বাজারে বিভিন্ন ধরনের  আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড রয়েছে। আর আইপিএস হলো একটি অতি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস। কিন্তু আমাদের অনেকেরই  আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই ।তাই বাজারে আমরা  আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড কিনতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হই। তাই বিভিন্ন ধরনের  আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়ুন।

ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শেডিংএ কাহিল হয়ে পড়ে জনজীবন। তাই যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারা  আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে সঠিকভাবে জানুন এবং আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় আইপিএসটি কিনে ফেলুন। আমাদের দেশের বাজারে দুই ধরনের আইপিএস বেশি পাওয়া যায় তা হলো ইলেকট্রনিক আইপিএস এবং সোলার আইপিএস। আপনি সঠিকভাবে আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড জেনে  তারপর কিনুন।

 পোস্ট সূচিপত্রঃ আইপিএস  ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড 

আইপিএস ( IPS) কি

আইপিএস ( IPS) যাকে বলা হয় ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই ( Instant Power Supply)। আইপিএস হলো এমন এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যার মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি জমা করে রাখে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের পর্যন্ত এর মধ্যে সঞ্চিত বিদ্যুৎ সরবরাহ রেখে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি চালাতে সক্ষম হয়।   আইপিএস ( IPS) এর মূল ডিভাইসের ভেতরে একটি ব্যাটারি লাগানো থাকে যেখানে মূল বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎ আসে এবং ব্যাটারিকে  চার্জ করে রাখে।

যার কারণে আইপিএস ( IPS) মূল বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলেও সঞ্চিত বা রিচার্জ করা বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালানোর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে থাকে।   আইপিএস ( IPS) অধিক সময় ধরে বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখতে পারে যার কারণে লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র চালানো সম্ভব হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে সাথে   আইপিএস ( IPS) তার সঞ্চিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে দেয়।যে   আইপিএস ( IPS) এর যত বেশি শক্তি সেই   আইপিএস ( IPS) তত বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।

আইপিএস ( IPS) কত প্রকার ও কি কি

আমাদের দেশের বাজারে সাধারণত দুই ২ ধরনের আইপিএস ( IPS) পাওয়া যায়। যথাঃ- 

ইলেকট্রনিক আইপিএস ( IPS) ও 

সোলার আইপিএস ( IPS)

ইলেকট্রনিক আইপিএস ( IPS) 

ইলেকট্রনিক আইপিএস ( IPS) কে বিদ্যুতের লাইনের সাথে একটি চার্জার দ্বারা সংযোগ করে দেয়া থাকে। কারণ যখন বিদ্যুৎ থাকে তখন এটি চার্জ নিতে থাকবে এবং যখন বিদ্যুৎ চলে যাবে তখন অটোমেটিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।এই ব্যাটারি যত বেশি শক্তিশালী হবে তত বেশি ব্যাটারি বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে সক্ষম হবে। তবে ব্যাটারীতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সঞ্চিত থাকে তাতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তাই আইপিএস ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানুন।

সোলার আইপিএস ( IPS)

সোলার আইপিএস ( IPS) গুলো এমন এক ধরনের আইপিএস যা পরিচালনা করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের আইপিএস ( IPS) গুলো চার্জ হয় সূর্যের তাপে যাকে আমরা সৌর বিদ্যুৎ বলি। তাই এই ধরনের আইপিএস ( IPS) এর কোন মূল বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় না। এই আইপিএস ( IPS)টি সাধারণত দিনের বেলা সূর্যের আলো থেকে চার্জ নিয়ে থাকে এবং ব্যাটারিতে থাকা বিদ্যুৎ শক্তি যখনই বিদ্যুৎ চলে যায় তখন প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সোলার সিস্টেম আইপিএস সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

আইপিএস ( IPS) কিভাবে কাজ করে

আইপিএস ( IPS) যাকে বলা হয় ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই  ( Instant Power Supply) যা পাওয়ার স্টোরেজ হিসেবে কাজ করে থাকে। আর এই আইপিএস ( IPS) এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক পাওয়ার রিজার্ভ করে রাখতে পারে এবং পরবর্তীতে মেইন বা মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলে আইপিএস ( IPS) সরবরাহ করে রাখা বিদ্যুৎ থেকে ইলেকট্রনিক যন্ত্র চালাতে সক্ষম হয়। 

আরো পড়ুনঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি  ব্যবহার  বিস্তারিত

আর যখন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে যায় তখন সাথে সাথেই আইপিএস ( IPS) তার সঞ্চিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে দেয়।মূলত  আইপিএস ( IPS) রিজার্ভ করে রাখা বিদ্যুৎ শক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ চালিত সকল যন্ত্র পরিচালিত করে থাকে। তবে যে আইপিএস ( IPS) যত বেশি শক্তিশালী সে আইপিএস ( IPS) তত বেশি বিদ্যুৎ ধারণ করতে পারে এবং পরবর্তীতে তা সরবরাহ করতে পারে।

আইপিএস ( IPS) এ কি কি উপাদান থাকে

লোডশেডিং এর হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষ আইপিএস ( IPS) কিনে থাকে। আজকাল আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই আইপিএস ( IPS) দেখতে পাওয়া যায়। যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারা নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ পেতেই কিনে ফেলেন এই আইপিএস ( IPS) বা ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না আইপিএস ( IPS) কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি! আইপিএস ( IPS) সাধারনত দুইটি উপাদান দিয়ে তৈরি হয় এর একটি হল ইনভার্টার এবং অপরটি হল ব্যাটারি। তাই আমাদের আইপিএস ( IPS)-এর দাম-ব্রান্ড সম্পর্কে জেনে তারপর আইপিএস কেনা উচিত।

ইনভার্টার

ইনভার্টার হলো আইপিএস ( IPS) এর এমন একটি ডিভাইস বা যন্ত্রাংশ যা সাধারণত ডি সি পাওয়ার কে এ সি পাওয়ারে রুপান্তরিত করতে পারে। সব ধরনের আইপিএস ( IPS) ইনভার্টার দিয়ে তৈরি হয়। তাই আইপিএস ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে তারপর আইপিএস ( IPS) কেনা উচিত।

ব্যাটারি

কিছু আইপিএস ( IPS) আছে যে আইপিএস এর মূল উপাদান হলো ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারী বিদ্যুতের মুল লাইন থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখে এবং মূল লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলে সাথে সাথেই বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

আইপিএস ( IPS) এর ব্যবহার

আইপিএস ( IPS) হলো একটি নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই আইপিএস ( IPS) এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় এবং তা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি। আমরা গৃহস্থলীর কাজে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার থাকি যেমনঃ- বৈদ্যুতিক পাখা, কম্পিউটার, টেলিভিশন, রেডিও, টিভি, ভিডিও প্লেয়ার ইত্যাদি চালাতে যখন লোডশেডিং হয় তখন আমরা আইপিএস ( IPS) ব্যবহার করে এই সব ডিভাইস পরিচালনা করে থাকি।

আর যখনই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী মূল লাইন থেকে বিদ্যুৎ চলে যায় সাথে সাথে আইপিএস ( IPS) তার সঞ্চিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে দেয় এবং আইপিএস ( IPS) এর শক্তি যত বেশি হয় সেটি তত বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আইপিএস ( IPS) এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

আইপিএস ( IPS)এর ক্যাপাসিটি কত

আমরা যারা আইপিএস ( IPS) ব্যবহার করি তাদের আইপিএস ( IPS) কেনার আগে সবচেয়ে যে বিষয়টা জানা জরুরি আর তা হলো  আইপিএস ( IPS) এর ক্যাপাসিটর কত বা কত ওয়াটের। কারন ক্যাপাসিটর এর ওপর নির্ভর করে আইপিএস ( IPS) এর দাম এবং এর কার্যক্ষমতা। আমাদের দেশের বাজারে বিভিন্ন ওয়াটের আইপিএস ( IPS) রয়েছে। 

যেমন – ২৮০ ওয়াট থেকে শুরু করে ৭৫০০ ওয়াট পর্যন্ত আইপিএস ( IPS) আপনি পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী তা কিনতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আইপিএস ( IPS) এর ক্যাপাসিটি ওয়াটে হিসাব করা হয়ে থাকে।

আইপিএস ( IPS) এ কত শক্তি প্রয়োজন

আইপিএস ( IPS) কেনার আগে আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনি এই আইপিএস ( IPS) দিয়ে কতগুলো ডিভাইস চালাবেন। আইপিএস ( IPS) এর ভালো এবং দীর্ঘমেয়াদী সেবা পেতে আপনার আইপিএস ( IPS) এর শতকরা ৮0 ভাগ লোড হিসাব করে ধরে নিতে হবে এবং শতকরা ২0 ভাগ ফ্রি রাখতে হবে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কোন ডিভাইস এর কেমন বিদ্যুৎ শক্তি প্রয়োজন তা আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ  দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

যেমন – আপনি যদি দেশীয় ফ্যান চালান তাহলে দেশীয় ফ্যানের জন্য শক্তি প্রয়োজন হবে ১০০ ওয়াট, আর যদি বিদেশি ফ্যান চালান তাহলে এই ফ্যানের জন্য শক্তির প্রয়োজন হবে ১৫০ ওয়াট, টিভির জন্য প্রয়োজন ১০০ ওয়াট, এলসিডি মনিটরসহ পিসি ৩০০ ওয়াট, টিউব লাইট ৬০ ওয়াট এবং এনার্জি সেভিং লাইট ৩০ ওয়াট। তাই আপনি কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করবেন তারপর নির্ভর করে আপনি আইপিএস ( IPS) কিনবেন।

বিভিন্ন প্রকার আইপিএস ( IPS) এর দাম

তাপদাহে পুড়ছে আমাদের এই দেশ। শুধু আমাদের এই দেশের কথা বললে ভুল হবে কারণ পুরো বিশ্বেই এখন চলছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়ে। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। তাই যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারা ইচ্ছে করলেই কিনে ফেলতে পারেন আইপিএস ( IPS)। নীরবছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে বর্তমান সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন এই আইপিএস ( IPS) বা ইন্সট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই।

এমন অনেকেই আছেন যারা সামর্থের বাইরে গিয়েও আইপিএস ( IPS) কেনার ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।লোডশেডিং এর হাত থেকে মুক্তি পেতে আপনারা খুব সহজেই এবং খুব কম দামে আইপিএস ( IPS) কিনে নিতে পারেন এবং খুব সহজেই এই লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমানে অনেক ঘর তৈরি করা হয়েছে যেখানে কোন আলো বাতাস ঢোকে না বা ঢোকার কোন সুযোগও নেই।

আর এখানে যদি লোডশেডিং হয় তাহলে তো বুঝতেই পারছেন আপনার কি অবস্থা হবে। আবার অনেক সময় বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত অনেক প্রয়োজনীয় কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন আইপিএস ( IPS) কিনবেন তখন অবশ্যই আপনাকে আইপিএস ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে হবে। আমি আপনাদের সুবিধার্থে আইপিএস ( IPS)- এর দাম – ব্র্যান্ড এবং কোন মডেলের আইপিএস ( IPS) এর দাম কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

৫০০ ওয়াটের আইপিএস ( IPS) মেশিনের দাম

বাংলাদেশের বাজারে ৫০০ ওয়াট শক্তি বা ক্ষমতা সম্পন্ন ইনভার্টার আইপিএস ( IPS) এর সর্বনিম্ন দাম হলো ৬৫০০ টাকা। এই ৫০০ ওয়াট শক্তি সম্পন্ন মেশিনটি দুই ২ টি ফ্যান এবং দুই ২ টি লাইট চালাতে সক্ষম। তবে অনেক সময় আইপিএস ( IPS) এর দাম নির্ভর করে এর ব্যাটারির খরচ, ভিএ, ওয়ারিং এবং ইনস্টলেশনের  ওপর।

৮০০ ওয়াটের আইপিএস ( IPS) এর দাম

বাংলাদেশের বাজারে ৮০০ ওয়াট শক্তি সম্পন্ন আইপিএস ( IPS) এর দাম প্রায় ৮ হাজার টাকার ওপরে। এক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত ব্যাটারি কিনতেও হতে পারে। ৮০০ ওয়াট আইপিএস ( IPS) তিন ৩টা ফ্যান ও তিন ৩টা লাইট চালাতে সক্ষম।

১০০০ ওয়াটের আইপিএস ( IPS) এর দাম

বাংলাদেশের বাজারে ১০০০ ওয়াটের আইপিএস ( IPS) এর দাম প্রায় ১০ হাজার টাকার মত। এক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ব্যাটারি ও কিনতে হতে পারে। এই ১০০০ ওয়াটের আইপিএস ( IPS) সার্ভিস দিতে সক্ষম প্রায় দুই ২ ঘন্টা। আর আপনি এই ১০০০ ওয়াটের আইপিএস ( IPS) দিয়ে চার ৪টি ফ্যান এবং চার ৪টি লাইট অনায়াসে চালাতে পারবেন।

