প্রশ্নঃ “অসবর্ণ বিবাহ পদ্ধতি প্রাচীন হিন্দু আইনের রক্ষণশীলতাকে উপেক্ষা করে সময়ের চাহিদা পূরণ করেছে”- তুমি কী এ বিষয়ের সঙ্গে একমত? কারণ দেখাও।
অসবর্ণ বিবাহঃ বিবাহের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলির অন্যতম হচ্ছে সবর্ণ অর্থাৎ বর ও কনে উভয়কে একই বর্ণের হতে হবে। একই বর্ণের না হলে তাকে অসবর্ণ বিবাহ বলা হয়৷
প্রতিলোমা বিয়ে অর্থাৎ নিম্নবর্ণের পুরুষ এবং উচ্চ বর্ণের মহিলার বিয়ে নিষিদ্ধ তবে অনুলোমা বিয়ে অর্থাৎ উচ্চ বর্ণের পুরুষ এবং নিম্নবর্ণের মহিলার বিয়ে স্বীকৃত । একই বর্ণের বিভিন্ন উপসম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে বৈধ।
অন্য সকল সম্প্রদায়ের ন্যায় হিন্দু সমাজেও রক্ষণশীলতাকে উপেক্ষা করে প্রগতিশীল ভাবধারায় নিজেদের জীবনযাত্রাকে পরিচালিত করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিন্দু মেয়েরাও ছেলেদের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। সামাজিক মূল্যবোধও পরিবর্তিত হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে অসবর্ণ বিবাহের ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে যা আধুনিক যুগের চাহিদা বলা যায়।
Leave a comment