বৈষ্ণব পদাবলীকে আমরা ‘বৈষ্ণব কবিতা’ বা ‘বৈষ্ণব গীতিকবিতা’ নামে আখ্যায়িত করে সম্ভবত আমাদের অজ্ঞাতসারেই এর কবিত্ব বা গীতিরসের স্বীকৃতি জানিয়ে থাকি।
গীতিকবিতাকে ইংরেজিতে বলা হয় lyre lyric নামক বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে এগুলির গীত হত বলেই এদের এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল (Lyric poetry in the original meaning of the term, was poetry composed to be sung to the accompaniment of lyre or harp.’)। অতএব আদিতে গীতিকবিতা ছিল গীতাত্মক বৈষ্ণব পদাবলীও কিন্তু মূলত পাঠ্য কবিতা নয়, গেয় কবিতা। অতএব মূল অর্থে, বৈষ্ণব কবিতার lyric বা গীতিকবিতা আখ্যাই বিধেয়। কিন্তু একালে কাব্যবিচারের মান পরিবর্তিত হয়েছে, অতএব একালের বিচারে বৈষ্ণব কবিতার মান নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
একালের গীতিকবিতার রূপটি পুরোপুরি মন্ময় বা ব্যক্তিনিষ্ঠ (subjective); বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষায় বলা যায়, “গীত হওয়াই গীতিকাব্যের আদিম উদ্দেশ্য কিন্তু যখন দেখা গেল যে, গীত না হইলেও কেবল ছন্দোবিশিষ্ট রচনাই আনন্দদায়ক এবং সম্পূর্ণ চিত্তভাববাঞ্ছক, তখন গীতোদ্দেশ্য দুরে রহিল, অ-গেয় গীতিকা রচিত হইতে লাগিল। অতএব গীতের যে উদ্দেশ্য যে কাব্যের সেই উদ্দেশ্য, তাহাই গীতিকাব্য। বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন মাত্র যাহার উদ্দেশ্য, সেই কাবাই গীতিকাব্য।” অর্থাৎ কবির আপন হৃদয়ের ব্যক্তিগত ভাবোচ্ছ্বাস আনন্দ-বেদনা, সুখদুঃখ-আদি সূক্ষ্ম অনুভূতিই যখন ছন্দোবদ্ধ হয়ে প্রকাশিত হয়, তাকেই আধুনিক সংজ্ঞায় ‘গীতিকবিতা’ আখ্যা দেওয়া চলে। বঙ্কিমচন্দ্র একজন কাব্যরসিক সমালোচক, তিনি যে দৃষ্টিতে গীতিকবিতার সংজ্ঞা নির্ণয় করেছেন, একজন খাঁটি কবিও সেই দৃষ্টিতেই প্রকৃত গীতিকাব্যের স্বরূপ নির্ণয় করেন কিনা দেখা যাক।
কবিসার্বভৌম রবীন্দ্রনাথ বলেন, “যাহাকে আমরা গীতিকাব্য বলিয়া থাকি, অর্থাৎ যাহা একটুখানির মধ্যে একটিমাত্র ভাবের বিকাশ, ঐ যেমন বিদ্যাপতির-
‘ঈ ভরা বাদর মাহ ভাদর
শুন মন্দির মোর’
সে-ও আমাদের মনের বহুদিনের, অব্যক্ত ভাবের একটি কোনো সুযোগ আশ্রয় করিয়া ফুটিয়া ওঠা।” রবীন্দ্রনাথের এই গীতিকবিতার স্বরূপ বিশ্লেষণ থেকেও আমরা বঙ্কিমচন্দ্রের উক্তির সমর্থন পেলাম। রবীন্দ্রনাথও ‘অব্যক্ত ভাব’-এর ‘ফুটিয়া ওঠা কেই গীতিকবিতা বলেছেন, অধিকন্তু তাতে একটি শর্ত আরোপ করেছেন যে, একটুখানির মধ্যে ‘একটিমাত্র ভাব’ থাকবে। অর্থাৎ গীতিকবিতা আকারে ছোটো হবে এবং তাতে মূল ভাব থাকবে একটাই। গীতিকবিতারূপে বৈষ্ণব পদাবলীর আলোচনার পক্ষে রবীন্দ্রনাথ আমাদের একটি অতিরিক্ত সুযোগ দিয়েছেন, বিদ্যাপতি থেকে একটা দৃষ্টান্ত আহরণ করে। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাপতির পদকে গীতিকবিতার স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং কে না জানে যে বিদ্যাপতিকে আমরা বৈষ্ণব পদাবলীর আদিকবিরূপে গ্রহণ করে থাকি।
‘পদকল্পতরু’ সম্পাদক সতীশচন্দ্র রায় বলেছেন, “বৈষ্ণব পদাবলী সর্বাংশে উৎকৃষ্ট গীতি কাব্যের লক্ষণাঝাস্ত”; শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, “বৈষ্ণব পদাবলী যেরূপ নায়ক-নায়িকার ও সখা-সখীদের উক্তি-প্রত্যুক্তি প্রধান পালার আকারে সজ্জিত হইয়াছে এবং কীর্তনীয়ারা অনেক সময়ই যেভাবে কীর্তনের পালাগুলি গান করিয়া থাকেন, তাহাতে ঐ পালাগুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গীতিনাট্য (opera) বলাই সঙ্গত।” পালাবদ্ধ রসকীর্তনের ক্ষেত্রে এর নাট্যলক্ষণকে স্বীকার করা হলেও বস্তুত বৈষ্ণবপদাবলী বিচ্ছিন্ন পদের সমষ্টি বলেই একে গীতিনাট্য না বলে গতিকবিতা বলাই শ্রেয়।
রোম্যান্টিকতা গীতিকবিতারই একটা বিশিষ্ট লক্ষণ। কল্পনার ঐশ্বর্য, আবেগের গভীরতা, সৌন্দর্যের নিবিড়তা এবং সুদুরের ব্যঞ্জনা- মোটামুটি এইগুলি রোম্যান্টিক মনোভাবের লক্ষণ বলিয়া গৃহীত হইয়া থাকে। রোমান্টিকতা রচনারীতি নহে একপ্রকার মানস-প্রতীতি। রোম্যান্টিক কবি বা শিল্পীর মর্ত্যচেতনাই প্রধান ‘আলম্বন’। কিন্তু সুদুরের আকাঙ্ক্ষা, দুর্জ্জেয়ের প্রতি অভিসার, অপ্রাপণীয়ের জন্য ব্যাকুলতা – রোম্যান্টিক প্রকৃতির ইহাই মূল বৈশিষ্ট্য। মর্ত্যচেতনা রোম্যান্টিকতার প্রধান উপাদান হইলেও ধর্মানুভূতি ও ভাগবতচেতনাও রোম্যান্টিক লক্ষণযুক্ত হইতে পারে।”
সাধারণভাবে আধুনিক গীতিকবিতার সঙ্গেই রোম্যান্টিকতার সম্পর্কের কথা বলা হলেও আমরা জানি প্রাচীন পৃথিবীর বহু ধর্মসাধনায়ও রোম্যান্টিক মনোভাব অনুপস্থিত ছিল না। অপ্রাপণীয় ঈশ্বরকে যখন একান্ত আপনার করে পেতে চাই এবং পাই বলে মনে করি, ভগবৎপ্রাপ্তির সুদুর্গম পথে যখন ভক্তের চলে অভিসার—তখনই তো রোম্যান্টিকতার প্রচুর অবসর সৃষ্টি হয়ে থাকে। মধ্যযুগে খ্রিস্টানী ভক্তিসাহিত্য ভগবানের সঙ্গে ভক্তের মিলনকে বলা হয়েছে mystic mar riage। সেন্ট ক্যাথারিন, সেন্ট থেরেসা প্রভৃতি মহীয়সী ভক্তিমতিরা যে খ্রিস্টকে পতিরূপে ভর্জনা করতেন, তার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর রোম্যান্টিক রস সেন্ট ক্যাথারিন সম্বন্ধে বলা হয়েছে “She thought and spoke of Christ as heavenly lover, she exchanged hearts with Him, saw herself, in vision