আকরিক থেকে কপার নিষ্কাশন প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন করা হয়।
আকরিক থেকে কপার নিষ্কাশন প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ
আকরিক গাঢ়ীকরণঃ কপারের আকরিক কপার পাইরাইটসকে (CuFeS₂) তৈল ফেনা ভাসমান পদ্ধতিতে গাঢ়ীকরন করলে এতে কপারের পরিমাণ 20% থেকে 30% বৃদ্ধি পায়।
তাপজারণঃ কপারের আকরিক কপার পাইরাইটসকে গাঢ়ীকরণ করার পর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে তাপ জারণ করা হয়। ফলে Cu₂S ; FeS ; FeO এর মিশ্রণ উৎপন্ন হয়। আকরিকের অধিকাংশ সালফার SO₂ গ্যাস রূপে মুক্ত হয়।
2FeCuS₂ + O₂ —–>Cu₂S + FeS + SO₂
2FeS + 3O₂ —–> 2FeO + 2SO₂
বিগলনঃ এরপর মিশ্রনটিকে সিলিকাসহ (SiO₂) বায়ুর উপস্থিতিতে উত্তপ্ত করা হয়। এতে ধাতুমল (FeSiO₃) গঠন করে। এই ধাতুমল অপসারণ করার পর FeS ও Cu₂S এর মিশ্রণ পাওয়া যায়। এই মিশ্রণকে কপার ম্যাট বলে। কপার ম্যাটে 50% কপার থাকে।
FeO + SiO₂ —–> FeSiO₃
কপার ম্যাট থেকে কপার উৎপাদনঃ
কপার ম্যাটের সাথে সামান্য পরিমাণ সিলিকা মিশ্রিত করে বেসিমার কনভার্টারে নিয়ে উত্তপ্ত বায়ু প্রবাহিত করা হয়।
প্রথমে কপার ম্যাটের ফেরাস সালফাইড (FeS) জারিত হয়ে ফেরাস অক্সাইড (FeO) পরিণত হয়। যা সিলিকার সাথে বিক্রিয়া করে FeSiO₃ ধাতুমল গঠন করে। এই ধাতুমল অপসারণ করলে Cu₂S পাওয়া যায়।
2FeS + 3O₂ —–> 2FeO +2SO₂
FeO + SiO₂ ——> FeSiO₃
Cu₂S একে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেন দ্বারা জারিত করে প্রায় দুই থেকে তিন ভাগ Cu₂O এ পরিণত করা হয়। উৎপন্ন Cu₂O ও অবশিষ্ট Cu₂S এর সাথে স্ববিজারন বিক্রিয়ার ফলে কপার উৎপন্ন করে।
2Cu₂S + 3O₂ —-> 2Cu₂O + SO₂
Cu₂S +2Cu₂O —-> 6Cu + SO₂
এই স্ববিজারন পদ্ধতিতে উৎপন্ন কপার অবিশুদ্ধ হয়। গলিত কপারে সালফার ডাই অক্সাইড দ্রবীভূত থাকে। এই গলিত কপার ছাঁচে ঢাললে তা থেকে SO গ্যাস বুদবুদ আকারে বের হয়। তখন শীতল কপারের গায়ে ফোসকা বা ব্লিস্টারের দাগ পড়ে। এজন্য একে ব্লিস্টার কপার বলে।
এই ব্লিস্টার কপারকে তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করা হয়।
Leave a comment