অলৌকিক গল্পের মূল বক্তব্য: কর্তার সিং দুগগালের ‘অলৌকিক’ গল্পে লেখক অলৌকিক ঘটনার মধ্যে যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছেন। প্রিয় শিষ্য মর্দানা তৃয়ায় কাতর হয়ে পড়লে গুরু নানক তাকে পাহাড়ের চূড়ায় দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে পাঠান। কিন্তু নানকের নাম শুনেই কান্ধারী মর্দানাকে তাড়িয়ে দেন। তিন বার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর অবশেষে প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়া মর্দানা নানকের পরামর্শেই পাথরের তলা থেকে জলের ঝরনা খুঁজে পায়। এই অবস্থায় নিজের কুয়ােতে জল না থাকায় বলী কান্ধারী ক্রুদ্ধ হয়ে পাহাড়ের ওপর থেকে নানকের দিকে পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন। কিন্তু সেই পাথর হাত দিয়ে থামিয়ে দেন নানক।

আপাতভাবে, লেখকের কাছে এই ঘটনা অসম্ভব ও অলৌকিক মনে হয়। পরে মায়ের বান্ধবীর কাছে কিছু মানুষের নিজেদের জীবনের বিনিময়ে ছুটন্ত ট্রেন থামিয়ে দেওয়ার বাস্তব কাহিনি শুনে পূর্বের অলৌকিক ঘটনার ওপর বিশ্বাস খুঁজে পান লেখক। লেখকের মনে হয়, একদিন মায়ের মুখে শােনা যে গল্পকে তিনি অবিশ্বাস্য ভেবেছিলেন, সেটিও সম্ভব হতে পারে। মানুষের ইচ্ছাশক্তি, সাহস আর সংকল্পই যে-কোনাে অলৌকিক ও অসম্ভবকে বাস্তব ও সম্ভব করে তুলতে পারে। লেখক এই কথাই এই গল্পের মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন।