প্রশ্নঃ পেশাগত অসদাচরণের জন্য একজন অ্যাডভোকেটকে ট্রাইব্যুনাল কি কি শাস্তি দিতে পারে? ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কি প্রতিকার আছে?

ভূমিকাঃ “দি বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার এন্ড রুলস-১৯৭২” এর মাধ্যমে আইনজীবীদের পেশা সংক্রান্ত বিধি বর্ণিত হয়েছে। উক্ত বিধিতে কোন আইনজীবী তার দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এই শাস্তি কার্যকর বা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়েছে বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল।

পেশাগত অসদাচরণের জন্য একজন অ্যাডভোকেটকে ট্রাইব্যুনাল যে সকল শাস্তি দিতে পারেঃ কোন আইনজীবী পেশাগত অন্যায় করলে বার কাউন্সিল আদেশ এর ৩২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল নিম্নোক্ত শাস্তি দিতে পারেন-

(i) তিরস্কার করতে পারেন। অথবা

(ii) সাময়িকভাবে অপসারণ করতে পারেন। সাময়িকভাবে অপসারণ করলে তার মেয়াদ নির্ধারণ করে দিবেন। অথবা

(iii) পেশা থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করতে পারেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিকারঃ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কোন আইনজীবী নিম্নের পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন-

(i) অনুচ্ছেদ ৩৪ (৪,৬) এর অধীনে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউর আবেদন করা যায়।

(ii) অনুচ্ছেদ ৩৬(১) অনুসারে অনুরূপ আদেশ প্রাপ্তীর ৯০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করতে পারবেন।


(iii) অনুচ্ছেদ ৩৬(২) অনুসারে প্রতিটি আপীল হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

(iv) অনুচ্ছেদ ৩৭ অনুসারে, অনুচ্ছেদ ৩৬(২) এর অধীনে আপীল দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদি আইন-১৯০৮ এর ৫ এবং ১২ ধারা যতদূর সম্ভব প্রযোজ্য হবে।

উপসংহারঃ আইনজীবীগণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের একই পেশার সদস্যদের সাথে, মক্কেলদের সাথে আদালতের সাথে, সাধারণ জনগণের সাথে আদর্শ আচরণ নিশ্চিত করে থাকেন। যদি কোন আইনজীবী তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন বা পেশাগত অন্য কোন অন্যায় করেন তাহলে তাদের জন্য “দি বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার এন্ড রুলস-১৯৭২” বিধিতে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আর এই শাস্তি প্রদান করা হয় বার কাউন্সিলের অধীন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে।