অম্লবৃষ্টির প্রধান কারণ হল বায়ুদূষণ। বিভিন্ন কলকারখানা থেকে সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গত হয়। বাতাসে ভাসমান এই সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইড জলীয়বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। তা ছাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস বায়ুর জলীয়বাষ্পের সাথে মিশে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। এরপর সালফিউরিক, নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বৃষ্টিপাত, তুষারপাত এবং কুয়াশার সাথে মিশে ঝরে পড়লে তাকে অম্লবৃষ্টি বলে। অম্লবৃষ্টির pH-এর মান 6-এর কম হয়।
মৃত্তিকা দূষণ : অম্লবৃষ্টির ফলে মৃত্তিকা দূষিত হয় এবং মৃত্তিকার উর্বরাশক্তি হ্রাস পায়।
জলদূষণ : পুকুর, হ্রদ, জলাশয় ইত্যাদির জল অম্লবৃষ্টির ফলে দূষিত হয়। এর ফলে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটে।
উদ্ভিদের ক্ষতি : অম্লবৃষ্টির প্রভাবে গাছের পাতা কুঁকড়ে ও ঝলসে যায়। বনভূমি ও তৃণভূমি ধ্বংস হয়।
মানুষের ক্ষতি : মানুষ অন্নবৃষ্টির দ্বারা প্রভাবিত হলে তাদের চামড়া ও কোশের ক্ষতি হয়।
অট্টালিকা ও সৌধের ক্ষতি : মার্বেল নির্মিত অট্টালিকা, সৌধ ইত্যাদি অল্পবৃষ্টির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারতের তাজমহলের ক্ষতির অন্যতম কারণ অম্লবৃষ্টি।
Leave a comment