মানুষ তার অভাবপূরণ বা জীবিকানির্বাহের জন্য যেসব কাজ করে সেগুলিকে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলে।
অর্থনীতিবিদরা অর্থনৈতিক কাজকে সামাজিক কাজ নামে অভিহিত করেছেন।
অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের মুখ্য উদ্দেশ্য হল মানুষের বিভিন্ন অভাবগুলিকে পূরণ করা এবং জীবিকানির্বাহ করা।
প্রাথমিক স্তরের ক্রিয়াকলাপ মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে বলে একে প্রকৃতি নির্ধারিত ক্রিয়াকলাপ বলে।
মানুষের প্রাথমিক চাহিদা মেটানাের চেষ্টা করা হয় প্রথম স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ দ্বারা।
প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ বা উৎপাদনের জন্য মানুষ যেসব কাজ করে সেগুলিকে প্রাথমিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলে।
প্রথম স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে অধিক দৈহিক শ্রম বা কায়িক শ্রমের প্রয়ােজন হয়।
প্রাথমিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য প্রধানত উৎপাদকের জীবিকা এবং জীবনধারণের জন্যই ব্যবহৃত বলে একে জীবনধারণভিত্তিক স্বয়ংভােগী অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলে।
জমিকে ভিত্তি করেই চাষাবাদ, পশুপালন প্রভৃতি প্রথম স্তরের অর্থনৈতিক কাজ করা হয় বলে এই স্তরের কাজ জমি নির্ভর।
শিল্পবিপ্লবকে ভিত্তি করে দ্বিতীয় স্তরের কাজের উদ্ভব হয়েছে।
প্রাথমিক স্তরের কাজে দৈহিক শ্রম বেশি প্রয়ােজন হয় এবং এইসব কার্যাবলি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই কাজের সাথে যুক্ত কর্মীদের Red-collar Workers বলে।
প্রাথমিক স্তরের অর্থনৈতিক কাজ হল মানুষের সবচেয়ে প্রাচীন অর্থনৈতিক কাজ।
উন্নত দেশগুলিতে পরিসেবা ক্ষেত্রের গুরুত্ব সবথেকে বেশি।
তৃতীয় স্তরের ব্রিয়াকলাপকে পরিসেবামূলক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলে।
পর্যটন তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।
তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কার্যাবলির দ্রুত উন্নতি ঘটলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি দ্রুত হয়।
কোয়াটারনারি অ্যাকটিভিটি বলতে চতুর্থ স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে বােঝায়।
বিশেষজ্ঞের কাজ পঞ্চম স্তরের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।
পরামর্শদান পঞ্চম স্তরের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্গত।
পঞ্চম স্তর বা সােনালি কলার কর্মীদের থিংক ট্যাংক বলা হয়।
যে ক্ষেত্র থেকে অতি উচ্চ পর্যায়ের বুদ্ধিজীবী পরিসেবা পাওয়া যায় তাকে অতি নব্যস্তরের অর্থনৈতিক কাজ বলে।
সােনালি কলার কর্মীরা কোনাে দেশ বা রাজ্যের কৃষি নীতি, শিল্পনীতি প্রভৃতি নির্ধারণ করেন।
পঞ্চম স্তরের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযােগ থাকে বলে এদেরকে সােনালি কলার কর্মী বলা হয়।
কুইনারি অ্যাকটিভিটি বলতে পঞ্চম স্তরের কার্যাবলিকে বােঝায়।
অবসরের বয়স অতিক্রম করার পরেও মানুষ যেসকল কার্যাবলির সাথে নিযুক্ত থাকে সেসকল অর্থনৈতিক কার্যাবলির ক্ষেত্রে গ্রে কলার কথাটি ব্যবহার করা হয়।
যখন আউটসাের্সিং-এর কাজকে বাইরের দেশে পাঠিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়, তখন তাকে অফসােরিং বলে।
বর্তমানে আউটসাের্সিং-এর মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, গবেষণা, উন্নয়ন-সংক্রান্ত কাজ এবং ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাজ করানাে হয়ে থাকে।
নীল পােশাকের শ্রমজীবীর একটি উদাহরণ হল-নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি।
Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)
Leave a comment