প্রশ্নঃ
 আদালত গ্রাহ্য ও আদালত অগ্রাহ্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর। 

আদালত গ্রাহ্য এবং আদালত অগ্রাহ্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য: আদালত গ্রাহ্য এবং আদালত অগ্রাহ্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১. ফৌজদারী কার্যবিধির ৪(১) (এন) ধারায় আমল যোগ্য বা আদালত গ্রাহ্য এবং আমল অযোগ্য বা আদালত অগ্রাহ্য অপরাধের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার পরোয়ানা ব্যতীত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে না সেগুলিকে আদালত অগ্রাহ্য এবং যে ক্ষেত্রে অপরাধীকে পরোয়ানা ব্যতীত পুলিশ অফিসার গ্রেফতার করতে পারে সেগুলিকে আদালত গ্রাহ্য অপরাধ বলে।

২. আদালত অগ্রাহ্য অপারাধের ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে সংবাদদাতার তথ্য থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সাধারণ ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট যাবার জন্য ভারপ্রাপ্ত অফিসার সংবাদ দাতাকে পরামর্শ দেন। ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত অফিসার এ অপরাধের তদন্ত করতে পারে না৷

পক্ষান্তরে, আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে এজাহার প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবহিত করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অবহিত ব্যতীতই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপরাধের তদন্ত করতে পারেন।

৩. অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ তূলনামুলকভাবে লঘুতর এবং আদালত গ্রাহ্য অপরাধ তুলনামূলকভাবে গুরুতর। কোন কোন অপরাধ আদালত অগ্রাহ্য বা আমলযোগ্য এবং কোনগুলি আমলযোগ্য তার বিবরণ ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে দেয়া আছে।

মোটামুটি এভাবেই আমলযোগ্য এবং আমল অযোগ্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য করা হয়।