married to Him…”। মরমিয়া সাধনার এই ধারা পুরো রোম্যান্টিকতার অনুবর্তী। সুফী সাধকগণ ঈশ্বরকে ‘মাশুক’ (প্রেমিকা) এবং নিজেকে ‘আশিক্’ (প্রেমিক) রূপে কল্পনা করে থাকেন—এও মরমিয়া সাধনার এক দিক এবং রোম্যান্টিকতায় পরিপূর্ণ। দক্ষিণ ভারতের আলোয়ার সম্প্রদায়ের ভজনগাথা এবং আমাদের চর্যাপদেও এই রোম্যান্টিক ধর্মলক্ষণ বর্তমান। আমাদের দেশের বৈষ্ণব কবিরা ভগবানকে প্রেমিকরূপে কল্পনা করেছেন, তবে তারা নিজেরা প্রেমিকার ভূমিকা গ্রহণ করেননি, প্রেমিকা স্বয়ং রাধা-চন্দ্রাবলী, নিজেরা সখী বা মঞ্জরীরূপে দুর থেকে কল্পনানেত্রে সেই লীলা প্রত্যক্ষ করেছেন। অতএব বৈষ্ণব কবিতায় রোম্যান্টিকতার সুর রয়েছে, তা আর ব্যাখ্যা করে বোঝানোর প্রয়োজন হয় না।
বস্তুত মধ্যযুগে ভারতবর্ষে বাংলা দেশে গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম প্রবর্তিত হবার অনেক আগে থেকেই এরূপ মধুর রসাত্মক পরকীয়া প্রীতির বাহনরূপে অনেক কবিতাই ছিল। অপ্রাপণীয়কে পাবার আকাঙ্ক্ষা থেকেই এরকম রোম্যান্টিক অনুভূতির সৃষ্টি সংস্কৃত এবং প্রাকৃত ভাষায় এরূপ অসংখ্য পদ বর্তমান এই ঐতিহাই যে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের ওপর প্রভাব ফেলেছিল, তাও সন্দেহাতীত ব্যাপার। একটি কোষকাব্যে শীলাভট্টারিকার একটি পদ পাওয়া যায়—“যঃ কৌমারহরঃ …. সমুৎকণ্ঠতোঁ। -এর অর্থ ‘যে আমার কৌমারহর (অর্থাৎ যে আমার কুমারীত্ব হরণ করেছিল), সেই আজ আমার বর আজও সেই চৈত্রনিশি, সেই বিকশিত মালতীর সুরভি, সেই কদম্ববনের প্রৌঢ় বায়ু। আমিও সেই আছি, তথাপি সেই ৱেবানদীতটের বেতসী তরুতলে যে-সব সুরত ব্যাপারে লীলাবিধি, তাতেই আমার চিত্ত উৎকন্ঠ হচ্ছে।’ এতে মর্ত্যকেন্দ্রিক যে রোম্যান্টিক আকাঙ্ক্ষা ধ্বনিত হচ্ছে, তা যে চৈতন্য মহাপ্রভুকেও আবিষ্ট করেছিল, তার প্রমাণ চৈতন্যজীবনীকার বলেছেন যে স্বয়ং মহাপ্রভু এই পদটি বারবার আবৃত্তি করতেন। প্রসিদ্ধ বৈষ্ণবভক্ত অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ মিত্র তো পরিষ্কারই বলেন, “ভগবানকে পতি ও আপনাকে পত্নী বা নায়িকাবোধে ভজনা করা শ্রীচৈতনা প্রবর্তিত বৈষ্ণব ধর্মের একটি অঙ্গ বলিয়া গণ্য হয়। অতএব বৈষ্ণব দর্শনের এই দিকটিই তো রোম্যান্টিকতার ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
বৈষ্ণব পদাবলীর পশ্চাৎপটে একটা ভাবলোক – নিত্যবৃন্দাবন বর্তমান থাকলেও কার্যত বৈষ্ণব কবিতার পটভূমিকায়—প্রকৃতির সৌন্দর্যে, রাধাকৃষ্ণের নিবিড় মিলন রস ও তীব্র বেদনায়, রূপানুরাগে যে মর্ত্যধূলিধূসরিত এই বাস্তবজগৎকেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা কী অস্বীকার করা যায়?
‘রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।’
রোম্যান্টিক মর্ত্যবাসনা থেকেই কি এ আকৃতির সৃষ্টি নয়? সুধী অধ্যাপক শশীভূষণ দাশগুপ্ত বলেন, “দ্বাদশ শতকের জয়দেব-ব্যতীত অন্যান্য কবিগণ-রচিত রাধা-প্রেমের কবিতা সমসাময়িক পার্থিব প্রেমের কবিতার সহিত সমসুরেই গ্রথিত জয়দেব হইতে আরম্ভ করিয়া পরবর্তী কালের বৈষ্ণব কবিতার সহিতও ভারতীয় চিরপ্রচলিত পার্থিব প্রেমকবিতার ধারার গভীর মিল রহিয়াছে।” এখানে অবশ্যই পার্থিব কবিতা বলতে তার রোম্যান্টিক বৈশিষ্ট্যকেই নির্দেশ করা হয়েছে।
বৈষ্ণব কবিতার যে আকুলতা, অপ্রাপ্যকে পাবার আকাঙ্ক্ষা, শুধুই পূর্ণতার দিকে এগিয়ে চলা—এর মধ্যেই তো আধুনিক গীতিকবিতার জীবন লক্ষণ বর্তমান। গীতি কবিতার রোম্যান্টিক আবেদনে প্রাপ্তির সন্ধানে ছুটে চলাটাই তো বড়ো কথা যে সৌন্দর্য, আনন্দ ও প্রেমের নবতর ব্যঞ্জনায় কবির ব্যক্তিগত অনুভূতি নিয়ে গীতি কবিতার জন্ম বৈষ্ণব পদাবলীতে সেই লক্ষণও বর্তমান—শুধু বৈষ্ণব কবিরা সামনে এসে দাঁড়াননি, একটু আড়ালে থেকে নায়ক-নায়িকাকে সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। অনুভূতির গাঢ়তা বা আস্তরিকতার দিক থেকে সেখানে বিন্দুমাত্রও ত্রুটি ঘটেনি।
রোমান্টিক গীতি-কবিতার উপযোগী ভাষা ও ছন্দ চয়নেও বৈষ্ণব কবিতা কত প্রচলিত তৎপর। ব্রজবুলির ভাষা তো একান্তভাবে গীতি-কবিতারই ভাষা-বৈষ্ণব কবিতায় ব্যবহৃত ছন্দই তো এখনো পর্যন্ত আধুনিক গীতিকবিতায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অধ্যাপক অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বৈষ্ণব কবিগণ রাধাকৃষ্ণের বিরহ-মিলন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আবেগ ও আর্তিকে যে শিল্প প্রকরণের সাহায্যে ব্যক্ত করিয়াছেন তাহাকে রোম্যান্টিক আশ্রয়ী বলিতে হইবে। সুতরাং দেখা। যাইতেছে বৈষ্ণব পদাবলীর রূপকল্পে রোম্যান্টিক সৌন্দর্য ও ব্যঞ্জনা অনুসৃত হইয়াছে।.. বাক্নিমিতি, ছন্দকৌশল, শব্দযোজনা ও আবেগের নিবিড়তা বিচার করিলে বৈষ্ণব পদাবলীকে রোম্যান্টিক না বলিয়া পারা যায় না।”
নিছক তত্ত্বরূপে বিচার করতে গেলে বৈষ্ণব কবিতাকে রোম্যান্টিক আখ্যা দেওয়ার পক্ষে কিছু বাধা রয়েছে বটে, কারণ—বৈষ্ণব কবিতাকে বলা হয় বৈষ্ণব তত্ত্বের রসভাষ্য একটা বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি গোষ্ঠীবদ্ধ কাব্যকলা; বৈষ্ণবতত্ত্বে রাধাকৃষ্ণ অপ্রাকৃত ও চিন্ময় এবং বৈষ্ণব কবিতায় কল্পনার বিপুল ঐশ্বর্যের সমারোহ নেই। কিন্তু বৈষ্ণব কবিতার পদের সঙ্গে যে রোম্যান্টিক চেতনার স্ফুর্তি কলাপের মতো বিকশিত হয়ে উঠেছে, তা অস্বীকার করবার উপায় নেই। তাই নিছক সাহিত্য হিসেবে যখন বিচার করব, তখন বৈষ্ণব কবিতাকে রোম্যান্টিক গীতিকবিতা রূপেই গ্রহণ করা ছাড়া গতি নেই।
নিছক তত্ত্বরূপে বিচার করতে গেলে বৈষ্ণব কবিতাকে রোম্যান্টিক আখ্যা দেওয়ার পক্ষে কিছু বাধা রয়েছে বটে, কারণ—বৈষ্ণব কবিতাকে বলা হয় বৈষ্ণব তত্ত্বের রসভাষ্য একটা বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি গোষ্ঠীবদ্ধ কাব্যকলা; বৈষ্ণবতত্ত্বে রাধাকৃষ্ণ অপ্রাকৃত ও চিন্ময় এবং বৈষ্ণব কবিতায় কল্পনার বিপুল ঐশ্বর্যের সমারোহ নেই। কিন্তু বৈষ্ণব কবিতার পদের সঙ্গে যে রোম্যান্টিক চেতনার স্ফুর্তি কলাপের মতো বিকশিত হয়ে উঠেছে, তা অস্বীকার করবার উপায় নেই। তাই নিছক সাহিত্য হিসেবে যখন বিচার করব, তখন বৈষ্ণব কবিতাকে রোম্যান্টিক গীতিকবিতা রূপেই গ্রহণ করা ছাড়া গতি নেই।
Leave a comment