অ্যালান বল তাঁর Modern Politics and Government শীর্ষক গ্রন্থে আইন ও বিচারব্যবস্থার কাঠামো এবং বিচারপতিদের নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। তাঁর মতানুসারে নানা কারণে আইনের পরিকাঠামোতে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তিনি বলেছেন: “Legal structures vary according to several factors.” যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় দু’ধরনের আদালত থাকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং প্রাদেশিক বা রাজ্য আইনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারব্যবস্থা পরিচালনার জন্য দু’ধরনের আদালতের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এই দু’ধরনের আদালত হল কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বা আঞ্চলিক স্তরের আদালত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলিতে রাজ্য আদালতের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের শাখাও বর্তমান। মার্কিন বিচারব্যবস্থার শীর্ষে আছে সুপ্রীম কোর্ট। উভয় শ্রেণীর বিচারব্যবস্থার শীর্ষে মার্কিন সুপ্রীম কোর্ট অবস্থিত। কানাডার শাসনব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রীয়। কিন্তু কানাডার বিচারব্যবস্থা অখণ্ড। এখানে আদালতগুলি অভিন্ন বিচারব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত।
কোন কোন আইনব্যবস্থায় বিশেষীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। পশ্চিম জার্মানীতে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার বিচারের জন্য সাধারণ আদালত আছে। তা ছাড়া পৃথক প্রশাসনিক আদালত এবং বিশেষ শাসনতান্ত্রিক আদালত আছে। এখানে পৃথক যুক্তরাষ্ট্রীয় ও রাজ্য আদালত আছে। তবে শীর্ষ স্তরে উভয় শ্রেণীর আদালত অখণ্ড।
ফ্রান্সের মত গ্রেট ব্রিটেনে কোন পৃথক প্রশাসনিক আদালত বা শাসনতান্ত্রিক আদালত নেই। নিম্নতম পর্যায়ের উপরে ফ্রান্সের মতই ব্রিটেনেও পৃথক আপীল আদালত সমেত আলাদা দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত আছে। ব্রিটেনে লর্ডসভা হল দেশের সর্বোচ্চ আপীল আদালত। আবার এই লর্ডসভাই হল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ। তবে শাসনতান্ত্রিক প্রথা অনুসারে কেবলমাত্র আইনজ্ঞ লর্ডরাই আপীল বিচারে অংশগ্রহণ করে। প্রিভি কাউন্সিলের বিচার বিষয়ক কমিটি (The Judicial Committee of the Privy Council) কমনওয়েল্থ-এর অন্তর্ভুক্ত কোন কোন দেশের আপীল আদালত হিসাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
বিচারপতিদের বাছাই ও যোগ্যতার ক্ষেত্রে পার্থক্য:
কতকগুলি কার্যাবলীর জন্য আইনব্যবস্থার কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই সমস্ত কার্যাবলীর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক ও পৌর অধিকার সম্পর্কিত কাজকর্ম উল্লেখযোগ্য। এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বাছাই করার বিষয়টিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিচারপতিদের কার্যাবলীর ব্যাপকতার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের বাছাই ও নিয়োগ পদ্ধতির তাৎপর্য বিরোধ-বিতর্কের ঊর্ধ্বে। বল বলেছেন: “The Procedures for selecting and dismissing judges, and the background of the recruits are perhaps more crucial factors in assessing the degree of independence and in evaluating the political behaviour of judges.” বিচারকদের বিচক্ষণতা, দৃষ্টিভঙ্গি, দক্ষতা ও স্বাধীনতা তাদের নিয়োগ পদ্ধতির উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। সরকার বিচারপতিদের নিযুক্ত করতে পারেন। প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে বিচারপতিরা নির্বাচিত হতে পারেন। অথবা সতীর্থ বিচারপতিদের দ্বারা বাছাই হতে পারেন। তাঁদের আইনগত প্রশিক্ষণের মেয়াদ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রকৃতির ক্ষেত্রে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। অ্যালান বল বলেছেন: “Judges may be appointed by the government, elected directly or indirectly or co opted by bellow judges. The extent of their legal training and the nature of their qualifications also vary.”
পশ্চিম জার্মানী ও ফ্রান্সে বিচারপতিদের নিয়োগ:
পশ্চিম জার্মানী ও ফ্রান্সে বিচারপতিদের নিয়োগ পদ্ধতি পৃথক প্রকৃতির। এই দুই দেশে বিচারপতিদের ক্রমোচ্চ স্তরবিন্যস্ত কর্মজীবনের ধারা পরিলক্ষিত হয়। নিয়োগের এই ব্যবস্থায় বিচারপতির বৃত্তি গ্রহণ করার বা না করার বিষয়ে ব্যক্তিবর্গ কর্মজীবনের শুরুতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। বস্তুত পশ্চিম জার্মানী ও ফ্রান্সে বিচারপতিদের মধ্যে এক পেশাদারী মানসিকতা গড়ে উঠতে দেখা যায়। এই দুই দেশে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিচারপতিদের নিযুক্ত করা হয়। এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক এবং আইন বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে। এখানে ব্রিটিশ ব্যবস্থার মত ব্যারিস্টারদের ভিতর থেকে বিচারপতি নিযুক্ত করা হয় না। তা ছাড়া এই দু’টি দেশে বিচারপতিদের কার্যকালের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা সুপ্রতিষ্ঠিত। নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে মূলত উচ্চ-মধ্যবিত্ত (upper-middle-class) শ্রেণী থেকেই বিচারপতিরা নিযুক্ত হয়ে থাকেন। অ্যালান বল এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন: “In both countries they are imbued with a traditional similar to the civil service, that of impartial, dedicated service to their view of the state’s interests.”
ব্রিটেনে বিচারপতিদের নিয়োগ ব্যবস্থা:
গ্রেট ব্রিটেনে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের ঊর্ধ্বে সকল বিচারপতিদের নিযুক্ত করা হয় ব্যারিস্টারদের ভিতর থেকে। রাজা বা রানী মন্ত্রিসভার পরামর্শক্রমে বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন। এইভাবে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনীতিক প্রভাব বিস্তারের অবকাশ আছে। কিন্তু এই প্রভাবের পরিধি এবং প্রকৃতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না। এই প্রভাব কোন কোন ক্ষেত্রে ও কতটা কার্যকর হয় এবং কার্যকর হয় কিনা তা নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। ব্রিটেনের বিচারপতিরা সাধারণত উচ্চ মধ্যবিত্ত (upper-middle-class) শ্রেণী থেকেই আসেন। বিচারপতিদের এই পটভূমির জন্য তাঁদের মধ্যে রক্ষণশীলতা পরিলক্ষিত হয়। ব্রিটেনের আইনব্যবস্থার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল বিচারপতিদের কার্যকালের নিরাপত্তা। তবে উচ্চতর আদালতের বিচারপতিদের পদচ্যুত করা যায়। অসদ্ব্যবহারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারিত করতে পারে। সুতরাং পশ্চিম জার্মানী ও ফ্রান্সের মতই গ্রেট ব্রিটেনেও আইনগত প্রশিক্ষণ, বাছাই ও নিয়োগের পদ্ধতি, কার্যকালের নিরাপত্তা, উচ্চতর আদালতের বিচারপতিদের মর্যাদার পরিপ্রেক্ষিতে রক্ষণশীলতা সৃষ্টি হয়। উল্লিখিত দেশগুলির রাজনীতিক ব্যবস্থায় বিচারপতিদের রক্ষণশীলতা পরিলক্ষিত হয়।
নির্বাচিত বিচারপতি:
অ্যালান বলের অভিমত অনুসারে বিচারপতিদের নির্বাচিত করা হলে, তাঁদের প্রতি যে মর্যাদা দেখান হয় তার হানি ঘটতে পারে। কিন্তু বিচারপতিরা নির্বাচিত হলে বিচারব্যবস্থা প্রতিনিধিত্বমূলক হবে। বিশেষত নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সক্ষম নির্বাচকমণ্ডলী বা বিশেষ গোষ্ঠী তার প্রতিনিধিদের বিচারপতিদের পদে নির্বাচিত করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন অঙ্গরাজ্যে অধস্তন আদালতের বিচারপতিদের নির্বাচিত করা হয়। এই নির্বাচিত বিচারপতিরা সমকালীন রাজনীতিক চিন্তা চেতনার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। এবং তার ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের সঙ্গে এই সমস্ত আদালতের বিরোধের আশংকা থাকে। বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের অধিকার প্রসঙ্গে এই আশংকা অধিক।
