেতন সমবায়েই তার কবিতা গড়ে ওঠে। অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার সম্বন্ধে সুধীন্দ্রনাথের কৈফিয়ৎ- ‘শব্দের স্বভাব টাকার মতাে; বহু ব্যবহারে তা ক্ষয়ে যায়, হস্তান্তরে তাতে কলঙ্ক জমে,..কিন্তু ম্যুজিয়ম-ভুক্তি বিলুপ্তির নামান্তর নয়; অপ্রচলিত শব্দও অবস্থা বিশেষে কাজে লাগে।’

বন্ধ্যাত্ব, অক্ষমতা, নিষ্ফলতাবােধ সুধীন্দ্রনাথের কবিতার প্রধান কথা। ব্যক্তিগত প্রেম অবিরত মিলনে ফলবতী হয় না; সভ্যতাও তেমনি আজ আর শুভ ও কল্যাণের জন্ম দিতে অপারগ। তাই নষ্ট ভ্রষ্ট সভ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে তার কবিতায় উঠে আসে মরুভূমি, ভগ্ন সেতু, ফণিমনসা, বৈকল্যের ষড়যন্ত্র ইত্যাদি চিত্রকল্প ও শব্দবন্ধ। সুধীন্দ্রনাথের কাব্য পাঠে মনে হয় যেন মেঘদূতের যক্ষের মতাে অলকাপুরী থেকে চিরকালের জন্য নির্বাসিত নিঃসীম শূন্যতায় নিঃসঙ্গ এক নৈরাশ্য পীড়িত মানবাত্মার প্রতিনিধি।