মিনি আইপিএস ( IPS) এর দাম

বাংলাদেশের বাজারে মিনি আইপিএস ( IPS) এর দাম প্রায় ৩ হাজার টাকার মত। আর এই আইপিএস ( IPS) এর নাম এবং দাম শুনে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এর শক্তি বা ক্ষমতাও কেমন হবে। এই মিনি আইপিএস ( IPS)  সাধারণত ১০০ ওয়াট ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য। যেমন – মোবাইলের চার্জার, রাউটার ইত্যাদি। আপনি এই মিনি আইপিএস এ ১০০ ওয়াটের বেশি চাহিদা সম্পন্ন ডিভাইস চালাতে পারবেন না।

লুমিনাস আইপিএস ( IPS) এর দাম

বাংলাদেশের বাজারে লুমিনাস আইপিএস ( IPS) এর দাম ৭৮০০ টাকা থেকে শুরু যা সাধারণত ৫০০ ওয়াট ক্যাপাসিটির হয়ে থাকে এবং এই আইপিএস ( IPS) এর সাথে ১৫০ এ এইচ ব্যাটারি ব্যবহার করলে আপনি তিন ৩ টি ফ্যান, ছয় ৬ থেকে সাত ৭ টি লাইট চালাতে পারবেন এবং এই ডিভাইস গুলো কমপক্ষে দুই ২ ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে। এছাড়া আপনি যদি উন্নত প্রযুক্তি ও অধিক ক্যাপাসিটি সম্পন্ন লুমিনাস আইপিএস ( IPS) কিনতে চান তাহলে আপনাকে একটু বেশি দাম দিয়ে এই আইপিএস ( IPS) কিনতে হবে।

লুমিনাস আইপিএস ( IPS) এর ব্র্যান্ড – দাম নিচে তুলে ধরা হলো-

নাম এবং ব্রান্ড                                                               দাম

Luminous NXG 1450  12 Volt Solar Hybrid IPS ——২0,৫00 টাকা

Luminous Optimus 1250 Pure Sinewave Inverter——-১৪,৯৯৯ টাকা

Luminous Eco Watt+ 1050 IPS  Inverter Machine——১০,৩০০ টাকা

Luminous 3500VA Sine Cruze Wave Inverter———–৪৭,৫০০ টাকা

Luminous Optimus 2800 Pure  Sinewave IPS———–৩৮,০০০ টাকা

Luminous Eco Watt Neo 1250 Square Wave IPS——-১৩,৫০০ টাকা

Luminous Eco Watt Neo 700  12V IPS Inverter——–৮,৪০০ টাকা

Luminous ICon 1100 Pure Sine Wave IPS————–২২,০০০ টাকা

Luminous Pro 2250 VA/24V IPS with UPS————২২,৫০০ টাকা

Luminous Optimus 2300  Pure Sine Wave  Inverter–২৮,০০০ টাকা

Luminous Eco Watt Neo 1650 Square Wave  Inverter–১৬,৫০০ টাকা

Luminous ICruze 5000+4000VA  Sine Wave IPS——৬০,০০০ টাকা

Luminous Shakti Charge+ 1150 900VA IPS/UPS—–১১,৫০০ টাকা

Luminous 2 KVA Cruze+ Home Sine Wave  Inverter—২৭,০০০ টাকা

আপনি আপনার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুপাতে বিভিন্ন ক্যাপাসিটর লুমিনাস  আইপিএস ( IPS) ব্যবহার করতে পারেন। আপনি ৫০০ ওয়াট থেকে ১২০০ ওয়াটের লুমিনাস  আইপিএস ( IPS) ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার প্রয়োজন অনুপাতে পাঁচ ৫ কেভিএ পর্যন্ত উন্নত মানের লুমিনাস  আইপিএস ( IPS) বাজারে পেয়ে যাবেন। 

আরো পড়ুনঃ  লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

তবে মনে রাখবেন লুমিনাস আইপিএস ক্যাপাসিটিও মডেল ভেদে ইনপুট ও ভোল্টেজের সক্ষমতা পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে লুমিনাস  আইপিএস ( IPS) সাধারণত ২২০ থেকে ২৪০ ভোল্টেজ আউটপুট প্রদান করতে পারে। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে লুমিনাস  আইপিএস ( IPS) নির্বাচন করতে পারেন।

সিঙ্গার আইপিএস ( IPS) এর দাম

বাংলাদেশের বাজারে অনেক নাম এবং ব্রান্ডের  আইপিএস ( IPS) পাওয়া যায়। সিঙ্গার  আইপিএস ( IPS) তাদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমান বাজারে সিঙ্গার   আইপিএস ( IPS) মডেলের মধ্যে প্রাইম ১০৫০ ক্যাপাসিটি ৯০০ ভি এ  আইপিএস ( IPS) এর দাম ৩৮ হাজার ৯০ টাকা। এই  আইপিএস ( IPS) এর সাহায্যে আপনি চার ৪ টি ফ্যান, পাঁচ ৫ টি টিউবলাইট অথবা চার ৪ টি ফ্যান, পাঁচ  টি এলইডি লাইট, একটি টিভি কমপক্ষে ২ ঘন্টা চালাতে পারবেন।

সিঙ্গার আইপিএস এর মডেল এবং দাম নিচে তুলে ধরা হলো-

Singer IPS 480 Watt Model LUCENT 600———২৯,৯০০ টাকা

Singer IPS 900 VA Watt——————————-৩১০০০ টাকা

Singer IPS  LUCENT 400—————————২১,৯০০ টাকা

বাংলাদেশের সেরা আইপিএস ( IPS) এর মূল্য তালিকা

বাংলাদেশের বাজারে আপনি বিভিন্ন নাম, বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং বিভিন্ন মূল্যের  আইপিএস ( IPS) পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন আইপিএস এর মধ্যে লুমিনাস, হেমকো, সুকাম, রহিম আফরোজ, সিঙ্গার ইত্যাদি ব্রান্ডের   আইপিএস ( IPS) আপনি অনায়াসে কিনতে পারবেন। নিচে বাংলাদেশের বিভিন্ন নাম ব্রান্ড এবং মূল্যের   আইপিএস ( IPS) এর তালিকা তুলে ধরা হলো-

Power IPS 600 VA 3-Fan, 3-Light ————————-২৭,৫০০ টাকা

Rahimafrooz Power Pack 600 VA IPS———————১০,০০০ টাকা

Power Lynx DSP Sine Wave 550 VA Digital IPS——–২০,৯৯৯ টাকা

Exide 1450 VA 12V Pure Copper Home Inverter IPS—১৯,০০০ টাকা

Hamko Combo Z- 800 VA Pure Sine Wave IPS———১১,০০০ টাকা

Hamko Combo 1000 Pure Sine Wave IPS—————১৩,০০০ টাকা

Hamko Combo Z- 600 VA Pure Sine Wave IPS——–৯,৫০০ টাকা

Hamko Combo – 1200 Pure Sine Wave IPS————১৪,০০০ টাকা

Hamko Combo – 1200 VA Pure Sine Wave IPS——   ১৪,০০০ টাকা

Microtek Jumbo 3500+Pure Sine Wave 24 VA IPS–   ৩৬,০০০ টাকা

Luminous NXG 1450 12 Volt Solar Hybride IPS—-  ২০,৫০০ টাকা

Microtek Heavy Duty 1550 Advanced IPS———-    ১৩,৫০০ টাকা

Microtek Luxe SW 1200 950 VA Home IPS——–    ১৩,০০০ টাকা

Luminous Optimus 1250 Pure Sinewave Inverter–    ১৪,৯৯৯ টাকা

Luminous Eco Watt+ 1050 IPS  Inverter Machine——১০,৩০০ টাকা

Luminous 3500VA Sine Cruze Wave Inverter———–৪৭,৫০০ টাকা

Nova Smarten 1100 VA IPS Machine——————-১৪,০০০ টাকা

Nova Smarten 700 VA IPS Machine——————–১০,৫০০ টাকা

Hamko Combo 2200 VA Pure Sine Wave IPS——–২৫,০০০ টাকা

Hamko Combo -Z 400 VA Pure Sine Wave IPS——৮,৪০০ টাকা

আইপিএস ( IPS) এর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ

আইপিএস ( IPS) নিত্য প্রয়োজনীয় একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস।   আইপিএস ( IPS) ব্যবহার করলে অবশ্যই এর সুরক্ষা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে।   আইপিএস ( IPS) এমন স্থানে স্থাপন করতে হবে যে স্থান সবচেয়ে কম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ওভার চার্জিং, সার্কিট এর সুরক্ষা আছে কিনা এবং ওভার লোডিং হচ্ছে কিনা তা নজর দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০-৩০ পয়েন্ট সম্পর্কে জেনে নিন

মনে রাখবেন, ইলেকট্রিক জিনিসের ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে এর স্থায়িত্ব। তাই যে কোন জিনিস অবশ্যই যথাযথভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। আইপিএস ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে নিন তারপর   আইপিএস ( IPS) – এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে নিন কিনুন।

আই পি এস কেনার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আইপিএস ( IPS) একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। শুধু আইপিএস ( IPS) নয় যে কোন ডিভাইস কেনার পূর্বেই সেই ডিভাইস সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা উচিত। আপনি যে প্রোডাক্টটি ক্রয় করবেন সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক ধারণা না থাকে তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আপনি  আইপিএস ( IPS) কেনার আগে অবশ্যই  আইপিএস ( IPS) এর সক্ষমতা, কার্যক্ষমতা কতটুকু আছে তা জেনে নিবেন।   আইপিএস ( IPS) কেনার পূর্বে যে বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে তা হল-

  • আইপিএস ( IPS) কত এম্পিয়ার ব্যাটারী চার্জ করতে পারবে কারণ একটি আদর্শ এম্পিয়ার হল ১২।
  •   আইপিএস ( IPS) এর সর্বনিম্ন ইনপুট ভোল্টেজ জেনে রাখতে হবে। এই সর্বনিম্ন ইনপুট ভোল্টেজ হতে মূলত আইপিএস ( IPS) কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া চার্জ গ্রহণ করতে পারবে। আদর্শ ভোল্টেজ মূলত ১৪০ ভোল্ট।
  •  আইপিএস ( IPS) এর চার্জ কি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ! রিলে নাকি এস সি আর (SCR)। এস সি আর মূলত ভাল কারণ এতে সঠিক ভোল্টেজ চার্জ হয় এবং ব্যাটারি অনেক দিন ভালো থাকে।
  • আইপিএস ( IPS) এর সঠিক ওয়াট কত তা জেনে রাখবেন কারণ এই ওয়াটের ওপর নির্ভর করে আইপিএস আপনাকে কত বেশি পাওয়ার দিয়ে থাকবে।
  •  আইপিএস ( IPS) এ ওভার সার্চিং, কাটিং, ভোল্টেজ কত ! আদর্শ ভোল্টেজ ১২.৮ এর কাছাকাছি।
  •   আইপিএস ( IPS) এর ওভারলোড প্রোটেকটেড যাচাই করতে হবে।

  আইপিএস ( IPS) ব্যবহারের নিয়মাবলী

 আইপিএস ( IPS) এ মূলত বেশি সমস্যা হয় ব্যাকআপ দিতে। তাই   আইপিএস ( IPS)  একটু বেশি যত্ন নেওয়া উচিত। আইপিএস ( IPS) ব্যবহারের পূর্বে যে বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা হল-

  • বাসার মেইন ভোল্টেজ পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। কারণ সঠিক পরিমাণ ভোল্টেজের মাধ্যমে   আইপিএস ( IPS) চার্জ হচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর দিতে হবে।
  • ব্যাটারি এবং তারের সংযোগস্থলে কার্বন জমা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে তাই মাঝে মাঝে খুলে অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে।
  • ব্যাটারির সাথে   আইপিএস ( IPS) এর সংযোগ পরীক্ষা করতে হবে।
  • আইপিএস ( IPS) এর ব্যাটারি চার্জ ভোল্টেজ ঠিক না থাকলে ব্যাটারির পানি শুকিয়ে যায় তাই ব্যাটারিতে পর্যাপ্ত পানি আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।

শেষ কথা

আইপিএস ( IPS) একটি অতি প্রয়োজনীয় ও পরিচিত ডিভাইস। আমরা প্রায় সবাই   আইপিএস ( IPS) –  ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই   আইপিএস ( IPS) এর দাম – ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানি না। তাই আমি আপনাদের সুবিধার্থে   আইপিএস ( IPS) এর দাম – ব্রান্ড সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেল আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।