প্রশাসনিক আদালতের বিচারপতি:
শাসনতান্ত্রিক আদালত এবং যে সমস্ত আদালতের কাজকর্মের অন্যতম অংশ হিসাবে বিচারকার্য সম্পাদনের ব্যাপারে শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা আছে –এই সমস্ত আদালতের কাজকর্মের রাজনীতিক বিচার-বিবেচনার অস্তিত্ব অনস্বীকার্য। বিশেষত এই সমস্ত শাসনতান্ত্রিক আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনীতিক বিচার-বিবেচনার প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। অ্যালান বল বলেছেন: “Constitutional Courts and courts which have constitutional powers of adjudication as part of their functions are even more involved in overt political considerations as regards appointments.” ১৯৪৯ সালে কানাডায় ‘প্রিভি কাউন্সিল’ (Privy Council)-এর পরিবর্তে সুপ্রীম কোর্টকে চূড়ান্ত আপীল আদালত হিসাবে ক্ষমতাযুক্ত করা হয়। আদালত গঠনের ক্ষেত্রে বলা হয় যে কুইবেক (Quebec) থেকেই অন্তত তিনজন বিচারপতিকে নিয়ে এই আদালত গঠিত হবে। এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হল জাতিগত ও ধর্মীয় ভারসাম্য বজায় রাখা। পশ্চিম জার্মানীর শাসনতান্ত্রিক আদালতের বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজনীতিক প্রভাবের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। পশ্চিম জার্মানীর যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতান্ত্রিক আদালতের বিচারপতিরা পার্লামেন্ট কর্তৃক নির্বাচিত হন। এই আদালতের ১৬ জন বিচারপতির মধ্যে ছ’জনকে নির্বাচিত করা হয় পেশাদার বিচারপতিদের ভিতর থেকে। এঁরা সারাজীবনের জন্য নির্বাচিত হন। বাকি দশ জনকে নির্বাচিত করা হয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠীর ভিতর থেকে। এই সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিভিন্ন রাজনীতিক দল, প্রশাসক ও অন্যান্য বাছাই বা এলিট গোষ্ঠী। তবে এই সমস্ত বিচারপতিরা সারাজীবনের জন্য নির্বাচিত হন না। এঁদের মেয়াদ হল আট বছর। ফ্রান্সের শাসনতান্ত্রিক আদালতের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। যথার্থ বিচারে একে একটি আদালত বলা যায় কিনা সে বিষয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। যাইহোক এই আদালত আইনের সাংবিধানিকতা যাচাই করতে পারে। এই আদালতের বিচারপতিদের নিয়োগ-ব্যবস্থা পৃথক প্রকৃতির। এই আদালতের বিচারপতিরা পেশাদার বিচারক নন। প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরা এই আদালতের বিচারপতি নন। তা ছাড়া ন’ বছরের জন্য তিন জন বিচারপতি নিযুক্ত হন রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পরিষদ এবং সিনেটের দ্বারা।
মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ:
মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। তবে এই নিয়োগ সিনেটের অনুমোদনসাপেক্ষ। মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা সারা জীবনের জন্য নিযুক্ত হন। শাসনতান্ত্রিক কাজকর্মের দায়িত্বযুক্ত অন্যান্য আদালতের তুলনায় সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনীতিক বিচার-বিবেচনার প্রভাব অধিক। মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ ব্যবস্থার উপর রাজনীতিক বিচার-বিবেচনার প্রভাব অত্যন্ত স্পষ্ট। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে বিচারপতিদের আর্থ সামাজিক পটভূমির বিষয়টিও তাৎপর্যপূর্ণ। বল বলেছেন: “…class background in the appointment of American Supreme Court judges is important ” প্রায় ৮৮ শতাংশ বিচারপতি উত্তর-পশ্চিমের জাতিগোষ্ঠীগুলি থেকে আসেন। এঁরা হলেন মূলত উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। নিয়োগের প্রাক্কালে প্রায় সকল বিচারপতিরই রাজনীতিক অঙ্গীকার সুস্পষ্টভাবে অনুধাবন করা যায়। তবে সাম্প্রতিককালে মার্কিন রাজনীতিক প্রক্রিয়ার অন্যান্য অংশের তুলনায় সুপ্রীম কোর্ট পৌর অধিকার, জাতিগত প্রশ্ন প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে অধিকতর উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ সিনেটের অনুমোদনসাপেক্ষ। এ ক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদন প্রত্যাহারের বিষয়টি রাজনীতিক উদ্দেশ্য ও বিচার-বিবেচনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অ্যালান বল বলেছেন: “The difficulties of President Nixon is 1969 and 1970 in finding a replacement for Justice Fortas, indicated the extent of the involvement in current political issues. The Senate’s rejection of Haynesworth and Carswell, only the second and third rejections in the twentieth century, forced Nixon to look outside the south to Blackmun of Minnesota, who was regarded as more moderate on many issues, including civil rights, than the two rejects.” বল এ প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ করেছেন: “Robert Dahl has said of the American Supreme Court that it is inevitably a part of the dominant national alliance. As an element in the political leadership of the dominant alliance, the Court of course supports the major policies of the alliance.”
উপসংহার: অ্যালান বলের অভিমত অনুসারে বিচারপতিদের কার্যকালের নিরাপত্তা অবধারিতভাবে সরকার বা নির্বাচকমণ্ডলীর চাপ বা প্রভাব থেকে স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করে না। তবে এর দ্বারা রাজনীতিক ব্যবস্থার স্থায়িত্ব প্রতিপন্ন হয়। বস্তুত বিচার-বিভাগ বিদ্যমান রাজনীতিক ব্যবস্থায় অধিকতর শক্তিশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করে। এই স্বার্থরক্ষার বিষয়টি অব্যাহত থাকলে তার বৈধতার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন দেখা দেয় না। সকল স্থিতিশীল রাজনীতিক ব্যবস্থার এটাই হল সাধারণ প্রবণতা। প্রকৃত প্রস্তাবে প্রত্যেক রাজনীতিক ব্যবস্থায় বিচার বিভাগকে প্রভুত্বকারী রাজনীতিক শক্তির স্বার্থের সংরক্ষক হিসাবে দেখা যায়। অনেকের মতানুসারে বিচার বিভাগের এই ভূমিকা রাজনীতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতাকে সুনিশ্চিত করে। অপরপক্ষে বিচার-বিভাগের এই ভূমিকার অস্বীকৃতি রাজনীতিক ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতার কারণ হিসাবে প্রতিপন্ন হয়। উন্নতিশীল দেশগুলিতে এই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। বিচার-বিভাগের ভূমিকা ও রাজনীতিক স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে বল বলেছেন: “This is a fact of all stable political systems, and the more obvious tampering with the judicial system in many developing countries is a sign of instability of the political system, not merely that the judiciary is more involved in the political process than in more developed systems.”
Leave a comment